সক্রিয় হেফাযত, জাগ্রত বাংলাদেশ ও মৃত্যুমুখে নাস্তিক্যবাদী ও দোসররা।
লিখেছেন লিখেছেন আল মুহাজির শাইখ ০৩ মে, ২০১৩, ০৪:১৪:১৭ বিকাল
৫ই মে যতই নিকটে আসছে, আমার সারাদেহ জুড়ে আনন্দ ও আন্দোলনের শিহরণ ততই বাড়ছে। এই শিহরণকে আরো কয়েকধাঁপ বাড়িয়ে দিলো বামপন্থী কতৃক আল্টিমেটাম ও হরতালের হুমকি।
গোটা ছাত্রজীবন কেটেছে শুধু আন্দোলন, বিক্ষোভ ও মিছিল-মিটিং করে। দীর্ঘ বিরতির পর আজ যখনই কোন রাজনৈতিক কিংবা সংগ্রামী পরিভাষা আমার কানে বাঁজে তখনই এক স্মৃতিময় পুরনো নেশায় উম্মাতাল হয়ে ওঠে আমার দেহ-মন। গর্জে ওঠে ধমনী মাঝে উষ্ণ লাল খুন। অনুভব করি গোটা দেহ জুড়ে এক প্রকার মৃদু ঝাঁকুনী ও বিপ্লবী শিহরণ।
তবুও বর্তমানে আমি অনেক শান্ত ও সুনিয়ন্ত্রিত। নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি সকল আবেগ। সমণ্বয় করতে শিখেছি শান্ত বিবেক।
দীর্ঘদিন যাবত যদিও এধরণের কোন আন্দোলনের সাথে জড়িন নেই, তবুও আমার বন্ধুদের দিয়ে গঠিত সেই পুরনো 'টীম'টির সবাই এখনো পূর্ণসক্রিয় আছে। বরং আমাদের সক্রিয়তা যেন এখন বহুগুণে বেড়ে গেছে। যার একটি ক্ষুদ্র প্রমাণ হলো, ৬ই এপ্রিল লংমার্চে যাওয়ার পথে মহাখালীতে মুরগী কবিরের 'মঞ্চায়ণ অতপর পলায়ন" কাহিনী। উক্ত ঘটনাটির সূচনাই হয়েছিলো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আল আমীন হাসানের হাতে। তারপর........।
আগামী ৫ই মে অবরোধের দিন আমাদের অঞ্চলের জন্য স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে আবদুল্লাহপুর ব্রীজ। এখন পর্যন্ত সবকিছু খুব স্বাভাবিকই আছে। কোন প্রশাসনিক বাঁধার আভাস পাওয়া যায় নি। তবুও সবাই চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে। সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন। হাতিয়ারও প্রস্তুত। সবার হাতে হাতে এখন তাসবীহ, পকেটে পকেটে মেসওয়াক। জায়নামাজ তো থাকছেই। পাশাপাশি এবার নতুন করে যুক্ত হচ্ছে "সুন্নাতি লাঠি"। আমীরে মুহতারামের নির্দেশে সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালনের জন্য আমরা সেথায় উপস্থিত হবো। এরপরও যদি কোথাও কোন বাঁধার আভাস পাওয়া যায় তাহলে আর কালবিলম্ব না করে গর্জে ওঠবে সুন্নাতী লাঠি। নাস্তিক্যবাদী বুর্জোয়াদের বাঁধা ডিঙ্গিয়ে গদি পুড়িয়ে খানখান না করা পর্যন্ত থামবে না এই নির্দোষ, নিষ্কলুষ, নিষ্পাপ সুন্নাতী লাঠি।
অতএব, প্রস্তুত আছে তো আপনার লাঠি?
বিষয়: বিবিধ
২০৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন