ঘাড় ত্যাড়াদের বাঁকা পথ (১ম কিস্তি)

লিখেছেন লিখেছেন মামুন আহমেদ ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:২১:১৫ সকাল

মহান আল্লাহ মানব সৃষ্টির পরে দু'টি সতন্ত্র লিঙ্গের এক শৈল্পিক প্রতি-মূর্তি তৈরি করেছন যা পরস্পর উভয়ের প্রতি এক অতি প্রাচীন মহব্বতে আবদ্ধ। নারী জাতির অনিচ্ছায় কোন পুরুষ তার স্বাধীন চলাচলের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে না। কেননা, নারী হল পুরুষের মা। অন্যদিকে নারী তার নিরাপত্তার ব্যাপারে পুরুষের কাছে বারংবার ধর্না দিচ্ছে বা দিতে বাধ্য হচ্ছে। পুরুষের কাছে নিজেকে সপে দেয়ার পরেই একজন মা তাঁর অতি কাঙ্ক্ষিত আদরের সন্তানকে আদর করে আপন স্তনের দুগ্ধ পান করিয়ে মাতৃত্তের তৃপ্তি লাভ করেন। শুধুমাত্র দুগ্ধ পানের কারণেই একজন পুরুষ নারী জাতির কাছে নিজেকে ঋণী ভেবে সারাজীবন মায়ের সেবা করতে পারে। তাতেও তার নারী জাতির প্রতি কর্তব্য পালনের শেষ হয়না। আবার নারী জাতিও ভুলে থাকতে পারেনা যে, নির্দয় পুরুষের কারণেই সে পুরুষের কাছে সর্বচ্চ সম্মানের অধিকারী হতে পেরেছে।

ঘৃণা তাদের জন্য যারা নারীদের নাম মাত্র ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে এবং যে সব নারী পুরুষদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে।

নারী হল ফসলের মাঠ, পুরুষ হল কৃষক মাত্র। কৃষকের কাজ পরম মমতায় ফসলের মাঠের যত্ন করা। কাঙ্ক্ষিত ফসল প্রাপ্তির জন্য কৃষককে ঘাম ঝরান কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ক্ষেতে যখন কাঙ্ক্ষিত ফসল ফলে, তখন কৃষকের আনন্দের সীমা পরিসীমা থাকেনা। কিন্তু কৃষকের জানা থাকেনা, ফসলের মাঠ কি চায়। হয়ত জড় পদার্থ ভেবে ক্ষেতের প্রতি উদাসীন তাকে। কিন্তু নারী জাতি কোন জড় পদার্থ নয়। তাই নারীর চাওয়া পাওয়ার প্রতি পুরুষের ক্রিয়াশীল দৃষ্টি রাখা দরকার। ঠিক একই ভাবে নারী জাতির কর্তব্য পুরুষকে সাপোরট দেয়া এবং সাধ্যমত সহযোগিতা করা। এভাবে নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও শ্রদ্ধাশীল থাকতে পারলে সুখের ঘরে দুঃখের আগুন লাগতে পারেনা। হায়, আফসোস! আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাই বোনেরা এই সহজ পন্থায় হাঁটতে যেন ভুলেই গেছেন!

মা-বোনদের হয়ত একটা প্রশ্ন আছে- নারী কেন পুরুষের কর্তৃত্তে আপনার জীবন বিলীন করতে যাবে? অত্যন্ত উৎকৃষ্ট প্রশ্ন। এর দুটি উত্তর দেওয়া যেতে পারে-

* মানুষ সৃষ্টির মৌলিক উপকরণ। আদিমানব হযরত আদম (আঃ) কে পৃথিবী পৃষ্ঠের মাটি দ্বারা দেহ তৈরির পরে মহান আল্লাহ তাঁর মধ্যে রূহ বা আত্মা প্রবেশ করান। অতঃপর আদমের বাম পাঁজরের একটা বাঁকা হাড্ডি থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেন।

* সৃষ্টি যার কৃষ্টিও তাঁর। মহান আল্লাহ যেহেতু মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাই তাঁর নির্দেশ মতই মানুষের জীবন যাপন করতে হবে। স্রষ্টার বিধান লংঘন করার অধিকার কোন মানুষের নেই।

পুরুষ ভাইয়েরা অহংকারে ভারী হয়ে বলতে পারে কিংবা বলে থাকে নারী কর্তৃত্ত যেহেতু আমাদের হাতে তাহলে নারীদের আমরা খেয়াল খুশি মত ব্যবহার করবো, বাধা দিবে সাধ্য কার?

সাবধান, ভাই আমার! মনে রাখুন আপনি কোন বিধান দাতা হতে পারেননি। আপনার ক্ষমতা সীমিত। তাই ক্ষমতার যথার্ততা আপনাকে জানতে হবে। আল্লাহর হুকুমত কি বলে, আগে জানুন। তারপরে নারীদের কমান্ড করুন। আল্লাহকে ভয় করুন। কেননা, তিনিই আপনাকে কর্তৃত্তের ব্যাপারে সাবলম্ভি করেছেন। তাই আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান আর নারীদের ভালবাসতে শিখুন। আপনি শান্তি ও মুক্তি দুটোই পাবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৪১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File