রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে বিবর্ণ স্বাধীনতার বীভৎস রূপ

লিখেছেন লিখেছেন যযবর ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৮:৪৯ দুপুর



স্বাধীনতা মানুষের জšমগত অধিকার। মানব জাতির ইতিহাসে কোন জাতিই রেডিমেট স্বাধীনতা পায়নি। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে সুদীর্ঘ সংগ্রাম আর বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৪৭ সালে আমরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের হটিয়ে অর্জন করেছিলাম প্রথম স্বাধীনতা। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে বীজ রোপিত হয় ১৯৭১ সালে সেটি মহীরুহ আকার ধারণ করে । ফলে রচিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান অধ্যায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে যদিও এ স্বাধীনতা এসেছে কিন্তু ৪০ বছর অতিক্রান্ত হলেও এদেশের মেহনতি জনতা দেখেনি প্রকৃত স্বাধীনতা। অর্থবহ হয়ে ওঠেনি স্বাধীনতার মৌলিকত্ব। জন্মলগ্ন থেকেই হায়েনার করাল গ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিপন্ন স্বাধীনতা, লাঞ্চিত মানবতা, শকুনের কালো থাবা আর ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার জন্যই যেন এসেছে এ স্বাধীনতা। শনির দশা যেন পিছু ছাড়ছেনা । হালাকু খান আর চেঙ্গিস খানের প্রেতাত্মারা সাময়িক বিরতি দিয়ে কলংকিত করে চলছে পবিত্র স্বাধীনতার শেষ আব্র“টুকু। তাই স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় কলংকের তিলক লেপ্টে বসেছে হতশাচ্ছন্ন জাতির রক্তাক্ত ললাটে। সত্যও বটে!এটিই মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক লজ্জাজনক বিরল রেকর্ড। ক্ষমতার মসনদে বসা দালালরা প্রভূদের খুশি করতে গিয়ে বিলিয়ে দিচ্ছে স্বতীত্ব ও স্বাধীনতা। আসলে এরা রক্তচোষা পিশাচ আর হায়েনা। মনে পড়ে ফররুখের সে অনবদ্য কবিতার কতেক পংক্তি-‘কাঁকর বিছানো পথ/কত বাঁধা, কত সমুদ্র, পর্বত/মধ্যদিনের পিশাচের হামাগুড়ি/শকুনি ফেলেছে ছায়া আমাদের মাথার উপরে উড়ি’। স্বাধীনতার নামে বিগত চার দশকেও যে আমাদেরকে নানা অজুহাতে কিভাবে পরাধীনতার শৃংখলে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে ধারাবাহিকভাবে এটি আমার আলোচনায় স্থান পাবে। এতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৪০ বছর পরেও আমরা পরাধীন এক জাতি। বলতে লজ্জা হয়, আজ তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দাবীদারদের নির্মম হাতে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, নিজেদেরে স্বার্থসিদ্ধির জন্য জলাঞ্জলি দিচ্ছে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব, বিচারাঙ্গনে চলছে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব, শেষ আশ্রয় ঘরে বসে থেকেও স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, দ্রব্য মূল্যের লাগাম ছেড়ে দেয়ায় দেশে চলছে হিডেন হাঙ্গার, দলীয় গডফাদার আর লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে ভেঙ্গে পড়ছে নিরাপত্তা ও আইন শৃংখলা!

এক.

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহনিীর বরিুদ্ধে জজ্ঞিাসাবাদরে নামে অপহরণ, গুম, খুন, গণহারে বরিোধী রাজনতৈকি নতোর্কমীদরে গ্রফেতার-নর্যিাতনরে অভযিোগ, নত্যিনমৈত্তিকি ছনিতাই, ডাকাত,ি র্ধষণ, চুক্তখিুনরে চক্রবৃদ্ধতিে থানা পুলশিরে যোগসাজশরে সন্দহে, অবলীলাক্রমে দাঙ্গা পুলশিরে গুলি চালনায় বরিোধীদলীয় মছিলিে দুই দনিে একনাগাড়ে পাঁচ নরিস্ত্র নরিপরাধ ব্যক্তরি মৃত্যুতে প্রমাণিত হয় দেশের সার্বিক আইন শৃংখলায় দেশের সর্বকালের সবচেয়ে চরম বিশৃংখলা ও অরাজকতা বিরাজ করছে। নাজুক পরিস্থিতিতে সর্বত্র ঘুমাট ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ১১ ফব্রেুয়ারি ভোর রাতে নজি বাড়তিে নৃশংস হত্যাকাণ্ডরে শকিার এক টলেতিারকা সাংবাদকি দম্পতরি রক্তাক্ত লাশ পাশরে ঘর থকেে ঘুম ভঙেে এসে তাদরে পাঁচ বছররে ছলেে আবষ্কিার করছে,ে তার মুখে মোবাইলে খবর পযে়ে ছলেরে নানী এসছে,ে পুলশি এসছে,ে প্রতবিশেী এসছে।ে সটো নযি়ওে যনে নাটক করছনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলশিপ্রধান। সাংবাদকি নর্মিল সনে স্বাধীনতা পরর্বতী চরম অরাজক পরস্থিতিতিে তনিি স্বাভাবকি মৃত্যুর গ্যারান্টি চয়েছেলিনে। ২০১১সালে গুম খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি, যা ২০১০ সালে ছিল ২৮টি। এগুলো শুধু পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, কিন্তু এর বাইরেও যে শত এমন ঘটনা লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে যাচ্ছে যার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সরকার গুম খুনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন পীড়নের জন্য ক্রসফায়র ও এনকাউন্টারের বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত অযুত খুনের ঘটনাতো সন্ত্রাসীদের রুটিন ওয়ার্ক যা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। আশংকার বিষয় হলো ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ মদদে তা সংঘটিত হচ্ছে। গুরুতর অপরাধরে সংখ্যা বৃদ্ধি সর্ম্পকে পুলশি সদর দপ্তর সূত্রে প্রকাশ, চলতি বছররে জানুয়ারি মাসে সারাদশেে ডাকাতি হয়ছেে ৬৯, দস্যুতা ৯৩ এবং চুররি ঘটনা ঘটছেে ৭৭৮ট।ি ফব্রেুয়ারি মাসে ডাকাতি হয়ছেে ৬৩, দস্যুতা ৯৯ এবং চুরি ৬৯৩ট।ি

দুই.

৭৫ এ স্বাধীন বাংলাদশেরে প্রথম সরকার যমেন ৪ টি পত্রকিা(২ টি দনৈকি, ১ টি সাপ্তাহকি, ১ টি মাসকি) বাদে বাকী ২২২ টি পত্রকিা বন্ধ করে দয়িে সাংবাদকি নর্যিাতনে ইতহিাস সৃষ্টি করছেলিনে ঠকি তমেনভিাবে র্বতমান সরকারও সাংবাদকি নর্যিাতনে ইতহিাস সৃষ্টি করতে চলছেনে। সাংবাদকি মাহমুদুর রহমান এর উপর নর্যিাতনরে ঘটনা র্সবজনবদিতি। র্সবশষে তনিটসিহ এ র্পযন্ত ৫২ মানহানরি মামলা করা হয়ছেে তার বরিুদ্ধ।ে আমারদশে পত্রকিা বন্ধ করে দওেয়া হয়ছেলি। ছুঁতো অভযিোগে বন্ধ করে দওেয়া হয়ছেে চ্যানলে ওয়ান ও যমুনা টভি।ি বাংলাভশিনরে ‘পয়ন্টে অব র্অডার’ সহ অনকে চ্যানলেরে টকশো বন্ধ করে দওেয়া হয়ছে।ে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যম ফসেবুকও বন্ধ করে দওেয়া হয়ছেলি এ সরকাররে আমলইে। আওয়ামীলীগরে ঢাকা-১৫ আসনরে সংসদ সদস্য কামাল আহমদে মজুমদার। কদনি আগে এই সংসদ সদস্য টলেভিশিন চ্যানলে আরটভিতিে র্কমরত র্অপণা সংি নামরে এক নারী সাংবাদকিকে দায়ত্বি পালনকালে নজি হাতে প্রহার করে হাত ভঙ্গেে দয়িছেনে। গত সাড়ে ৭ মাসে রাজধানীর জাতীয় দনৈকিে র্কমরত ১১ জন অপরাধবষিয়ক রপর্িোটারসহ ১৬ জন সাংবাদকিরে মোটরসাইকলে চুরি ও ছনিতাই হয়ছে।ে এ সময় ৩০ জনরে বশেি সংবাদর্কমী সশস্ত্র ছনিতাইকারীর কবলে পড়ছেনে। এসব ঘটনায় ২০ জনরে বশেি সাংবাদকি ও সংবাদর্কমী আহত হয়ছেনে। বঙ্গভবন র্পাকরে লংিক রোডে দুটি পালসার মোটরসাইকলেযোগে আসা ৪ জন ছনিতাইকারী ওই সাংবাদকিরে মাথা ও বুকে দু'টি পস্তিল ঠঁেকয়িে মোটরসাইকলেটি ছনিয়িে নয়িে যায়। একসময় গণমাধ্যমকে নয়িন্ত্রণ করা হত। বর্তমানে সাংবাদকি নর্যিাতনরে ঘটনা ঘটছে অহরহ। আরো ভয়াবহ আতংকরে কথা হল, এখন সাংবাদকিরা খুন হচ্ছনে নজিরে ঘরইে। শুধু সরকাররে এই তনি বছররে মাথায় দশেে সাংবাদকি খুন হয়ছেে ১৪ জন। এছাড়া ২০১১ সালে খুন হয়ছেে ৪ জন। ২৮ জানুয়ারি ২০১১, ৭৭ নয়াপল্টনরে বাসায় খুন হন প্রবীণ সাংবাদকি ফরহাদ খাঁ (৬০) ও তার স্ত্রী রহমিা খাঁ (৫৫)। ৭ ডসিম্বের গাইবান্ধার গোবন্দিগঞ্জ কুকরাইল এলাকায় গলা কটেে হত্যা করা হয় দনৈকি ভোররে ডাকরে গোবন্দিগঞ্জ জলো প্রতনিধিি ফরদিুল ইসলাম রঞ্জুক।ে ৭ এপ্রলি ঢাকার উত্তরা ও চট্টগ্রামর র্পোটকলোনতিে খুন হয়ছেনে ২ সাংবাদকি। পত্রকিায় প্রকাশতি তথ্যমত,ে ৭ এপ্রলি চট্টগ্রামরে র্পোটকলোনি এলাকায় দনৈকি আজকরে প্রত্যাশা, সাপ্তাহকি সংবাদচত্রি ও আজকরে র্সূযােদোয় পত্রকিার সাংবাদকি মাহবুব টুটুলকে হত্যা করা হয়ছে।ে একই দনি উত্তরার ৪ নম্বর সক্টেররে ১১ নম্বর সড়কে ১০ নম্বর বাসার বাসন্দিা সাপ্তাহকি বজ্রকন্ঠরে সাংবাদকি আলতাফ হোসনেরে লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ১১ দনি আগে থকেে নখিােঁজ ছলিনে সাংবাদকি আলতাফ। ২০১০ সালে খুন হয়ছেনে ৪ জন। তাদরে মধ্যে ঐ বছররে ৯ মে গুপ্তহত্যার শকিার হন বসেরকারী টলেভিশিন চ্যানলে এটএিন বাংলার সনিয়ির ক্যামরোম্যান শফকিুল ইসলাম টুটুল। ২০১০ সালরে ২৮ এপ্রলি খুন হন বশিষ্টি সাংবাদকি ফতহে ওসমানী। ২০১০ সালরে ২৩ ডসিম্বের প্রকাশ্যে দবিালোকে খুন হন বরশিালরে মুলাদী প্রসে কাবরে সভাপতি মনরি হোসনে রাঢ়ী। ২০০৯ সালে নহিত হয়ছেনে ৪ জন। ফব্রেুয়ারী মাসে ঢাকায় এনটভিরি ভডিওি এডটির আতকিুল ইসলাম আতকি, ডসিম্বেরে রূপগঞ্জে দনৈকি ইনকলিাব পত্রকিার সংবাদদাতা ও রূপগঞ্জ প্রসেকাবরে সহসভাপতি আবুল হাসান আসফি খুন হন।

তিন.

সম্প্রতি আর্ন্তজাতকি মুদ্রণ মাধ্যমরে সংবাদভাষ্য,ে বশিষে করে প্রবাসী একজন প্রবাসীকে অভযিুক্ত করে সেনা অভ্যূত্থানের নাটক সাজানো হয়। ওই প্রবাসী বলনে, এটা সাজানো ঘটনা। কোনো সনো চলাচলরে হদসি নইে, কোনো অস্ত্ররে খবর নইে, তাহলে ক্যু ঘটল কভিাব?ে কথতি অভ্যুত্থানে ইসলামপন্থী ও জঙ্গি সংশ্লষ্টিতা সর্ম্পকে আলামত হসিবেে সাংবাদকিদরে হাতে নষিদ্ধি হয্‌িবুত তাহরীররে একটি প্রচারপত্র সরাসরি প্ররেতি হয়ে এসছে।ে তবে ওই উসকানি আর খলোফতবাদী প্রচারবাহুল্য ছাড়া হাতনোতে কোনো জঙ্গি তৎপরতায় লপ্তি বা সক্ষম বলে হয্‌িবুত তাহরীর অনুসারী কোনো ব্যক্তি বা টমিরে খবর এ র্পযন্ত পাওয়া যায়ন।ি মূলত আর্ন্তজাতকি শান্তরিক্ষায় কৃতত্বিরে দাবদিার বাংলাদশে সনোবাহনিী জঙ্গসিংশ্লষ্টিতাদুষ্ট বলে যে র্দীঘ দনিরে ভারতীয় অপপ্রচার রয়ছে,ে তারই সাক্ষ্য হসিবেে রাষ্ট্ররে রক্ষাকবচ ওই প্রতষ্ঠিানটকিওে কলঙ্কতি সাব্যস্থ করতে সাজানো যনে ওই ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিা ২৯ জানুয়ারি সকালে আইজপিকিে তনি তারকা জনোরলেরে সমান পদর্মযাদার ব্যাজ পরযি়ে দনে। আইজপিরি র‌্যাংক ব্যাজ হসিবেে ক্রস র্সোডস ও ব্যাটনরে সাথে একটি স্টাররে পরর্বিতে এখন একটি শাপলা সংযোজন করা হয়ছে।ে একই সাথে র‌্যাঙ্ক ব্যাজরে সাথে সামঞ্জস্য রখেে তার গাড়তিে দুই তারকার পরর্বিতে তনি তারকা স্থাপন করা হয়ছে।ে এরপর আইজপিি ধানমন্ডতিে বঙ্গবন্ধুর প্রতকিৃততিে এবং এরপর রাজারবাগে পুলশি স্মৃতসিৌধে ফুল দযি়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তনিি পুলশি সদর দফতরে সাংবাদকিদরে সাথে মতবনিমিয় সভায় ব্যাখ্যা দনে, এটা একক কোনো প্রাপ্তি নয়, এটা প্রাতষ্ঠিানকি স্বীকৃত।ি এর মধ্য দযি়ে পুলশিরে র্মযাদা আরো বাড়ল। বসোমরকি প্রশাসনরে গুটকিয়কে র্কমর্কতার কৃতত্বিে সন্তুষ্ট সরকার তাদরে পদর্মযাদা বৃদ্ধি করছে,ে ভালো কথা। কন্তিু সামরকি বাহনিীর র্কমর্কতাদরে র্মযাদার সাথে ঘটা করে তার তুলনা ও তারকা সজ্জার প্রচার কনে? আর পুলশি প্রশাসনে সরকার যতই সন্তুষ্ট থাকুক না কনে, চাঁদাবাজ,ি অপহরণবাণজ্যি, খুনখারাব,ি ছনিতাই, ডাকাতরি, অত্যাচারে মানুষ অতষ্ঠি। পুলশিরে ওপর নাগরকিরে আস্থা নম্নিতম র্পযায়ে পৌঁছছে।ে পুলশিি চাঁদাবাজি আর ক্ষমতার অপব্যবহাররে দুষ্কৃতওি ঘটে চলছেে অহরহ। ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল ২০১১ সালে এই পুলিশ বাহিনীকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্র¯ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চার.

গত এক মাসরে ব্যবধানে চাল কজেতিে চার টাকা বড়েছে।ে পয়িাজ কজেতিে বড়েছেে ২০ থকেে ৩০ টাকা। ভোজ্যতলে লটিারে চার থকেে ছয় টাকা বড়েছেে তনি দনি।ে নয়িন্ত্রণহীন বাজারে আগুন, ক্রতোদরে নাভশ্বিাস। নতুন করে যুক্ত হয়ছেে চনি,ি আটা, ময়দা ও মটর ডাল। আটা কজেতিে চার টাকা করে বড়েছে।ে ভালো মানরে চালরে কজেি এখন ৪৫ থকেে ৫০ টাকা, যা এর আগে কখনো ছলি না। আর মোটা চাল ৩৪ থকেে ৩৬ টাকা। এদকিে দ্রব্যমূল্যকে বাগে আনতে ট্রডেংি করপোরশেন অব বাংলাদশেকে (টসিবি)ি অধকিতর র্কাযকর করার সুপারশি ঝুলে আছে ছয় মাস ধর।ে বাণজ্যি মন্ত্রণালয় এতে হাতই দয়েন।ি জনবলকাঠামো, র্অথনতৈকি সক্ষমতা বৃদ্ধ,ি সরকারি ক্রয়বধিি (পপিআির) থকেে অব্যাহতসিহ সংস্থাটকিে শক্তশিালী করার নর্দিশে দয়িছেলি প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়, তা মানা হচ্ছে না। ভারত পয়িাজ রপ্তানি বন্ধরে পর তনি দনিে পয়িাজরে দাম বাড়ার হার প্রায় ৫৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে কজেপ্রিতি ৮৫ থকেে ৯০ টাকা দরে ভারত থকেে আমদানি করা পয়িাজ বক্রিি হয়। নজি জমরি ফসলে বছররে খোরাক হয় না, এমন কৃষক পরবিারসহ নম্নি আয়রে সাধারণ মানুষ, যাদরে সংখ্যানুপাত অবশ্যই ৫০ শতাংশরে অনকে বশে,ি তারা ভাবছনে, যে যায় লঙ্কা সইে হয় রাবণ। ভোটরে আগে যারা দশ টাকা কজেি দরে চাল পাওয়া যাবে বলে নর্বিাচনী ওয়াদা দয়িছেলিনে, তারাই এখন বলছনে চালরে দাম বাড়াটা ভালো। সামষ্টকি র্অথনীততিে প্রবৃদ্ধরি হসিাব কষে বলছেনে, মহেনতি মানুষ মজুর-কামলা, মাঝ-িমাল্লা, কারগিররে খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হব।ে পটেপুরে ভাত খাওয়া অনষ্টিকর।

পাঁচ.

২১ ডসিম্বের ২০১১ র্অথমন্ত্রী মোট দশেজ উৎপাদনরে (জডিপি)ি সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধরি লক্ষ্যমাত্রা চলতি র্অথবছরে র্অজতি হবে কনিা তা নয়িে সংশয় প্রকাশ করে বললনে, "বাংলাদশেে বনিয়িোগরে হার খুবই কম। কোনো দশে যখন তার জডিপিি প্রবৃদ্ধরি হার সাত কংিবা আট শতাংশে উন্নীত করার পরকিল্পনা কর,ে তখন বনিয়িোগরে এই চত্রি মোটইে সুখকর নয়। দশেরে জডিপিরি প্রবৃদ্ধরি হার এখন ছয় শতাংশ। কন্তিু র্বতমান র্অথনতৈকি সংকট,ে বশিষেত মূল্যস্ফীতরি হার যখোনে র্ঊধ্বমুখী সখোনে এটা (নমে)ে কোথায় গয়িে দাঁড়াব,ে সে বষিয়ে আমি নশ্চিতি নই। বদ্যিুতরে দাম আবারও গ্রাহক র্পযায়ে বাড়ানোর ঘোষণা এসছে।ে এই দফা বৃদ্ধরি হার ২১ শতাংশ। ফলে আরকে দফা লাফ দয়িে মূল্যস্ফীতি ঘটতে চলছে।ে এরপরও র্অথমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে কি করে বোঝাবনে, দশেরে র্অথনীতি এখন সবচয়েে বশেি ভালো? বদৈশেকি মুদ্রার রজর্িাভ এখন দশেরে ইতহিাসে র্সবোচ্চ। আসলে মুদ্রার রজর্িাভরে বাস্তব চত্রিটা কী? একটি দশেরে আপৎকালীন ব্যয় মটোতে কমপক্ষে তনি মাসরে আমদানি দায় পরশিোধ করার মতো বদৈশেকি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। আইএমএফ বরাবরই বদৈশেকি মুদ্রার রজর্িাভ এক হাজার কোটি বা ১০ বলিযি়ন ডলার রাখার পরার্মশ দযি়ে আসছ।ে কন্তিু গত ১ ডসিম্বের বদৈশেকি মুদ্রার রজর্িাভ ৯৩০ কোটি ডলারে নমেে এসছে।ে আর ১১ ডসিম্বের তা আরো কমে নমেছেে ৯২০ কোটি ডলার।ে বাংলাদশে ব্যাংকরে র্কমর্কতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেনে, সামনে রজর্িাভ ৮০০ কোটি ডলারে নমেে আসব।ে ডলাররে দাম ৮৫ টাকা ছাড়যি়ে গছে।ে ডলার সঙ্কটরে কারণে প্রতনিযি়তই টাকার মান কমে যাচ্ছ।ে বাংলাদশে ব্যাংকরে এক পরসিংখ্যান থকেে দখো যায়, গত বছর ডসিম্বের থকেে এক বছরে ডলাররে বপিরীতে টাকার মান কমছেে ১০ টাকা। টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয়ও বাড়ছ।ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতরি চাপ। বাংলাদশে ব্যাংকরে র্সবশষে পরসিংখ্যান মত,ে অক্টোবর মাসরে চযে়ে নভম্বের মাসে রমেট্যিান্স কম এসছেে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলার। গত বছররে নভম্বেররে চযে়ে রমেট্যিান্স কম এসছেে আট দশমকি ৩২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতরি হালনাগাদ তথ্য নযি়ে প্রথমবাররে মতো সংবাদ সম্মলেন করে বাংলাদশে পরসিংখ্যান ব্যুরো (ববিএিস) বলছে,ে অক্টোবর মাসরে তুলনায় নভম্বেরে মূল্যস্ফীতি বডে়ছেে দশমকি ১৬ শতাংশ পয়ন্টে।

হাল আমলে র্অথনীতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বন্ধ হয়ে গছেে দশেী ও বদিশেী বনিযি়োগ। আমদানি কমে যাচ্ছ,ে রফতানওি আশাব্যঞ্জক নয়। রাজস্ব আদায়রে গতওি শ্লথ হয়ে পড়ছে।ে সরকাররে সবচযে়ে বড় বনিযি়োগ র্কমসূচি এডপিি বাস্তবায়ন অবস্থা লজেগেোবরে। শযে়ারবাজারে লাখ লাখ বনিযি়োগকারীর হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গছে।ে গত বছরই সরকার গুনে গুনে চারবার তলেরে দাম বাড়যি়ছে।ে চলতি বা আগামী মাসে তলেরে দাম বাড়ানো হবে আরো একবার। র্অথনতৈকি বশ্লিষেকরো বলছনে, সদূর অতীতে র্অথনীতরি অবস'া এর চযে়ে খারাপ ছলি মনে হয় না। র্অথনতৈকি সর্ম্পক বভিাগরে (ইআরড)ি তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১১-১২ র্অথবছররে জুলাই-ডসিম্বের সময়ে দশেে বদিশেী ঋণসহায়তা এসছেে মোট ৮০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৪১ কোটি ৫৩ লাখ ডলারই চলে গছেে আগরে নযে়া ঋণ ও সুদ পরশিোধ।ে ফলে ছয় মাসে নটি বদিশেী সহায়তা পাওয়া গছেে মাত্র ৩৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর আগরে র্অথবছরে এই সময়ে (জুলাই-ডসিম্বের) বদিশেী ঋণসাহায্য বাবদ এসছেলি ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যার মধ্যে আগরে ঋণ ও সুদ পরশিোধে সরকাররে ব্যয় হয়ছেলি ৩৮ কোটি আট লাখ ডলার। ফলে সরকাররে হাতে মোট ঋণসহায়তা ছলি ৬০ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। এই হসিাবে চলতি র্অথবছররে জুলাই-ডসিম্বের সময়ে আগরে বছররে একই সময়রে চযে়ে নটি বদিশেী সাহায্যরে পরমিাণ কমছেে ৩৫ শতাংশরে বশে।ি ২০১০-২০১১ র্অথবছরে জুলাই-ডসিম্বের সময়কালে দশেে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়ছেলি ৪০ শতাংশ। ২০১২ সালরে জানুয়ারি মাসওে ২০১১ সালে জানুয়ারি মাসরে চযে়ে রফতানি প্রবৃদ্ধি ব্যাপকহারে হ্রাস পযে়ছে।ে গরবি ও নর্দিষ্টি আয়রে মানুষরে শত্রু মূল্যস্ফীতকিে কোনোভাবইে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পয়ন্টে টু পয়ন্টে ভত্তিতিে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছলি ১১ দশমকি ৫৯ শতাংশ। ডসিম্বেরে তা ছলি ১০ দশমকি ৬৩ শতাংশ। তবে শহরে খাদ্যমূল্যস্ফীতি এখনো গ্রামরে চযে়ে বশেি এবং তা সাড়ে ১২ শতাংশরে ওপর।ে আর খাদ্যবহর্ভিূত মূল্যস্ফীতি তো শহরে ১৩ শতাংশরে ঘর ছুঁই ছুঁই করছ।েজানুয়ারতিে খাদ্যমূল্যস্ফীতি দাঁড়যি়ছেে ১০ দশমকি ৯০ শতাংশ এবং খাদ্যবহর্ভিূত খাতে মূল্যস্ফীতি হার ১৩ দশমকি ১৬ শতাংশ। জানুয়ারতিে গ্রামে মূল্যস্ফীতি দাঁড়যি়ছেে ১১ দশমকি ১৫ শতাংশ, যা ডসিম্বেরে ছলি ১৩ দশমকি ২৫ শতাংশ। দশেে পণ্য ও সবো উভয় বাণজ্যিইে ঘাটতরি পরমিাণ বড়েে চলছে।ে পণ্য রপ্তানরি তুলনায় আমদানি ব্যয় বশেি হওয়ায় বাড়ছে পণ্যবাণজ্যি ঘাটত।ি অন্যদকিে প্রবাসী আয়রে প্রবাহ শ্লথ হয়ে পড়ায় চলতি হসিাবরে ভারসাম্য উদ্বৃত্তাবস্থা নম্নিমুখী হয়ে পড়ছে।ে এ দুইয়রে সমন্বতি প্রভাবে লনেদনেরে সামগ্রকি ভারসাম্যে চাপ বড়েে গছে।ে চলতি ২০১০-২০১১ র্অথবছররে প্রথম সাত মাসে লনেদনেরে ভারসাম্যে ৭১ কোটি ১০ লাখ ডলাররে ঘাটতি দখো দয়িছে।ে অথচ গত র্অথবছররে একই সময় ২১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলাররে উদ্বৃত্ত ছলি। গত ৪০ বছরে বাংলাদশেে মানুষ যমেন বডে়ছে,ে তমেনি র্অথনীতওি বডে়ছে।ে ২০১০ সালরে আগে ৮-১০ বছর বাংলাদশেরে র্অথনতৈকি মৌল ভত্তিগিুলো স্থতিশিীল ছলি।

ছয়.

রাস্তা মরোমতে নানা র্শত ও বভিাজনযুক্ত করে র্অথমন্ত্রী ৬৯০ কোটি টাকা ছাড় দয়িছেনে। ১৯৯৬ সালে দশেে মোট রাস্তা ছলি ১৫ হাজার ৬০০ কলিোমটিার। ২০১০ সালে তা বড়েে দাঁড়য়িছেে ২১ হাজার ৪০ কলিোমটিার। ক্ষতগ্রিস্ত রাস্তা মরোমত ও সংস্কারে কি পরমিাণ র্অথ প্রয়োজন তা নর্ণিয়ে বশ্বিব্যাংক অনুমোদতি একটি আর্ন্তজাতকি র্ফমুলা রয়ছে।ে সে অনুযায়ী ২০০৮-০৯ র্অথবছরে মন্ত্রণালয়রে রাস্তা মরোমত ও সংস্কারে প্রয়োজন ছলি ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। অথচ র্অথ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দয়ে মাত্র ৬৫১ কোটি টাকা। একইভাবে ২০০৯-১০ র্অথবছরে ৪ হাজার ৪০৪ কোটি প্রয়োজন হলওে দওেয়া হয় ৬১০ কোটি টাকা এবং ২০১০-১১ র্অথবছরে ৪ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা প্রয়োজনরে ক্ষত্রেে ৬৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দওেয়া হয়। এছাড়া চলতি র্অথবছরে যখোনে রাস্তা মরোমত ও সংস্কারে ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন, সখোনে বরাদ্দ দওেয়া হয়ছেে ৬৯০ কোটি টাকা। প্রশ্ন হলো প্রয়োজনীয় ও বরাদ্দকৃত বাকী অর্থ গেল কার পকেটে?

সাত.

ক্ষমতাসীন দল রক্তের ঋণ পরিশোধকল্পে অসমাপ্ত 'ওয়ান ইলভেনে'র দ্বতিীয় ধাপ বাস্তবায়নরে দিকে বেসামাল গতিতে ছুটে চলছে। একজন দূত দৗেড়ে বড়োচ্ছনে ঢাকা-ওয়াশংিটন-নউিইর্য়ক-ক্যানবরো। এই নতো গত দুবছরে যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকায় সুশাসন নয়িে অন্তত দুটি সমেনিারে যোগ দনে। ওয়াশংিটনে চারদনিরে অবস্থানকালে ১/১১-এর পুরনো মুরব্িবদরে সঙ্গে কয়কেটি বঠৈক করনে। নউিইর্য়কে এসইে মঙ্গলবার রাতে জনোরলে মইনরে সঙ্গে গুরুত্বর্পূণ মটিংি করনে মামা-শ্বশুররে বাসায়। ৭ দনি থাকার পরকিল্পনা দ্রুত বাতলি করে সডিনরি টকিটি নয়িে জএেফকে ছাড়নে বৃহস্পতবিার। উদ্দশ্যে, অস্টলেয়িায় রাষ্ট্রদূত জনোরলে মাসুদরে সঙ্গে বঠৈক।

আট.

হাজার বছররে ইতহিাসে দশেী-বদিশেী শাসকরো দশেবাসীকে নানাভাবে বভিক্ত করার চষ্টো করে যে কাজটি করতে সক্ষম হয়ন,ি গত ৪০ বছরে তনি মযে়াদে ক্ষমতায় এসে বর্তমান সরকার সুচারুভাবে সটেি সম্পন্ন করছে।ে এই বভিাজন ভাষাগতও নয়, র্ধমীয়ও নয়। স্বাধীনতার পক্ষ’ ও ‘স্বাধীনতার বপিক্ষ’ শক্তি নামে দু’টি পক্ষ দাঁড় করযি়ে মাঝখানে একটি সীমারখো টনেে দযে়া হয়ছে।ে ২০০ বছর ধরে বশ্বিরে বহু দশে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে।ে কোথাও রক্তক্ষয় বশেি হয়ছে,ে কোথাও কম হয়ছে।ে কন্তিু এমন কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত কোনো একটি দশেরে শতভাগ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে ছলি। উপমহাদশেে ব্রটিশিরাজরে বরিুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াইয়রে সময় এর বরিোধতিা করার মতো যথষ্টে লোক ভারতজুড়ইে ছলি। তারও আগে ১৮৫৭ সালে ‘সপিাহি বদ্রিোহ’ নামে পরচিতি ভারতরে প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন র্ব্যথ হওয়ার পছেনে ভারতীয়দরে অবদানই ছলি বশে।ি তা না হলে তখনই ভারত থকেে ব্রটিশি সাম্রাজ্যবাদীদরে বদিায় নতিে হতো অথবা এ দশেইে তাদরে কবর রচতি হতো। দ্বজিাততিত্ত্বরে ভত্তিতিে ভারত বভিাজনরে সময়ও মুসলমানদরে একটি বড় অংশ পাকস্তিানরে বরিোধতিা করছেে এবং পাকস্তিান প্রতষ্ঠিতি হওয়ার পর ভারতইে রয়ে গছে।ে আবার অনকে হন্দিু অখণ্ড ভারতরে পক্ষাবলম্বন করওে শষে র্পযন্ত পাকস্তিানইে ছলিনে, যার প্রমাণ ধীরন্দ্রেনাথ দত্তরে নতেৃত্বাধীন পাকস্তিান কংগ্রসে। র্পূব বাংলা আইন পরষিদে কংগ্রসেরে ১৩ জন নর্বিাচতি সদস্যও ছলিনে। পাকস্তিান সরকার তাদরেকে দশেদ্রোহী হসিবেে বচিাররে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়ন।ি একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু দল-মতরে অস্তত্বি থাকব,ে এটইি স্বতঃসদ্ধি। এই সত্যকে মানতে না পারলইে বভিাজন ও সঙ্ঘাত অনবর্িায হয়ে ওঠ।ে

নয়.

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বভিন্নি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসরে সাথে সাথে 'র্ধষণ' প্রতযিোগীতায়ও তারা লপ্তি। পত্রকিার রপর্িোট অনুসারে প্রগতশিীল কছিু শল্পিীর কপালওে তারা র্দুগতরি কালমিা লপেন করছে।ে গত ৮ ফব্রেুয়ারি চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়ে ছাত্রলীগ র্কমীরা কড়েে নলি সম্ভাবনাময় নষ্পিাপ দুটি প্রাণ। ২০০৯ সালরে ফব্রেুয়ারি মাসইে প্রাচ্যরে অক্সর্ফোড নামে খ্যাত ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়ে ছাত্রলীগরে দু গ্রুপরে সর্ংঘষে জীবন দতিে হল মধোবী ছাত্র আবু বকর ছদ্দিকিক।ে ২০০৯ সালরে র্মাচ মাসে রাজশাহী বশ্বিবদ্যিালয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগরে হাতে প্রাণ দতিে হল শরীফুজামান নোমানীক।ে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়ে ছাত্রলীগরে দলীয় কোন্দলে খুন হয়ছেলিনে ছাত্রলীগ র্কমী আসাদ। র্বতমান সরকার ক্ষতায় আসার পর বশ্বিবদ্যিালয়গুলো কয়কে দফা বন্ধ ছলি- কখনো ছাত্রলীগরে সঙ্গে উপর্চাযরে বরিোধরে কারণ,ে কখনো – ছাত্রলীগরে দলীয় দ্বন্দ্বরে কারণ।ে

দশ.

যারা যুদ্ধাপরাধী তাদরে শাস্তি দয়োর চন্তিা ও ব্যবস্থা শখে মুজবিুর রহমান না করলওে এবং বচিাররে পরর্বিতে তাদরে ছড়েে দয়ি,ে শুধু ছড়েে দয়িে নয়, জুলফকিার আলী ভুট্টোর মতো এক নম্বর যুদ্ধাপরাধীকে বন্ধু হসিবেে আলঙ্গিন কর,ে ক্ষতবক্ষিত বাংলাদশেে আমন্ত্রণ জানয়িে সাদর আতথিয়েতার নর্দিশন স্থাপন করলওে এবং র্বতমানে যুদ্ধাপরাধী হসিবেে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নজিামীর নতেৃত্বাধীন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সমঝোতা করে সরকার গঠন করে এবং ১৯৯৬-২০০১ র্পযন্ত তাদরে সরকাররে ময়োদকালে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে ব্যাপারে কোন পদক্ষপে না নলিওে এখন সরকার যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার সব সমস্যার থকেে বশেি গুরুত্ব দেিচ্ছ। যুদ্ধ এমন জনিসি যা বসোমরকি রাজনতৈকি নতেৃত্বরে দ্বারা শুরু হলওে সামরকি বাহনিী এবং সামরকি লোকজনই তাতে মূল ভূমকিা পালন কর।ে দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধে হটিলার ছলি এক নম্বর যুদ্ধাপরাধী। তার মৃত্যুর পর সোভয়িতে ইউনয়িন ও র্মাকনি যুক্তরাষ্ট্ররে পরচিালনায় যুদ্ধাপরাধীদরে যে বচিার হয়ছেলি তাতে একমাত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিনেট্রপ ছাড়া অন্য সবাই ছলি সামরকি বাহনিীর লোক। বাংলাদশেে এখন যুদ্ধাপরাধীদরে যে বচিার হচ্ছে তাতে সামরকি বাহনিীর লোকজন, র্অথাৎ পাকস্তিানি সামরকি বাহনিীর কোন লোকজনই নইে। সামরকি বাহনিীর কোন বাঙালি অফসিারও নইে। শখে মুজবিুর রহমান ভুট্টোর সঙ্গে সখ্য স্থাপন করে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সামরকি অফসিারকে পাকস্তিানে ফরেত পাঠানোর ব্যবস্থা করছেলিনে। এ সবই যে ১৯৭১ সালরে যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে পরর্বিতে তাদরে ক্ষমা করে দয়োরই ব্যাপার ছলি, এ নয়িে কোন সুস্থ ও মতলববহিীন লোকরে বর্তিকরে অবকাশ নইে। জামায়াতে ইসলাম তাদরে শরীকদের সাথে জোট করার কারণে এবং বাংলাদেশের মাটি থেকে ইসলামকে নির্মূল করার জন্যই মূলত ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালারদের যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক রেখে বিচারের নামে প্রহসন করছে বর্তমান সরকার। তবে ক্সমতাসীনদেও জেনে রাখা উচিত কোন সীমালংঘনের ফলাফল ভাল নয়, পৃথিবীর ইতিহাস এ সাক্ষ্যই দেয় ।

মুহাম্মদ (সঃ) ও তাঁর সাহাবীরা ঈমানরে অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ছেনে। পৃথবিীতে যখনই হকরে আওয়াজ উঠছেলি তখনই বাতলি পন্থীদরে পক্ষ থকেে নর্যিাতন চালানাে হয়ছে।ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে নক্ষিপে, জাকারয়িা (আঃ) কে করাত দ্বারা হত্যা করা হয়। হযরত ইয়াহইয়ার শরিচ্ছদে করে ইয়াহুদী শাসক হরিােডয়িাস তার প্রমেকিাকে উপহার দয়িছেলি। হযরত ইলয়িাসকে হত্যার চষ্টো করা হলে তনিি সনিাঈ দ্বীপে আশ্রয় ননে। হযরত ইয়ারময়িাহকে ক্ষুধা ও পপিাসায় মরেে ফলোর জন্য রশি দয়িে বঁেধে কুয়ার মাঝে ঝুলয়িে রাখা হয়। এভাবে হযরত ঈসাকে শুলতিে চড়ানাের চষ্টো, মুসা(আঃ) কে দশে ত্যাগে বাধ্য করা সহ অসংখ্য নবী রাসুলকে হত্যা-নর্যিাতন করা হয়। আল্লাহর রাসূল তাঁর আসহাবকে সে সব নর্যিাতনরে কথা স্মরণ করয়িে দয়িে বলনে, তােমাদরে আগে অতীত কালে এমন লােকও ছলি লােহার চরিুনী দয়িে যাদরে গােশত চঁেছে ফলো হয়ছেলি। হাড্ডি ছাড়া তাদরে শরীরে আর কছিুই ছলিনা। ধর্যৈ ও সহষ্ণিুতা ও হকিমতরে মাধ্যমে ইসলামী দাওয়াতী কাজ অগ্রসর হয়ছে।ে হযরত বলোলরে উপর কি অমানবকি নর্যিাতন করা হয়ছেলি? প্রচন্ড গরম বালুর উপর শুইয়ে দয়িে বুকে পাথর চাপা দয়ো হয়ছেলি। তবুও তনিি আহাদ আহাদ বন্ধ করনেন।ি হযরত আবূ যারকে ঈমান আনার কারণইে রক্তাক্ত হতে হয়ছে।ে সুর্দশন যুবক মাসয়াব বনি উমাইরকে দ্বীনরে দাওয়াত কবুল করার পর ত্যাগ করতে হয়ছেে সকল সহায় সম্পদ। হযরত আমরে বনি ফাহরিার শরীর কাঁটা দয়িে বদ্ধি করা হয়ছে।ে এ ধরনরে নর্যিাতনে তাঁর দৃষ্টি শক্তি লােপ পায়। হযরত খাববাবকে জ্বলন্ত অংগারে শুইয়ে রাখা হতাে তাঁর র্চবতিে আগুন নভিে যতোে। হযরত আমরেকে পানতিে ডুবয়িে নর্যিাতন করা হয়। তাঁর মা হযরত সুমাইয়ার লজ্জাস্থানে র্বশা নক্ষিপে করে শহীদ করে দয়ো হয়। তাঁর পতিা ইয়াসীর ও ভাই আব্দুল্লাহ নর্যিাতনরে শকিার হয়ে শাহাদাত বরণ করনে। হযরত যায়দে বনি দাসানাকে বলা হয় “তােমার পরর্বিতে মুহাম্মদকে শুলে চড়ালে তুমি কি সহ্য করব?ে তনিি জবাব দনে তাঁকে শুলে চড়ানােতাে দুরে কথা তাঁর পায়ে কাটার ফােঁটাও সহ্য করবােনা। এ কথা শােনার পর তাঁর উপর অর্বণনীয় নর্যিাতন করা হয় ফলে তনিি শহীদ হয়ে যান। হযরত হামজার কলজিা চবিয়িে খাওয়া হয়ছে।ে এভাবে অসংখ্য সাহাবীকে অর্বণনীয় নর্যিাতন সহ্য করে দ্বীনরে পথে চলতে হয়ছে।ে তনিি সে সময় ঘােষণা করছেনে, তােমরা কি মনে করছাে, এমনতিইে তােমরা জান্নাতে প্রবশে করে যাব?ে অথচ তােমাদরে আগে যারা ঈমান এনছেলি তাদরে উপর যা কছিু নমেে এসছেলি এখনও তােমাদরে উপর সে সব নমেে আসনে।ি তাদরে উপর নমেে এসছেলি কষ্ট ক্লশে ও বপিদ মসবিত, তাদরেকে প্রকম্পতি করা হয়ছেলি। এমনকি সমকালীন রাসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান এনছেলি তারা চৎিকার করে বলে উঠছেলি, আল্লাহর সাহায্য কবে আসব?ে তখন তাদরেকে এই বলে স্বান্ত্বনা দয়ো হয়ছেলি, অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য নকিট-ে (বাকারা ২১৪)। আজকরে যুগওে যারা সত্য ও ন্যয়রে পথে চলছনে তারা যালমেদরে যুলমরে শকিার হচ্ছ।ে যালমেরে এই ধরনরে যুলমরে শকিার শুধূ অমুসলমিদরে দ্বারা হচ্চনো। বরং পৃথবিীর অনকে মুসলমি দশেে অনকে কথতি মুসলমি শাসকরে হাতওে চরম নর্যিাতনরে শকিার হচ্ছে অনকে সত্যপন্থী মানুষ। ফলিস্তিীন, কাশ্মীর, ইরাক, বসনয়িাসহ পৃথবিীর নানাদশেে যখন অমুসলমিরা সরসরি অঅক্রমন করে তখন আমরা তা সহজইে দখেি এবং প্রতবিাদমুখর হয়ে উঠ।ি কন্তিু মশির, বাংলাদশে, আলজরেয়িা, পাকস্তিানসহ বভিণ্নি মুসলমি দশেে মুসলমি শাসকদরে হাতে যখন মুসলমানরো নর্যিাততি হয় তখন সে খবর খুব কম লােকই রাখ।ে আমরা জানি কভিাবে সাইয়দে কুতুবকে ফাঁসি দয়ো হয়ছে।ে তাঁকে প্রচন্ড জ্বররে মধ্যে গ্রপ্তোর করে নয়িে যাওয়া হয়ছে।ে জলেখানায় একটি ছােট কুটরিে রাখা হয়ছে।ে র্দীঘসময় একটি চয়োরে বসয়িে রাখা হয়ছেে বংিশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রষ্ঠে ইসলামী চন্তিা নায়কক।ে শকিারী কুকুর ছড়েে দয়ো হয়ছেে তাঁকে কামড় দয়োর জন্য। তার সাথে অন্যরা খতোে কন্তিু তাঁকে কােন পানি র্পযন্ত দয়ো হয়নি কয়কেদনি। এইভাবে যুলম করইে তারা ক্ষান্ত হয়নি তাঁকে ইসলামী সমাজ বপ্লিবরে পথ বইটি লখোর কারণে মথ্যিা অজুহাতে ফাঁসি দয়ো হয়ছে।ে যালমে নাসরে একদকিে যুলম এর ষ্টীমরােলার চালায় অপরদকিে তাঁকে মশিররে শক্ষিামন্ত্রী হওয়ার আপােষ প্রস্তাব দয়ে। কন্তিু তনিি ঘৃণাভরে শক্ষিামন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করনে। যইে রাতে তাঁকে ফাঁসি দয়ো হয় সইে রাতওে তাঁর ছােট বােন হামদিা কুতুবকে দয়িে আপােষ প্রস্তাব দয়ো হয় কন্তিু তনিি তা প্রত্যাখ্যান করনে। এরপর যালমি নাসরে এর নর্দিশেে ফজররে নামাযরে সময় তাঁকে ফাঁসি দয়ো হয় এবং তার লাশ গােপনে কােথায় দাফন করা হয় তা আজও জানা যায়ন।ি ইমাম হাসানুল বান্নাকে শহীদ করার পর তার আত্মীয় স্বজন ছাড়া আর কাউকে জানাযায় উপস্থতি হতে দয়ো হয়ন।ি তাঁর বৃদ্ধ আব্বা শহীদ হাসানুল বান্নার কফনি কবরে রাখনে। ইখওয়ানরে লাখাে র্কমী চােখরে পানি ফলেে বুক ভজিায় কন্তিু তাদরে প্রয়ি নতোর জানাযাতওে উপস্থতি হতে পারনেন।ি কারাগারে রাত দনি বইতে সাইয়দোহ যয়নাব আল গাজ্জালী ইখওয়ানরে র্কমীদরে উপর নর্যিাতনরে যইে ববিরণ দয়িছেনে। বাংলাদওে তা শুরু হয়ছে।ে র্বতমান সরকার শুধু জামায়াতে ইসলামী নয় বরং বক্সিএনক্সপসিহ অন্যান্য ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী শক্তকিওে র্টাগটে । আল্লাহ তায়ালা অপরাধরে কারণে কছিু যালমিকে দুনয়িাতে শাস্তি প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেনে। এই প্রসঙ্গে কুরআনে ইরশাদ হচ্ছ:ে আমি আদ ও সামূদ জাতকিে ধ্বংস করছে।ি তারা যখোনে থাকতো সসেব জায়গা তোমরা দখেছেো। (সুরা আল কাসাসঃ ৫৮)। এই প্রসংগে আল্লাহ তায়ালা কুরআনরে অন্য জায়গায় ইরশাদ করনে: তাদরে কাছে কি তাদরে আগরে লোকদরে খবর পৌঁছনে-ি নূহরে কাওম, আ’দ ও মাসূদ, ইবরাহীমরে কাওম, মাদায়নেরে বাসন্দিা ও ঐসব বস্ত,ি যা উল্টয়িে ফলো হয়ছে?ে তাদরে কাছে রাসূলগণ স্পষ্ট নশিানা দয়িে এসছেলিনে। সুতরাং তাদরে উপর যুলুম করা আল্লাহর কাছে ছলিোনা, বরং তারা নজিরোই নজিদেরে উপর যুলুম করছে(েতাওবাহ-৭০)।

এগার.

অধকিার’, আর্ন্তজাতকি মানবাধকিার সংস্থা ‘হউিম্যান রাইটস ওয়াচ’ এবং পশ্চমিবঙ্গরে মানবাধকিার সংস্থা ‘মাসুম’-এর ‘ট্রগিার হ্যাপ’ি র্শীষক প্রতবিদেন অনুসারে গত ১০ বছরে সীমান্তে ভারতীয় বাহনিী বা তাদরে মদদে ভারতীয় নাগরকিদরে হাতে খুন হয়ছেে এক হাজাররে বশেি মানুষ (র্অথাৎ প্রতবিছর প্রায় ১০০ জন)। বএিসএফ এই সংখ্যা সব সময় কময়িে বল,ে কন্তিু নয়িমতিভাবে যে তাদরে গুলতিে বাংলাদশেরে মানুষরে মৃত্যু হচ্ছ,ে এটি তারা অস্বীকার করতে পারনেি কখনো। অধকিাররে প্রধান অ্যাডভোকটে আদলিুর রহমান এ বছর ১৯ জানুয়ারি ববিসিকিে দওেয়া সাক্ষাৎকারে ভারত-বাংলাদশে সীমান্তকে তাই পৃথবিীর সবচয়েে রক্তরঞ্জতি সীমান্ত হসিবেে র্বণনা করছেনে। অ্যাডভোকটে আদলিুররে বক্তব্য অতশিয়োক্তি নয়। ইউনাইটডে স্টটেস র্বডার পট্রেোলরে হসিাব অনুসারে প্রতবিছর গড়ে মক্সেকিো-আমরেকিা র্বডারে দুই শতাধকি মানুষ নহিত হয়। এর অধকিাংশই মারা যায় অবধৈভাবে র্দুগম সীমান্ত অতক্রিমকালে নদীতে ডুব,ে গাড়ি র্দুঘটনায় বা মাদক চোরাচালানি চক্ররে সঙ্গে গোলাগুলতি।ে কন্তিু র্মাকনি সীমান্তরক্ষী বাহনিীর হাতে মক্সেকিোর নরিস্ত্র মানুষ গুলি খয়েে মরছ,ে এ ঘটনা খুব বরিল এবং এমন ঘটনা ঘটলে বচিারকি তদন্ত করে অপরাধীদরে বরিুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথবিীর আরকেটি রক্তরঞ্জতি সীমান্ত ফলিস্তিনি-ইসরায়লে। ইসরায়লেি ‘সন্টোর ফর হউিম্যান রাইটস ইন দ্য অকুপাইড টরেটিোর’ির হসিাব অনুসার,ে গত ১০ বছরে (২০০০-২০১০) ৬৫৩৭ জন ফলিস্তিনিি এবং ১০৯২ ইসরায়লেি মারা গছেে প্রতপিক্ষরে হাত।ে অধকিাংশ ক্ষত্রেে এসব মৃত্যু ঘটছেে দুই যুদ্ধরত পক্ষরে গোলাগুলতিে বা প্রতশিোধমূলক হামলায়। অন্যদকিে গত ১০ বছরে ইসরায়লেরে মাটতিে বা ইসরায়লে-ফলিস্তিনি সীমান্তে হত্যা করা হয়ছেে ৭২ জন ফলিস্তিনিকিে (প্রতবিছর সাত জন)। সীমান্তে বএিসএফরে হত্যাযজ্ঞ আর্ন্তজাতকি আইনরে সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদশে ও ভারতরে জন্য প্রযোজ্য বহু আর্ন্তজাতকি চুক্তি (যমেন: ১৯৬৬ সালরে ইন্টারন্যাশনাল কনভন্টে অন সভিলি ও পলটিক্যিাল রাইটস, ১৯৮৪ সালরে কনভনেশন অ্যাগইেনস্ট র্টচার) এবং নীতমিালা অনুসারে (যমেন বসেকি প্রন্সিপ্যিাল ফর দ্য ইউজ অব র্ফোস অ্যান্ড ফায়ার র্আমস বাই ল এনর্ফোসমন্টে অফশিয়িালস) এভাবে নর্বিচিারে গুলর্বিষণ করে হত্যা মানবাধকিাররে গুরুতর লঙ্ঘন। রোম স্ট্যাটউিট অনুসারে ‘সস্টিমেটেকি’ ও ‘ওয়াইডস্প্র্রডে’ হসিবেে এসব হত্যাকাণ্ড আর্ন্তজাতকি অপরাধ আদালত র্কতৃক আমলে নওেয়ার মতো গুরুতর অপরাধ বলওে ববিচেতি হতে পার।ে ফলোনি এদশেরে কোন ইভটজিাররে নাম নয়, পুলশিরে তালকিাভুক্ত আসামী নয়, আমাদরে তথাকথতি বন্ধু রাষ্ট্র ভারতরে জন্য হুমকওি নয়। তারপরও তাকে নর্মিমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়ছে।ে কারণ তার দোষ একটাই, সে স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদশেরে নাগরকি। তার এই পরচিয় ব.িএস.এফ. নামক নরপশুদরে সহ্য হবে কনে? গড়ে প্রতদিনিই তারা কোন না কোন সীমান্তর্বতী মানুষকে হত্যা করছ।ে বাংলাদশেীদরে হত্যা করা তাদরে কাছে সকালরে চা পানরে মত। মানবাধকিার সংস্থা অধকিাররে অনুসন্ধান অনুযায়ী গত ১০ বছরে ব.িএস.এফ’র হাতে বাংলাদশেী নাগরকি খুন হয়ছেে ৯২২ জন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৭৪ জন, ২০০৯ সালে ৯৮ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০১ সালে ৯৪ জন। অথচ এই সময়রে মধ্যে অনকেবার ব.িড.িআ’র-ব.িএস.এফ এর মধ্যে অনকেবার বঠৈক হলওে তা কাজে আসনে।িপর র্অথনতৈকিস্বাধীনতার ভাবে বাংলাদশে যখন দউেলয়িাপ্রায়, সইে সংকটময় মুর্হূতওে এ দশেরে কছিু কুলাঙ্গাররে সহায়তায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভারতে পাচার হয়ছে।ে আর এ পাচাররে ভয়াবহতায় বাংলাদশে খুব অল্প সময়রে মধ্যে পরনিত হয়ছেে তলাবহিীন ঝুড়তি।ে বশ্বিবাসী দখেছেে একটি সম্পদশালী দশে পাশে থাকার পরও ’৭৪ এর র্দুভক্ষিে কত অসহায় ছলি বাংলাদশেরে মানুষ। বাংলাদশে সলিটে সীমান্ত থকেে প্রায় ১০০ কলিোমটিার র্পূবে বরাক নদীর সঙ্গমস্থল থকেে মণপিূর রাজ্যরে দক্ষণি পশ্চমিে প্রায় ৫০০ মটিার দূরে সংর্কীণ গরিখিাতে টপিাইমুখী বাঁধরে অবস্থান। বরাক নদী সলিটেরে জকগিঞ্জ উপজলো দয়িে প্রবশে করে দু’ভাগে বভিক্ত হয়ে পুরো বৃহত্তর সলিটে জলোকে সক্তিতি করছে।ে এর উত্তররে ধারা কুশয়িারা নদীর নাম নয়িে সুনামগঞ্জ, হবগিঞ্জ, মৌলভীবাজারকে করছেে পান,ি পলি ও প্রাণ-প্রার্চুযে ভরপুর। আবার এ ধারাটইি হবগিঞ্জরে দক্ষণিে মূলধারার সাথে একত্র হয়ে ভরৈবরে কাছে মঘেনা নদীর জন্ম দয়িছে।ে উল্লখ্যে বরাক, সুরমা, কুশয়িারা, মঘেনা নদীর ব্যবস্থার দুই তৃতীয়াংশরে শরীক বাংলাদশে। ফলে বরাকে যদি বাঁধ পড়ে তাহলে প্রকৃতপক্ষে সুরমা, কুশয়িারা, মঘেনা বধিৌত অঞ্চলগুলো ভয়াবহ পরবিশে বর্পিযয়রে মুখে পড়ব।ে বশিষেজ্ঞদওে মতে এ বাঁধ ফারাক্কা বাঁধরে চয়েওে মারাত্মক পরবিশে বর্পিযয় ডকেে আনব।ে এ বাধ নর্মিাণ হলে ১০ বছররে মধ্যে বাংলাদশেরে উত্তর-র্পূবাঞ্চল, র্পূবাঞ্চল ও দক্ষণি র্পূবাঞ্চলে প্রাকৃতকি বর্পিযয় হবে মরুভূমরি সমতুল্য। ফলে সলিটেরে এক কোটি বশি লাখ মানুষ, মঘেনা অববাহকিার ঢাকা অঞ্চলরে ষাট লাখ মানুষ, কুমল্লিা অঞ্চলরে ষাট লাখ এবং বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলরে প্রায় চল্লশি লাখ মানুষসহ প্রায় তনি কোটি মানুষ সরাসরি পরবিশে বর্পিযয়রে মুখে পড়ব।ে র্পযায়ক্রমে পুরো দশে বর্পিযয়রে আগ্রাসনে র্পযবসতি হব।ে ভাটির দেশ বাংলাদেশের উজানে ৫৪টি নদীর পানির উৎসে বাঁধ দিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারত দৃশ্যমান নদ-নদীগুলোর ওপর ৩৬০০টি বাঁধ বেঁধে ফেলেছে। আরো ১০০০ বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। ফারাক্কা, টপিাইমুখরে মাধ্যমে ভারত বাংলাদশেরে পানি দখল করছে।ে একইভাবে ভারতীয় পণ্যরে মাধ্যমে বাংলাদশেরে বাজার দখল, ভারতীয় চলচ্চত্রি এবং টলেভিশিনরে মাধ্যমে বাংলাদশেরে সংস্কৃতি দখল করছে।ে র্সবশষে করডিোররে মাধ্যমে বাংলাদশেরে র্সাবভৌমত্ব দখলরে পাঁয়তারা চলছ।ে

বার.

সম্প্রতি আমাদরে বুদ্ধদিীপ্ত তরুণসমাজ ভারতরে সঙ্গে অন্য প্রকাররে এক প্রতরিোধযুদ্ধে অবর্তীণ হয়ছে।ে তারা ভারতরে রক্তপপিাসু সীমান্তরক্ষী বাহনিী বএিসএফরে ওয়বেসাইট (িি.িনংভ.হরপ.রহ) হ্যাকংিয়রে মাধ্যমে অকজেো করে দয়িছে।ে ভারতরে হায়দরাবাদ থকেে প্রকাশতি বহুল প্রচারতি ইংরজেি দনৈকি ডকোন ক্রনকিল-এর খবর অনুযায়ী, ডজিটিাল বদ্যিায় পারর্দশী একদল বাংলাদশেী তরুণরে হাতে সাইবারযুদ্ধে ভারতরে শোচনীয় পরাজয় (!) ঘটছে।ে বাংলাদশেভত্তিকি ব্ল্যাক হ্যাট হ্যার্কাস গ্রুপ বাংলাদশেরে বরিুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসনরে প্রতবিাদে বএিসএফ, শয়োরবাজার বষিয়ক সংবাদ ওয়বেসাইটসহ আমাদরে সাম্রাজ্যবাদী প্রতবিশেী রাষ্ট্ররে প্রায় ২০ হাজার সাইটে ওই আক্রমণ চালয়িছে।ে এসব সাইট হ্যাক করার পর সখোনে যে বক্তব্য ও দাবগিুলো পোস্ট করা হয়ছে,ে তা হলো তাদের ভাষায়- ১.ভারত ১৯৭১ সালে আমাদরে সর্মথন করছে।ে এখন তারা আমাদরে হত্যা করছ।ে একজন ভণ্ড বন্ধুর চয়েে একজন প্রকাশ্য শত্রু ভালো। আমি মৃত্যুর পরোয়া করি না। জয়ী না হওয়া র্পযন্ত আমি আমার মাতৃভূমরি জন্য যুদ্ধ অব্যাহত রাখব। ২.ভারতরে সঙ্গে আমাদরে কোনো ব্যক্তগিত শত্রুতা নইে। কন্তিু বএিসএফরে র্ববরতা এবং র্সবোপরি ভারত সরকার এটা করতে আমাদরে বাধ্য করছে।ে ৩.বএিসএফ সীমান্তে বাংলাদশেীদরে হত্যা বন্ধ কর।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File