কৃত্রিম সুন্দরবনের ইতিকথা......

লিখেছেন লিখেছেন কূটনী ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:২৪:১৭ দুপুর

জ্বালানি উপদেষ্টাঃ দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটাবার জন্য আমাদের রামপালের প্রজেক্টটা অত্যন্ত জরুরি। আর আগামী বার ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারটাও এর সাথে জড়িত। এই প্রকল্প আমাদের বাস্তবায়ন করতেই হবে।

বনমন্ত্রীঃ আমি হলাম পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতটা বিচক্ষন রাজনিতীবিদ তা তার সেলেকশন দেখেই বুঝা যায়। আমার মত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে বনমন্ত্রী বানিয়ে তার বিচক্ষণতার প্রমান দিয়েছেন। তাই সুন্দরবন থাকবে না গোল্লায় যাবে তা দেখার দায়িত্ব আমার। কোন ছলিম-কলিম কি আন্দোলন করল তা নিয়ে ভাববেন না। আরে, ওরা যদি এতই জানে তাইলে তো আমার নেত্রী ওদের একজনকেই মন্ত্রী বানিয়ে দিত। ওরা যে যুদ্ধ্বাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে চায় তা আমরা বুঝি। ওরা যুদ্ধ্বাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করবে আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুসবো, না? যত্ত সব......

অর্থমন্ত্রীঃ যতসব বোগাস... রাবিশ...... আপনারাই বলেন এই ডিজিটাল যুগে বন দিয়ে কি হবে? ওরা বিদ্যুৎ চায় না, বন চায়! জংলিস কোথাকার! নেত্রী লোডশেডিংটা আরেকটু বাড়িয়ে দেয়ার ব্যাবস্থা করুন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীঃ বনমন্ত্রীর কথাটা আমার পছন্দ হইছে। আসলে যুদ্ধ্বাপরাধীদের বাচানোটাই ওদের লক্ষ্য আর সুন্দরবনটা একটা উছিলা মাত্র। আপনারা সবাই ৭১ টিভিতে দেখেছেন সাঈদীর রায়ের পর কিভাবে গাছগুলোকে ধাক্কা দিয়ে-কেটে ওরা রাস্তা আটকিয়ে দিয়েছিল। লাগলে সুন্দরবনে একটা না আরও দশটা প্রজেক্ট বানানো হবে তার পরেও আমরা যুদ্ধ্বাপরাধীদের বিচার করে ছাড়বো।

প্রধানমন্ত্রীঃ খামোখা উত্তেজিত হবেন না! আপনারা কে কোন যোগ্যতায় মন্ত্রী হয়েছেন তা জানা আছে আমার। যাই হোক, প্রকল্পটার গুরুত্ব আমিও বুঝি। কিন্তু আড়িয়াল বিল আর ফটিকছড়ির কথা মনে পড়লে কিছুটা চিন্তা লাগে। জনগন খেপলে সমস্যা হতে পারে। আপনারা ভুলে যাবেন না আমরা দেশের জনগনের জন্যই রাজনীতি করি।বিএনপিকে দমন করা আর সাধারন পাবলিক দমন এক জিনিস না। অবস্থা যা তাতে জনগনের ভোট আম্লীগ পাবে না সত্যি, তবে জনগনকে পক্ষে আনার চেষ্টা করতেই হবে। ইন্ডিয়াকে তো সবই দিলাম এখন তারা ভোল্ট না পাল্টালেই হয়। প্রজেক্টটা সফল হলে আমাদের দু দিক থেকেই লাভ। নির্বাচনের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচার করা যাবে আর ভারতকেও খুশি রাখা যাবে। বাঙ্গালীর মনে বনের যায়গা বেশী দিন থাকবেনা। এই শেষ সময়ে ভারত আমাদের উপর নাখোশ হয় এমন কিছু করা যাবে না। আর তা ছাড়া যে কোন পরিস্থিতিতে তাদের সাহায্যের বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

সচিবঃ জনগনের জন্য আমরা একটা কৃত্রিম সুন্দরবন বানিয়ে দিলে কেমন হয়?

প্রধানমন্ত্রীঃ আপনার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হলো! আমি আসলেই আপনাদের নিয়ে গর্বিত। যেমন আমার মন্ত্রীরা তেমন আমার সচিব! আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো! আমরা তো ডিজিটাল বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়েই ক্ষমতায় এসেছি। আমরা একে একে বংগবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। এবার তারই সুযোগ্য নাতী শেখ জয়ের ডি-জি—টাল স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু করব এই কৃত্রিম সুন্দরবন বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আপনারা রামপাল এবং কৃত্রিম সুন্দরবন বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করে দিন। জয় বাংলা!

মন্ত্রীরা একসাথেঃ জয়ের বাংলা!

সঙ্গে থাকুন পরবর্তী পর্বের জন্যঃ

কৃত্রিম সুন্দরবনে আপনাকে স্বাগতম......

বিষয়: বিবিধ

১২৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File