ডা. জাকিরের নায়কপনা, ভক্ত-বিরোধীদের ভিলেনপনা
লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ২০ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:১১:৫৬ রাত
বেশ ক’বছর আগের কথা। আমার ক’জন ভাই-বন্ধু, যাদের অধিকাংশই কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী, দেখা হলেই উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলতে থাকেন, যেন সময় করে ডা. জাকির নায়েকের বক্তব্যগুলো শুনি। জুনিয়র ভাই-বন্ধুদেরও একই রকম আবেগমথিত উচ্ছ্বাস। তাদেরও একই রকম অনুরোধ-উপরোধ। এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আমার হাতে ডা. জাকির নায়েকের লেকচার-১, ২, ৩.. ইত্যাদি ডিভিডিগুলো তুলে দেন। কেউ কেউ তার ভাষণের লিখিত রূপ, লেকচার-সমগ্র নামের বই হাতে তুলে দিতে চেষ্টা করেন। বোঝা যায়, তারা সবাই যেভাবে কালের এই মহান ‘নায়ক’-এর স্বাক্ষী, আমাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করতে ভীষণ সচেষ্ট। এদের কেউ কেউ নিজ বাসায়, কেউ কেউ নিজ প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের মাধ্যমে লেকচার প্রদর্শন শুরু করেন; কেউ কেউ লিখিত রূপ ছড়াতে থাকেন, উপহার বা পুরস্কারের মাধ্যমে/ অজুহাতে। আমি বরাবরের মতোই নিস্তরঙ্গ।
এ নিয়ে দু-এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এই-সব ভাই-বন্ধুদের অনেকেই আবার উঠে-পড়ে লেগেছেন। দেখা হলেই তাগিদ দিতে থাকেন, যেন ডা. জাকির নায়েকের মহা ভুলগুলো সম্পর্কেও অবহিত হই। এদের কেউ কেউ এখন জাকির নায়েকের কঠোর সমালোচক। তাদের আলোচনায়, মুখের ভাব-ভঙ্গি ও আচরণে যা বুঝতে পারি, তাতে মনে হয়, তাকে এখন সামনে পেলে নির্ঘাত খতম করে দেবেন! ডা. জাকির এখন তাদের ‘নায়ক’ নয়, মাত্রাছাড়া ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছে। হাঁটে-বাজারে, পত্র-পত্রিকায়, ইন্টারনেটে তার বিরুদ্ধে যত বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারিত হচ্ছে, তা আমার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অবশ্য এদের কেউ কেউ এই ডাক্তারের ব্যাপারে এখন আগের মতো উচ্ছ্বসিত না হলেও নীরব। এখনো আদাজল খেয়ে তার বিরুদ্ধে নামেন নি। তাদের সংখ্যা অতিশয় নগণ্য; এরা তুলনামূলক জ্ঞানী এবং যুগ-সচেতন। আমি পূর্ববৎ নিরোত্তাপ।
এই সব অতিরঞ্জন-অতিশায়নের প্রবল প্রবাহে ভোগী-সুরসিক এক ছোট ভাই দেশের বিশিষ্ট বক্তা সিলেটের মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরীর নামে প্রচারিত/ প্রকাশিত একটি বই পাঠান। বইটির শিরোনাম ডা. জাকির নায়কের আসল চেহারা/ মুখোশ উন্মোচন! সঠিক নামটি এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তার বিনীত অনুরোধ, যেন বইটি অবশ্যই পড়ি। এতে না-কি অনেক আনন্দের রসদ রয়েছে।
লোক মারফত বইটি আমার যখন হাতে পৌঁছয়, আমি তখন বাসার বাইরে, অন্য একজনের বাসায়। এটিকে বই না বলে বলা দরকার পুস্তিকা বা চটি রকমের বই। ঐ বাসায় বসে বসেই নেড়ে-চেড়ে দেখতে দেখতে পড়তে শুরু করি। যতই এগিয়ে যাই, ততই কৌতূহল বাড়তে থাকে। কারণ, বইয়ের শুরুতেই বলা আছে, ডা. জাকির নায়েকের কোনো বক্তব্য (লেখক) নিজ কানে কখনো শুনেন নি, তার কোনো লেখা স্বচক্ষে পড়েন নি। এমন কি শোনার বা পড়ার কোনো আগ্রহও তার নেই। কারণ... তবে লোক মুখে ডা. জাকিরের নানা কীর্তির কথা শুনতে শুনতে তিনি ইমান রক্ষার তাগিদে কলম হাতে ধরেছেন!
উপভোগ্য বটে! কারো বক্তব্য স্বকর্ণে না শোনে, স্বচক্ষে না দেখেও এভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা যায়, তা না দেখলে, না পড়লে বিশ্বাস হবার নয়। অনেক চিন্তার পর মনে প্রশ্ন জাগে, যতদূর জানি, মাওলানা ওলিপুরী একজন সত্যসন্ধ্যানী পড়–য়া মানুষ। সময়ের আলোচিত/ সমালেচিত/ বিতর্কিত ব্যক্তি একজন সম্পর্কে না-জেনে-শুনে তিনি এমনভাবে বই লেখে ফেলবেন, কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করবেন, তাও কি সম্ভব!
এর আরো কিছুদিন পর রমজানের রোজায় এক মাওলানার বাসায় ইফতার করার সুযোগ আসে। ইফতারির সময় মাওলানা সাহেব ডা. জাকির নায়েকের অপকীর্তির স্বাক্ষ্য দিতে গিয়ে মাসিক আদর্শনারী টেনে আনেন। তিনি বলেন, পিস প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ডা. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্রের পৃষ্ঠা মিলিয়ে দেখেছেন। আদর্শনারীতে উদ্ধৃত বাক্য হুবহু সেখানে বিদ্যমান! সুতরাং জাকির নায়েককে আর সময় দেওয়া যায় না। পূর্বেই বলেছি, এ বিষয়গুলোর সঙ্গে আমার রুচি খুব একটা যায় না। তবুও মাওলানা সাহেবের বাসায় ইফতাররত অবস্থায় তার আবেগকে, কথাকে সৌজন্যবশত মূল্যায়ন করার মানসিকতায় সেই আদর্শনারী ও লেকচার সমগ্র-এর পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকি। কিন্তু লেকচার-সমগ্র-এর কয়েক পৃষ্ঠা পেছন বা বিষয়ের সূচনা থেকে পড়তে শুরু করি আমি। দেখি, পূর্বাপর মিলিয়ে উদ্ধৃত সেই বাক্যের একটি সদর্থক অর্থও ফুটে ওঠে। যখন নিরাগেবভাবে মেজবানকে এটি বলতে শুরু করি, তিনি এগিয়ে এসে হাতে নেন। পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পেছন দিক থেকে পড়ার পর মনে হল উত্তেজনার গরম ডেকচিতে অতিশয় ঠান্ডা পানি পড়েছে! এর পরে এ বিষয় নিয়ে তাকে কিছু বলতে শুনি নি।
এদেশে আদর্শ নারী, আদর্শ পুরুষ; আদর্শ ধার্মিক, আদর্শ অ-ধার্মিক; আদর্শ আস্তিক, আদর্শ নাস্তিক; আদর্শ জ্ঞানী এবং আদর্শ মূর্খ ইত্যকার নানা বিষয় ও ব্যক্তি সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, তাতে বুঝতে পারি, নিজের সচেতনতার দ- খাড়া না রাখলে যে-কোনো সময়ে প্রতারিত-প্ররোচিত হওয়ার আশঙ্কা ষোল-আনাই বিদ্যমান। হ্যাঁ, এই সচেতনতার দ- সামান্য হেলে পড়লেই যত সমস্যা তৈরি হয়।
সে যা-ই হোক ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে চমৎকার একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গেছে। এই বিরুদ্ধতাকে সর্বার্থে নেতিবাচকভাবে নেওয়ারও উপায় নেই। ডা. জাকির নায়েক একজন সাধারণ মানুষ। তিনি যত বড় বক্তা আর ডাক্তারই হন না কেন, মানবিকতার ঊর্ধ্বে তো উঠতে পারবেন না। তাই তার ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা অবশ্যই দরকারি। সেই দরকার যেমন নিজেদের সতর্কতার জন্য, তেমনি অন্যদের সচেতন করার জন্যও। কিন্তু সেই আদর্শিক আলোচনা ও সমালোচনার পথ ও উপায় কী হবে?
ডা. জাকির নায়েক যেভাবে বিতর্ক-প্রবণতায় নিজের বোধ-বিশ্বাস ও ধর্মকে তুলে ধরছেন, তা সময়ের বিবেচনায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামের সূচনায় বা এর পরেও বক্তব্য-বাগ্মীতার আশ্রয় নিয়ে ধর্মপ্রচারের প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ডা. জাকির নায়েক যুগের চাহিদা অনুসারে নিজে মিডিয়ার কর্ণধার হয়ে একটু সাহসী বা উদ্যোগী ভূমিকা পালন করলেন মাত্র।
ডা. জাকির নায়েক নিজে চিকিৎসক বিধায় শরীর-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই হয়ত তার নখদর্পণে। নিজ চেষ্টায় বা কৌতূহলের কারণে তিনি হয়ত বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও গতায়াত করেছেন। বর্তমান বিজ্ঞানের যে বৈশ্বিক ভাষা, তাও তার আয়ত্ত। অপরদিকে কুরআন যেহেতু তার বিশ্বাস মতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ, সেই গ্রন্থের নানা বাঁকে বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত আছে। উপরন্তু কখনো কখনো প্রচলিত/ প্রথাগত বিজ্ঞান ধর্মের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেছে। তাই কুরআন ও বিজ্ঞান পাঠের সময় তিনি হয়ত তুলনা করেছেন; বিশ্বাসের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এভাবে তিনি যে বিশ্বাসে-সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, তা এখন জনতার সামনে উপস্থাপন করছেন। এক্ষণে তিনি একটি অডিয়েন্স তৈরি করতেও সক্ষম হয়েছেন।
অডিয়েন্সের সবার জ্ঞানতাত্ত্বিক দৌড় যে সমান, তা কিন্তু নয়। বৃহৎ অডিয়েন্সের সবার রুচি ও আদর্শও ভিন্ন ভিন্ন হতে বাধ্য। এর ভিতর থেকে তার একান্ত ভক্ত-পরিম-ল তৈরি হওয়া অসাধারণ কিছু নয়। বিজ্ঞানের এ চরম সময়েও জীর্ণ পোশাক, শীর্ণ শরীরের ধুলোকাদা-মাখা মূর্খ মূক বা স্বল্পবাক মানুষও যেখানে ভক্ত পরিবেষ্টিত হতে পারেন, সেখানে সর্বজন মান্য বিজ্ঞানের একটি শাখায় পারদর্শী বিতার্কিক, বাগ্মী একজন লোক ভক্ত অনুরক্ত তৈরি করতে পারেন না? আবার তা যদি হয় ধর্মের আবরণে, তাহলে তো ভক্তিযোগ-ভক্তযোগ একেবারে নস্যি!
তার ভক্ত-অনুরক্তের সংখ্যা যাই হোক, তিনি একটি সময় ও কালের সন্তান। তার মাঝে পরিবেশ-প্রতিবেশের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। কালিক-স্থানিক সীমাবদ্ধতার প্রভার তার মাঝে থাকতেই পারে। তিনিও ভুল করেন, করতে পারেন। আবার ভিন্ন রকম প্রতিবেশ-পরিবেশে বেড়ে মানুষের কাছে তার বক্তব্য-বয়ান (ভুল ও কলুষতার দিক থেকে) অস্বাভাবিক মনে হতে পারে; চরমও মনে হতে পারে। এ নিয়ে ভিন্ন পরিবেশের কেউ ক্ষুণœ হতেই পারেন। তখন এর রেশ ধরে সচেতন ও যৌক্তিক আচরণ ও প্রতিক্রিয়ার প্রকাশই আলোর পথ খুলে দিতে পারে। সেই আলোকদীপ্ত সরল পথ এড়িয়ে জ্ঞানগত, বুদ্ধিগত, কাল-পরিবেশগত প্রভাবে আবেগমথিত, ক্ষুব্ধ ও অতিরঞ্জন বক্তব্য-বিবৃতি এবং প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ হিতে বিপরীত ফল দিতে পারে। অন্ধভাবে কারো অনুসরণ করা, কারো ভুল আঁকড়ে ধরে নর্তন-কুর্দন করা যেমন নিন্দনীয়, তেমনই অন্যের ভুল নিয়ে নিজের পসার বাড়ানোর ধান্ধাও রংবাজির পর্যায়ে পড়ে।
আবার শিশু-যুক্তির কাছে যা দুর্বল ও হাস্যকর, তা একজন কিশোরের কাছে নাও হতে পারে। অন্যদিকে কিশোরের অপরিণত বুদ্ধির কাছে যা ভুল ও অসিদ্ধ, পরিণত মস্তিষ্কের লোকের কাছে তা না-ও হতে পারে। অবশ্য ভুলশুদ্ধের পরিমাপ বয়স দিয়ে হয় না, হয় জ্ঞান দিয়ে। হাঁটুজল পেরোনোর অভিজ্ঞতা নিয়ে গভীর জলকে ঠাট্টা করা সুবুদ্ধির পরিচায়ক নয়। এনিয়ে কোনো রকমের অতিরঞ্জন বা সীমালঙ্ঘন নিজের দেওলিয়াত্ব প্রকাশ করে মাত্র।
মনে রাখা দরকার, ‘নায়ক’ হতে চাইলেই কেউ নায়ক হতে পারে না। এর জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা লাগে। আবার সকল সমাজে ‘নায়ক’-এর যোগ্যতার একই রকম মাপকাঠি নেই। নিরেট নিরীহ কেউ ‘ভিলেন’ হতে পারে না। এ কথা তো বলাই বাহুল্য যে, ভিলেনের ভিলেনপনাতেই মূলত নায়কের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। কিন্তু ‘নায়ক’-এর পতনের জন্য, মানুষের চোখ থেকে ‘নায়ক’কে আড়াল করার জন্য ভিলেনপনা নয়, প্রতিনায়ক হওয়া বা তৈরি করাটাই হল সময়ের দাবি। সে যোগ্যতা না থাকলে ভিলেনপনার কোনো মানে নেই। কারণ তখন ভিলেনপনার সুবাদেই ‘নায়ক’ নিজ নায়কোচিত আচরণ দিয়ে স্মরণীয় হয়ে যায়।
العاقل تكفيه الإشارة
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৫ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামের পথে আনতে পেরেছেন। এ রকম
লজিক্যাল ব্যাক্তি পৃথিবীতে খুুব কম রয়েছে।
বাংলাদেশে যে সমস্ত ফাউল আলেম রয়েছেন,
তারা জাকির নায়েকের পায়ের ধুলার সমান না।
আপনার কথায় ভক্তির রঞ্জন নয়, অতিরঞ্জন রয়েছে। তাই অতি-টা কেটে ফেলে দিলে অপ্রয়োজনীয় ভুঁড়িটা কমে যাবে। ভেবে দেখুন।
সমালোচনা করে কারো ভাল কাজকে আড়াল করা যায় না । ভাল কাজকে আড়াল করতে তার চেয়ে ভাল কাজ কর তাহলেই আপনার ভাল কাজের আড়লে তারটা ডাকা পড়বে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য ।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।
ধন্যবাদ
পূর্নিমা হলে সাগর উত্তাল হয়ই। তাই বলে কি চাঁদ একে শান্ত করার জন্য নড়ে-চড়ে বসে নাকি?
ধন্যবাদ
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সে তাওফিক দান করুন। আমিন।
মূর্খরা মূর্খ থাকবে তবুও দুর্জনের কাছ থেকে বিদ্যা অর্জন করবে না – এমন মানসিকতা নিয়ে তো আর আগানো যায় না! দুর্জনের খারাপ দিকটা বাদ দিয়ে বিদ্যা গ্রহণ করলে তো লাভ-ই হয়।
অবশ্যই। সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু আইদান
সম্পুর্ণ একমত!আমার সাথেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে,শুরুতে অনেকেই আমাকে বলতো ইসলামের পক্ষে কথা বললে তাকে নিয়ে বিতর্ক হবে কেন?ঐ কথা বলে বুঝাতে চাইতো আল্লামা সাঈদী,মাওলানা মওদুদী উনারা যদি ইসলামের পক্ষেই বলে থাকবেন তাহলে উনাদের নিয়ে এত বিতর্ক হয় কেন? উদাহরণ হিসেবে তখন বলতো জাকির নায়েকও তো ইসলামের কথা বলে,কই কেউতো বিরোধীতা করেনা! তখন আমি মুচকি হাসতাম আর বলতাম যদি তোমাদের জাকির নায়েককে ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ,কোন সমস্যা নেই,তার কথাই শোনো,তবে খুব বেশিদিন তাঁকেও তোমাদের ভালো লাগবে না!সময় যেতে দাও,কথা আরো বলতে দাও ,সঠিক কথা বললে এক সময় ঠিকই কাফেরদের পাশাপাশি ইসলামকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে নেয়া এক জাতের লোকেদের বিরোধীতারও সম্মুখীন হবে! আজ তাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে!অথচ ঐ আলেমেরা একবারও চিন্তা করেনা যেই কাজ করছে একজন ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত লোক সেই কাজ করার কথা ছিল আপনাদের,পারেননি অথচ এখন আবার সমালোচনাও করেন!
১- পারস্যের কবি শেখ সাদির একটি কথা আছে, 'মানুষ কথা না বললে তার দোষ-গুণ অপ্রকাশিত থাকে।' জাকির নায়েকের পূর্ণ প্রকাশের পূর্বে তারা উচ্ছ্বসিত ছিল। তাদের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী দোষ প্রকাশের পর তারা বিষণ্ন হয়ে পড়ে। এতে দোষ কিছু নেই।
২- ধর্ম সবার। এর রক্ষার দায়ও সবার, শুধু আলেমদের নয়। আলেমরা হলেন প্রথাগত ডাক্তারদের মতো, আর জাকির নায়েকের মতো ব্যক্তিরা হলেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তাত্ত্বিকদের মতো।
ধন্যবাদ
আপনাকেও
ধন্যবাদ
বাংলাদেশে মাজার পন্থী দুনিয়ার গোলামরা শুধু ডাঃ জাকির নায়েক এর বিরোধীতা করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কথায় ভক্তির রঞ্জন নয়, অতিরঞ্জন রয়েছে। তাই অতি-টা কেটে ফেলে দিলে অপ্রয়োজনীয় ভুঁড়িটা কমে যাবে। ভেবে দেখুন।
সে তো আজকের কথা নয় শুধু। মুসলিম ইতিহাসের ক্রম-পরম্পরা খুঁজলে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যায়। সেটা হল আমাদের নিয়তি!
না ভাই, এভাবে বলার দরকার নেই। কারণ, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুললে ব্যথা থাকবেই, তাই ফুল দিয়ে তোলার চেষ্টা করুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ধন্যবাদ আপনাকেও
যথার্থই বলেছেন। ছোল্লা মৌলভীদের কাজ শুধু অন্য মৌলভীদের দোষ ধরা, দাওয়াত খয়রাত দানকারীদের মোনযোগ আকররষণ করা। ধন্যবাদ অনেক ভাল লাগল
কিন্তু ভাই, এই সব মোল্লা-মৌলবি তো আমাদের সমাজেরই; আমার-আপনার ভাই-ই। তাই ইতিবাচকভাবে তাদেরকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন