আল্লামা শফি'র বিতর্কিত বয়ান ও আমাদের দায়িত্ব
লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ১১ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৫৯:৫৫ সন্ধ্যা
ইউটিউবে আল্লামা শফি'র নামে একটি বয়ান পাওয়া যাচ্ছে। এটি সত্যি তার কিনা, আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু এ নিয়ে সাইবার জগতে মোটামুটি তুমুল ঝড়। কারণ, কথাগুলোর মাঝে একটু শালীনতার অভাব রয়েছে। শুনতে পাই, তার ভক্তবৃন্দ নাকি এর জবাবও দিয়েছেন। আমার এখনো তা চোখে পড়ে নি। নিম্নে বয়ানের আলোচনাসহ লিঙ্কটি দেওয়া হল। পড়ে ও শোনে এ ব্যাপারে অত্যান্ত সতর্ক অবস্থান নেওয়া উচিত। এখন মিডিয়া রমরমার যুগ, বলার আগেই তা চোখে চোখে, কানে কানে ভাসতে থাকে। অন্যদিকে, শফি সাহেবের মতো যারা বয়োবৃদ্ধ আছেন, তাদেরকেও সতর্ক করা দরকার। মুখের দোষে ফেন পড়লে, এখন শুধু মুখ পোড়ে নে, একই সঙ্গে দাগও লাগে, যা শত্রুদের হাসির খোরাক হয়।
এই নিন বয়ানের চুম্বক অংশ ও লিংকঃ
“আপনারা মহিলারা মার্কেট করতে যাবেন না। স্বামী আছে সন্তান আছে তাদের যাইতে বলবেন। আপনি কেন যাবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা উনার আসবাব পত্র এগুলার হেফাজত করবেন। ছেলে সন্তান লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনি বাইরে কেন যাবেন?
আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য? চাকরি তো অনেক করতেসেন। আপনি নিজে করতেসেন, আপনার বউ করতেসে,মেয়েরা করতেসে। কিন্তু কুলাইতে তো পারতেসেন না। খালি অভাব আর অভাব। আগের যুগে রোজগার করত একজন, স্বামী। সবাই মিইলা খাইত। এখন বরকত নাই। সবাই মিইলা এতো টাকা কামাইয়াও তো কুলাইতে পারতেসেন না। গার্মেন্টসে কেন দিচ্ছেন আপনার মেয়েকে? সকাল ৭/৮ টায় যায়, রাত ১০/১২ টায়ও আসেনা। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করে তুমি তো জান না। কতজনের সাথে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে তা তো জানেন না। জেনা কইরা টাকা কামাই করতেসে, বরকত থাকবে কেমনে?
আপনারা মেয়েদের স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেসেন। কেন করাইতেসেন? তাদের ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত পড়াইবেন যাতে বিবাহ শাদী দিলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারে। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়াইতেসেন,লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেসেন। কিছুদিন পর আপনার মেয়ে, স্বামী একটা নিজে নিজে জোগাড় কইরা লাভ ম্যারেজ কোর্ট ম্যারেজ কইরা চইলা যাবে। আপনার কথা স্মরণ করবে না। মহিলাদের ক্লাসের সামনে বসানো হয়। পুরুষরা কি লেখাপড়া করবে? … দিনরাত মেয়েদের সাথে পড়ালেখা করতেসেন, আপনারা দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে মেয়েদের সাথে চলাফেরা করতেসেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতই বুজুর্গ হন আপনার মনের মাঝে কু খেয়াল আইসা যাবে। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা। এইটা একসময় আসল জেনায় পরিণত হবে। কেউ যদি বলে মেয়ে মানুষ দেখলে আমার দিলের মাঝে লালা ঝরে না, তাহলে বলব তোমার ধ্বজভঙ্গ রোগ আছে। তোমার পুরুষত্ব নস্ট হয়া গেসে। তাই মহিলাদের দেখলে তোমার কু ভাব আসে না।"
(এর পরের অংশ চাটগাইয়া ভাষায়। মূল অংশটি তুলে ধরা হল)
"জন্মনিয়ন্ত্রণ কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল হল পুরুষদের মরদ থাইকা খাসী কইরা ফেলা। মহিলাদের জন্মদানী সেলাই কইরা দেয়া। এরই নাম বার্থ কন্ট্রোল। বার্থ কন্ট্রোল করলেও ডেথ তো কন্ট্রোল করতে পারবা না। রিজিকের মালিক হচ্ছে আল্লাহ। খাওয়াইবো তো উনি। তুমি কেন বার্থ কন্ট্রোল করবা? বড় গুনাহের কাজ এইটা। পারলে চাইরটা পর্যন্ত বিবাহ করবা। খাওয়াইবো তো আল্লাহ। বার্থ কন্ট্রোল করবা না। এইটা বড় গুনাহের কাজ।”
ইউটিউব লিঙ্ক : http://www.youtube.com/watch?v=R-cd6P-u4WY
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন