মানুষিক অবক্ষয়
লিখেছেন লিখেছেন লাল গোলাপ ০৪ জুন, ২০১৩, ০৮:৪৬:৫৪ সকাল
আমি একটা কথা সব সময় বলি বাঙ্গালী ইট খায়। অনেকে শুনে হাসলেন কিভাবে সম্ভব ইট খাওয়া?
“কেউ করে পুকুর চুরি আর কেউ করে খাল;
কেউ করে নদী-নালা, কেউ আবার নেয় জমির দখল”
এটা আমাদের সোনার বাংলাদেশের মানুষের একটা স্বাভাবিক বৈশিষ্টে পরিণত হয়ে গেছে। ক্ষমতায় আসা মানে জোর যার মুল্লুক তার।
যা হোক ওদিকে যাবো না। ইট খায় কিভাবে সেটা নিয়ে ফিরে আসি। আপনার বাড়ি গ্রামে। আপনার বাড়ির সামনে একটা কাঁচা রাস্তা আছে যা পিচ বা ইটের রাস্তা তৈরি করবে বলে রাস্তার পাশে ইটের গাদি রাখা হয়েছে। বর্ষা কালে গ্রামে অনেকের বাড়িতে প্রচুর কাদা হয়। তাই গ্রামের সেই মানুষটা ইট গাদা থেকে ইট নিয়ে আসে তার বাড়িতে সারা জায়গায় দিতে যাতে কাদা থেকে বাচতে পারে।
আমি এই ধরনের কিছু মানুষের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের কে বুঝানোর চেষ্টা করেছি এই বলে যে ইট গুলো রাস্তা বানানোর জন্য আনা হয়েছে আর সেগূলো নিলে তো রাস্তার ইট কম পড়ে যাবে, তখন রাস্তাও ভালো হবে না। আমি তাদের একটা প্রশ্ন ও করেছি ক্যান তারা ইট নেয়? এটা নেওয়া অন্যায়?
তাদের উত্তর কি যানেন? আমিতো সামান্য কয়টা ইট নিচ্ছি আর যে সালা রাস্তাটা বানাচ্ছে সে তো লাখ টাকা মেরে খাবে। আর রাস্তা বানানোর ছয় মাস পরে রাস্তা আর রাস্তা থাকবে না, হয়ে যাবে এক একটা পুকুর, ইট গূলো আপনি আর খুজে পাবেন না, সব টাকা মেরে খেয়ে কম দামে কিছু বালু আর ইট দিয়ে বানাবে রাস্তা সেটা ছয় মাস পরে আরও দুর্ভোগের কারণ হবে। তাই কিছু ইট নিয়ে অন্তত আমার বাড়িতে কিছু কাদা পতিরোধতো করি। দ্যাখেন গ্রামের সেই সহজ-সরল মানুষ্টার মানুষিক অবক্ষয় কিভাবে হল। কারণ তার ধারণা উপর লেভেলের মানুষ গূলো দুর্নীতি করে, অসৎ পথে টাকা আয় করে অনেক সুখে জীবন-যাপন করছে। সুতরাং আমি এটূকু সুযোগ ক্যান হাত ছাড়া করবো।
এতো গেল একটা সামান্য দৃষ্টান্ত। আমাদের উপর লেভেলের শিক্ষিত সয়তান যাদের কারনে আজ বাংলার নিরপরাধ মানুষ গুলো অপরাধী হয়ে উটছে। কারণ উপরের পানি নিচে নামে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন