আবোলতাবোল 69

লিখেছেন লিখেছেন মামুন আহমেদ ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০১:৫১:০৭ দুপুর

সেদিন সকাল সকাল কলেজে যাওয়ার জন্য বাসে চরলাম। অনেকটা খোশ মেজাজে যাচ্ছিলাম! কিছুদূর যাওয়ার পরে ঘটল এক মজার এবং অদ্ভুদ ঘটনা!

বাসে বসা ছিল ঢাকা কলেজের এক জন ছাত্র। হঠাৎ বাস থামল। যথারীতি আরেক জন ছাত্রও বাসে উঠল। সে কোন কলেজে বা কোন স্কুলে পড়ে তা আমার জানা নেই এবং জানতে চেষ্টাও করিনি। ছাত্রটি বাসের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকল। তার কাঁধে ছিল প্রমাণ ছাইযের একটা ব্যাগ, যেটাকে সে তার পিঠে ঝুলিয়ে রেখেছে। কন্টাক্টর তাকে বলে, 'ভাই একটু পিছনে গিয়ে বসুন, ছিট খালি আছে।' লোকটি যেতে চাইল না। এ নিয়ে কন্টাক্টরের সাথে তার ঝগড়া বেঁধে যায়। কন্টাক্টর তার কমন ভাষা প্রয়োগ করতে শুরু করল। এটা শূনে ঢাকা কলেজের ছাত্রটি তার একটা নিজস্ব ওয়েট দেখাতে শুরু করল। সাধারণত অধিকাংশ ছাত্ররাই এরকম ওয়েট দেখাতে কার্পণ্য করেনা। কন্টাক্টর তখন এই ছাত্রটির সাথেও ঝগড়া শুরু করে দিল। ছাত্রটি তার শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করল এভাবে- ''তুই ঢাকা কলেজের সামনে চল, তারপড়ে দ্যাখ তরে কি করি!''

কন্টাক্টরও কম যায় না, সে বলে- '' তুই জামায়াত! তরে এইখানে নামাইয়া মারমু! ওস্তাদ গাড়ী থামান!!''

এর মধ্যে ছাত্রটি তার গন্তব্যে নামার জন্য উঠে ডাঁড়ায়। আমার মত আরও যে সব যাত্রী ছিলাম নীরব দর্শক, এই মুহূর্তে আর নীরব থাকতে পারলাম না। ছাত্রটিকে বললাম, ভাই মারামারিতে যাইয়েন না! ছাত্রতিঃ আমি এখানেই নামব। ছাত্রটি নামতে না নামতেই কন্টাক্টরও নেমে পড়ল, তার সাথে অন্য একজন লোকও নামল। সে যাত্রী ছিল না বাসের কোন স্টাফ ছিল বলতে পারবোনা। তবে নির্মম সত্য হচ্ছে, কন্টাক্টর এবং ঐ লোকটি মিলে ছাত্রটিকে মারতে শুরু করল। আরও নির্মম হচ্ছে ড্রাইভার তখন মনের আনন্দে ফুল স্পীডে গাড়ী ছেড়ে দিল। ঐ দিন ছিল হরতালের দিন। আমি গিয়ে ছিলাম ফরম ফিলাপ করতে। বাসের জানালায় উকি দিয়ে দেখলাম পুলিশ এসেও ছাত্রটিকে মারতে শুরু করল এবং ধরে গাড়ীতে উঠাল।

মহল্লায় সেদিন ঘটল আরেক অদ্ভুদ ঘটনা! দুইটি লোক সামান্য তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে ভয়াবহ তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছে। কেউই তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। কারো কথারই কোন তোয়াক্কাই তারা করছে না। শেষে এক মুরব্বি বলে উঠলেন, '' এরা কি মানুষ, না আওয়ামীলীগ!!''

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File