সংখ্যা নিয়ে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন লিখেছেন মামুন আহমেদ ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৩৮:০৭ দুপুর

অনেক অনেক আগের কথা। তখন খুব ছোটও ছিলাম। তখনকার একটা কথা এখনও বিশ্বাস করতে ভাল লাগে। লাকি নাম্বার সেভেন ও আন-লাকি থার্টীন। অথচ কত বড় দৃষ্টতাপূর্ণ একটা বাক্য আমরা কম বেশি সকলেই বলি এবং বিশ্বাস করি! কিন্তু একবারের জন্য হলেও আমাদের ভেবে দেখা উচিৎ যে, এর কারণে আমাদের ঈমান বিনষ্ট হতে পারে। কেন? কারণ, খুবই জটিল! একটু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করি- ইংরেজি A to Z এর মধ্যে G এর অবস্থান 7, লাকি নাম্বার 7, G তে যীশু। যীশু হলেন সৌভাগ্যের প্রতিক, তাই লাকি নাম্বার 7। অপরদিকে A to Z এর মধ্যে 13 তম M, M তে মুহাম্মদ (সঃ)। ষড়যন্ত্রের মূল কথা মুহাম্মদ (সঃ)ই হলেন সকল অকল্যাণের কারণ (নাউজুবিল্লাহ)। তাই আন-লাকি 13। যার মধ্যে সামান্য পরিমাণ ঈমানের অস্তিত্ত আছে তার পক্ষে এমন দৃষ্টতা পূর্ণ কথা বলা কিংবা বিশ্বাস করা আদৌ সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ খ্রিষ্টানদের সুদূর প্রসারি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি যদি নিজেকে একজন খাঁটি ইমানদার, মুসলমান হিসেবে স্বীকার করে থাকি তাহলে আমার উচিৎ হবে এই বিষয়টা সবাইকে শেয়ার করা, যাতে করে তারাও সচেতন হতে পারেন।

এবার দেখা দরকার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কি বলে। ২০০৭ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক সুভ বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছিল। অনেকেই আমার একথার বিরোধিতা করবেন। কেননা সেনা সমর্থিত সরকার ব্যবস্থায় সাধারণ জনগণ শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারলেও তথাকথিত দুর্নীতিপরায়ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ ছিলেন চরম বেকায়দার মধ্যে। সেনাসমর্থিত রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ড. ফখরুদ্দিন। তার আঘমনের সুত্রপাত হয়েছিল ২০০৭ সালের শেষের দিকে। এর পিছনে যে রাজনৈতিক দলটির জোরালো ভূমিকা ছিল, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। সাধারণ জনগণকে তারা বিশ্বাস করাতে পেরেছিল লাকি নাম্বার সেভেন। সাথে ছিল সরল বিশ্বাসী মানুষগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য মিথ্যে টোপ, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। এবং তখনকার মত তারা সফলও হয়েছিল।

বর্তমান ২০১৩ সাল। দেশের অবস্থা কতটা ভয়াবহ সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ আন-লাকি থার্টিন বলে একটা বাক্য আছে!

একটু ভাবুন তো! যুদ্ধাপরাধীর বিচার কখন শুরু করা হয়েছে! আরও আগে শুরু করা যেত নয় কি? স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪১ বছর পরে বাংলাদেশের মত একটা ঘনবসতিপূর্ণ দেশে কখনও সম্ভব নয় এবং হতেই পারেনা। এটা আমার থেকে আওয়ামি সরকারই বেশি জানে। তার পরও তারা বিচার কাজ শুরু করেছে। খুবই ভাল কাজ! কিন্তু দেশের মধ্যে কি হচ্ছে? একটা অশুভ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ আজ হাবুডুবু খাচ্ছে। সবার মাঝে ভয়ানক আতঙ্ক বিরাজমান। বিচার কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি এবং আদৌ পারবে কিনা তার মধ্যে সন্দেহের কোন শেষ নেই। আওয়ামি সরকার বিচার কাজে ব্যর্থ বলা গেলেও স্বীকার করতেই হবে তারা প্রমাণ করেছে যে আন-লাকি থার্টিন।

শুধু তাই নয় তারা এমন একটা বাহিনি তৈরি করেছে যাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ যারা ইসলামকে আঁকড়ে ধরে জীবনের বাকী পথটুকু পারি দিতে চায় তাদেরকে জামায়াত বলে গালাগাল দেয় এবং সুযোগ পেলে মারধরও করে থাকে। দাঁড়ি-টুপি, পাঞ্জাবি পরে যখন তখন প্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হতে পারছেনা সাধারণ মানুষ।

আজ যারা আওয়ামীলীগ সমর্থন করেনা অথবা দাঁড়ি রাখে, টুপি-পাঞ্জাবি পরিধান করে তারাই হচ্ছে রাজাকার! আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা রাজাকারদের এতটাই ঘৃণা করেন যে, তারা নবীর (সঃ) সুন্নত দাঁড়ি ক্লিন সেভ করে খাঁটি দেশপ্রেমিক হয়ে যান। ''আমি ইসলামকে ভালবাসি, ইসলাম আমার প্রধান এবং শেষ ভরসা যেখানে আমি শান্তিতে আছি এবং থাকবো। তোমরা যদি আমাকে রাজকারের বংশধর, মৌলবাদী বলে গালি দাও, আই ডোন্ট কেয়ার!''

বিষয়: রাজনীতি

১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File