বিশ্বসম্প্রদায়ের কি শুভবুদ্ধির উদয় হবে?
লিখেছেন লিখেছেন ফরীদ আহমদ রেজা ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৬:৪২ বিকাল
প্রথমে আসুন, রবীন্দ্রনাথের নৈবদ্য গ্রন্থের একটি বহুল-পঠিত কবিতা পাঠ করি।
শতাব্দীর সূর্য আজি রক্তমেঘ-মাঝে
অস্ত গেল , হিংসার উৎসবে আজি বাজে
অস্ত্রে অস্ত্রে মরণের উন্মাদ রাগিনী
ভয়ংকরী । দয়াহীন সভ্যতানাগিনী
তুলেছে কুটিল ফণা চক্ষের নিমেষে
গুপ্ত বিষদন্ত তার ভরি তীব্র বিষে ।
স্বার্থে স্বার্থে বেধেছে সংঘাত , লোভে লোভে
ঘটেছে সংগ্রাম — প্রলয়মন্থনক্ষোভে
ভদ্রবেশী বর্বরতা উঠিয়াছে জাগি
পঙ্কশয্যা হতে । লজ্জা শরম তেয়াগি
জাতিপ্রেম নাম ধরি প্রচন্ড অন্যায়
ধর্মেরে ভাসাতে চাহে বলের বন্যায় ।
কবিদল চীৎকারিছে জাগাইয়া ভীতি
শ্মশানকুক্কুরদের কাড়াকাড়ি-গীতি ।
বাশার আল আসাদের পক্ষে রাশিয়া। আমেরিকা আসাদের বিপক্ষে।
মুসলিম বিশ্বের ইরান আসাদের পক্ষে, সাউদি আরব আসাদের বিপক্ষে।
‘যুদ্ধ ধোকাবাজির নাম‘ - এ নীতি গলায় ঝুলিয়ে কিছু মুসলমান পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কোন কোন সরকারের চাকরি করেন। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সে সরকারের পক্ষে কথা বলেন। প্রচারণা চালান। সত্য-মিথ্যা যাচাই করার চিন্তা করেন না। কোন কোন পক্ষ সুন্নি-শিয়া বিরোধও উস্কে দেয়ার চেষ্টা করছে।
সাধারণ মুসলমান কোন সরকারের কেনা মানুষ নয়। তারা শিয়া-সুন্নি বিরোধ নিয়ে ভাবে না। তারা অমুসলমানদের সাথেও সহ-অবস্থানে বিশ্বাসী। তাদের ভাবনা ভিন্ন রকম।
যুদ্ধটা হচ্ছে সিরিয়ায়। বোমা পড়ছে সেখানে। যারা মরছে তারা সবাই মুসলমান। ধ্বংস হচ্ছে হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মুসলমানরা।
বিরোধে সকল বৃহৎশক্তি জড়িত। বিশ্বযুদ্ধ হতে আর কী লাগে?
মুশকিল হলো, যারা যুদ্ধবাজ তাদের হাতেই ক্ষমতা। তারা অস্ত্র বানায় এবং বিক্রয় করে। তারাই সিদ্ধান্ত নেয়, কখন কোথায় যুদ্ধ লাগাতে হবে। সাধারণ মানুষ এর কুফলটা শুধু বহন করে।
মানুষ কি যুদ্ধ চায়? যুদ্ধ ছোট হোক বা বড় হোক, কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। কোন যুদ্ধের ক্ষতি বহন করার ক্ষমতা কি আমাদের, মানে পৃথিবীর আছে?
বিশ্বসম্প্রদায়ের কি শুভবুদ্ধির উদয় হবে?
বিষয়: বিবিধ
১৩৪০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেসব শাসকের পরিচয় "মুসলিম" তাদেরই যখন "শুভবুদ্ধি"র সঙ্কট, তখন অন্যদের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া আরো কঠিন!!
আসমানের ফায়সালা চাওয়া আর চেষ্টা করে যাওয়া- এ দুটিই এখন সম্বল!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন