এক অসহায় সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের অত্যাচার

লিখেছেন লিখেছেন মিশেল ওবামা বলছি ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৫০:৫৩ দুপুর

আশা-দিশা দুই বোন। বাবা একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটির টিচার, মা হাউস-ওয়াইফ। বাহ্যিকভাবে বেশ সুখি পরিবার। কিন্তু এই পরিবারটিকে দির্ঘ তিন বছর খুব কাছে থেকে দেখে একটাই কথা বারবার মনে হয়, এধরনের বাবা-মাও কি পৃথিবীতে আছে? যেখানে বাবা-মা সন্তানের আশ্রয়স্হল হওয়ার কথা, সেখানে এদের দেখলে মনে হয় সন্তানের শত্রু...। যাক, আশা এবং দিশার মধ্যে আশা বড়। দেখতে খুব সুন্দরি, হটাৎ কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না যে আশা একটা মানসিক রোগী। রোগটা খুব একটা প্রকট নয়, কিন্তু বাবা-মা চায় সবাই যেন তাদের মেয়েটাকে পাগল হিসেবে চেনে। যেকারণে, ১৮/১৯ বছর বয়সি একটা মেয়েকে এমনভাবে চুল কেটে দেয়, যেটা একটা স্বাভাবিক মেয়েকে কেটে দিলেও পাগল এর মত দেখাবে। ছোট মেয়ে দিশাকে যেখানে দামী-দামী ড্রেস কিনে দেয়, সেখানে বড় মেয়েটাকে এমন ড্রেস পড়ায় দেখলে যে কেউ ভাববে বাড়ির কাজের মেয়ে। একদিন আমার কাছে আশা মেয়েটা আমার একটা থৃপিস দেখে বলছিলো যে এরকম থ্রি-পিস পরার আমারো খুব ইচ্ছা হয় জানো, কিন্তু আব্বু-আম্মু তো ওসব ভালো জামা-কাপড় দিশার জন্য কেনে। শুনে মনে হলো, আমার ঐ ড্রেসটাই দিয়ে দেই। আম্মুকে বলতেই আম্মুও দিয়ে দিতে বললো। ঐ আন্টির সামনে যেই না ওকে ড্রেসটা দিয়েছি, আর উনি রেগে গিয়ে বলতে লাগলেন, যে ও থ্রি-পিস সামলাতে পারবে বলেই আমরা ওকে কিনে দেই না। পরে অন্যদের কাছে আমাদের ব্যাপারে বলেছে যে আমরা নাকি আলগা দরদ দেখাই।

কিন্তু পাঠক বিশ্বাস করুণ, আশা মেয়েটা মোটেও পাগল নয়। একটু বাবা-মায়ের কাছ থেকে সহানুভুতি পেলে আমাদের বিশ্বাস ও কমপ্লিটলি সেরে উঠত। কিন্তু সহানুভুতির বদলে আংকেল-আন্টি যে ওকে কি অমানুষিক টর্চার করে তা কেউ নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবে না।

আশা করি, সবাই মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন....

বিষয়: বিবিধ

১৩৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File