শ্রদ্ধাভাজনেষু ইউসুফ আল-কারদাবি

লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ১০ মে, ২০১৬, ১১:০৩:৫৯ রাত

শ্রদ্ধাভাজনেষু ইউসুফ আল-কারদাবি

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته

১। সম্প্রতি আপনার ওয়েবসাইটে একটি খোলা চিঠি চোখে পড়ে, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা। উদ্দেশ্য, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ-এর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ফাঁসির দণ্ড মওকুফের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বলে নিই, যতদূর জানি, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে আপনার জানাশোনা অপ্রতুল নয়। আপনি সরাসরি ভ্রমণের মাধ্যমেই তা অর্জন করেছেন। এবং আপনি হালফিল খোঁজখবরও রাখেন। বর্তমান চিঠি তারই লক্ষণ।

২। কিন্তু এ চিঠিটাকে অনেকটাই অবিবেচনাপ্রসূত বললেও অত্যুক্তি হবো না। কারণ, আপনি একপেশেভাবে আয়াত ও হাদিস দিয়ে আপনার প্রার্থিত বিষয়ে জোর দিতে চেয়েছেন। যারা আপনাকে তথ্য সরবারহ করে বা করেছে, তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশে ৭১ ও তৎকালে সংগঠিত অপরাধের ফিরিস্তিটা জেনে নিন। তখন আপনার কাছে মধ্য দুপুরের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, চিঠিটা কতটা কাঁচা বুদ্ধির! একাই সঙ্গে এই সব আয়াত ও হাদিসের অডিয়েন্স কারা হতে পারে, কারা-ই বা এর লক্ষ্য, তাও স্পষ্ট হবে।

৩। হ্যাঁ, যে কোনো মৃত্যুই বেদনা জাগায়, এমন কি তা দণ্ড হিসাবেও হলেও। এ সূত্রেই আমাদের বাংলা ভাষার প্রধান কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে, “দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা যবে কাঁদে সমান আঘাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার”। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত মানুষদের জন্য বিচারপ্রার্থী ও বিচারকদের কোনো করুণা জাগছে না, তা না। কিন্তু তা শ্রদ্ধামিশ্রিত নয়, বরং ঘৃণামিশ্রিত। কারণ, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে লড়াইকালে তাদের যে অপরাধ ও অবস্থান, তা তাদের এ-দণ্ডকে একান্তভাবে অনিবার্য করে তোলে।

৪। যতদুর জানা যায়, আপনি অশীতিপর হলেও ধর্মবিষয়ে তুলনারহিত পণ্ডিত। আপনার সামনে কতিপয় প্রশ্নের উত্থাপন করতে চাই। আর তা হল, ইসলামদরদি হিসাবে, মানবদরদি হিসাবে দ-প্রাপ্ত নিজামীর পক্ষে আপনার অবস্থান। এর পেছনে আপনার অবশ্যই কোনো যুক্তি আছে। কিন্তু ৭১ সালে যখন নারকীয় তাণ্ডবের ভেতর দিয়ে পুরো একটি জাতি রুদ্ধশ্বাসে দিন গুজরান করছিল, তখন আপনাদের মতো পণ্ডিত ও ধার্মিকদের মানবতাবোধ কোথায় ছিল এবং এখনই-বা কোথায়?

৫। ঘটনাটা ঘটেছে ১৯৭১ সালে, প্রায় চার দশক আগে। সে সময়ে যে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে, তার সাক্ষী পাকিস্তানের হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্টসহ আরো একাধিক উর্দু বইপত্র। বাংলা বা ইংরেজি ভাষার কথা না-ই তোলা হল। যারা এর সঙ্গে জড়িত, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে তা সম্পন্ন হতে পেরেছিল, এ দীর্ঘ সময়ে তাদের বোধোদয় হয় নি কেন? ইসলামের মতো একটি মহৎ ধর্মের লেবেল ব্যবহার করেও ধর্মের উদারতা অনুসারে আপন অপরাধ স্বীকারের পথে ওরা যায় নি কেন? অথচ আপনি কী সরলভাবেই না তাদেরই পক্ষে অবস্থান নিয়ে নিলেন!

৬। আমাদের মতো সাধারণ জনতার মতে, ইসলামি সংগঠনগুলোর প্রতি আপনাদের মতো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অন্ধ ও শর্তহীন পক্ষপাতিত্ব এদের স্পর্ধাকে বাড়িয়ে তোলে। কোনোভাবেই এরা আত্মসমালোচনার বাস্তব পথে এগুতে চায় না। অবশ্য বর্তমানের আইসিসের ব্যাপারে আপনার অবস্থান বেশ কঠোর এবং স্পষ্ট। এটি লেখার পেছনে আপনার বর্তমান এ অবস্থানটাই নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু শাইখ, ৭১-এ ঠিক আইসিসের মতো যারা অপরাধ করেছিল, তাদের প্রতি আপনার এই বর্তমান পক্ষপাতিত্ব স্ববিরোধিতা হয়ে গেল না?

৭। বহু পূূর্বে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়ার নেতা রাশেদ গান্নুশি নিজেদের দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এতে তারা ছোট হয়ে যায় নি। তার পরিচালিত আল-নাহদার আচরণও অনেক সংযত। বসন্তের দ্বিতীয় ভূমি মিশর কিন্তু সংযমের পরিচয় দিতে পারে নি। সত্য বটে, ক্ষমতা নিয়ে নানা রকম গুটি চালাচালি হয়। কিন্তু তখন আবেগ ও অপরিপক্বতা-ই মূলত বিপদ ডেকে আনে। মিশরের সেই ক্রান্তিলগ্নে আপনি মুরসির লোকদের পক্ষে নানা বিবৃতি দিয়েছেন। আপনার বিবৃতি পিরামিডে কোনো প্রতিধ্বনি তোলে নি। বাংলার শ্যামলভূমি ও জলবাতাসও আপনার গায়ে-পড়ে মোড়লিপনার বক্তব্য গ্রাহ্য করার কথা নয়।

৮। ইসলামি আওয়াজ তুলে একে পার্টি ক্ষমতায় আসে অত্যন্ত সন্তর্পণে। কিন্তু তারা বাহ্যিকতার চেয়ে আত্মনির্মাণ ও বাস্তবতার প্রতি বিশেষভাবে নিবেদিত ছিল। অন্যদিকে, একে পার্টির অতীত জামায়াতের মতো কলুষিত নয়, অথচ একে পার্টির বর্তমান প্রধান এরদোগান এখন কলুষদের পক্ষেই সাফাই গাইছেন। দুর্ভাগ্য হলো, মুসলিম সমাজের নেতৃবৃন্দ তুলনামূলক অধিক হঠকারী। আর তাই এরা বাস্তবতাকে প্রায়ই এড়িয়ে যান অবহেলায় এবং অবলীলায়। নানা বিষয়ে এরদোগান হঠকারী ও গোয়ার্তমির আচরণ শুরু করলে, এর চাপ নিতে তারই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করে বসেন এবং এখন পদত্যাগেও তিনি প্রস্তুত। তাহলে বাংলার মানুষজন তার একপেশে বক্তব্য সহ্য করবে কেন?

৯। অতীত থেকে বর্তমানের ইসলামের ইতিহাস ঘাটলে এটা জোরালোভাবেই প্রমাণিত হয় যে, কোনো ইসলামি দলই আত্মসমালোচনার দায়ভার নিতে চায় না। তথাকথিত জ্ঞানের কুতুবমিনাররাও এই গরু-রোগে আক্রান্ত! আর তাই পথে পথে নানা অমোচনীয় রক্তের দাগ। এই রক্তের প্রতি, দাগের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়, এমন আচরণ কোনো দায়ীর পক্ষেই শোভা পায় না।

১০। শেষকথা হল, মিশরে আপনার রাজনৈতিক মূল্যমান খুব সামান্য। সে সময়ের ইতিহাস অন্তত তাই বলে। বাংলার রাজনীতিতেও তথৈবচ। আসলে শুধু ধর্মপাড়ার চর্চা ও অনুশীলন দিয়ে জগৎ কাবু করা যায় না। এর জন্য বিস্তৃত পরিসরের চর্চা ও অনুশীলনের প্রয়োজন। যখন আপনার বা আপনার মতো মানুষের অপরিহার্যতা তৈরি হবে অন্তত পার্থিব অর্থে, তখনই মাত্র আপনার বা সমমনাদের উপদেশ ও কথা অন্যরা মানতে বাধ্য বা উদ্বুদ্ধ হবে। সকলের শুভ বুদ্ধি ও কল্যাণের পথ উন্মুক্ত হোক- এই কামনায় আজ এখানেই ইতি।

বিষয়: বিবিধ

১২৮০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368661
১০ মে ২০১৬ রাত ১১:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যদি নিজামি অপরাধিই হয়ে থাকেন তবে ১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হয় নাই কেন??
ইউসুফ কারদাবির বিরুদ্ধে বলার আগে নিজের জ্ঞানটি একটু যাচাই করেনিন।
১২ মে ২০১৬ সকাল ০৭:২৩
306097
রওশন জমির লিখেছেন :
প্রশ্নের উত্তর এ পর্যন্ত নানাভাবে উচ্চারিত হয়েছে। আপনি না শুনে থাকলে এর দোষ তো আর আমার নই। আর ২য় বাক্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু বলবো, কারদাবি অন্ধ ভক্তদের কাছে একজন দেবতা, যার কোনো দোষগুণ নেই! তিনি অবশ্য رابطة تلاميذ القرضاوي - এর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, যা টুইটার মারফত আমিও পড়েছি। যার মূল কথা হল, কারদাবির কোনো বক্তব্য বা অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সত্যকেই যেন প্রাধান্য দেওয়া হয়, ব্যাক্তি কারদাবিকে নয়। আবার তাঁর আশিতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটি হয়েছিল, তাতে তাঁর দোষগুণ সবই আলোচিত হয় এবং তারই সামনে, তিনি এতে বাধা প্রদান করেন নি। সেই সময়েই বিশ্বব্যাপী তাকে নিয়ে যে গবেষণা ও আলোচনা হয়েছে,সে সম্পর্কে একটি বুকলেট প্রকাশিত হয় তারই জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত একাধিক গ্রন্থের নাম উল্লেখ আছে। কারণ, তিনি নিজেকে কখনোই বেহেশতের বরই পাতা হিসাবে কল্পনা করেন না, যা সাধারণত ভারত উপমহাদেশে হয়ে থাকে। আর হ্যাঁ, অপেক্ষায় থাকুন, আলজেরিয়ান যে মেয়েটির প্রেমে তিনি পড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত বিয়েও করেছিলেন, অবশ্য কিছু দিন আগে তা ভেঙে গেছে, এ নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখা তৈরি করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাকে-আপনাকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।
১২ মে ২০১৬ রাত ০৮:২৬
306170
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই প্রশ্নেরই আসল কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। বরং মিথ্যা অপবাদই দেওয়া হয়েছে। আমার আপন মামা ১৯৭০ ও ৭৩ সালে এমপি ছিলেন আওয়ামি লিগ এর। ১৯৭৩ সালে আপন ছোট বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন তৎকালিন চট্টগ্রাম জামায়াত এর অন্যতম সদস্যর পুত্রের সাথে। আমার নানা জিবিত ছিলেন না তখন।
১৪ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:০৫
306288
রওশন জমির লিখেছেন :
অপরাধ অপরাধই। বিয়ে হোক আর সন্তানাদি হোক, কৃত অপরাধ কখনো বৈধতা পায় না। সে বিয়ে মামা-কাকা যারই হোক না কেন?
368684
১১ মে ২০১৬ সকাল ০৬:১৮
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : আসলে শুধু ধর্মপাড়ার চর্চা ও অনুশীলন দিয়ে জগৎ কাবু করা যায় না। এর জন্য বিস্তৃত পরিসরের চর্চা ও অনুশীলনের প্রয়োজন। যখন আপনার বা আপনার মতো মানুষের অপরিহার্যতা তৈরি হবে অন্তত পার্থিব অর্থে, তখনই মাত্র আপনার বা সমমনাদের উপদেশ ও কথা অন্যরা মানতে বাধ্য বা উদ্বুদ্ধ হবে। বেশ ভাল কথা। আপনাকে কিছু লেখা পড়তে দিতে চাই যা আপনার সঠিক মতামতের প্রতিধ্বনি করবে। পড়তে চান?
১২ মে ২০১৬ সকাল ০৬:৫৬
306091
রওশন জমির লিখেছেন :
ধন্যবাদ ভাই। লিঙ্ক দিন। সময় ও সুযোগে পড়ে নেবো। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আমিন।
368696
১১ মে ২০১৬ সকাল ১০:৫০
আনিসুর রহমান লিখেছেন : What do know about this noble Yusuf Karzavi? Before you write about him assessing yourself & knowledge. Because if we compare him and you base of knowledge, you are not even his leg nail. Actually every we observe crazy stupid people like you which criticised world famous present Islamic leader.
১২ মে ২০১৬ সকাল ০৭:২৫
306099
রওশন জমির লিখেছেন :
কারদাবি অন্ধ ভক্তদের কাছে একজন দেবতা, যার কোনো দোষগুণ নেই! তিনি অবশ্য رابطة تلاميذ القرضاوي - এর এক অনুষ্ঠানে একটি বলেছিলেন, যা টুইটার মারফত আমিও পড়েছি। যার মূল কথা হল, কারদাবির কোনো বক্তব্য বা অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সত্যকেই যেন প্রাধান্য দেওয়া হয়, ব্যাক্তি কারদাবিকে নয়। আবার তাঁর আশিতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটি হয়েছিল, তাতে তাঁর দোষগুণ সবই আলোচিত হয় এবং তারই সামনে, তিনি এতে বাধা প্রদান করেন নি। সেই সময়েই বিশ্বব্যাপী তাকে নিয়ে যে গবেষণা ও আলোচনা হয়েছে,সে সম্পর্কে একটি বুকলেট প্রকাশিত হয় তারই জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত একাধিক গ্রন্থের নাম উল্লেখ আছে। কারণ, তিনি নিজেকে কখনোই বেহেশতের বরই পাতা হিসাবে কল্পনা করেন না, যা সাধারণত ভারত উপমহাদেশে হয়ে থাকে। আর হ্যাঁ, অপেক্ষায় থাকুন, আলজেরিয়ান যে মেয়েটির প্রেমে তিনি পড়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত বিয়েও করেছিলেন, অবশ্য কিছু দিন আগে তা ভেঙে গেছে, এ নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখা তৈরি করছি। আল্লাহ তায়ালা আমাকে-আপনাকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।
১২ মে ২০১৬ রাত ০৮:৩২
306171
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Please read my comments carefully. In my comments I never ever said that I am a blind follower of this noble scholar. In fact blindly following somebody else expect Prophe() are HARAM and concepts of God's/ goddess are pagans idea or believe which you mention here.Look like your concept of Islam are not clear that is why you talking such thing which have no relation with Isloam. That is why I want to told you that you are not that positions to criticize Yusuf's policy. Thanks
১২ মে ২০১৬ রাত ০৮:৩৮
306172
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Look brother not only Yusuf rather other world famous islamic say the as Yusuf said.
বিশ্বখ্যাত দার্শনিক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারিক রমাদান জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসি প্রদান করায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের স্বৈরাচার ও দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচ্চকণ্ঠ হতে হবে।
তারিক রমাদান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লেখক, দার্শনিক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ হিসেবে খ্যাত। সুইজারল্যান্ডের নাগরিক তারিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকালীন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর তিনি। তিনি ব্রিটিশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক উপদেষ্টা।
তার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হলো:
বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার দেশটির শীর্ষ ইসলামপন্থী নেতা জনাব নিজামীকে (৭৩) ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দিয়েছে। বিশ্ব মানবতা এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করেছে । যেভাবে মিশরের দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসকের বিরোধীদের ওপর চালানো হত্যা ও নির্যাতনের ব্যাপারেও তারা নিরব থাকে।
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই নির্লজ্জ নিরবতাই উগ্রবাদের চরমপন্থাকে উসকে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দসই দলের ওপর নির্যাতন চালালে আমরা নিন্দা করবো আর অন্যদের ব্যাপারে নির্যাতন এমনকি অন্যায় মৃত্যুদণ্ড চাপিয়ে দেয়া হলেও নিন্দা করবো না, এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীতে কে বিশ্বাস করবে আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সত্যিই আন্তরিক?
সব মানুষেরই সমান ও স্বচ্ছ্ব বিচার প্রাপ্য। আমরা যদি বেছে বেছে পছন্দনীয় লোকদের বেলায় নিন্দা জ্ঞাপন করি আর অন্যদের বেলায় চোখ বুঝে থাকি তাহলে ধরে নিতে হবে আমরা মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড।
এটা কোনো ইসলামপন্থীকে সমর্থনের প্রশ্ন নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রশ্ন। বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়াসহ সারা বিশ্বের স্বৈরাচার ও দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। আসুন আমরা সকল ধর্ম-মতের নির্যাতিতদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি।
১৪ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:১৯
306289
রওশন জমির লিখেছেন :
ব্যস্ত জীবনে দূরের একটা মানুষকে জানার তো একটা-ই উপায়, তাঁর জীবনী-পাঠ, তাঁর রচিত গ্রন্থ-পাঠ। কারদাবি আমার পাঠের আওতাধীন, সে বহু দিন থেকেই। তাই আপনি আপনার বাক্যের ধরনটার খেয়াল করুন। তখনই বুঝতে পারবেন, কেন উত্তরে আপনার অপছন্দের কথাটি বলেছি।

কারদাবি বলুন, আর রামাদান বলুন- পণ্ডিত মানে সবজান্তা নয়। আবার সব সময় তারা-ই যে সত্য ও ন্যায়ের মাপকাটি, তাও নয়। সত্য ও ন্যায় মাপার জন্য আমার কাছে ইসলাম আছে; কুরআন ও হাদিস আছে। তা দিয়েই ব্যক্তিকে মাপতে চেষ্টা করি। উলটোটা নয়।

তারিক রামাদানের বক্তব্যটি পড়েছি, জবাব লেখারও চেষ্টা করছি। এরদোগানের কথার জবাবও একই সঙ্গে লিখতে চাচ্ছি। তারা কথায় কথায় ন্যায়ের প্রসঙ্গ তোলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম মানসে ন্যায়বোধ জাগরণের চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিজামীর ফাঁসির বিরোধিতা করতে গিয়ে কীভাবে তা ন্যায়কেই অতিক্রম করে গেল, তা তুলে ধরা হবে, ইনশা আল্লাহ।
368863
১২ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Please read my comments carefully. In my comments I never ever said that I am a blind follower of this noble scholar. In fact blindly following somebody else expect Prophet are HARAM and concepts of God's/ goddess are pagans idea or believe which you mention here. what I want to told you that you are not that positions to criticize his policy. Thanks
১৪ মে ২০১৬ বিকাল ০৫:২০
306290
রওশন জমির লিখেছেন :
ব্যস্ত জীবনে দূরের একটা মানুষকে জানার তো একটা-ই উপায়, তাঁর জীবনী-পাঠ, তাঁর রচিত গ্রন্থ-পাঠ। কারদাবি আমার পাঠের আওতাধীন, সে বহু দিন থেকেই। তাই আপনি আপনার বাক্যের ধরনটার খেয়াল করুন। তখনই বুঝতে পারবেন, কেন উত্তরে আপনার অপছন্দের কথাটি বলেছি।

কারদাবি বলুন, আর রামাদান বলুন- পণ্ডিত মানে সবজান্তা নয়। আবার সব সময় তারা-ই যে সত্য ও ন্যায়ের মাপকাটি, তাও নয়। সত্য ও ন্যায় মাপার জন্য আমার কাছে ইসলাম আছে; কুরআন ও হাদিস আছে। তা দিয়েই ব্যক্তিকে মাপতে চেষ্টা করি। উলটোটা নয়।

তারিক রামাদানের বক্তব্যটি পড়েছি, জবাব লেখারও চেষ্টা করছি। এরদোগানের কথার জবাবও একই সঙ্গে লিখতে চাচ্ছি। তারা কথায় কথায় ন্যায়ের প্রসঙ্গ তোলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম মানসে ন্যায়বোধ জাগরণের চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিজামীর ফাঁসির বিরোধিতা করতে গিয়ে কীভাবে তা ন্যায়কেই অতিক্রম করে গেল, তা তুলে ধরা হবে, ইনশা আল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File