সহিংসতা না সমঝোতাঃ শিবিরের অভিজ্ঞতা - দুই
লিখেছেন লিখেছেন ফরীদ আহমদ রেজা ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:২৪:২৮ বিকাল
এমসি কলেজে অনার্স শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। অনার্সে থাকতে প্রথমে সিলেট জেলা এবং পরে সিলেট শহরের দায়িত্ব ছিল। তখন প্রায়ই বাইরে সফরে যেত হতো। এ কারণে অনার্সের ক্লাস খুব একটা করতে পারিনি। লেখাপড়া এবং সংগঠনের কাজে ভারসাম্য রাখার ওয়াজ-নসিহত করতাম। কিন্তু ক্লাসের অজুহাতে কখনো সফর বা বৈঠক বাদ দিতে পারিনি। কারো চাপে নয়, ময়দানের তাগিদেই তা করেছি, আগামী কাল বা দ্রুত বিপ্লব সম্পন্ন করার উন্মাদনা থেকে করেছি। শিবিরের আদর্শ গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যে বৃহত্তর সিলেটের প্রায় সকল থানায় এবং বহু গ্রামে বার বার সফর করতে হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে একটি বিষয় উল্লেখ করছি। সিলেটের সুনামগঞ্জ শহরে কাজ শুরু করতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এক সময় একজন সাহসী এবং ত্যাগী লোক পেলাম। তার বাড়ি মৌলবী বাজার হলেও শুধুমাত্র সংগঠনের প্রয়োজনে তিনি নিজের বাড়ি ছেড়ে সুনামগঞ্জ গিয়ে ছ’ মাস থাকতে রাজি হন। তাঁর নাম শামসুজ্জামান চৌধুরী। জানি না, এখন তিনি কোথায় আছেন এবং কী করছেন। আল্লাহ তাঁর এ ত্যাগকে কবুল করুন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর প্রথম থেকেই কলেজের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তৎপর ছিলাম। ক্লাস শেষে রুমে এসে কিছু লেখাপড়া করার চেষ্টা করতাম। চট্টগ্রাম এলাকার কোন কোন সদস্য-কর্মীর কাছে এটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল। একজন দায়িত্বশীল সদস্য ক্লাস শেষে পড়ার টেবিলে এসে বসে পড়বেন, এটা দেখে তারা অভ্যস্থ ছিলেন না। এটা যে পরে আমার জন্যে কাল হবে তা ভাবতে পারিনি। চট্টগ্রাম শহরের কেউ কেউ আমার এ কষ্টলব্ধ প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেন। আমাকে চট্টগ্রাম শহরে নেয়ার জন্যে তাদের উদ্বুদ্ধ হবার পেছনে এটাও একটা যুক্তি ছিল।
চট্টগ্রাম শহরের সভাপতি তখন ছিলেন মফিজুর রহমান। বর্তমানে অধ্যাপক মফিজুর রহমান। তুখোড় বক্তা এবং শক্তিশালী সংগঠক। তাঁর ছাত্র জীবন শেষ হয়ে গেছে। তাই চট্টগ্রাম শহরের জন্যে একজন অভিজ্ঞ দায়িত্বশীল দরকার। চট্টগ্রাম শহরের সদস্যদের দৃষ্টি আমার উপর পড়ে। পরবর্তী কার্যকরী পরিষদের বৈঠকের সময় তারা কয়েকজন ঢাকায় গিয়ে হাজির হন। তাদের দাবি, চট্টগ্রাম শহরের জন্যে একজন পরিষদ সদস্য দরকার। চট্টগ্রাম শহরের এক সদস্য আমাকে বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে তারা আমাকে-ই চট্টগ্রাম শহরে দেয়ার জন্যে কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে অনুরোধ করেন। পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। নিয়ম অনুযায়ী আমাকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে পরিষদ সদস্যরা এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, আগামী সেশনে আমাকে চট্টগ্রাম শহরে কাজ করতে হবে।
এর পর পরই ঈদের ছুটি ছিল। পরিষদের বৈঠক শেষে আমি মা-বাবার সাথে ঈদ উদযাপনের জন্যে ঢাকা থেকে আমার গ্রামের বাড়ি সিলেটে চলে যাই। জসিম উদ্দীন সরকার সে সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। তাঁর সাথে কথা হয়, ফেরার পথে কুমিল্লা হয়ে তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম যাবো। এটাও ঠিক হয়, আমি যে দিন বাড়ি থেকে আসবো সেদিনই চট্টগ্রাম শহরে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কেন্দ্রিয় সভাপতি উপস্থিত থাকবেন।
কথামতো কুমিল্লা থেকে জসিম উদ্দীন সরকারকে নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছি। বাস থেকে নেমে অন্ধের মতো তার পেছনে পেছনে সভাস্থলে এসে হাজির হই। কারণ তখন চট্টগ্রাম শহরের কিছুই আমি চিনতাম না। আমাকে দেখে সালাম-কালামের পর কেন্দ্রিয় সভাপতি আমার হাতে একটি ব্যালট এগিয়ে দিয়ে বললেন, ভোট গ্রহণ শেষ। আপনার ভোট তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন। চট্টগ্রাম শহরের সদস্য সংখ্যা ঢাকা থেকে সামান্য কম হলেও সংখ্যাটা ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। মাত্র দু চারজনকে আমি চিনতাম। তাদের মধ্যে যাকে বেশি উপযুক্ত মনে হয়েছে তার নাম ব্যালট পেপারে লেখে দিয়ে দিলাম। একটু আড়ালে গিয়ে কেন্দ্রিয় সভাপতি ভোট গণনা করলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে ঘোষণা দিলেন, সদস্যদের ভোটে ফরীদ আহমদ রেজা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ঘোষণা তখন ফাঁসির রায়ের মতো আমার কানে এসে লেগেছে। আচ্ছন্নের মতো সভাপতি হিসেবে শপথ নিলাম। পরদিন সেক্রেটারী এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল নিয়োগের উদ্দেশ্যে দিনব্যাপী সকল সদস্যের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বললাম। সাবেক সভাপতির সাথেও পরামর্শ করলাম। সকলের পরামর্শের আলোকে নুরুল আমিন চৌধুরীকে সেক্রেটারীর দায়িত্ব দেয়া হলো। আরো কয়েকজনকে নিয়ে ৫ থেকে ৭ জনের একটি পরামর্শ সভা গঠিত হলো। পরামর্শ সভায় ছিলেন নুরুল আমিন চৌধুরী, মুহাম্মদ রফিক, আব্দুর রব, এ এইচ নুমান, আজম ওবায়েদ, মুহাম্মদ নুরুল আমিন প্রমুখ।
শাখা পুনর্গঠন এবং দায়িত্বশীল ও সাথীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পারি, চট্টগ্রাম শহরে আমার প্রয়োজন ছিল না। নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক যোগ্যতা, ময়দানী-সাহস, স্বতঃস্ফুর্ততা এবং আন্তরিকতা প্রশ্নের উর্ধে ছিল। শুধু কিছুটা অভাব ছিল আত্মবিশ্বাসের। এর অন্যতম কারণ ছিল প্রাক্তন সভাপতির সাথে শাখার সিনিয়র দায়িত্বশীলদের বয়স, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পার্থক্য। মানুষের মনে এমনি পরিস্থিতি শূন্যতার একটি অবাস্তব অনুভূতি সৃষ্টি করে। এলাকার উত্তপ্ত পরিবেশও এ জন্যে কিছুটা দায়ী ছিল। আমার মতে, দায়িত্ব অর্পিত হলে এক সময় তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যেতো।
আমার উপর যখন চট্টগ্রাম শহরের দায়িত্ব আসে তখন সংগঠনের ১১ জন গুরুত্বপূর্ণ সাথী-সদস্য তবারক হত্যা মামলায় পলাতক আসামী। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন খবরের কাগজে ছবিসহ তাদের নাম ছাপা হয়েছে। তারা সবাই চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কলেজ হিসেবে চিহ্নিত চট্টগ্রাম কলেজে কাজ করতেন। গোটা শহরের অবস্থা থমথমে। বৈঠকাদি গোপনে করতে হয়। সদস্য-কর্মীরা সাবধানের সাথে চলাফেরা করেন । প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। কোথাও প্রকাশ্যে শিবিরের কাজ করার পরিবেশ নেই। শাখার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করার মতো পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সাজানো মামলার আসামীদের জামিনে মুক্ত করা ছিল আমার প্রধান দুটো অগ্রাধিকার।
আমার সৌভাগ্য যে শাখা, বিভিন্ন থানা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাদের পেয়েছি তাদের নতুন কিছু শেখাতে হয়নি। সাংগঠনের দাবি, কাজের কৌশল, আনুগত্য ও নিয়ম-শৃঙ্খলা ইত্যাদির ব্যাপারে তারা পুরোপুরি সচেতন ছিলেন। প্রায় তিন যুগ পর এখনো তাদের অনেকের চেহারা মনে আছে। অবশ্য কারো কারো নাম ভুলে গেছি। সংগঠনের প্রতি তাদের দরদ এবং আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা ভোলার মতো নয়। নুরুল আমিন চৌধুরী, মুহাম্মদ রফিক, এ এইচ নুমান, আজম ওবায়েদ, মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মহিউদ্দীন ফারুক প্রমুখ শাখার সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন থানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন আব্দুল রব, রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, নুরুল আমিন ভূঁইয়া, মনসুর আহমদ, এইচএম হূমায়ুন, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর কাসেম, ফরিদুল আলম, আব্দুল গোফরান, মুহাম্মদ রফিক, হামিদ হোসেন আজাদ, ফেরদৌস আহমদ, আমিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম এবং আরো অনেকে।
আজম ওবায়েদ ফুলকুঁড়ি ছেড়ে দিলেও তিনি-ই ছিলেন তাদের অভিভাবক। ফুলকুঁড়ির নাটক, অভিনয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখনো আমাকে টানে। ঢাকার জন্যে তা ছিল অনুকরনীয়। স ম রফিক, আমিরুল ইসলাম, শাহরিয়ার এবং আরো কয়েকজন ছিলেন পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠীর সাথে। নিজেদের লোকদের মধ্যে স ম রফিকের মতো সঙ্গীতজ্ঞ আমার নজরে পড়েনি। তারা কে কোথায় আছেন, কী করছেন সে সব খবর আমার জানা নেই। তাদের মধ্যে আজম ওবায়েদ এবং হামিদ হোসেন আজাদ পরবর্তীতে কেন্দ্রিয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রের পরামর্শে এক সময় মনসুর আহমদ কুমিল্লা শহরে পাঠিয়ে দিতে হয়, সেখানকার প্রয়োজনে। তিনি চট্টগ্রাম শহরে এক থানার দায়িত্বশীল ছিলেন।
বীর চট্টলার আরো অনেক মধুর স্মৃতি আমাকে মাঝে মধ্যে নস্টালজিক করে। যারা সাংগঠনিক কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, চা পান এবং পান চিবানো, শপিং সেন্টারে কেনাকাটা, ব্যক্তিগত সুখ-অসুখের গল্প, প্রাতঃভ্রমণ এবং সাঁতার কাটা ইত্যাদি কাজে সঙ্গ দিয়েছেন তাদের অনেকের সাথে আলাদা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিদেশী অতিথি নিয়ে কারে চড়ে চট্টলার নান্দনিক প্রকৃতি উপভোগ করেছি। চট্টগ্রাম শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার গিয়েছি। জাহাঙ্গীর কাসেমদের কক্সবাজারের বাড়িতে রূপচাঁদা মাছ আর গলদা চিংড়ি দিয়ে ভুরি ভোজন আর গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্র শিবিরের কর্মীদের সাথে আড্ডার কথা কি আমি ভুলতে পারি? আজ সুদূর লন্ডনে বসে চট্টগ্রামের রূপচাঁদা, চিরিং, কুড়াল, চিংড়ি প্রভৃতি হিমায়িত মাছ কিনে আনি, কখনো ক্রয় করি সুটকি। তখন সে সব স্মৃতি আমাকে অনেক সময় আবেগাপ্লুত করে তুলে।
আমার বয়স এবং অভিজ্ঞতা থাকলেও চট্টগ্রামে আমি যাদের সাথে কাজ করেছি তারা সবাই ছিলেন টগবগে তরুণ, উজ্জ্বল বুদ্ধিদীপ্ত ও সংগঠনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। কাজ করতে গিয়ে তাদের মতামতকে আমি প্রাধান্য দিয়েছি, বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্যে সামনে ঠেলে দিয়েছি। কাজ তারাই করেছেন, আমি পেছন থেকে তাদের সাহস এবং উৎসাহ দিয়েছি। যেখানে আটকে গেছেন সেখানে সাহায্য করেছি। আমার টার্গেট ছিল, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করা যাতে এক বছর পর আমি চলে গেলে আরেকজনকে ধার করে আনার প্রয়োজন না হয়। আমার এটাও সৌভাগ্য যে সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মফিজুর রহমান এবং আমি শুরুর দিকে একই মেসে থেকেছি। এর ফলে বিভিন্ন ব্যাপারে সব সময় তাঁর সাথে পরামর্শ করার সুযোগ পেয়েছি। কিছুদিন পর তিনি অন্য এক বাড়িতে উঠে গেলেও যখনই প্রয়োজন পড়েছে তিনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর অনলবর্ষী বক্তৃতা কর্মীদের সতেজ রেখেছে এবং তাঁর কুরআনী জ্ঞান আমাদের সব সময় প্রেরণা যুগিয়েছে।
আমরা অনেকে শহরে কাজ করলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এ জন্যে কারণে-অকারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে সহযোগিতা করার প্রয়োজন পড়তো। একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট-কারণে এক সাথে প্রায় চল্লিশজন কর্মীকে জেলে যেতে হয়। অল্পের জন্যে আমি তখন গ্রেফতারী এড়াতে সক্ষম হই। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারী ছিলেন যথাক্রমে জসিম উদ্দীন সরকার এবং আব্দুল গাফফার। জেলার কাজের সাথেও সংযোগ রাখতে হতো। উত্তর জেলার সভাপতি ছিলেন নুরুল আবসার এবং দক্ষিণ জেলায় ছিলেন মুহাম্মদ শাসুল ইসলাম। মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম পরে এক সময় কেন্দ্রিয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Excellent!
Without your permission. I published yours great articles
শিবিরের ক্রান্তিকালঃ১৯৮২.
আমাদের হিসাবে চার যুগ হচ্ছে ৪৮ বছর। আর ৪৮ বছর আগে শিবিরের পয়দাও হয়নি।
সংগঠনের প্রতি তাদের ধরদ আগের মতই আছে। শুধু আপনার অভাব অনুভব করছি।
প্লিজ ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আমি আপনার মত অনেক দুঃখু পেয়েছি। তার পরও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জামাত-শিবিরকে ভাল বাসি।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
আসসালাম......
মুহতারাম! অনলাইন পেপারে আপনার লেখা পড়লেও ব্লগে এটাই আমার প্রথম পড়া!
সক্রিয় অংশ গ্রহন না থাকলেও জামাত-শিবিরের প্রতি দ্বীনী ভালবাসা কাজ করে!
আল্লাহ আপনার সকল কর্মকান্ড কে দ্বীনের জন্যে কবুল করুন,আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন