আওয়ামী মানবতা ও দুইটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
লিখেছেন লিখেছেন কানা বাবা ০৮ মে, ২০১৩, ১২:২০:১৭ রাত
শাপলা চত্তরের পুলিশি অভিযান নিয়ে ফেইচবুক ব্লগ এখন প্লাবিত। একপক্ষ এই অভিযান জায়েয করার জন্য একের পর এক স্টেটাস দিয়ে যাচ্ছে আরেক পক্ষ এটা কতটা মানবতা বিরুধী তা প্রচারে ব্যস্ত।একটা শান্তি পুর্ন সমাবেশে এভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা। সেই হামলার খবর যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য লাইট অফ করে মিডিয়া কে সরিয়ে দিয়ে এবং যারা সরকার বিরুধী বলে পরিচিত সেই সকল মিডিয়া অপারেশন শুরুর ঠিক আগের মুহুর্তে বন্ধ করে দেয়ার মধ্যে দিয়ে আসলে সরকার কি লুকাতে চাইছে তার একটা সুপ্ত উত্তর পাওয়া যায়।সেই বিষয় নিয়ে এই আলোচনা না। আলোচনা শাপলা চত্তর উত্তর হাটহাজারি তে সংগঠিত পুলিশ ও লীগের সাথে হেপাজত কর্মীদের সংঘষে নিহত দুই জন হেপাজত কর্মীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এর কথা।এই দুইটা রিপোর্ট সেই সকল দলীয় চামারদের জন্য যারা সরকারের বিশুদ্ধতার কথা লিবারেল থাকার কথা সর্বোপরি হেপাযতের বর্বরতার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলতেছে।
পোস্টমর্টেম একঃ নামঃ নোমান। মুখে ফেনা বের হয়ে আছে।গুলির ছিদ্র বাম পাশের টেম্পোরাল বোন এ ছোট ডান পাশে বড়।গুলির কারনে মাথার ভারটিকেল সুচার আলাদা হয়ে গেছে। অর্থাৎ গুলি মাথার বাম পাশ দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। এটা সম্ভব যদি মাথায় নল লাগিয়ে বা খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়।
পোস্ট মর্টেম দুইঃ নামঃ হোসেন । গুলির ছিদ্র ডান পাশের কাধে।ফুসফুস ছিদ্র করে এবডোমেনে চলে গেছে। এবডোমেন অপেন করার পর অনেক খোজাখুজি করেও গুলিটি খোজে পাওয়া যাচ্ছিল না।অনেকক্ষন খোজাখুজির পর দেখা গেল গুলি লাম্বার ভার্টিব্রারতে ঢুকে গেছে। এটা থেকে স্পস্ট বুঝা যায়। কাধে গুলির নল নিচের ধিকে তাক করে কাধে লাগিয়ে গুলি করা হয়।৫ফিট বা একটু বেশি লম্বা একটা লোককে হাটু গেড়ে বসা ছাড়া এভাবে গুলি করা সম্ভব না।অথবা যে গুলি করেছে তাকে ৭ ফিটের ও বেশি লম্বা হতে হবে। সে ক্ষেত্রেও গুলি একদম কাছ থেকে করতে হবে।
বর্তমান আওয়ামিলীগের পৈশাশিকতার জন্য নিজের চোখে দেখা এই দুইটা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ই যথেষ্ট বলে মনে করি।শাপলা চত্তরে কত মরল তার আর হিসাব না জানলেও চলবে।
বিষয়: রাজনীতি
২০৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন