৭১'এর অভিশাপ ও আমাদের স্বাধীনতা (৪০+ পোস্ট। অতএব নিজ দায়িত্বে)
লিখেছেন লিখেছেন আল মুহাজির শাইখ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫৮:৩৫ বিকাল
১৯৭২ সন। বাঙালী জাতির গলায় ভারতীয় লাগাম পরানো হলো মাত্র ক'মাস। গোটা জাতির অন্তরভর্তি শুধু পাকিস্তান-বিদ্বেষ। দাঁড়ি-টুপি মানেই পাকিস্তানী কিংবা পাকিস্তানপ্রেমী। এমন মনোভাব নিয়ে সবে পথচলা শুরু হলো হতভাগা এই পরাধীন জাতির।
প্রতিটি ক্যান্টনমেন্টের গেট ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে বিশেষ চৌকি। তাদের কাজ শুধু একটাই। জোরপূর্বক দেশপ্রেম আদায়। যাকে ইচ্ছা তাকে ধরেই প্রথম প্রশ্নঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা মারা গেছে তারা কি শহীদ হয়েছে?
নেতিবাচক উত্তর দিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে কতজন যে নাজেহাল কিংবা কারাবাসী হয়েছেন তার কোন শুমারী নেই। মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি, নেজামে ইসলাম পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও অনেক বড় বড় উলামায়ে কেরাম ব্যক্তিগতভাবে দেশ বিভক্তির বিরোধী ছিলেন। তাদের যুক্তির সাথে ঐকমত্য পোষণ করায় আমার আজও কেন যেন লাল-সবুজ সহ্য হয় না।
যাহোক, অনেকেই নিজেদের দেশ (পাকিস্তান) বিভাগের এই তথাকথিক মুক্তিযুদ্ধকে প্রকাশ্য ঘৃণা করতেন এবং এই বিরোধিতাকে দেশপ্রেম মনে করতেন। যত বিপত্তিই আসুক, তারা প্রকাশ্যে বাংলার হুজুগে দামালদের শহীদ বলতে নারাজ। কারণ, এই হতভাগ্যরা যা করে হুজুগের কারণেই করে। এই অভাগাদের "হুজুগে বাঙালী" গালিটা পাওয়ার সবচে' অকাট্য যুক্তিই হলো ৭১'।
একবার কুমিল্লা ময়নামতি ক্যন্টনমেন্ট মসজিদে এক তাবলীগ জামাতের রোখ হলো। গেটে পৌছামাত্র প্রশ্নঃ মরা মুক্তিযোদ্ধাদের শহীদ মনে করেন? সবাই নীরব। বুঝতে বাকী রইলো না, আল্লাহর মহাকঠিন পরীক্ষায় তারা নিপতিত। আমীর সাহেব নীরবতা ভেঙ্গে স্বভাবসূলভ আল্লাহর বড়ত্বের কথা শুরু করলেন। একে একে নামাজ, ইলম, যিকির, ইকরাম, ইখলাস, দাওয়াত সব শেষ করে যখন থামলেন ততক্ষণে পুরো বাহিনী আত্মীক স্বাদে অবস হয়ে গেছে। জামাত রওয়ানা হলো মসজিদের দিকে। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা কালো মোটা গ্রুপলিডারের চেঁচানো শুনে আচমকা ঘোর কেটে গেলো সবার। আবারো ফিরিয়ে আনা হলো জামাতকে। পূণরায় প্রশ্নঃ হুজুর, কত কিছুই তো কইলেন। প্রশ্নের জবাবতো দিলেন না।
-কী যেন প্রশ্ন করেছিলেন?
(প্রশ্ন শুনে) ও হ্যাঁ, খুব সুন্দর প্রশ্ন। আসলে আমরা সবাই তো জানি, শহীদের লাশ কখনো পঁচে না। মাটি খায় না। পোঁকা ধরে না। তাই না? তাহলে এবার চলুন, সবাই যাচাই করি, তারা শহীদ কি না। আপনারা কয়েকটা কোদাল নিয়ে আসেন। আর সাথীভাইরা! আপনারা সবাই কাঁধের গাট্টিগুট্টি পাশে রেখে কোঁদাল চালাইতে তৈরী হোন।
ব্যস্!!! নিন্দুকদের মুখে জুতা মেরে আল্লাহ তা'আলাই তার মেহমানদেরকে হেফাযত করলেন।
×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
সর্বশেষ কথাঃ লেখাটি পড়ে কেউ কেউ মনোক্ষুন্ন হতে পারেন। ভাবতে পারেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন অশ্লীল কথা?
জবাবে শুধু এতটুকু বলবো, তখন যারা যুদ্ধ করেছিলো তারা সবাই ছিলো জুতার ফিতা ভঙ্গবল্টুর সৈনিক। আর বর্তমানে গোটা দেশব্যপী যারা ধ্বংসযজ্ঞ ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা সবাই বল্টুকণ্যার সৈনিক। কার্যক্রম তখন যা ছিলো এখনো তা-ই আছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট থেকে শুরু করে এখন এরা যা করছে তখনো সংগ্রামের সময় এদের পূর্বপূরুষরাও তা করে পাকি-হানাদারদের উপর দোষ চাপিয়েছিলো।
অতএব, যদি বর্তমান লীগের বিরোধিতা করতে পারেন তাহলে একই অপরাধের দায়ে তাদের পূর্বপুরুষের বিরোধিতা করলে সমস্যা কোথায়?
অতিরিক্ত একটি কথাঃ আর কয়টা দিন যাক। তারপর ঠিকই বুঝা যাবে, তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ আর লাল-সবুজের পতাকা আমাদের জন্য কতটুকু কল্যাণকর। তখন হতভাগা এই চিরগোলাম হুজুগে জাতি ঠিকই মাথা ও বুঁক চাঁপড়ে আফসোস করবে, হায়, যদি আমরা আলাদা না হয়ে পাকিস্তানের সাথেই থাকতাম!!!
বিষয়: বিবিধ
১৩০৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জন্য ভাল হবে পাকিস্তান চলে যাওয়া । নচেৎ হাসুবু একে একে সবগুলোর বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে ।
কিন্তু পরিণামে আপনারা হয়েছেন ভারতের সেবাদাস। জুতার পরিবর্তে এবার সাফ করছেন মালুদের ঘু। বাহ! ভালোই তো উন্নতি করেছেন দেখি!!!
আর বিষদাঁতের কথা বলছেন? হা.হা.হা. নিচের দু'টি লাইন আপনাকে উৎসর্গ করলাম।
আমরাই জনতার অধিকার রক্ষার নতুন ইশতেহার নিতে পারি গড়ে
এই গণতন্ত্রই পৃথিবীর শেষ নয়, এই দিন দিন নয় আরো আছে পরে।
এই ভয়াবহ পোস্টে সাহস করে মন্তব্য করার জনস্য আপনাকে মোবারকবাদ।
''পাকিস্তান হইছে বীরের জাতি''
বছরের শেষ এসে বর্ষসেরা জুক্স বলে ফেলেছেন ।
নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে ধ্বংস হচ্ছে - তারা আবার বীরের জাতি !
তবে একজন উন্নতমানের মালুভক্ত হিসেবে আপনাকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় মালু
আর আপনি যে ছাগু ভক্ত সেটা আপনার আগমনেই টের পাওয়া গেছে ।
কী আর করা! কিছু কাঠালপাতা দিলাম। খেয়ে দেয়ে দেখেন, একটু ভালো থাকতে পারেন কি না।
এই নিনঃ
যাক, ইজ্জত কি একজনেরটা আরেকজন কইয়া রক্ষা করতে পারবো?
"অনেকদিন পর দেখিলাম" মানে কি? ফেবুতে তো নিয়মিতই আছি।
খুব চতুরতার সহিত মূল বিষয়টি এড়িয়ে নতুন বিষয়ের অবতারণা করতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি ধরা পড়তঃ আপনাকে সেই সুযোগটি দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আশা করি, আবারো আসবেন।
মোবারকবাদ।
রেন্টুর ফাঁসি চাই বইয়ে পড়েছিলাম হাসিনা বেগতিক দেখলে ভারতের হাতে দেশকে তুলে দিয়ে পালিয়ে যাবে। রেন্টুর কথা সব সত্য প্রমানিত হচ্ছে। রেন্টুর বইটাকে যদি বিএনপি গুরুত্ত দিত তাহলে তাদের মাঝা ভাংতো না।
সাহসি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
জাজাকাল্লাহ খায়ের
জনাব জেদ্দাবাসী ভাই! এমন ভয়াবহ পোস্টে মন্তব্য করাটাও চরম সাহসের পরিচয়। সেটা আপনি রক্ষা করতে পারায় আন্তরিক মোবারকবাদ।
একটা বিষয় খুলেই বলি। আমি আসলে এই পতাকা রক্ষার পক্ষোই নই। যে পতাকা অদ্যাবধি মুসলিমদের সাথে গাদ্দারী করেই চলেছে এবং যে পতাকার জনক নিজেই জারজ-বেজন্মা ছিলো সে পতাকা ৪৪ বছরে যেমন কোন ভালো কিছু করতে পারে নাই তেমনই আগামী ৪০০ বছরেও তার কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
অতএব, দ্রুত নিপাত গিয়ে ভালো কিছুর আবির্ভাব ঘটুক। সেই কামনায়.......
হাহা, হাহা, হা হাহা...........
খুব চতুরতার সহিত মূল বিষয়টি এড়িয়ে নতুন বিষয়ের অবতারণা করতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি ধরা পড়তঃ আপনাকে সেই সুযোগটি দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আশা করি, আবারো আসবেন।
মোবারকবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন