মুবাল্লিগে-দীনের পথ চলা: ইতিহাসের নানা পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৭:২৭ দুপুর



“হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে

সিংহল সমুদ্র থেকে নিশিথের অন্ধকারে মালয় সাগরে...”

এ হল কবির মানস-ভ্রমণ। যদিও পরম্পরাগত ইতিহাসের নিরিখে মানব জাতির নিরন্তর হেঁটে চলার একটি যোগসূত্র তৈরি করা যায়, কিন্তু মুবাল্লিগে-দীনের সেই পথ-চলাকে আরো সক্রিয় ও অনুভবভেদ্য উপায়ে জোড় লাগানো যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তা কবি-কল্পনার কোনো ভ্রমণ নয়। মানুষের পার্থিব জীবন ও পরকালীন জীবনের কাক্সিক্ষত উন্নয়নে তাদের যে কুরবানি, অধ্যবসায় ও নিবেদন, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ইখলাস ও নিষ্ঠার গভীরতা এবং প্রাবল্য না থাকলে তা এমন হতে পারে না।

পৃথিবীর আদি মানব এবং প্রথম নবী আদম আ. এর পর থেকে যত নবীর আগমন ঘটেছে, সবার জীবনই কিন্তু সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য-পানে ধাবমান। তাদের হাওয়ারি-সাহাবি, সহচর-অনুসারীগণও সেই পথেই এবং তাদের নির্দেশিত পদ্ধতিতেই নিজেদের জীবন নির্বাহ করেছেন। আর তাই এই কাজে হাজার হাজার বছর অতিক্রম হলেও নবীগণ এবং তাদের অনুসারীদের ক্রমপরম্পরা বেশ নিশ্চিতভাবেই নির্ণয় করা যায়।

আমাদের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর ইন্তেকাল হয়েছে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে। তার মৃত্যুর পর সাহাবায়ে কিরাম রা. তার কবরের পাশেই বসে থাকেন নি। যদিও তাঁর কবরের মর্যাদার কথা হাদিসের নানা সূত্রে বর্ণিত। কারণ, একই সঙ্গে রাসুল সা. সাহাবায়ে কিরাম রা.-কে দীনি দাওয়াতের অনিশেষ পথে এগিয়ে যাওয়ার এবং সে দায়িত্ব বয়ে বেড়ানোর যে তাগিদ ও উৎসাহ দিয়েছেন, তাতে কবর ঘিরে বসে থাকার কোনো জো ছিল না। সেই সময়ের প্রতিকূল অবস্থার মাঝেই তাই দেখা যায় সাতসমুদ্দর তের নদীর থেকেও দূরবর্তী চীন দেশ সাহাবায়ে কেরামের পদভারে মুখরিত এবং ধন্য।

তাদের এই পথচলায় যত রকমের চড়াই-উৎড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে, ইতিহাসে সবকিছুর উল্লেখ নেই। উল্লেখ করার, লিপিবদ্ধ করার প্রবণতা তাদের মাঝে তখন ততটা সক্রিয় ছিল না, যতটা এই সময়ে, এই বর্তমানে। তবুও ক্রমপরম্পরায় এবং বিশ্বস্ত নানা সূত্রে দীন ও হেদায়েতের কর্মসাগরে নিজেকে সমর্পণ করার যে নজির বিদ্যুৎঝলকের মতো উদ্ভাসিত হয়, তাতে সূর্যের আলোকচ্ছটাও ম্লান হতে বাধ্য। কারণ, তাদের স্থানান্তর ঘটেছে, পদান্তর ঘটেছে, কিন্তু লক্ষ্যান্তর ঘটে নি কখনো।

খালিদ বিন ওয়ালিদ ছিলেন বীর যোদ্ধা, অসীম সাহসী মুজাহিদ। মুসলিম ইতিহাসে সমর-অভিযানের কীর্তি ও অবদানের বর্ণনায় তাকে যে পরিসর দেওয়া হয়, তা আর কারো ভাগ্যে জোটে নি। জয় আর খালিদ একে অপরকে জড়িয়ে যায়। এখানে মানুষ ও মহান আল্লাহর শক্তিমত্তার ফারাক নির্ণয় করার জন্য ফারুকি সিদ্ধান্ত খালিদকে সেনাপতির পথ থেকে সরিয়ে দেয়, তিনি সামান্য যোদ্ধা ও সেনায় রূপান্তরিত হন। কারণ আরো অনেক কিছুই থাকতে পারে, কিন্তু খলিফাতুল মুসলিমিনের আদেশ শিরোধার্য করেই তিনি এগিয়ে যান। তাই তার হাতে উত্তোলিত ‘সাইফুল্লাহ’-আল্লাহর তরবারি ইতিহাসকে ধন্য করেছে বলে সবাই স্বীকার করেন। এখানে ব্যক্তিক আবেগ বা প্রবণতা তৈরির অবকাশ থাকলেও খালিদ থেমে থাকেন নি। কারণ, খালিদরা থেমে থাকেন না। আমর বিন আসও মিশরের গভর্নরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু তিনি দীনি দাওয়াতের পথ থেকে সরে এসেছেন, এ কথা ইতিহাস বলতে পারবে না।

খালকুল কুরআন নিয়ে ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের ট্রাজেডির পর সুন্নাহনিষ্ঠ উলামায়ে কেরাম এ আকিদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তাকেই অনুসরণ করতে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে এ আকিদার পুঙ্খানপুঙ্খ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। আর এ বিষয়েই ইমাম বুখারির সঙ্গে তার উস্তাদ আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইয়াহইয়ার মতান্তর তৈরি হয়। এক পর্যায়ে উস্তাদ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। শাগরেদের সঙ্গে একই শহরে বসবাসের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন। বুখারি রহ. দীর্ঘ দিনের অভ্যস্ত শহর ছেড়ে চলে যান। কিন্তু নিজ শহরে ফিরে যাওয়ারও তো তার উপায় ছিল না। উস্তাদের শহর ত্যাগ করলেও নিজের আদর্শ ও উস্তাদের শিক্ষা ত্যাগ করেন নি। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি দীনি কাজ যেমন অব্যাহত রাখেন, তেমনই অটল থাকে নিজ আদর্শে।

দামেশকে যদি প্রথাবিরুদ্ধ কিন্তু ইসলামনিষ্ঠ ইবনে তাইমিয়ার আগমন ছিল একটি অনিবার্য বিষয়, ভারত উপমহাদেশের এ ভূখ-ে মুহাদ্দিস-ই-দেহলবির আবির্ভাব হল অনন্য মুসলিম মনীষার বিশেষ পদচারণা। ইবনে তাইমিয়া আরববিশ্বের ধর্মীয় জ্ঞানজগতে যে গতিপ্রবাহ সৃষ্টি করেছেন, মুহাদ্দিসে দেহলবিও তেমনি ভারত উপমহাদেশে। ইবনে তাইমিয়াকে অনেক প্রতিকূলতা পেরুতে হয়েছে। কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে বশ মানাতে পারে নি। মুহাদ্দিসে দেহলবির প্রতিবন্ধকতা সে তুলনায় কম হলেও পারবারিক-কালিক স্রোত ও প্রবণতার রশিকে আঁকড়ে ধরে তিনি মূলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শুধু জ্ঞানজগতে নয়, কর্মপরিসরে তিনি যে সাহসিকতা ও ব্যাপকতার পরিচয় দেন, তা ভারতে চর্চা না হলেও বাইরের ভূগোলে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত ও চর্চিত। কারণ, ইতিহাসের স্রোত তো কোথাও থেমে থাকে না। থেমে গেলে তা আর স্রোত থাকে না। বদ্ধজলাশয়ে পরিণত হয়, যা এক সময় পুঁতি দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ ভারতে ইসলাম-চর্চা হুমকির মুখে পড়লে ওয়ালিউল্লাহি ধারার জীবন্ত মনীষা কাসেম নানুতুবি রহ. দেওবন্দ মাদরাসার গোড়াপত্তন করেন। এই নানুতুবি হলেন মৌলবি মামলুক আলির বিশেষ প্রিয় ছাত্র। নেজামিয়া ধারার মাদরাসার প্রচলন এর আগে থেকেই ছিল। ফিরিঙ্গিমহল্লি ধারার মাদরাসার প্রচলনও ছিল। কাসেম নানুতুবির সঙ্গে যোগ দেন রেশমি রুমাল আন্দোলনের নেতা শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসান রহ। এক সময়ে নানুতবি যখন পঠন-পাঠনে জোর দিতে থাকেন, শাইখুল হিন্দ তখন দূরে সরে পড়েন এই যুক্তিতে যে, মাওলানা (কাসেম নানুতুবি) সাহেব মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গেছেন। মানে, একে, দেওবন্দকে ইংরেজ-বিরোধী ঘাঁটি বানানোর বা ইংরেজবিরোধী মানুষ তৈরির কারখানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তাতে কেমন যেন ভাটা দেখতে পান। কালের সাক্ষ্য যদিও মান্য যে, দেওবন্দ ইংরেজ-বিরোধিতাই কোনো আপোষ করে নি। কিন্তু শাইখুল হিন্দের এই পদক্ষেপও ছিল মুসলিম মনীষার দীনি ভ্রমণের একটি অংশ। লক্ষ্যাভিমুখে ছুটে চলার অসামান্য এক কালপর্ব।

একদিকে সাহারানপুর, আরেক দিকে দেওবন্দ। প্রথাগত ধর্মশিক্ষার অনিশেষ ঝরনাধারা। এতে ধর্মশিক্ষার অবাধ ও নিখুঁত সুযোগ বিদ্যমান। তখন মৌলবি মামলুক আলিরই আরেক ছাত্র সৈয়দ আহমদ, যিনি স্যার সৈয়দ আহমদ নামে সমধিক পরিচিত, প্রতিষ্ঠা করেন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্দেশ্য, ইংরেজি শিক্ষার আশ্রয় নিয়ে মুসলিম সমাজের আত্মপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা। এ উদ্দেশ্যে তিনি খ্যাতিমানদের জড়ো করতে থাকেন। এদের একজন আজমগড়ের প-িত মাওলানা শিবলি নোমানি। শিবলি নোমানি তখন মুসলিম সমাজের সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রাণপণে। একই সঙ্গে পূর্ব বঙ্গে তথা ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নবাব-জমিদারদের দ্বারস্ত হচ্ছেন। যেন সংখ্যাগুরু মুসলিম তরুণরা দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

আলীগড়ে তার অধ্যাপনা-কাল সুখকর প্রতিপন্ন না হওয়ায় তিনি অন্যান্য মুসলিম মনীষীদের নিয়ে ভারতের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লক্ষেèৗতে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা। কিন্তু আলীগড়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক আদৌ ছিন্ন হয় নি। কারণ, দাওয়াত ও তাবলিগের জীবন-সফরে মুসলিম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনোভাবেই ব্যবধান তেরি হলে চলে না। তাই শিবলি নোমানি নদওয়ায় ব্যস্ত থেকেও আলীগড়ের উন্নতি কামনা করেছেন। হ্যাঁ, আশাভঙ্গের কাহিনিও আছে। তাই তো মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসানের হাতেই উদ্বোধন করেন আরেক সাধারণ মানের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ‘জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া, দিল্লি’। ভারতের মুসলিম মনীষার এ ক্লান্তিহীন সফরই ভারতকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

মানাজির আহসান গিলানি রহ. কর্মজীবনের প্রথম পর্বে দারুল দেওবন্দেই নিয়োগ পান। একদিকে তিনি শিক্ষক হিসাবে দরস দেন তো মাদরাসার প্রতিনিধি হিসাবে মুসলিম সমাজের আবেদনে বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিলে ওয়াজও করেন। আবার মাদরাসার একমাত্র মুখপত্রেরও লেখক ও সম্পাদক তিনি। পারিবারিক বা আর্থিক সুবিধার জন্য যখন তিনি হায়দারাবাদ চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন খোদ আল্লামা কাশ্মীরি বলেন, আমার বেতনের চেয়ে ওর বেতন বেশি হওয়া দরকার। কারণ, আমি শুধু শিক্ষক, আর গিলানি একের ভেতরে তিন! দেওবন্দে সে নিয়ম বা সুযোগ ছিল না। গিলানি রহ.কে চলেই যেতে হয় কিন্তু দেওবন্দের সঙ্গে তার ভালবাসার কোনো ঘাটতি তৈরি হয় নি। দূর থেকেও তিনি এর সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন। কারণ, দায়ী ও মুবাল্লিগের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠানিক বিচ্ছিন্নতা বলে কিছু নেই।

নদওয়াতুল ওলামার প্রথম দিককার উপস্থিতি প্রথাগত দিক থেকে খুব একটা প্রীতিকর ছিল না, দেওবন্দি ধারার সিংগভাগই একে বাঁকা চোখে দেখেছেন। এ অবস্থা মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবির পূর্ব পর্যন্ত ছিল। তাই দাওয়াত ও তাবলিগের অন্যতম মিনার ইলিয়াস রহ যখন নদওয়াকে দারুল উলুম দেওবন্দের মতোই গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে আসেন। এতে খোদ আবুল হাসান নদবিরও বিষ্ময় জাগে। নদবির প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস রহ বলেন, আমি আলীগড়কেও সমান গুরুত্ব দিই। এমন কি, ভারতের স্বাধীনতার পর মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানিও রহ. বলছেন, আলীগড়কে আগের তুলনায় আরো গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, এখন এ হল স্বাধীন দেশের মুসলিম বিশ্বদ্যিালয়।

বাংলাদেশে শাইখুল হাদিস নামে পরিচিত আজিজুল হক সাহেব রহ.ও শেষ জীবনে ‘জামিয়াতুল আজিজ’ নামে ভিন্নধারার ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলেন। পকিস্তানের মুফতি শফি সাহেবের সুযোগ্য সন্তান তাকি উসমানি নিজ ভাই রফি উসমানিকে নিয়ে ক্যাম্ব্রিজ সিলেবাসের আলোকে নতুন এক প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। কারণ, অন্ধকার নানা দিকে থেকে ধেয়ে আসে। আর ততদিকেই আলো ফেলার দায়িত্ব নিতে হয় মুসলিম পরিব্রাজককে। নদী যেমন নানা বাঁকে এগিয়ে চলে। কালের চাহিদার প্রেক্ষিতে মুসলিম পরিব্রাজকের পদভারও নানা দিকে এগিয়ে যায়, ব্যক্তি স্বার্থে নয়; ইসলামের স্বার্থে। কারণ, সুনির্দিষ্ট ভূগোলের সাথে তার কোনো রাগ-বিরাগ নেই, তা হতে পারে না। পৃথিবীর সকল শহর-নগর-বন্দর তারই এবং সকল প্রতিষ্ঠানও তার। আল্লামা ইকবালের ভাষায়:

দারবিশে খোদা-মাস্ত, না শারকি হ্যায় না গারবি

ঘর মেরা না দিল্লি, না সাফাহান, না সমরকন্দ

তু আভি রাহগুজার মে হ্যায়, কায়দে কিয়াম সে গুজার

মিসর ও হিজাজ সে গুজার, পারস ও শাম সে গুজার

দরবেশ তো খোদা প্রেমিক মানুষ। তার কোনো পূর্ব-পশ্চিম নেই। তার বাস দিল্লিতেও নয়, ইসফাহানেও নয়, আবার সমরকন্দেও নয়।

তুমি একজন পথিক মাত্র। থিতু হওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করো। মিশর ও হেজাজ পেরিয়ে যাও। পারস্য ও দামেশকও পেরিয়ে যাও।

আর তাই মুবাল্লিগে-দীন কখনো কবির মতো বলতে পারেন না: ‘আমি ক্লান্তপ্রাণ এক..’। এমন কি তার ‘চারদিকের জীবন-সমুদ্র সফেন হলেও’। এ নশ্বর জগত তার শেষ ঠিকানা নয়। এখানে ‘দুদ-ের শান্তিও’ তার কাম্য নয়। কারণ, তার জন্য অপেক্ষা করে আছে অবিনশ্বর বিপুল জগত, অনিশেষ আখেরাত।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন।

বিষয়: বিবিধ

১২২৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

177955
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪১
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক।

"আর তাই মুবাল্লিগে-দীন কখনো কবির মতো বলতে পারেন না: ‘আমি ক্লান্তপ্রাণ এক..’। এমন কি তার ‘চারদিকের জীবন-সমুদ্র সফেন হলেও। এ নশ্বর জগত তার শেষ ঠিকানা নয়। এখানে ‘দুদ-ের শান্তিও’ তার কাম্য নয়। কারণ, তার জন্য অপেক্ষা করে আছে অবিনশ্বর বিপুল জগত, অনিশেষ আখেরাত।"

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন।
আমীন। Praying Praying Praying
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৯
131177
রওশন জমির লিখেছেন :
ধন্যবাদ
178113
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১২
নূর আল আমিন লিখেছেন : ভালো লাগলো
০২ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৩২
137204
রওশন জমির লিখেছেন : ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File