এবার কি আল্লামা সীঈদীকেও ওরা হত্যা করে ফেলবে......

লিখেছেন লিখেছেন কূটনী ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৩:০৫ সন্ধ্যা

সব আয়োজন শেষ হয়েছে। যে কোন দিন আল্লামা সাঈদীকে খুন করার ক্ষন সাব্যস্ত করা হবে বলে জানিয়েছে খুনি মোজাম্মেল গংরা। ওদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরেও আমরা হতাশ হইনা একবিন্দু পরিমানও। আমরা বিশ্বাস করি হায়াত ও মওতের সিদ্ধান্ত শুধু মাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র এখতিয়ারে। কিন্তু যেই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছে সেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।

আমরা মনে করি ট্রাইব্যুনাল কিংবা সুপ্রিম কোর্টকে এখানে বাম-রামপন্থি ইসলাম বিরোধীচক্র দেশপ্রেমিক ইসলাম পন্থিদের হত্যা করার জন্য যুদ্ধের ময়দান হিসেবে ব্যাবহার করেছে। যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে আদালতকে ব্যাবহারের মাধ্যমে বিচারের নামে তারা বিশ্ববাসী, সাধারন জনগন এমনকি আসামী পক্ষকেও সফলভাবে ধোঁকা দিতে সক্ষম হয়েছে। বিনা প্রতিরোধে তারা আব্দুল কাদের মোল্লার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে পেরেছে।

মোজাম্মেল, মানিক, ফজলে-রাব্বি, সিনহা, জাহাঙ্গীর, এনায়াতুর রহিম গংরা বিচার নয় বরং তাদের চেতনা বিরোধীদের হত্যা করার জন্যই আদালত পাড়ায় আনাগোনা করে থাকে। ওরা বিচারক নয়। ওদের পরিচয় ওরা পেশাদার খুনি। আব্দুল কাদের মোল্লার হত্যাকাণ্ড ওদের পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে। ওদেরকে যদি এখনই প্রতিরোধ করা না হয় তবে ওরা আরো অনেককে হত্যা করবে একথা হলফ করে বলা যায়।

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার পরে এবার আল্লামা সাঈদীকে হত্যার বন্দোবস্ত চূরান্ত করা হয়েছে। আমরা আবারো বলছি আল্লামা সাঈদী নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা। শুধু সাঈদীই নয় গোলাম আযম- নিজামীসহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তারা যে নির্দোষ এর সাক্ষী স্বয়ং আল্লাহ্‌। এ দেশের কোটি জনতা, এদেশের আকাশ-বাতাস-মাটি সে সাক্ষ্য দিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। তাদের বিরুদ্ধে আনিত প্রকাশ্য অভিযোগগুলো মিথ্যা হলেও একটি সত্য কারনেই তাদেরকে আজ হত্যা করা হচ্ছে এক এক করে। আল্লামা সাঈদীর মুখে কুরানের তাফসির শুনে অসংখ্য মানুষ ইসলামের ছায়াতলে অবস্থান নিয়েছেন- এ কি যেনতেন অপরাধ? ফেরাউনি শক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে এ অপরাধের বিচার হবে না তাতো হয়না! জামায়াত নে্তাদের অপরাধ হচ্ছে তারা ফেরাউনি শক্তির অপসারন করে সেখানে আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ফেরাউনি বা সেক্যুলার শক্তির সামনে আল্লহর সার্বভোমত্বের ঘোষণার অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হওয়া তো ইতিহাসেরই ধারাবাহিকতা।

সত্যপন্থিদের ত্যাগস্বীকারের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। নবী-রাসূল-সাহাবাদের পথ অনুসরন করতে উম্মতে মুহাম্মদীও একটুও পিছপা হয়নি। উমর মুখতার, হাসানুল বান্না, সাইয়্যেদ কুতুব, আব্দুল কাদের মোল্লারা তো আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন বলেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খোদার রাহে জীবন দিতে ভয় করি না।

ব্যাক্তি সাঈদী এখানে কোন ইস্যু নয়। আমরা বিশ্বাস করি আল্লামা সাঈদী যদি কোরানের কথা না বলতেন – যদি আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্বের ঘোষনা না দিতেন তাহলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হতো না। এই সেক্যুলার ফেরাউনি শক্তি কোরানের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার লক্ষ্যেই এসব নিরাপরাধ মানুষগুলোকে নানান ছলছাতুরীর আশ্রয় নিয়ে একে একে হত্যা করছে। ওরা ঘোষনা না দিয়েই যুদ্ধের সূচনা করেছে - সত্যপন্থিদের এ সত্যকে অনুধাবন করতে হবে। এ লড়াইয়ে আমরা যুক্তি-তর্ক দিয়ে মোকাবেলা করতে চাচ্ছি কিন্তু ওরা তো কিছুই মানছেনা! ওরা তো হত্যা করছে। ওদের কার্যকলাপই ঘোষণা করছে “যুদ্ধের ময়দানে যুক্তি নয় প্রতিরোধই আত্নরক্ষার একমাত্র পথ”।

আমরা বিশৃংখলা কিংবা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। শান্তি-সত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সর্বচ্চো ত্যাগ স্বীকারে প্রতস্তু। যারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়- শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তাদেরকে প্রতিরোধ করা আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি। আসুন এই বিশৃংখলবাদী ফেরাউনি শক্তির বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলি। যারা আদালত থেকে ন্যায় বিচারকে তিরোধানে পাঠিয়ে এ পবিত্র ময়দানকে যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়েছে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে রুখে দেই। আমরা চাইনা আকেরটি বিচারিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হোক। যে কন্ঠে কোরানের তাফসির শুনে সময় কাটাই সে গলায় ফাঁসির রশি দেখতে চাই না। যদি আমরা সত্যের পক্ষে অবস্থান নিতে কুন্ঠাবোধ করি তাহলে আমাদের সবাইকেই আখেরাতের দিনে এ অন্যায়ের ভাগিদার হতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৮২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

211862
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আল্লাহ ভালো জানেন ,,ইসলামের সৈনিক কে ইসলামের মাঠে ফিরে দাউ আল্লাহ।
আমরা সত্যের পক্ষে অবস্থান নিতে কুন্ঠাবোধ করি তাহলে আমাদের সবাইকেই আখেরাতের দিনে এ অন্যায়ের ভাগিদার হতে হবে।
211878
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : ভালো লাগলো।
যে কন্ঠে কোরানের তাফসির শুনে সময় কাটাই সে গলায় ফাঁসির রশি দেখতে চাই না। যদি আমরা সত্যের পক্ষে অবস্থান নিতে কুন্ঠাবোধ করি তাহলে আমাদের সবাইকেই আখেরাতের দিনে এ অন্যায়ের ভাগিদার হতে হবে।
211880
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতা
211892
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
মুিনর লিখেছেন : যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের অবদান অনেক বেশী সেটা আমরা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা স্বাধীন দেশকে পরাধীন বানাতে চাই তাদের এ অপরাধ ও ক্ষমার যোগ্য নই। আমাদের তরুন প্রজম্মকে সচেতন হতে হবে এবং মাতৃভূমিকে দালালের খপ্পর থেকে মুক্ত করতে হবে।
211992
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৪১
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : এসব লোককে ফাঁসি না দিলে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File