প্রতাপশালী জামাতী রুকন ও একজন নিরীহ তাবলীগী সাথীর কথোপকথন
লিখেছেন লিখেছেন আল মুহাজির শাইখ ২৬ মে, ২০১৪, ১০:৩৭:৫৯ সকাল
জামাত-শিবির নামক দলটি সারাক্ষণ লেগে থাকে 'বিশ্বজনীন দা'ওয়াত ও তাবলীগ জামাত'এর বিরুদ্ধে। এমনও বলতে শোনা গেছে যে, "আমরা যদি আরেকবার ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে সর্বপ্রথম কাকরাইল মসজিদটিতে তালা ঝুলাবো। কারণ, এখান থেকে এমন ব্যক্তি তৈরী হয় যারা আমদের ক্ষমতা দখলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়" ইত্যাদি বহু কথাই তারা বলে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, আজপর্যন্ত যতবার যত জায়গায় তাবলীগিদের সাথে জামাত-শিবিরের কর্মীরা গাঁয়ে পড়ে ঝগড়া করতে এসেছে ততবারই নিরীহ তাবলীগিদের শান্ত-শীতল জবাবের সামনে সূচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এমনই একটি ঘটনা এখানে পেশ করছিঃ
**********************************************************
জামাতঃ তাবলীগ জামাত খারাপ। তারা পুরোপুরি ইসলাম পালন করে না।
তাবলীগঃ তারাও তো ইসলামের কথা বলে। নামাজ, রোজা সহ সব ইবাদাতই করে। তাইলে পুরাপুরি ইসলাম পালন করে না কেমনে?
জামাতঃ তারা জিহাদ করেনা। রাষ্ট্র কায়েম করে না। তারা হেন করে না, তেন করে না।
তাবলীগঃ তাবলীগওয়ালারা আর কী কী করে না ভাইসাব?
জামাতঃ এই তো বললাম, সবই করে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ থেকে শুরু করে সকল ইবাদাতই তারা করে। কিন্তু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার ব্যপারে তাদের কোন কর্মসূচী নাই। তারা জিহাদও করে না। তাহলে তারা পরিপূর্ণ দ্বীন কেমনে পালন করলো?
তাবলীগঃ ঠিকই কইছেন ভাই। আসলেই তো তারা ইসলামের কিচ্ছুই করে না। তাহলে ভালো কোন ইসলামী দলের নাম কন তো। আমি হেই দল করুম।
জামাতঃ তুমি জামাত-শিবিরে যোগ দিতে পারো। তারা তো রাষ্ট্র কায়েমের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তাবলীগঃ আর? তারা আর কী কী করতাছে?
জামাতঃ আর কী দরকার? রাজনীতি করছে। এটাই তো বেশি।
তাবলীগঃ তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?
জামাতঃ আয় বেয়াদব ছেলে! কঠিন কঠিন প্রশ্ন করো কেন? সহজ কথা বলো।
(হঠাৎ "ধ্রূঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊঊউম" করে একটা শব্দ হলো।)
তাবলীগঃ ভাই! আওয়াজটা কিসের? বোমার মত লাগলো। কিন্তু নিচের দিক থেকে আসছে মনে হয়!!!
জামাতঃ আয় দুষ্টু ছেলে! এসব কী বলছো? এটা প্রাকৃতিক ডাকের পূর্বাভাস। তোমাকে না বললাম সহজ প্রশ্ন করার জন্য !!!
তাবলীগঃ ওহ, ভুল হইয়া গেছে। আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?
(আবারো যথারীতি ধ্রূঊঊঊঊউউউউউউউউম করে আওয়াজ নির্গত এবং সাথে সাথে প্রচণ্ড বায়ুদুষণের কারণে উভয়ের নাকে হাত।)
জামাতঃ (চোখ গরম করে) বলছিলাম একটু সহজ প্রশ্ন করতে কিন্তু শালার পুতে ইজ্জতটাই মাইরা দিছে।
(বলতে বলতে হাল্কা দৌড়। পিছন দিয়ে ডাক দিলো তাবলীগি ভাই।)
তাবলীগঃ এই যে ভাই! কই যান? দৌঁড় দেন কেন? দোহাই লাগে ভাই, পিলিজ, দৌঁড়াবেন না। এইবার একটা সহজ প্রশ্ন করুম। আর কঠিন প্রশ্ন করুম না। সত্যি কইরা কৈলাম ভাই।
(এই কথা শুনে বেচারা দৌঁড়ের গতি কিছুটা কমলো এবং পিছনের দিকে রওয়ানা হলো। ঘর্মাক্ত শরীরে কটমট চেহারা নিয়ে দাঁত কিরকির করে তাকিয়ে আছে নিরীহ তাবলীগি ভাইটির দিকে।)
তাবলীগিঃ ভাই! একদম সহজ একটা প্রশ্ন। আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।
আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?
প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই জামাতের সম্মানিত রুকন সাহেব এমন দৌঁড় যে লুঙ্গিজনিত দুর্ঘটনা ঘটার উপক্রম। এবং অবশেষে ঘটনার ঘটন সম্পন্ন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাবলীগি ভাইতো পুরাই বেভাচ্যাকা খেয়ে বসেছে। বেচারাকে ডেকে বলছেঃ
তাবলীগিঃ ও ভাই! কানে ধইরা তওবা করলাম, আর তাবলীগ নিয়া আপনাগোর লগে কথা কমু না। প্লীজ, লুঙ্গিটা নিয়া যান। প্লীজ ভাই, লুঙ্গি ছাড়া আপনাকে দারুণ অসভ্য দেখাচ্ছে। প্লীজ ভাই, প্লীজ।
নাহ, কোন কাজ হলো না। তিনি বিনা-লুঙ্গিতে বাড়িতে চলে গেলেন।
পরিশিষ্টঃ (একটু পরে বলবো)
এই পোস্টটি ফেসবুকেও নোট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। মন্তব্যসহ নোটটি পড়ার অনুরোধ থাকলো। ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
৩১১২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য মোবারকবাদ।
অতএব, সর্বপ্রকার বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। মুনাফিকদের চিহ্ণিত করুন এবং তাদের সাহচর্য বর্জন করুন। মনে রাখবেন, খাঁটি ঈমানদার যদি একজনও থাকে তবুও তার সাথে আল্লাহর খাছ রহমত থাকবে। আর যদি মুনাফিক, মুর্তাদ, নাস্তিক ইত্যাদি সকলকে নিয়ে ঐক্য মেরে এগুতে চান তাহলে আমের সাথে ছালাটুকুও হারাতে হবে। অতএব, যদি বাস্তবেই ইসলামের বিজয় আশা করে থাকেন তাহলে মুনাফিকদের সংশ্রব ত্যাগ করুন। নতুবা ইসলামের বিজয় সুদূর পরাহত।
আরেকটি বিষয়, প্রায়ই দেখা যায়, জামাত-শিবিরের অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টরা তাবলীগ জামাত,ফাযায়েলে আমাল, চিল্লা, ইত্যাদি নিয়ে অশ্লীল ভাষায় ব্যঙ্গাত্মক কথা বলে থাকে। তখন কি ঐক্য বিনষ্ট হয় নাকি সুদৃঢ় হয়? তখন তো আপনাদের মত দরদী ভাইদেরকে বাটি চালান দিয়েও পাওয়া যায় না। ব্যপারটি কি ভাই?
আমি আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাউফীক দান করুন। আমীন।
(যাঁরা তাবলীগ জামাতকে ভুল বুঝেন তাদের বলব মাত্র তিনটি দিনের জন্য তাবলীগে গিয়ে যাচাই করে দেখুন আপনার কেমন লাগে. পরে না হয় বদনাম রটাবেন.
১০০% সহমত। মোবারকবাদ।
নিজেই বিভ্রান্ত, নাকি পরিকল্পনা করে অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করতে কাল্পনিক এই লেখা?
এই লেখার বিনীময়ে আখেরাতে কতটুকু যাজাহ পাবেন বলে মনে করেন?
আপনার সুবিধার্থে আবারো প্রশ্নগুলো উল্লেখ করছিঃ
১. তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে শুধু রাজনীতি ছাড়া বাকী ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা(রাজনীতি) লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?
২. আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?
৩. আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।
আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?
জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করার চাইতে আপনি যদি বুঝতে পারেন সঠিকভাবে তাহলেই আপনার উপকার হবে এবং কবরে দ্বীন কি'র প্রশ্নের মানে কি তাও বুঝতে পারবেন। আপনার কবরে আপনি এবং আমার কবরে আমি যাবো এবং ঐ প্রশ্নে জবাব নিজেকেই দিতে হবে। সঠিক দ্বীন যদি না বোঝেন এবং না মানেন, তাহলে এখন প্রশ্নগুলোর জবাব যতই মূখস্থ করে রাখেন কোন কাজে আসবে না।
সর্বপ্রথম নামাজের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে এবং এতে যে পার পেয়ে যাবে তার জন্য সামনেও মাপ এটার ব্যাখ্যা আপনার মনে যেভাবে গেঁথে রয়েছে তা যদি সঠিক হতো তাহলে নবী এবং সাহাবাদেরকে এত জুলুম নির্যাতন এবং এত প্রচেষ্টা, এত যুদ্ধ করার দরকার হতো না। তাহলে কি তারা আপনার এই সোজা ট্রিকটি বুঝতে পেরেছিলেন না? (নাউজুবিল্লাহ)।
৯৯ টি মানার ব্যাপারেও আপনার কথার কোন যথার্থতা নাই। কোন্ কোন্ ৯৯ তা কি আপনি একটা লিষ্ট করে দেখবেন? আর জামায়াতের লোকেরা ঐ ৯৯ থেকে কোন্ কোনটি বাদ দিয়েছে সেটাও একটু লিস্ট করে দেখবেন?
পরিশেষে বলি, আমাদেরকে আল্লাহপাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী দুনিয়াতে রাজ করার জন্য। কিন্তু আপনার মতো দ্বীন বুঝার কারণে মুসলমানরা আজ সাগরে ভাসমান পানির ফেনার মতো অকার্যকর।
দ্বীন বুঝুন প্লিজ - নবীর (সাঃ) জীবন থেকে।
ধন্যবাদ।
যাহোক, পরিশেষে লিখেছেনঃ "পরিশেষে বলি, আমাদেরকে আল্লাহপাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী দুনিয়াতে রাজ করার জন্য।
জবাবঃ ১০০% সহমত। কিন্তু জামাত-শিবিরের বন্ধুগণ কি আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলছেন? বেগানার পাশে বসে হাসাহাসি করা কি আল্লাহর হুকুমের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়? নবীর সীরাতের পরিবর্তে আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্র ওরফে কুফরীতন্ত্র চর্চা কি আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা নয়? জিহাদের নামে গাড়ি ভাংচুর ও মিছিল-মিটিং করা কি 'ইসলাম'এর বিকৃতি সাধন নয়? ইত্যাদি, ইত্যাদি...।
এরপরও কি বলবেন যে, জামাত-শিবির আল্লাহর নির্দেশ মানে এবং তারা ক্ষমতা দখলের পরিবর্তে ইসলামের জন্য রাজনীতি করছে?
আরো লিখেছেনঃ "কিন্তু আপনার মতো দ্বীন বুঝার কারণে মুসলমানরা আজ সাগরে ভাসমান পানির ফেনার মতো অকার্যকর।"
জবাবঃ ভুল বুঝলেন। বরং মুনাফিকের অনুপ্রবেশের কারণেই আজ ইসলাম ও মুসলিমের এই অবস্থা। আর সেই মুনাফিক চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
শেষে বলেছেনঃ "দ্বীন বুঝুন প্লিজ - নবীর (সাঃ) জীবন থেকে।"
জবাবঃ হায়! জামাতী বন্ধুরা যদি আল্লাহর হুকুম ও নবীর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরতো !!!
জামায়াতের ব্যাপারে কতজনইতো কত রকম চুলকানী দেখালো। তাতে জামায়াতের কিই বা আসে যায়। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হলে সেটাই হবে সফলতা। আপনার চুলকানী নিয়ে আপনি থাকেন- আমার তাতে কি আসে যায়? আমার যা বলার তা বলেছি।
আল্লাহপাক যেন সঠিক বুঝ দেন। আমীন
তাইতো দুষ্টু লোকেরা বলে, "ত্যানাই হোক আগামীর ক্ষমতা দখরের সোপান।"
মোবারকবাদ।
আশা করি, ভবিষ্যতেও সাথে পাবো, ইনশা আল্লাহ
তারপরও বলছি, যদি ঘটনাটি আপনার অবিশ্বাস্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজেই উপরোক্ত প্রশ্ন ৩টির উত্তর প্রদান করিয়া প্রমাণ করে দিন যে, "জামাতীদের লুঙ্গি খুলে গেলে তারা আর দৌঁড়াতে পারে না।" অর্থাৎ উক্ত জামাতী রুকন দৌঁড়ে না পালিয়ে বরং উত্তরগুলো প্রদান করেছিলেন।
আপনার সুবিধার্থে আবারো প্রশ্নগুলো উল্লেখ করছিঃ
১. তাবলীগওয়ালারা ১০০০ টা ইবাদতের মধ্যে শুধু রাজনীতি ছাড়া বাকী ৯৯৯টাই করতাছে। তারপরও তারা খারাপ। আর জামাত-শিবির মাত্র ১টা(রাজনীতি) লইয়া পইড়া রইছে। তাও আবার কুফরী ত্বরীকায়। তাহলে তারা ভালা হৈলো কেমনে?
২. আচ্ছা ভাই, কবরে নাকি আমাদেরকে ৩টা প্রশ্ন করা হইবো। সেখানে নাকি একটা প্রশ্ন থাকবো "দ্বীন"এর ব্যপারে। সেই প্রশ্নটা কি আমাকে একটু বুঝাইয়া কইবেন? মানে আমি জিগাইতাছি, প্রশ্নটা আসলে কী হইবো? "তোমার দ্বীন কি" নাকি "তোমার ইক্বামাতে দ্বীন কি" নাকি "তুমি কি ইক্বামাতে দ্বীন কায়েম করছিলা" ইত্যাদি কোন প্রশ্নটা করা হইবো?
৩. আমরা ৪-৫ বছর বয়সে মসজিদের বারান্দায় নূরানী হুজুরের কাছে একটা হাদীস পড়ছিলাম। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হৈবে'।
আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত হাদীসে 'সর্বপ্রথম' বলতে কী বুঝায়ছে? অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও জিহাদের প্রশ্নের আগে নাকি পরে? যদি আগে নামাজের হিসাব লওয়া হয় তাহলে 'ইকামাত্বে দ্বীন'এর প্রশ্নটা কত নাম্বারে জিজ্ঞাসা করা হবে? আর যেহেতু নামাজ সর্বাগ্রে সেহেতু জামাত-শিবিরের বন্ধুদের মাঝে নামাজের ব্যপারে শিথীলতা দেখা যায় কেন?
জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমাদের শুধু শুয়োরের মাংশকে ঘৃণা করলেই কি চলবে নাকি তুহমত-গীবতের মতো হারামগুলোকেও ত্যাগ করতে হবে??
আল্লাহ আমাদের সুমতি দিন
শুনলাম, আপনাদের আমীর নাকি ২ কোটি................।
তারপর, কিছুদিন আগে একজন তাবলীগি ভাইয়ের ব্যাখ্যা শুনলাম তাদের ৩ দিন, ৪০ দিন বা নতুন যে সংযোজনগুলো আছে ১ দিনের এবং ১৫ দিনের ব্যাপারে। উনার বক্তব্য হচ্ছে, "বয়স্কদের মধ্যে যারা যথাসময়ে বিভিন্ন কারনে ঈমানী জ্ঞান অর্জন করতে পারেননি তাদের জন্য এগুলোকে এক ধরনের ঈমানী জ্ঞান অর্জনের কোর্স হিসাবে ধরতে পারি। কারন নবীজির আমলে মাদ্রাসা ছিলো না। মসজিদে নববী ছিলো তাদের বিদ্যালয়। যদি তাবলীগ জামায়াত বিদয়াত হয়, তাহলে বর্তমান মাদ্রাসাগুলোও বিদয়াত।" খুব সুন্দর ব্যাখ্যা। মেনে নিলাম। আমার ব্যাক্তিগতভাবে কোন দ্বিমত নেই।
কিন্তু যখন আবার অন্য এক ভাইয়ের ব্যাখ্যা শুনলাম যে হযরত ইলিয়াস নাকি স্বপ্নে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছেন নবী করিম (সঃ) দ্বারা তখন আমার কাছে ব্যাপক খটকা লাগলো। তাহোলে কী নবী করিম(সঃ)তার জীবদ্দশায় বয়স্কদের জন্য কোন ব্যবস্থা করে যেতে পারলেন না? তাহলে হযরত ইলিয়াসের আগের লোকদের কী দোষ ছিল? অথচ বিদায় হজ্বের সময় মহানবী (সঃ) আমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন ঘোষনা করে গেলেন। তাহলে কেন এই জিনিসে স্বপ্নের মাধ্যমে নবী (সঃ) কে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?
স্বয়ং ইসরাইল বা অামেরিকা যদি বাংলাদেশ দখল করতে অাসে তবুও তাদের পথের কাটা হবেনা তাবলীগের অাবালেরা....
মন্তব্য করতে লগইন করুন