২১ লাখ গ্রাহক বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের
লিখেছেন লিখেছেন যযবর ০৮ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৩৫:৫৭ বিকাল
গত এক বছরে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কার্যক্রমের আওতায় ২০ লাখের বেশি নতুন হিসাব গ্রাহক এবং এক লাখ তের হাজার বিনিয়োগ গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার দ্বিমাসিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও সেবা সমপ্রসারণ বিষয়ে আইবিবিএলের ঊর্ধতন নির্বাহীদের এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
আইবিবিএলের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকটির উর্ধ্বতন নির্বাহীরা মত দেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের যুক্ত হওয়া আইবিবিএলের প্রতি সাধারণ মানুষের অবিচল আস্থার প্রতিফলন।
সভায় আরো জানানো হয়, আইবিবিএল গত তিন দশকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচকে প্রতি পাঁচ বছরে প্রায় তিনগুণ প্রবৃদ্ধির অর্জনের মাধ্যমে দেশের শক্তিশালী অন্যতম শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আইবিবিএলের ব্যবস্থাপণা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় উপ-ব্যবস্থাপণা পরিচালক মোহাম্মদ শামসুল হক, মো. হাবিবুর রহমান, মো. নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবুল বাশার, মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এফসিএ ও এ.কে.এম. আব্দুল মালেক চৌধুরীসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, বিভিন্ন জোনসমূহের প্রধান ও কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে ২০১৩ সালের প্রথম দুমাসে ব্যাংকের আমানত, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স আহরণসহ সার্বিক ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
সভায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের কথা উল্লেখ করে আইবিবিএলের বিভন্ন খাত ভিত্তিক বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন ব্যবস্থাপণা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘আইবিবিএলের মোট বিনিয়োগের ৪৫% রয়েছে শিল্প খাতে। গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে দেশের মোট বিনিয়োগের ২১%, খাদ্য শিল্পে ৩৩.৪৪%, লোহা ও ইস্পাত শিল্পে ২১.৩৪%, এসএমই খাতে ১৭% বিনিয়োগ রয়েছে আইবিবিএলের।
ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের ৭% রয়েছে কৃষি ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাতে যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। বেসরকারি খাতের মোট সার আমদানির ৬৫% আসে আইবিবিএলের মাধ্যমে।
বিশ্বের মোট ইসলামী ক্ষুদ্র বিনিয়োগের ৫০% আইবিবিএল এককভাবে পরিচালনা করে, জানান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
ব্যবস্থাপণা পরিচালক আরো বলেন, ‘১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর আইবিবিএল দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার আস্থা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের সব বিধি, নীতিমালা ও নির্দেশ মেনে সুনাম ও দক্ষতার সাথে ইসলামী শরী’আহ মোতাবেক কাজ করে ইসলামী ব্যাংক বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় শামিল হয়েছে, যোগ করেন মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
তিন দশক পূর্তিলগ্নে ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহীদের স্মরণ করে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপণা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-গভর্নর আলহাজ্ব এম. খালেদ, শিল্প ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক সাবেক ব্যবস্থাপণা পরিচালক এম.এ করিম, সোনালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমির সাবেক অধ্যক্ষ এম. আযীযুল হক ও অগ্রণী ব্যাংকের নির্বাহী এম ইউসুফ চৌধুরীর নেতৃত্বে ইসলামী ব্যাংক তার কার্যক্রম শুর্ব করে।
এরপর সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপণা পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর লুৎফর রহমান সরকার, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উর্ধ্বতন নির্বাহী এম. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রকীব ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এম. ফরীদ উদ্দীন আহমদ বিগত বছরগুলিতে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসাবে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন