পা-মোজা কাহিনী

লিখেছেন লিখেছেন মিশেল ওবামা বলছি ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:০২:৫৭ সকাল

ঘটনা:১

সৌদি যাওয়ার সময় আমার হাসব্যান্ডের দু'জোড়া পা-মোজা নিয়ে গেলাম ভাবলাম, ১৫-২০ দিন থাকব এতেই চলবে। কিন্তু যাবার দু'দিন পরেই একজোড়া মোজা গায়েব, নেই তো নেই পুরা বাসা খুজে কোথাও পেলাম না। পরে ওখান থেকে কিনে নিলাম, কিন্তু তাও ওর মন মত হল না। যাক এভাবেই কয়টা দিন ঘুরে চলে এলাম।

দেশে আসার পর তো মোজা কেনা খুবই জরুরী, কিন্তু আমাদের এখানে বাটার সবক'টা শো-রুম খুজেও শর্ট মোজা খুজে পেলাম না। একটা পেলাম তাও আবার ওর পায়ে বেশ ছোট হয়, খুব একটা কমফোর্টেবল হয় না ওর কাছে। বললাম আচ্ছা, এটা যেহেতু ছোট হয় তোমার আর পড়ার দরকার নেই, আমাদের বেবী হলে ইউজ করবো কেমন? ও বললো ভালই হবে, আমি আর আমার বেবী একই মোজা পড়বো....

ঘটনা ২:

আমার এক পরিচিতা একটা কে,জি স্কুলে চাকুরী করত। ঐ স্কুলে রাজশাহীর এক বিএনপি নেতার (নাম বললে অনেকেই চিনবেন) ছেলে পড়তো। একদিন স্কুলের আর এক ম্যাডাম ঐ আন্টিকে এসে বলতে লাগলো, যে আজকে ঐ ছেলে (নেতার ছেলে) ওর বাবার মোজা পায়ে দিয়ে স্কুলে এসছে। সবাই তখন বলছে যে, দেখি এক মোজার ভেতরে দু'পা ঢুকিয়েছ নাকি, দু'পায়ে দু'টা মোজাই পড়েছ... পিচ্চিটা তখন বলছে, না ম্যাডাম দু'পায়ে দু'টা মোজাই পড়েছি...

ঘটনা ৩:

আমার ছোট বোন, তাকওয়া তখন খুব ছোট। আমরা দেশে আসলাম। শীতকাল, তাই ওকে নিয়ে আমরা সবাই খুব টেনশনে থাকি। ও তখন কেবল এক-পা দু'-পা করে হাটতে শিখেছে। পায়ে সু পড়তে চায় না, এমনকি মোজা পড়িয়ে দিলেও খুলে ফেলে। তখন আম্মু বুদ্ধি করলো, যে ওকে ঐ নেতার ছেলের মত আব্বুর মোজা পড়িয়ে দেবে। যেই ভাবা, সেই কাজ। আব্বুর মোজা পড়িয়ে, ট্রাউজার পড়ালে সে আর মোজা খুলতে পারে না। কিন্তু হাটতে গিয়ে যেই পিছলা খায়, তখনি ও মোজা নিয়ে বেকার টানা-টানি করে।

এখন তাকওয়া অনেকটা বড় হয়েছে, বুঝতে শিখেছে। এখন ঐসব কাহিনী বললে ও রেগে লাল হয়ে যায়। আমরাও ওকে খেপানোর জন্য বলে যাই, হি হি হি....

বিষয়: বিবিধ

১৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File