সরকার-জামায়াত সমঝোতাঃ গুজব নাকি মিডিয়া ক্যু......
লিখেছেন লিখেছেন কূটনী ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৩:০৮:৪৯ দুপুর
#যদি প্রশ্ন করা হয় যে ১৯৭১ সালের কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর নাম বলুন?
- তবে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের নাম আসবে অনেকের কাছ থেকেই।
# যদি প্রশ্ন করা হয় আযম সাহেব মানুষ হত্যা করেছেন বলে বিশ্বাস করেন কি?
-তবে প্রায় সকলেই বলবেন যে, না তিনি হত্যাকান্ড ঘটাতে সহায়তা করেছেন।
# যদি প্রশ্ন করা হয়, যারা যুদ্ধকালীন সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মানুষ হত্যা করেছে তাদের কয়েক জনের নাম বলুন? -তবে হাতে গোনা দুয়েক জন ছাড়া বাকী সকলে ইনিয়ে-বিনিয়ে গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের নাম বলেই পার পেতে চাইবে।
# যদি প্রশ্ন করা হয় যারা মানুষ হত্যা করল তাদের নাম জানেন না অথচ সহযোগীদের নাম তো সবই জানেন আবার এই সহযোগীদেরকেই যুদ্ধাপরাধী বলছেন- এসবের কারন কি?
-সহজ সরল উত্তর আসবে – মিডিয়ায় তো এদের ব্যাপারেই আসছে দীর্ঘ দিন যাবত।
ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির ষড়যন্ত্র, হলুদ সাংবাদিকতা আর মিডিয়ার ৪২ বছরের সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হয় নিরাপরাধ জামায়াত নেতৃবৃন্দকে। বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই পরিষ্কার হতে থাকে যে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। বিচার নামের প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করে যেন-তেন উপায়ে নেতাদেরকে ফাঁসি দেয়াই যেন এই ট্রাইব্যুনালের একমাত্র কাজ। হাজারো চেষ্টা করেও যখন কোন অভিযোগই প্রমান করতে পারছে না এই অবৈধ ট্রাইব্যুনাল, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে সরকার-জামায়াত সমঝোতার গুজব।
ময়দানে জামাত-শিবির যদি একটা মিছিল শান্তিপূর্নভাবে সমাপ্ত করতে পারে তাহলেই তারা খুজে পায় আতাতের গন্ধ! শুধু কি তাই? যদি মিছিলে লাঠিচার্জ করা হয় অথবা টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়, তাতেও মিডিয়ার মন ভরে না। তারা বলে বেড়ায় সমঝোতার গল্প। শিবিরের মিছিল হবে আর পুলিশ গুলি করবে না তাতো হতে পারে না(!), নিশ্চয় কোন সমঝোতা হয়েছে!
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এই বাম মিডিয়া গুলোর অবস্থান আরও ভয়াবহ। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে ফাঁসির আদেশই যে্ন একমাত্র ন্যায় বিচার। আর না হলে সমঝোতা। এ গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে মজলুমের উপড় করা হচ্ছে চরম অবিচার। ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির সুযোগ বন্ধ করার পর এখন এসব গুজব ছড়িয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির দাবীটাকেও সুকৌশলে কেড়ে নেয়া হচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির রশিতে ঝুলেই বুঝি প্রমান করতে হবে যে এই পতিত শক্তির সাথে সত্য পথের সেনানীদের কোন আঁতাত হয় নি!
সরকারের সহযোগীতায় রাম-বাম মিডিয়াগুলো এসব আজগুবি গুজব ছড়িয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দের সৃষ্টি করতে চায়, তারা বিভক্ত করতে চায় বিরোধী জোটকে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সাক্ষী দেয় তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হয়েছে। তাদের এই মিডিয়া ক্যু ব্যার্থ হতে বাধ্য।
পরিশেষে বলতে চাই জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগগুলো প্রমানে ট্রাইব্যুনালের ব্যার্থতাই প্রমান করে তারা নিরাপরাধ। তাদের নির্দোষ প্রমানের জন্য সমঝোতার দরকার নেই। বামদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্যেই আজকে প্রহসনের নাটকের মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সচেতন প্রতিটি নাগরিক বিশ্বাস করে নিরাপরাধ নেতাদেরকে নানান উছিলায় ফাসিতে ঝুলানো গেলেও তাদের গড়া এ আদর্শিক আন্দোলনের গতিকে কেউ থামিয়ে দিতে পারবেনা ইনশাল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১২৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন