নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা
লিখেছেন লিখেছেন লাল গোলাপ ২২ জুন, ২০১৩, ০৬:৪৬:১০ সকাল
খাল কেটে কুমির আনা- এ প্রবাদটার সাথে সকলে পরিচিত, আবার নিজের ‘নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভজ্ঞ করা’ বা ‘নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা’- এপ্রবাদ গুলোর বাস্তব্যয়ন আমরা বাজ্ঞালীরা ছাড়া ভালো কেউ করতে পারে না। আপসোস আমরা আজ বাবা-মাকে খেতে দেয় না। মা, মা, মা-লক্ষ-কোটি বার ডাকলেও যার ঋণ কোন দিন শোধ করার নয়, যার অবদানে এই সবুজ-শ্যামল সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাসে আসা, যে মা নিজের মুখের অন্ন তার সন্তানের মুখে তুলে দেয় নিজে না খেয়ে, যে মা সারা রাত নিজের ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানের দেখা ভালো
করে, যে মা সন্তানের সুখের জন্য নিজের সুখ টূকু ভুলে যায়, যে মা সারা রাত জেগে সন্তানের জন্য দোয়া করে, যে মা যার কোন অভিযোগ নাই, চাওয়া-পাওয়া নেই সন্তানের কাছ থেকে,যে মা নিজের যতটুকু ভালোবাসা আছে সব সব টুকু উজাড় করে দেয় সন্তানের জন্য, সেই মাকে আমরা আজ খেতে দেয় না। কিছু কুলাংগার
নামধারী সন্তান যারা বউ কে পেয়ে মাকে ভুলে যায়। বিয়ের পর স্ত্রী কে নিয়ে ছেলে আলাদা হয়ে যায়, বউ তার বাবা-মাকে খেটে দেয় না। কিন্তু একটু যদি ভাবতো আমিও একদিন বাবা হবো, ঐ বউটা যদি একবার ভাবত আমিও একদিন মা হবো , শাশুড়ি হবো, তখন যদি আমার ছেলে-মেয়েরা আমার সাথে এমন ব্যবহার করে
আমাকে খেটে না দেয়? এভাবে নিজের পায়ে সে তো কুড়াল মারছে, সাথে জাহাম্নামে যাওয়ার পথটা ও পরিস্কার করে নিচ্ছে।
আসলে এই সব ছোট ছোট কাজ গুলো যদি আমরা একটু সচেতন ভাবে ভেবে চিন্তা করতাম, তাহলে আমাদের সমাজ এত অধঃপতন হত না। কুরানে এবং হাদিসে কি বলেছে সেটার কথা বলছি না কারণ সব ধর্ম তে মা-বাবা কে সম্মান, ভালোবাসা আর স্রদ্ধার কথা বলা হয়েছে। আর আমাদের ধর্ম “ইসলাম” এই দিক দিয়ে সব চেয়ে বেশি এগিয়ে। কারণ ইসলাম ধর্মে যে পরিমান মা
বাবা কে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে অন্য কন ধর্মে এত দেওয়া
হয়নি। আমি শুধু বলছি আপনি আপনার নৈতিকতা আর মনুষ্যত্ব বোধ দিয়েই চিন্তা করুন না, আপনি পারেন কি আপনার দায়ভার এড়াতে? আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন না সে কি উত্তর দেয়?
মা-বাবা কষ্ট দিয়ে আমি সুখে হতে কাউকে দেখিনি। আপনি আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসবেন এটার স্বাভাবিক, যে আপনার সারা জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্নার সাথি। কিন্তু তাঁর সাথে মা-বাবার তুলনা করবেন না? স্ত্রীকে স্ত্রীর জায়গায় বসিয়ে তাকে আপনার মত করে ভালোবাসেন আর মা-বাবাকে ঠিক মা-বাবার জায়গায়
বসিয়ে তাদের কে ভালোবাসেন, সম্মান করেন, তাহলে দেখবেন একটা হাসি-খুশি আর সুখি পারিবারিক বন্ধন।
বিষয়: বিবিধ
২৭৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন