আমদের প্রিয় গফ্ফার ভাই আর নেই।
লিখেছেন লিখেছেন আবু নাইম ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ০২:১২:১৭ দুপুর
অত্যান্ত ব্যথাতুর মন নিয়ে গভীর শোকের সহিত জানাচ্ছি যে, ইবনে সিনা ফার্মার ফরিদপুর ডিপোর সিনিঃ এস আর মোঃআব্দুল গাফ্ফার ভাই দীর্ঘদিন জটিল কিডনী রোগের সংগে লড়াই করে আজ বিকালে মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। ভাইটির আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিলেন, জানিনা তার উন্নত চিকিৎসা হয়েছে কিনা।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন।
১৯৯৮ বা ৯৯ সনের কোন একদিন অফিসে বসে আছি। বলিষ্ট গড়নের, দৃঢ় মনোবলের, নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন একজন ভাই রুমে এসে পরিচয় দিলেন, আমি আবদুল গফফার, জেলা সেক্রেটারী। ছাত্র জিবন শেষ করে চাকুরী করতে চাই।ভাইটির বাড়ী ছিল, গ্রাম:হাবাশপুর, পো: বাহাদুরপুর, থানা: পাংশা, রাজবাড়ী।
ইবনে সিনার কারখানায় ক্যাজুয়েল হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেছেন।এরপর ২০০২ সনের এপ্রিল মাসে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে যথারীতি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফরিদপুর ডিপোতে চাকুরীতে যোগদান করলেন। প্রথম দেখা ও প্রথম কথা বলাতেই তাকে মনে গেথে রেখেছিলাম। তার ব্যাক্তিগত তথ্য গেটে বুঝতে পারলাম ভাইটির যথেষ্ট নেতৃত্বের যোগ্যতা খাকা সত্ত্বেও আগাতে না পারার কারন, একাডেমিক যোগ্যতা। চাকুরী জীবনেও এ একাডেমিক যোগ্যতার জন্য আগাতে পারেননি।
তবে সবার সাথেই ভাল সম্পর্ক ছিল। তিনি ফরিদপুরের দ্বীনি ময়দানে ভাল আলোচনা, দারস দিতে পারতেন।উচ্চতর একাডেমিক যোগ্যতা না থাকলেও গাফফার ভাইয়ের দারস্ অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোক মন মুগ্ধ হয়ে শুনত। তার গুনমুগ্দ ব্যবহার ও কাজের গতি অফিসে বসেও জানতে পারতাম। গফ্ফার ভাইর পোষ্টিং ছিল ইবনে সিনা ফার্মার ফরিদপুর ডিপোতে।ফরিদপুর ডিপোর কেউ আসলেই আমি জানতে চাইতাম গফ্ফার ভাইর অবস্থা ও অবস্থান, সবাই তার উচ্ছাসিত প্রশংসা করতেন।
আমি দাপ্তরিক কাজে এমন এক জায়গায় আছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই অনেক কিছু নিয়ে আমাকে হ্যালো করেন। কিন্তু এভাইটি কখনও তার পারসোনাল কোন বিষয় আমাকে কিছুই বলেন নি। একরকম ভুলেই গিয়েছিলাম।
হঠাৎ করে গত ২০১৪ বা ১৫ সনে আবার দেখা অফিসে এসে বসে আছেন। বললেন ভাই শরীরটা ভাল যাচ্ছে না।প্রমোশনের ইন্টারভিউ দিতে এসেছি।
তারপর শুনলাম অসুস্থ। আজ ০৬.০১.২০১৮ অফিসে এসে জানতে পারলাম আমদের প্রিয় গফ্ফার ভাই আর নেই।তিনি ০৫.০১.২০১৮ তারিখে মহান মালিকে ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন ওপারে সুন্দর জীবনে। তার খোজ নিব নিব করেও আর খোজ নেয়া হল না। দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ ভাইটিকে হারালাম।
মরহুম ভাইয়ের ৪২ বছরের জীবনে স্ত্রীসহ ২পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। যারা হলেন মাহবুব হাসান রনি বয়স-১৫ বছর- ৮ম শ্রেণীতে পড়ে, সাহেরা ইসলাম বকুল বয়স-১১ বছর-৫ম শ্রেণীতে পড়ে, আবদুল্লাহ আল রুহানী বয়স-১বছর ১৩ দিন। পরিবারটি অনেক কষ্টে আছে। আল্লাহ তাদের অভিভাবক হোন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
বিষয়: বিবিধ
৭৮১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন