প্রতাপশালী জামাতী রুকন ও একজন নিরীহ তাবলীগী সাথীর কথোপকথন

লিখেছেন লিখেছেন আল মুহাজির শাইখ ২৬ মে, ২০১৪, ১০:৩৭:৫৯ সকাল



জামাত-শিবির নামক দলটি সারাক্ষণ লেগে থাকে 'বিশ্বজনীন দা'ওয়াত ও তাবলীগ জামাত'এর বিরুদ্ধে। এমনও বলতে শোনা গেছে যে, "আমরা যদি আরেকবার ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে সর্বপ্রথম কাকরাইল মসজিদটিতে তালা ঝুলাবো। কারণ, এখান থেকে এমন ব্যক্তি তৈরী হয় যারা আমদের ক্ষমতা দখলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়" ইত্যাদি বহু কথাই তারা বলে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, আজপর্যন্ত যতবার যত জায়গায় তাবলীগিদের সাথে জামাত-শিবিরের কর্মীরা গাঁয়ে পড়ে ঝগড়া করতে এসেছে ততবারই নিরীহ তাবলীগিদের শান্ত-শীতল জবাবের সামনে সূচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এমনই একটি ঘটনা এখানে পেশ করছিঃ

**********************************************************

জামাতঃ তাবলীগ জামাত খারাপ। তারা পুরোপুরি ইসলাম পালন করে না।

তাবলীগঃ তারাও তো ইসলামের কথা বলে। নামাজ, রোজা সহ সব ইবাদাতই করে। তাইলে পুরাপুরি ইসলাম পালন করে না কেমনে?

জামাতঃ তারা জিহাদ করেনা। রাষ্ট্র কায়েম করে না। তারা হেন করে না, তেন করে না।

তাবলীগঃ তাবলীগওয়ালারা আর কী কী করে না ভাইসাব?

জামাতঃ এই তো বললাম, সবই করে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ থেকে শুরু করে সকল ইবাদাতই তারা করে। কিন্তু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার ব্যপারে তাদের কোন কর্মসূচী নাই। তারা জিহাদও করে না। তাহলে তারা পরিপূর্ণ দ্বীন কেমনে পালন করলো?

তাবলীগঃ ঠিকই কইছেন ভাই। আসলেই তো তারা ইসলামের কিচ্ছুই করে না। তাহলে ভালো কোন ইসলামী দলের নাম কন তো। আমি হেই দল করুম।

জামাতঃ তুমি জামাত-শিবিরে যোগ দিতে পারো। তারা তো রাষ্ট্র কায়েমের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছে।

তাবলীগঃ আর? তারা আর কী কী করতাছে?

জামাতঃ আর কী দরকার? রাজনীতি করছে। এটাই তো বেশি।

তাবলীগঃ তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?

জামাতঃ আয় বেয়াদব ছেলে! কঠিন কঠিন প্রশ্ন করো কেন? সহজ কথা বলো।

(হঠাৎ "ধ্রূঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊউম" করে একটা শব্দ হলো।)

তাবলীগঃ ভাই! আওয়াজটা কিসের? বোমার মত লাগলো। কিন্তু নিচের দিক থেকে আসছে মনে হয়!!!

জামাতঃ আয় দুষ্টু ছেলে! এসব কী বলছো? এটা প্রাকৃতিক ডাকের পূর্বাভাস। তোমাকে না বললাম সহজ প্রশ্ন করার জন্য !!!

তাবলীগঃ ওহ, ভুল হইয়া গেছে। আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?

(আবারো যথারীতি ধ্রূঊঊঊঊউউউউউউউউম করে আওয়াজ নির্গত এবং সাথে সাথে প্রচণ্ড বায়ুদুষণের কারণে উভয়ের নাকে হাত।)

জামাতঃ (চোখ গরম করে) বলছিলাম একটু সহজ প্রশ্ন করতে কিন্তু শালার পুতে ইজ্জতটাই মাইরা দিছে।

(বলতে বলতে হাল্কা দৌড়। পিছন দিয়ে ডাক দিলো তাবলীগি ভাই।)

তাবলীগঃ এই যে ভাই! কই যান? দৌঁড় দেন কেন? দোহাই লাগে ভাই, পিলিজ, দৌঁড়াবেন না। এইবার একটা সহজ প্রশ্ন করুম। আর কঠিন প্রশ্ন করুম না। সত্যি কইরা কৈলাম ভাই।

(এই কথা শুনে বেচারা দৌঁড়ের গতি কিছুটা কমলো এবং পিছনের দিকে রওয়ানা হলো। ঘর্মাক্ত শরীরে কটমট চেহারা নিয়ে দাঁত কিরকির করে তাকিয়ে আছে নিরীহ তাবলীগি ভাইটির দিকে।)

তাবলীগিঃ ভাই! একদম সহজ একটা প্রশ্ন। আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।

আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?

প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই জামাতের সম্মানিত রুকন সাহেব এমন দৌঁড় যে লুঙ্গিজনিত দুর্ঘটনা ঘটার উপক্রম। এবং অবশেষে ঘটনার ঘটন সম্পন্ন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাবলীগি ভাইতো পুরাই বেভাচ্যাকা খেয়ে বসেছে। বেচারাকে ডেকে বলছেঃ

তাবলীগিঃ ও ভাই! কানে ধইরা তওবা করলাম, আর তাবলীগ নিয়া আপনাগোর লগে কথা কমু না। প্লীজ, লুঙ্গিটা নিয়া যান। প্লীজ ভাই, লুঙ্গি ছাড়া আপনাকে দারুণ অসভ্য দেখাচ্ছে। প্লীজ ভাই, প্লীজ।

নাহ, কোন কাজ হলো না। তিনি বিনা-লুঙ্গিতে বাড়িতে চলে গেলেন।

পরিশিষ্টঃ (একটু পরে বলবো)

এই পোস্টটি ফেসবুকেও নোট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। মন্তব্যসহ নোটটি পড়ার অনুরোধ থাকলো। ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বিষয়: বিবিধ

৩১১২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

226331
২৬ মে ২০১৪ সকাল ১১:১০
আমি মুসাফির লিখেছেন : কথোপকথনের সত্যতা কতটুকু না আপনি তাবলিগী বলে আপনি এএইটা উদ্ভাবন করেছেণ?
ধন্যবাদ
২৬ মে ২০১৪ সকাল ১১:২১
173309
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Good Luck আমি মুসাফির Good Luck জনাব! যদি কথোপকথনটি আপনার বিশ্বাস না হয় অর্থাৎ আপনি যদি দাবী করে থাকেন যে, উক্ত নিরীহ তাবলীগী ভাইটির প্রশ্নাবলীর যথাযথ উত্তর জামাত-শিবির 'বন্ধু'গণ দিতে পারবেন তাহলে মেহেরবানী করে আমাকে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে দিন। আমি ও আমরা ব্যপক উপকৃত হবো, ইনশা আল্লাহ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য মোবারকবাদ।
226332
২৬ মে ২০১৪ সকাল ১১:১২
বিন হারুন লিখেছেন : এসব কাল্পনিক বিতর্কগুলো কি না করলে নয়? মুরুব্বিরা কি আসলে সামনা-সামনি একে অপরের সাথে বেয়াদবি করেছিলেন? আর কত মার খেলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব?
২৬ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩১
173311
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Rose বিন হারুন Rose ঐক্যের কথা বলে আর হাসাবেন না। চোরের সাথে ঐক্য করলে আপনার মানিবাগটাও হারাবেন। তদ্রুপ মুনাফিকের সাথে ঐক্য করলে ইসলামের অবশিষ্ট অংশটুকুও খোয়াবেন।

অতএব, সর্বপ্রকার বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। মুনাফিকদের চিহ্ণিত করুন এবং তাদের সাহচর্য বর্জন করুন। মনে রাখবেন, খাঁটি ঈমানদার যদি একজনও থাকে তবুও তার সাথে আল্লাহর খাছ রহমত থাকবে। আর যদি মুনাফিক, মুর্তাদ, নাস্তিক ইত্যাদি সকলকে নিয়ে ঐক্য মেরে এগুতে চান তাহলে আমের সাথে ছালাটুকুও হারাতে হবে। অতএব, যদি বাস্তবেই ইসলামের বিজয় আশা করে থাকেন তাহলে মুনাফিকদের সংশ্রব ত্যাগ করুন। নতুবা ইসলামের বিজয় সুদূর পরাহত।

আরেকটি বিষয়, প্রায়ই দেখা যায়, জামাত-শিবিরের অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টরা তাবলীগ জামাত,ফাযায়েলে আমাল, চিল্লা, ইত্যাদি নিয়ে অশ্লীল ভাষায় ব্যঙ্গাত্মক কথা বলে থাকে। তখন কি ঐক্য বিনষ্ট হয় নাকি সুদৃঢ় হয়? তখন তো আপনাদের মত দরদী ভাইদেরকে বাটি চালান দিয়েও পাওয়া যায় না। ব্যপারটি কি ভাই?

আমি আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।

আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাউফীক দান করুন। আমীন।
২৬ মে ২০১৪ সকাল ১১:৫০
173312
বিন হারুন লিখেছেন : সত্য লিখুন. প্রমাণ দিয়ে তাদের যুক্তি খণ্ডন করুন. এরকম কাল্পনিক লিখলে বরং তাবলীগ জামাতকে ছোট করা হবে.
(যাঁরা তাবলীগ জামাতকে ভুল বুঝেন তাদের বলব মাত্র তিনটি দিনের জন্য তাবলীগে গিয়ে যাচাই করে দেখুন আপনার কেমন লাগে. পরে না হয় বদনাম রটাবেন.
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
173321
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Rose বিন হারুন Rose আপনি লিখেছেনঃ "যাঁরা তাবলীগ জামাতকে ভুল বুঝেন তাদের বলব মাত্র তিনটি দিনের জন্য তাবলীগে গিয়ে যাচাই করে দেখুন আপনার কেমন লাগে. পরে না হয় বদনাম রটাবেন."

১০০% সহমত। মোবারকবাদ।
226349
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
শফিউর রহমান লিখেছেন : হীন মানষিকতার ঘৃণ্য প্রকাশ এই লেখাটি, যা সত্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।
নিজেই বিভ্রান্ত, নাকি পরিকল্পনা করে অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করতে কাল্পনিক এই লেখা?
এই লেখার বিনীময়ে আখেরাতে কতটুকু যাজাহ পাবেন বলে মনে করেন?
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
173866
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Rose শফিউর রহমান Rose যদি ঘটনাটি আপনার অবিশ্বাস্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই উপরোক্ত প্রশ্ন ৩টির উত্তর প্রদান করিয়া প্রমাণ করে দিন যে, "জামাতীদের লুঙ্গি খুলে গেলে তারা আর দৌঁড়াতে পারে না।" অর্থাৎ উক্ত জামাতী রুকন দৌঁড়ে না পালিয়ে বরং উত্তরগুলো প্রদান করেছিলেন।

আপনার সুবিধার্থে আবারো প্রশ্নগুলো উল্লেখ করছিঃ

১. তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে শুধু রাজনীতি ছাড়া বাকী ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা(রাজনীতি) লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?

২. আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?

৩. আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।
আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?

জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
173966
শফিউর রহমান লিখেছেন : আপনার প্রশ্নগুলো আসলে কোন প্রশ্নই নয়। তবে এর থেকে দ্বীন সম্পর্কে আপনার জ্ঞান যে কতটা দীন তার প্রকাশ মেলে। আপনি কি বলতে পারেন কুরান হাদীসের আলোকে নবী প্রেরণের উদ্দেশ্য? আমি বরং আপনাকে বলি যে, আমাকে বা কাউকে আপনার জবাব দেয়া লাগবে না। আপনি নিজে ভাল করে জিনিসটা চিন্তা করুন, কোরান-হাদীস ঘাটুন, নবী (সাঃ) এর জীবনী পর্যালোচনা করুন এবং সর্বোপরী মানুষ সৃষ্টির আগে মালাইকাদের সামনে প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী বলেছিলেন কেন সেটার জবাব খুঁজে দেখুন।
আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করার চাইতে আপনি যদি বুঝতে পারেন সঠিকভাবে তাহলেই আপনার উপকার হবে এবং কবরে দ্বীন কি'র প্রশ্নের মানে কি তাও বুঝতে পারবেন। আপনার কবরে আপনি এবং আমার কবরে আমি যাবো এবং ঐ প্রশ্নে জবাব নিজেকেই দিতে হবে। সঠিক দ্বীন যদি না বোঝেন এবং না মানেন, তাহলে এখন প্রশ্নগুলোর জবাব যতই মূখস্থ করে রাখেন কোন কাজে আসবে না।

সর্বপ্রথম নামাজের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে এবং এতে যে পার পেয়ে যাবে তার জন্য সামনেও মাপ এটার ব্যাখ্যা আপনার মনে যেভাবে গেঁথে রয়েছে তা যদি সঠিক হতো তাহলে নবী এবং সাহাবাদেরকে এত জুলুম নির্যাতন এবং এত প্রচেষ্টা, এত যুদ্ধ করার দরকার হতো না। তাহলে কি তারা আপনার এই সোজা ট্রিকটি বুঝতে পেরেছিলেন না? (নাউজুবিল্লাহ)।
৯৯ টি মানার ব্যাপারেও আপনার কথার কোন যথার্থতা নাই। কোন্ কোন্ ৯৯ তা কি আপনি একটা লিষ্ট করে দেখবেন? আর জামায়াতের লোকেরা ঐ ৯৯ থেকে কোন্ কোনটি বাদ দিয়েছে সেটাও একটু লিস্ট করে দেখবেন?
পরিশেষে বলি, আমাদেরকে আল্লাহপাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী দুনিয়াতে রাজ করার জন্য। কিন্তু আপনার মতো দ্বীন বুঝার কারণে মুসলমানরা আজ সাগরে ভাসমান পানির ফেনার মতো অকার্যকর।
দ্বীন বুঝুন প্লিজ - নবীর (সাঃ) জীবন থেকে।

ধন্যবাদ।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:২১
174473
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Roseশফিউর রহমানRose মাশা-আল্লাহ, আপনি খুব সুকৌশলে জবাব এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। আসলে ভাই, অনলাইনে এভাবে এড়ানো যায় কিন্তু অফলাইনে এড়ানো যায় না। নতুবা উপরোক্ত জামাতী রুকন ভাইও এড়িয়ে যেতেন।

যাহোক, পরিশেষে লিখেছেনঃ "পরিশেষে বলি, আমাদেরকে আল্লাহপাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী দুনিয়াতে রাজ করার জন্য।

জবাবঃ ১০০% সহমত। কিন্তু জামাত-শিবিরের বন্ধুগণ কি আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলছেন? বেগানার পাশে বসে হাসাহাসি করা কি আল্লাহর হুকুমের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়? নবীর সীরাতের পরিবর্তে আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্র ওরফে কুফরীতন্ত্র চর্চা কি আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা নয়? জিহাদের নামে গাড়ি ভাংচুর ও মিছিল-মিটিং করা কি 'ইসলাম'এর বিকৃতি সাধন নয়? ইত্যাদি, ইত্যাদি...।

এরপরও কি বলবেন যে, জামাত-শিবির আল্লাহর নির্দেশ মানে এবং তারা ক্ষমতা দখলের পরিবর্তে ইসলামের জন্য রাজনীতি করছে?

আরো লিখেছেনঃ "কিন্তু আপনার মতো দ্বীন বুঝার কারণে মুসলমানরা আজ সাগরে ভাসমান পানির ফেনার মতো অকার্যকর।"

জবাবঃ ভুল বুঝলেন। বরং মুনাফিকের অনুপ্রবেশের কারণেই আজ ইসলাম ও মুসলিমের এই অবস্থা। আর সেই মুনাফিক চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

শেষে বলেছেনঃ "দ্বীন বুঝুন প্লিজ - নবীর (সাঃ) জীবন থেকে।"

জবাবঃ হায়! জামাতী বন্ধুরা যদি আল্লাহর হুকুম ও নবীর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরতো !!!
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
174778
শফিউর রহমান লিখেছেন : ইসলাম বুঝুন, মানুন এবং নিজেকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচান - সেটাই হবে সফলতা। আমিও আমার জন্য আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি আমার জন্য। আর জামায়াতের ভায়েরাও তাই করেন।
জামায়াতের ব্যাপারে কতজনইতো কত রকম চুলকানী দেখালো। তাতে জামায়াতের কিই বা আসে যায়। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হলে সেটাই হবে সফলতা। আপনার চুলকানী নিয়ে আপনি থাকেন- আমার তাতে কি আসে যায়? আমার যা বলার তা বলেছি।
আল্লাহপাক যেন সঠিক বুঝ দেন। আমীন
২৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
174845
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : Roseশফিউর রহমানRose বাহ! জবাব না দিয়ে আবারো ত্যানা পেঁচালেন। আসলে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের মাঝেই কিছু চরম মিল পরিলক্ষিত হয়। যেমন, হাসিনা নির্বাচনের সময় ত্যানা তথা পট্টি পেচায় মাথায় আর সেই ত্যানাটা জামাত-শিবিরের বন্ধুগন পেঁচায় কথায়।

তাইতো দুষ্টু লোকেরা বলে, "ত্যানাই হোক আগামীর ক্ষমতা দখরের সোপান।"

মোবারকবাদ।
২৯ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
174896
শফিউর রহমান লিখেছেন : আপনাদের মতো আতেলদের কথার যদি জবাব দিতে যাওয়া হয় তবে আসল বাদ পড়ে যাবে।
226373
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
173868
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : অসংখ্য মোবারকবাদ ভাই আপনাকে।

আশা করি, ভবিষ্যতেও সাথে পাবো, ইনশা আল্লাহ
226377
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৪
226393
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২১
বুঝিনা লিখেছেন : ভাই, এটা ও কি স্বপ্নে প্রাপ্ত.. Waiting Waiting Waiting
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
173870
আল মুহাজির শাইখ লিখেছেন : RoseবুঝিনাRose জনাব! আপনি তো একজন স্বঘোষিত "বুঝিনা"। তাহলে কিভাবে বুঝবেন বিষয়টি?

তারপরও বলছি, যদি ঘটনাটি আপনার অবিশ্বাস্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই উপরোক্ত প্রশ্ন ৩টির উত্তর প্রদান করিয়া প্রমাণ করে দিন যে, "জামাতীদের লুঙ্গি খুলে গেলে তারা আর দৌঁড়াতে পারে না।" অর্থাৎ উক্ত জামাতী রুকন দৌঁড়ে না পালিয়ে বরং উত্তরগুলো প্রদান করেছিলেন।

আপনার সুবিধার্থে আবারো প্রশ্নগুলো উল্লেখ করছিঃ

১. তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে শুধু রাজনীতি ছাড়া বাকী ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা(রাজনীতি) লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?

২. আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?

৩. আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।
আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?

জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
226396
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : মাইনাচ!যুক্তিহীন এবং পরকালের জন্য মুক্তিহীন পাথেয় হতে পারে এমন তুহমত-গীবতের বদলে। আর আল গীবাতু আশাদ্দু মিনাল কাতলি-যা হত্যার চাইতে বড়।

আমাদের শুধু শুয়োরের মাংশকে ঘৃণা করলেই কি চলবে নাকি তুহমত-গীবতের মতো হারামগুলোকেও ত্যাগ করতে হবে??


আল্লাহ আমাদের সুমতি দিন
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
173355
আমি মুসাফির লিখেছেন : কাদের সুমতি চাইছেন ? এরা কখনও সুমতি প্রাপ্ত হতে পারবে না যতক্ষন ইসলামকে না বুঝবেন ।
226407
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : একটা ফালতু টপিক্স। জামাত শিবিরের লোকেরা প্রথমত এভাবে গায়ে পড়ে কারো সাথে বাহাসে জড়িত হয়না। তার ওপর প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেনা এরকম আজগুবি কথা শুধু তাবলীগ ওয়ালারাই বিশ্বাস করবে,সাধারন মানুষ বিশ্বাস করবেনা।

শুনলাম, আপনাদের আমীর নাকি ২ কোটি................।
226411
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
মুিনর লিখেছেন : প্রথম কথা হল আপনি একজন মিথ্যাবাদী। জামায়াতের কোন রকন এভাবে কথা বলবে না। জামায়াতের কোন রোকন যদি কোথাও ইসলাম নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে বা ইসলাম সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তারা সব সময় চেষ্টা করে কোরআন শরীফ ও হাদিস শরীফের আলোকে শ্রেষ্ট যুক্তিসহকারে প্রজ্ঞার মাধ্যমে উত্তর দিতে। আপনি বলেছেন তাবলীগ জামায়াত ৯৯% ইসলাম পালন করে, তাবলীগ যারা করেন এদের অধিকাংশই জানেন না পরিপূর্ন ইসলাম কি? তাহলে তাদের দ্বারা কিভাবে সম্ভব যেটা তারা ঠিকমত জানে না সেটা পালন করা? আমি একজন কওমী মাদ্রাসার ছাত্র সেই সুবাদে আমার তাবলীগ জামায়াতে যাওয়ার অনেক সুযোগ হয়েছে। আমি তাবলীগ জামায়াতে কোন মুরুব্বীর মুখে কখনো নামাজ রোজা ব্যাতীত সুদ, ঘুষ, দুর্নিতী ও সমাজের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে শুনি নাই। তাহলে তাবলীগ কিভাবে ৯৯% ইসলাম পালন করে?
১০
226430
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
মহসিন মল্লিক লিখেছেন : "আমরা যদি আরেকবার ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে সর্বপ্রথম কাকরাইল মসজিদটিতে তালা ঝুলাবো। কারণ, এখান থেকে এমন ব্যক্তি তৈরী হয় যারা আমদের ক্ষমতা দখলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়"। হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা করে ফেলার মতো কথা। তাবলীগের লোকেরা জামায়াতের পথের কাটা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতা দখলের পথে। Rolling on the Floor Rolling on the Floor

তারপর, কিছুদিন আগে একজন তাবলীগি ভাইয়ের ব্যাখ্যা শুনলাম তাদের ৩ দিন, ৪০ দিন বা নতুন যে সংযোজনগুলো আছে ১ দিনের এবং ১৫ দিনের ব্যাপারে। উনার বক্তব্য হচ্ছে, "বয়স্কদের মধ্যে যারা যথাসময়ে বিভিন্ন কারনে ঈমানী জ্ঞান অর্জন করতে পারেননি তাদের জন্য এগুলোকে এক ধরনের ঈমানী জ্ঞান অর্জনের কোর্স হিসাবে ধরতে পারি। কারন নবীজির আমলে মাদ্রাসা ছিলো না। মসজিদে নববী ছিলো তাদের বিদ্যালয়। যদি তাবলীগ জামায়াত বিদয়াত হয়, তাহলে বর্তমান মাদ্রাসাগুলোও বিদয়াত।" খুব সুন্দর ব্যাখ্যা। মেনে নিলাম। আমার ব্যাক্তিগতভাবে কোন দ্বিমত নেই।
কিন্তু যখন আবার অন্য এক ভাইয়ের ব্যাখ্যা শুনলাম যে হযরত ইলিয়াস নাকি স্বপ্নে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছেন নবী করিম (সঃ) দ্বারা তখন আমার কাছে ব্যাপক খটকা লাগলো। তাহোলে কী নবী করিম(সঃ)তার জীবদ্দশায় বয়স্কদের জন্য কোন ব্যবস্থা করে যেতে পারলেন না? তাহলে হযরত ইলিয়াসের আগের লোকদের কী দোষ ছিল? অথচ বিদায় হজ্বের সময় মহানবী (সঃ) আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন ঘোষনা করে গেলেন। তাহলে কেন এই জিনিসে স্বপ্নের মাধ্যমে নবী (সঃ) কে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?
১১
226437
২৬ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
আল সাঈদ লিখেছেন : আমি তিন করে চার বার জামায়াতে গিয়েছি আবার ইসলামী ছাত্রশিবির করেছি । ত কি বলবেন জনাব-পন্ডিত মশাই।
১২
226487
২৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
অমেদুল ইসলাম লিখেছেন : "আমরা যদি আরেকবার ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে সর্বপ্রথম কাকরাইল মসজিদটিতে তালা ঝুলাবো। কারণ, এখান থেকে এমন ব্যক্তি তৈরী হয় যারা আমদের ক্ষমতা দখলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়"
স্বয়ং ইসরাইল বা অামেরিকা যদি বাংলাদেশ দখল করতে অাসে তবুও তাদের পথের কাটা হবেনা তাবলীগের অাবালেরা....
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
174293
বুঝিনা লিখেছেন : স্বয়ং ইসরাইল বা অামেরিকা যদি বাংলাদেশ দখল করতে অাসে তবুও তাদের পথের কাটা হবেনা তাবলীগের অাবালেরা....Applause Applause Applause Applause

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File