তথ্যমন্ত্রীর উপর হামলা অসুস্থ রাজনীতির আলামত
লিখেছেন লিখেছেন ফরীদ আহমদ রেজা ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৫২:১৭ দুপুর
লন্ডনে বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হকে ইনুর উপর হামলার খবর দেশ-বিদেশের বাংলা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, লন্ডনে এক টক শোতে অংশ নিতে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলায় মন্ত্রী আসেন। এ সময় দুই যুবক তার সাথে ছবি তোলার কথা বলে কাছাকাছি এসে এ হামলা চালায়। এটিএন বাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী ও লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রোটোকল অফিসার তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে হামলাকারী দুই যুবকের সঙ্গে কারো কারো ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের খুঁজছে বলে জানা গেছে ।
খবরটি পাঠ করে আমরা ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন। আমরা এ ধরণের সন্ত্রাসী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এ ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সপোর্দ করা হোক। আমাদের মতে কেউ হাসানুল হক ইনুর রাজনীতি পছন্দ করুন অথবা না-ই করুন, দল-মত নির্বিশেষে বৃটেন প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির সবার জন্যে এ হামলার নিন্দা জানানো উচিত। এ দেশের পরমতসহিষ্ণুতাকে বিশ্বসম্প্রদায় অত্যন্ত মর্যাদার সাথে বিবেচনা করে। ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল আচরণ করা এ দেশের ঐতিহ্যের অংশ। সব ধরণের রাজনৈতিক সহিংসতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৃটিশ সমাজ ঐক্যবদ্ধ। যারা সে ঐতিহ্য ভঙ্গ করে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর উপর হামলা করেছে বা হামলা করার প্রয়াস চালিয়েছে তারা নিঃসন্দেহে দুস্কৃতিকারী এবং এ দেশের জন্যে কলঙ্ক। তাদের যথাযত শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে আমাদের সবার সচেষ্ট হওয়া দরকার।
আমরা নীতিগত কারণে বিলাতে বাংলাদেশী রাজনীতির বিরোধী। কিন্তু বাঙালি কমিউনিটির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দেশীয় রাজনীতির সাথে অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে বাংলাদেশের যে কোন রাজনৈতিক খবরের পক্ষে-বিপক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এখানে পরিলক্ষিত হয়। দেশী রাজনীতির সাথে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ততার খারাপ পরিণতির ব্যাপারে আমরা এ কলামে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কারোর তা শোনার মানসিকতা আছে বলে মনে হয় না। আমরা চাই অথবা না-ই চাই, তারা বিলাতে বাংলাদেশী রাজনীতি বাদ দিবেন না। বৃটেন একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে দেশী-বিদেশী যে কোন আইনানুগ রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার স্বাধীনতা তাদের রয়েছে। তবে তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, বাংলাদেশের অসুস্থ ও কদর্য রাজনীতি আমদানী করে দয়া করে বিলাতের সুস্থ পরিবেশকে বিনষ্ট করবেন না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবহিত আছি। রাজনৈতিক শিষ্টাচার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাধারণ মানবিক শালীনতা, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদি শুধুমাত্র অভিধান বা সংবাদপত্রের পাতায়-ই সেখানে পাওয়া যায়। অশালীন কথাবার্তা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাস সেখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। রাজপথ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে নিয়ে তা জাতীয় সংসদ পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনারা যারা বাংলাদেশী রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহী তারা এখানে তা করুন, কিন্তু দয়া করে সেখানকার অসুস্থ রাজনৈতিক কালচারকে এ দেশে নিয়ে আসবেন না।
বৃটিশ রাজনীতিতে কোন খারাপ দিক নেই তা আমরা বলছি না। এখানেও অনেক অসহনীয় এবং কদর্য বিষয় রয়েছে। তবে এখানে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা রয়েছে এবং রাজনীতিবিদরা আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। এখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কেউ কারো উপর হামলা করে না অথবা বিরোধী দলকে দমনের জন্যে সরকার তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বা দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দেয় না। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাস এখানে অনুপস্থিত। বৃটিশ সমাজে বাংলাদেশী কমিউনিটির তরুণ প্রজন্মের অনেকে সাফল্যের উজ্জল স্বাক্ষর রাখছে। কিন্তু এর পাশাপাশি ড্রাগ, গ্যাং-ফাইট বা অন্যবিধ বেআইনী কার্যকলাপও এখানে হর-হামেশা ঘটছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটক বা সাজাপ্রাপ্ত বাঙালি কয়েদির সংখ্যা বৃটিশ জেলে কম নয়। জনসংখ্যার অনুপাতে বাঙালি কয়েদির সংখ্যা বৃটিশ জেলে অনেক বেশি হওয়ার কারণে আমরা তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। আরো অনেক সামাজিক, পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে আমরা দিন যাপন করছি। এর সাথে রাজনৈতিক সন্ত্রাস যোগ হলে এ দেশে আমাদের মুখ দেখনো কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের অনুরোধ, বাংলাদেশী রাজনীতি করতে গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা সহিংস আচরণের মাধ্যমে বৃটিশ সমাজে বাংলাদেশী কমিউনিটির ভাবমূর্তি আর বিনষ্ট করবেন না।
হামলার পর লন্ডনে, লুটনে এবং ঢাকায় ফিরে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বিএনপি জামায়াত ও তেতুল হুজুরের হেফাজত তার ওপর হামলা করেছে।’ আমাদের অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বুধবার রাত ১১টায় দেয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘গতকাল জামায়াত-শিবিরের কতিপয় ক্যাডার আমাদের তথ্যমন্ত্রীর ওপর শারীরিক আক্রমণ চালিয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আরো একটি লজ্জাজনক আচরণ। একজন মন্ত্রীর ওপর হামলা, তা-ও বিদেশের মাটিতে, অকল্পনীয়।’ কাজটা অবশ্যই নানাদিক থেকে লজ্জাজনক। কিন্তু তারা কি ভাবে নিশ্চিত হলেন যে এ হামলা জামাত-শিবির করেছে? যারা হামলা করেছে তাদের কি জয় বা তথ্যমন্ত্রী চিনতে পেরেছেন? আসলে তাদের অভিযোগ সত্য হতে পারে, আবার মিথ্যাও হতে পারে। কারণ বিষয়টা পুলিশ তদন্ত করছে। কোন প্রকার তদন্ত বা সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া প্রতিপক্ষের প্রতি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে হাসানুল হক ইনু সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া এ ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করে প্রমাণ করেছেন তারা বাংলাদেশী রাজনীতির অসুস্থ ধারার-ই প্রতিনিধি। দীর্ঘ রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারক হয়ে তথ্যমন্ত্রীও এর উর্ধে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলতে পারতেন, ‘আমি জানি না, কারা আমার উপর হামলা করেছে এবং কেন করেছে। তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে কারা এবং কেন।’ আমরা তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রথমেই তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিকে সন্দেহের অঙ্গুলি উত্তোলন করতাম। তথ্যমন্ত্রীকে তাঁর উন্নত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সততার জন্যে বাহবা দিতাম। বলতাম, বাম ধারার এ নেতা বড়মাপের নেতা হতে চলেছেন।
বিএনপি, জামাত এবং হেফাজত নানা কারণে তথ্যমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ তা সবাই জানেন। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে মাইনাস করার কথা তিনি বার বার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি, জামাত এবং হেফাজত এ তিন দলের বিরুদ্ধেই তিনি সহিংস ভাষায় কথা বলেন। তাই বিএনপি-জামাত বা হেফাজত পরিকল্পণা করে তার উপর হামলা করতে পারে, আবার এ সকল ঘরাণার বিক্ষুব্ধ কেউ নিজেদের উদ্যোগে তা করতে পারে।
তথ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অন্য একটা সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায না। তাঁর নিজ দল জাসদের দলত্যাগী কোন বিক্ষুব্ধ গ্রুপও এ হামলা চালাতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হাসানুল হক ইনু তানদুয়া মুজিব বাহিনীর গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান ছিলেন। আমরা জানি, জাসদের উত্থান হয়েছে স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। রব-জলিলের নেতৃত্বে জাসদের ‘লড়াই লড়াই, লড়াই চাই’ শ্লোগান অন্যান্য অনেকের মতো আমাদেরও এক সময় আন্দোলিত করেছে। স্বাধীনতা উত্তর কালের ঘটনাবলী যাদের স্মরণ আছে তারা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল আছেন। তথ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে এর কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহাজোট সরকারের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ‘অটোক্র্যাটিক রুল’ বা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তুলেন। আওয়ামী লীগ সরকার সকল বিরোধীদলকে নিষিদ্ধ করার পর জাসদ গণবাহিনী গঠন করে এবং গণবাহিনীর ডিপুটি লিডার হিসেবে জনাব ইনু সরকারের সশস্ত্র আক্রমণের মোকাবেলা করেন। আমরা জানি, এবং ’৭৪ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও, ’৭৫ সালে ৭ নবেম্বর-এর সিপাহী-জনতার বিপ্লব ইত্যাদিসহ অনেক জাতীয় ইস্যুতে হাসানুল হক ইনু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গণবাহিনীর ডিপুটি লিডার হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ জীবন পণ করে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। অসংখ্য তরুণ আহত, নিহত এবং পঙ্গু হয়েছে। পরবর্তীতে এ তরুণদের অনেকে জীবন বাঁচাতে অথবা জীবিকার তাগিদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর উৎফুল্লচিত্তে ট্যাঙ্কে চড়ে শ্লোগান দিয়েছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সে হাসানুল হক ইনু নৌকায় চড়ে এমপি হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে মুখে ফেনা তুলছেন। তাঁর নেতৃত্বে লড়াই করে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের কেউ তাঁর বর্তমান ভূমিকার কারণে বিক্ষুব্ধ হতে পারে। পাঠকদের মনে থাকতে পারে, মেজর জলিল জাসদ ত্যাগ করে হাফিজ্জী হুজুরের তওবার রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তখন সিলেটে একদল উশৃঙ্খল জাসদ কর্মি তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আক্রমন করেছিলো। তাদের কথা ছিলো, আপনাদের হুকুমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে দিন। জাসদ নেতা এবং আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনুর উপর যারা লন্ডনে আক্রমণ করেছে তারা বিক্ষুব্ধ জাসদ কর্মী হওয়া বিচিত্র নয়। সদ্য স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীতে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে জাসদ সেদিন সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। সদ্য স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে গণবাহিনী গঠন করে গোটা দেশজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। জাসদের সেদিনের কর্মতৎপরতাকে দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ বিপ্লবের রঙিন স্বপ্ন বুকে নিয়ে সমর্থন করেছে, হাজার হাজার তরুণ জীবন দিয়েছে বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাদের জীবন বা ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে, কিন্তু বিপ্লব হয়নি। যে দলের বিরুদ্ধে হাসানুল হক ইনু এবং তাঁর সঙ্গীরা লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন সেই দলের মন্ত্রীত্ব গ্রহণের কারণে কেউ সংক্ষুব্ধ হতেই পারে, আবার কারো ক্ষোভ সহিংস রূপ গ্রহণ করতে পারে।
ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেও তথ্যমন্ত্রীর উপর হামলা হতে পারে। ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন পদক্ষেপ স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় কত বিচিত্র মানুষকে আহত বা ক্ষতিগ্রস্থ করে। পুলিশ হামলাকারীরা ধরা পড়লেই আমরা আসল সত্য জানতে পারবো। দুর্ঘটনাটি লন্ডনে সংঘটিত হয়েছে বিধায় আমরা আশা করছি, লন্ডন পুলিশ বাংলাদেশী পুলিশের মতো ক্ষমতসীনের ইঙ্গিতে বা নগদ-নারয়ণ পেয়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে ফেলবে না।
আজকের আলোচনার উদ্দেশ্য জাসদের অতীতের কার্যকলাপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা নয়। সময়ের প্রেক্ষাপটে সে সময় জাসদ যা করেছে, এর পক্ষে হয়তো অনেক যুক্তি রয়েছে। তবে নীতিগত ভাবে আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় সমাজ পরিবর্তনের পক্ষে। জঙ্গী তৎপরতা বা সশস্ত্র আন্দোলন মানবজাতির জন্যে কল্যাণকর নয়, এটাই আমাদের উপলব্ধি। তবে তথ্যমন্ত্রীর উপর হামলা প্রমাণ করছে বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতি বিলাতে পাড়ি দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবার সোচ্চার হতে হবে।
লন্ডন, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩
বিষয়: বিবিধ
১৫৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন