‘হেফাজত’-এর সানি লিয়ন বা সানি লিয়নের ‘হেফাজত’

লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ২৬ আগস্ট, ২০১৫, ১০:৩৯:২৮ রাত



সানি লিয়ন বিশ্বখ্যাত স্টার বা পর্নস্টার। মিডিয়া-জগতে তার আগমন প্রথাগত/ প্রচলিত শিল্প মাধ্যমে নয়, বরং অন্তত উপমহাদেশীয় রীতি অনুসারে একটি অপমাধ্যমে। হ্যাঁ, এরপর তিনি প্রথাগত মিডিয়া জগতে পা রাখেন। তার শৈল্পিক দক্ষতা এখানেও তাকে সহায়তা করে। আর তাই পর্নস্টার থেকে সাধারণ স্টারে পরিণত হন। তার খাটতি এখন শুধু ভারতের বাজারে নয়, সমগ্র বিশ্বে।

পরিকল্পিত বিশ্ব-ব্যবস্থা বা সমাজ-ব্যবস্থার প্রোডাক্ট হল এই সানি লিয়ন। এর জন্য তাকে এককভাবে দায়ী করে উচ্চ-বাচ্য, খিস্তি-খেউড় করে লাভ নেই। কারণ, সানিদের জন্য আমরা, এই নিন্দক ও বক-ধার্মিকরা ভিন্ন রকম কোনো অপশনের দরোজা খোলা রাখতে পারি নি বা পারছি না। এ কথাটি বিশেষ করে স্মরণে রাখা দরকার। আবার দেশ-কাল-পরিবেশ ও ধর্মগতভাবে যা অগ্রহণযোগ্য, তা যেন সানিদের কারণে আমাদের সমাজকে স্পর্শ করতে না পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে?

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা একটি পুঁজির সাইক্লোন বা টাইফোন। পুঁজির পুঁজের গন্ধ যেখানেই পাওয়া যায়, সেখানেই এই ব্যবস্থার হস্তপ্রসারণসহ দন্তনখর বিস্তারের আয়োজন চলে। আমাদের মানবিক সকল কাজকর্মকে কখনো প্রকাশ্যে, কখনো আড়ালে-আবডালে, কখনো আপাত দরকারি যুক্তির সাহায্যে, কখনো ছলে-বলে-কৌশলে পুঁজির তোলাদণ্ড দিয়ে মেপে নিরিখ করতে সদাপ্রস্তুত এবং উদ্গ্রীব। সুযোগ পেলেই পুঁজির পুঁজ লাগিয়ে দিয়ে এগুলোর মানবিক উপাদানগুলোকে বিনষ্ট করতে চায়। তাই নারী-পুরুষের সম্পর্কের চূড়ান্ত যে রূপ তথা যৌনমিলন এবং একে কেন্দ্র করে ভবিষ্যৎ মানব-প্রজন্ম ও পরবর্তী বিশ্ব ও সমাজ ব্যবস্থার স্বস্তি-সুস্থতা ধরে রাখার যে উপায়-প্রক্রিয়া, তা আর অক্ষত থাকছে না। নানা ঘাত-আঘাত ও প্রতিঘাতে ক্লান্ত-অবসন্ন এবং ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ার পথে। উপমহাদেশীয় রীতি (ট্যাবু?) অনুসারে যৌনতা, নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক, ভোগ-উপভোগ ছিল মানবিক ও সামাজিক পর্বের বিশেষ একটি দিক, যা অনিন্দ্য এবং অনির্বচনীয়। পুঁজির চাপে এবং তাপে একে ছল-ছুতোয়, যুক্তি-কুযুক্তি দিয়ে পাশবিকতার পর্যায়ে টেনে আনার চেষ্টা চলছে। কারণ, পাশবিকতায় সহজেই পুঁজির সংযোজন-সংক্রমণ চলে, মানবিকতা বা সামাজিকতায় নয়। আর পাশবিকতা কোনোভাবে একবার জাগিয়ে তুলতে পারলে এর প্রবল স্রোতে মানবিকতা এবং সামাজিকতা খড়কুটোর মতো ভেসে যায়। এই স্রোতেরই একটি ঘূর্ণির নাম হল সানি লিয়ন।

সানি নিজ ঘূর্ণির মাজেজা দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশে আসছেন; যেচে নয়, একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে। এর প্রতিবাদে নানা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ নামের ধর্মীয় সংগঠন। সানি লিয়ন বাংলাদেশে এর আগে থেকেই পরিচিত, যদিও তা স্বল্প পরিসরে, এবং শুধু তা হিন্দি সিনেমা-আমোদেদের মাঝে। এবারে তাকে আমন্ত্রণ করায় তার পরিচয় ও খ্যাতি ছড়াবার আরো অবকাশ তৈরি হয়। এই খ্যাতির পালে হাওয়া লাগে হেফাজতের বাদ-প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়ায় এবং এর সমর্থক-গোষ্ঠীর অনলাইন-এ্যাক্টিভিটিসে; প্রিন্ট মিডিয়ায় ইনকিলাব ও নয়াদিগন্তের বদৌলতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সব সংবাদের ভোক্তা অর্ধশিক্ষিত, গোঁড়া মানুষজন এবং মাদরাসায় পড়ুয়া অদূরদর্শী সরল শিক্ষার্থী, যাদের সবাই হেফাজতের নীরব বা সরব সমর্থক। কওমি মাদরাসা সমাজ-বিচ্ছিন্ন একটি দূরতর দ্বীপের মতো। বৃহত্তর জনসমাজের তরঙ্গ-অভিঘাত সেখানে খুব একটা পৌঁছাতো না, পৌঁছয় না। কিন্তু এক্ষণে, এই মোবাইলের যুগে, ইন্টারনেটের সুবাদে একটি বড় রকমের সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেছে। আর তা হল, কওমি-শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার হাতেই মোবাইল, তাও আবার এ্যান্ড্রয়েট সেট। অন্য কিছু না হোক, ফেসবুকের মাধ্যমে যেমন এরা পরস্পরে যোগাযোগ রাখছেন, যদিও এর অধিকাংশ উপলক্ষ্য আবেগী, অপরিপক্ব এবং অসৃজনশীল কর্মকাণ্ড; অপরদিকে আস্তে আস্তে বিশ্ববাজার তথা পুঁজি বাজারের কড়া নাড়ছেন তারা। যে ছেলেটা সাধারণত থানবি-মাদানির জুতার ছবি পোস্ট করে, তালেবান-আইএসের নৃশংস কোনো ঘটনার গৌরবমিশ্রিত বিবরণ উল্লেখ করে তৃপ্তি পেত, হেফাজতের সুবাদে তাদের দেওয়ালে সানি লিয়নের নাম আসায় সচেতন ও অবচেতন মনে সানির রমরমা মুদির দোকানে উপস্থিত হবেন। একদিকে সানির আকর্ষণ, অন্যদিকে মানবিক বৃত্তির তুমুল চাপ- এদুয়ের যুগলবন্দিতে কোনোভাবে সানির দরবারে পৌঁছাতে পারলে খুব সহজে মুক্তি মিলবে বলে মনে হয় না। কারণ, সানি হলেন আমাদের বর্তমান তরুণদের মিডিয়া-ইয়াবা। এই ইয়াবার স্পর্শ কারো গায়ে-বোধে একবার লাগলে আর পিছু ছাড়ে না।

তাহলে হলটা কী? হেফাজতের প্রতিবাদের এই অসৃজনশীল, অদূরদর্শী পদ্ধতির কারণে হেফাজত নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হল অথবা ব্যর্থ হওয়ার পথে। অপরদিকে, তার সম্পর্কে ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে জানতে গিয়ে ক্লিকে ক্লিকে ভরে যাবে সানির পর্নসাইট। বেড়ে যাবে তার খাটতি, যা সানির একমাত্র প্রত্যাশা। স্ফীত হবে তার এবং বিশ্ববাজারের পুঁজি। অর্থাৎ বাজারে টিকে থাকার জন্য সানিকে নিজ থেকে কোনো হেফাজতের আশ্রয় নিতে হয় নি, হেফাজত বরং নিজেই সানির হেফাজতের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিল!

এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে তাহলে হেফাজতের হেফাজত হতে পারে বা হতে পারত? তা না বলা হলে আলোচনাটা একপেশে হয়ে যাবে গ্রাম্য ফতোয়াবাজ মোল্লা-মৌলবিদের সমালোচনামূলক একপেশে ওয়াজের মতো। উপরন্তু তরুণ সমাজ বা ভবিষ্যৎ-প্রজন্মকে রক্ষার একটা কৌশল তো হাতে নিতে হবেই।

বর্তমানের এই উন্মুক্ত তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বাঁধ তৈরি করে উর্বরতার-উৎপাদনের পলিমাটি নয়, কচুরিপানা রোধ করার বেশ নজির আছে। সুষ্পষ্ট উদাহরণ হিসাবে এখানে ইরান ও ইজরাইলের নাম করা যায়। এ দুটি দেশের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে ওয়েব ফিল্টার ব্যবহার করা অপরিহার্য। সেখানে সবাই ইন্টারনেটে লগ-ইন করেন আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে। জন্ম নিবন্ধন যেহেতু বাধ্যতামূলক, তাই জন্মের পরপরই প্রত্যেকের আইডি হয়ে যায়। আইডি নম্বরে আবার বয়সের উল্লেখ থাকে। তাই যারা বয়সের দিক থেকে অপরিণত, তাদের সামনে পর্নসাইটগুলো ওপেন হয় না। আর এভাবেই সুরক্ষিত থাকছে তাদের নতুন প্রজন্ম বা পুরো সমাজ। আর পরিণত অবস্থায় প্রায় সবাই তো সংসারে জড়িয়ে পড়ে। তখন পর্নসাইট তাদেরকে বিপদগামী করতে পারে না। তা-ও পরিণত বয়সের কেউ যদি নিজ গরজে সচেতনভাবে সেখানে ঢু মারতে চায়, সরকার তাতে বাধা দেবার কে? তবে উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা নিরাপদ রয়ে যায়।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই আমার একটি প্রস্তাব আছে, যা মাঝে মাঝে চারপাশের মানুষজনকে বলে বেড়াই। আর তা হল,‘হেফাজত’সহ ইসলামি সকল সংগঠন এবং অসংখ্য মুরিদবেষ্টিত পির-মাশায়েখ মিলিতভাবে বা একদলীয়ভাবে অথবা একক ব্যক্তিক অবস্থান থেকে এধরনের ওয়েব ফিল্টার আবিষ্কারের উদ্যোগ নিতে পারেন। ওয়েব ফিল্টার জাতীয় সফটওয়ার আবিষ্কার করে তা ব্যবহারে জন্য দেশের সকল মোবাইল-অপরেটরদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, ন্যূনতম পক্ষে আমাদের সন্তানদেরকে, নতুন প্রজন্মকে তা ব্যবহারের জন্য উৎসাহী করা যেতে পারে। আবার তা ব্যবহারের জন্য সরকারকেও পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। সরকার এগুলোকে স্বাগত জানাবে। কারণ, এতে সকল নাগরিকের ডাটাবেজ আপনা-আপনি তৈরি হয়ে যাবে। এধরনের সৃজনশীল ও দূরদর্শী পদক্ষেপ নিলেই শুধু সানি লিয়নদের ঘূর্ণি থেকে তরুণদের মুক্তি ঘটতে পারে। এছাড়া চায়ের কাপে ঝড় তোলার মতো বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড দিয়ে বালির বাঁধ তৈরি হবে মাত্র, যা দিয়ে জোয়ারের পানিই রোধ করা যায় না, স্রোত তো অনেক প্রবল জিনিশ।

যেহেতু সানি লিয়নের উত্তরণ ঘটেছে পর্ন থেকে নর্মাল এন্টারটেইনমেন্টে, যদিও তার বর্তমান পর্ন-উপস্থিতিও বেশ জোরালো, তাই সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের আদলে তাকে আনার উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে যাওয়া, তাও আবার হুমকি-ধমকির ভাষা দিয়ে, হিতে বিপরীত ফল দিতে পারে। মূল অনুষ্ঠানে বা এর আগে-পরে কোনো জঙ্গিবাদী চরমপন্থী গোষ্ঠী যদি অঘটন ঘটায়, তাহলে এর সকল দায়ভার হেফাজতের কাঁধেই বর্তাবে। তাই সুযোগ সন্ধানী বিষাক্ত-কীটপতঙ্গদের সুযোগ না দিয়ে আরো কৌশলী এবং সুপরিকল্পিত উদ্যোগ ও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যেমন এসব নৃত্যানুষ্ঠান উন্মুক্ত কোনো মাঠে না করে পাঁচ তারকা জাতীয় হোটেল, সুনির্দিষ্ট ক্লাব বা বারে করার পরামর্শ দেওয়া। তারকা খচিত হোটেলে ও বারে তো সারা বছরই এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এভাবে উদ্যোগ ও ব্যবস্থা নিলে এর নেতিবাচক দিকটা বিস্তার করার সুযোগ পাবে না। আর সানি লিয়নের অনুষ্ঠানে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে যারা যাবে, তাদের কেউ কোনোভাবেই হেফাজতের হেফাজত নেবে না। তাই হেফাজত বরং শুধু নিজেদের হেফাজত নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। আমিন।

বিষয়: বিবিধ

১৪১৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337980
২৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওযেব ফিল্টার কিন্তু তৈরিই আছে। কিন্তু তা প্রয়োগ হয় শুধু টুডে ব্লগ এর মত সাইট এর ক্ষেত্রে। আপনার সাথে বিশেষ ভাবে দ্বিমত পোষন করছি কওমি মাদ্রাসা বিষয়ে। এটি কোন বিচ্ছিন্ন দ্বিপ নয়। সমাজেরই অংশ এবং বিরাট অংশ ও বটে। প্রতিবাদ তার নাম ছড়াচ্ছে ঠিক কিন্তু বিনা প্রতিবাদ হত আরো ভুল। এর আয়োজক দের নাম কেন জানা যাচ্ছেনা এটাও প্রশ্ন। আর দুর্ঘটনার দায় হেফাজত এর উপর চাপলেও জবাব তো সরকারকেও দিতে হবে যে এমন একটা অনুষ্ঠান আয়োজন এর অনুমতি কেন দেওয়া হল। পর্নোষ্টার রা কিন্তু পশ্চিমা সমাজেও বিশেষ সন্মান এর স্থান এ নাই।
২৭ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:৩১
279566
রওশন জমির লিখেছেন : ১- টু-ডে ব্লগ তো সারা বাংলাদেশ না। আমি সারা বাংলাদেশের কথা বলছি।
২- দ্বিমত পোষণ সুস্থতার লক্ষণ। আপনার ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ের কোন স্রোতটি সেখানে বিদ্যমান, তা জানাবেন কি? বৌদ্ধ ধর্মের প্যাগোডার মতো সেখানে একপেশে ধর্ম চর্চা হয় জানি। সে হিসাবে তা সমাজের - অঙ্গ বটে। তবে প্যারালাইসেসড/ অবশ অঙ্গের মতো।
৩- প্রতিবাদের বিরোধিতা করছি না। আমার মূল বিষয় এর ধরন ও প্রক্রিয়া নিয়ে।
৪- পরের মন্তব্যটির লিঙ্কটুকু সফর করুন।
ধন্যবাদ।
338001
২৭ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:১১
এলিট লিখেছেন : সানি লিওন বাংলাদেশে আসার খবরটি একটি গুজব - Click this link
২৭ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:৩২
279567
রওশন জমির লিখেছেন : বিমল আনন্দ লাভ করেছি। ধন্যবাদ।
338054
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
হতভাগা লিখেছেন : নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ দূর্নিবার । যখন নেট ছিল না তখনও এসব ছবি এসেছে এবং এসব দেখার জন্য মানুষও ছিল ।

তাই এসব ফিল্টারে কাজ হবে না , ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে ।

''তোমরা অশ্লীল ও নোংরা কাজের ধারে কাছেও যাবে না '' এরকম কথাই পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন ।
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৩৪
279840
রওশন জমির লিখেছেন : 'যখন নেট ছিল না তখনও এসব ছবি এসেছে এবং এসব দেখার জন্য মানুষও ছিল ।'
সত্য কথা। তবে তখন মোল্লা-মৌলবিরা সেখানে লাইন ধরতো না। ধরার সুযোগ ছিল না। এখন নিজের হাতের মোবাইলের বাটন টিপে কাউকে না জানিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে, তাও অল্প বয়সের শিক্ষার্থীরা; সে তো নিষিদ্ধ বলেই। উপরন্তু, আল-কুরাআনে চোখ ঢাকার কথাও আছে, বুক ঢাকার কথাও আছে। নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার ব্যবস্থাও আছে। শুধু তাকওয়ার কথা বলে ক্ষান্ত হয় নি। আর ইরান-ইজ্রাইল ব্যররথ, অসফল কোনো কাজকে ধরে রাখে না। তবুও আপনি যে তাকওয়ার কথা বলছেন, তাও ধারণ করার বিপক্ষে নই আমি। আপনার তাকওয়ার উন্নয়ন ঘটুক। আমিন।
338055
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
একরাম লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন, কিন্তু আপনার "হেফাজত বরং শুধু নিজেদের হেফাজত নিয়েই ব্যস্ত থাকুক।" এই কথাটা মানতে পারলামনা।
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৩৫
279841
রওশন জমির লিখেছেন :
এ মানাটা দরকারি নয়। ধন্যবাদ।
338056
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
একরাম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৩৫
279842
রওশন জমির লিখেছেন :
আপনাকেও ধন্যবাদ।
338060
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
আবু জারীর লিখেছেন : সানি লিয়ন যেই হোকনা কেন মূলত সে একজন দেহ ব্যবসায়ই। ব্যবসা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এখন দেখতে হবে তার প্রডাক্টের খদ্দের কারা?
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৩৮
279844
রওশন জমির লিখেছেন :
একে তো কেউই স্নেহ-ব্যবসা বলেন নি! প্রয়োজনে সার্চ কমিটি গঠন করুন। ধন্যবাদ।
338359
২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৩৩
রক্তলাল লিখেছেন : হেফাযত বা কেউ যদি শক্ত অবস্থানে না যেত তাহলে অন্তত সারফেইসে এটি খারাপ - এই বিষয়টা হাইলাইটেড হত কিভাবে?

আর আপনি যেভাবে কওমি মাদ্রাসার লোকজনদের বুদ্ধির গন্ডি নিয়ে কিছুটা উপহাসমূলক 'assumption' দিয়েছেন অনেকটা জেনারালাইযেশন এর মাধ্যমে, তাতে আপনার চিন্তাশক্তি নিয়ে সন্দেহ হয়।

এক বিষয়ে হয়ত একমত যে এটা bigger issue।
কিন্তু হেফাযতের ভূমিকা যত shallow বা তাচ্ছিল্য হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা ঠিক নয়।


২৯ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৬:৫৫
279847
রওশন জমির লিখেছেন :
১- যারা সানির ভক্ত (ভোক্তা/ খদ্দের), এরাও একে ভাল ভাবেন, তা কিন্তু না। তাই এর মাধ্যমে কিছু যোগ হল বলে মনে হয় না।

২- ব্যতিক্রম কিছু ব্যক্তি, মানুষ ও মেধা নিয়ে সাধারণ কথা চলে না। আপনি কওমি মাদরাসার সে সব ব্যতিক্রমদের নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। আপনার যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নাই!

৩- তাচ্ছিল্যটাই দেখতে থাকুন। মূল ম্যাসেজটা ভুলে যান...
আমিন।
351280
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১১
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : সুষ্পষ্ট উদাহরণ হিসাবে এখানে ইরান ও ইজরাইলের নাম করা যায়। এ দুটি দেশের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে ওয়েব ফিল্টার ব্যবহার করা অপরিহার্য। সেখানে সবাই ইন্টারনেটে লগ-ইন করেন আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে। জন্ম নিবন্ধন যেহেতু বাধ্যতামূলক, তাই জন্মের পরপরই প্রত্যেকের আইডি হয়ে যায়। আইডি নম্বরে আবার বয়সের উল্লেখ থাকে। তাই যারা বয়সের দিক থেকে অপরিণত, তাদের সামনে পর্নসাইটগুলো ওপেন হয় না। আর এভাবেই সুরক্ষিত থাকছে তাদের নতুন প্রজন্ম বা পুরো সমাজ। অনেক ধন্যবাদ
২৯ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৪
292157
রওশন জমির লিখেছেন :
ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File