সাভার-ট্রাজেডি: পোপ ফ্রান্সিস বনাম মোল্লা-মাওলানা ও শাইখ-মাশায়েখ

লিখেছেন লিখেছেন রওশন জমির ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:৫৮:০৮ সকাল



সাভারের ট্রাজেডির পর পোপ ফ্রান্সিস বাণী প্রদান করেছেন। এতে সাভারের ট্রাজেডির প্রভাব হ্রাস পাবে, তা নয়। কিন্তু পোপ নিজের উপস্থিতির জানান দিলেন, মানবতার পতাকাটুকু ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন। তিনি যদি এ বাণী না-ও দিতেন, মুসলিম-অধ্যূষিত এদেশে কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতো না। ইউরোপেও তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হতেন না। কিন্তু তাঁর এ বাণী-প্রদান আমাদের আবারও সচকিত করে। আমরা হাতড়াতে থাকি।

না, মুসলিমবিশ্বে কোনো পোপ নেই। ইসলামে পোপতন্ত্র নেই। কিন্তু যারা ইসলামের সুমহান প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার, তারা যে মূক, কালা, বধির এবং অনুভূতিহীন, তা আবারও প্রমাণিত হল। ইউরোপে রেঁনেসাসের সময়ও ধর্ম ও ধার্মিকরা তেমনই মূক-কালা-বধির ও অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছিলেন। আর তাই রেঁনেসাসের অগ্রদূতরা মানবিকতার নামে ধর্মীয় খোলসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তেমন কোনো শর্ত কী মুসলিমবিশ্বে আপনাআপনিই তৈরি হচ্ছে?

না, মক্কা-মদিনার কোনো শাইখ এ ব্যাপারে মুখ খুলেন নি। রেওয়াজ নেই। ছদ্মবেশী ইসলামি শাসন-ব্যবস্থার দেশ তুরস্কও কিছু বলে নি। আরব-বসন্তের ঘোড়ায় চড়ে যে-দুজন এখন প্রায়-ইসলামি শাসনের করতাল বাজাচ্ছেন, সেই ‘গান্নুশি’ ও ‘মুরসি’র মুখ থেকেও কোনো বাণী নিঃসৃত হয় নি। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস-এর প্রধান শাইখ কারজাবি সিরিয়ার জেহাদ নিয়ে ব্যস্ত। পাকিস্তান ও ভারতের ধর্মীয় পিরামিডের হর্তা-কর্তারা তো বাংলাদেশের খবরই রাখেন না। যদিও তাদের দোহারটানা ডুগডুগি-ওয়ালা এদেশে অনেক। ছোট্ট একটি গরিব দেশের একটা মাত্র বিল্ডিং-ধ্বস নিয়ে তাদের ভাবার কিছু নেই, সময় নেই। তারা ব্যস্ত মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দাওয়াত এবং আপন আপন তাসবিহ-তাহলিল নিয়ে!

দীন ইসলাম, জিন্দাবাদ!

বিষয়: বিবিধ

১১৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File