যারা প্রচার করে থাকেন রাজতন্ত্র হারাম,তারা কি জানেন যে, এই উম্মতের প্রথম রাজা হলেন সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) যাকে নাবী (সাঃ) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন?-----শায়খ মতিউর রহমান মাদানী
লিখেছেন লিখেছেন আবু নাইম ২৪ অক্টোবর, ২০১৭, ০৪:১৬:২১ বিকাল
যারা প্রচার করে থাকেন রাজতন্ত্র হারাম,তারা কি জানেন যে, এই উম্মতের প্রথম রাজা হলেন সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া( রাঃ)যাকে নাবী ( সাঃ)জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন?-----শায়খ মতিউর রহমান মাদানী
আম্মার ইবনে ইয়াসির ইবনে আমির, ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় যে কজন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি প্রথম মুসলিম যিনি নিজের ঘরে মসজিদ নির্মাণ করে আল্লাহ্র ইবাদত করতেন। তাঁর পিতা ইয়াসির ও মাতা সুমাইয়ার সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ও মাতা উভয়ে ইসলামের প্রথম শহীদ। আম্মার রাসুল (সাঃ) সময় থেকে বদর থেকে শুরু করে মহানবী (সাঃ) এর সাথে সকল যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ইসলামের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রান। তাঁর ধার্মিকতা, বিশিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও সৎকর্মের জন্য রাসুল (সাঃ) অনেক হাদিস আছে। আয়েশা (রাঃ) ও বেশ কয়েক জন সাহাবীর বর্ণনায় আছে,
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আম্মারের আপাদমস্তক ইমানে ভরপুর”।
রাসুল (সাঃ) আরও বলেন, “আম্মার সত্যের সাথে সত্য আম্মারের সাথে। সত্য যেদিকে আম্মার সেদিকে। চোখ নাকের যতটা কাছে আম্মার আমার ততটা কাছের, কিন্তু হায়, হায়! একটা বিদ্রোহী দল তাকে হত্যা করবে”।
রাসুল (সাঃ) আরও বলেন, “হায়, হায়! সত্য ত্যাগী একদল বিদ্রোহী আম্মারকে হত্যা করবে, আম্মার তাদেরকে জান্নাতের দিকে ডাকবে এবং ওরা আম্মারকে জাহান্নামের দিকে ডাকবে। তাঁর হত্যাকারী এবং যারা তাঁর অস্ত্র ও পরিচ্ছদ খুলে ফেলবে তারা জাহান্নামের অধিবাসী”।
হযরত আলী (রাঃ)ক্ষমতায় আশার পর আম্মার তাঁর একজন একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। তিনি এসময় সকল প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা মূলক কাজে অংশ গ্রহণ করেছিলন। বিশেষ করে জামালের ও সিফফিনের যুদ্ধে। আম্মার শত্রু সনৈব্যূহের মধ্যে প্রবেশ করে একের পর এক আক্রমণ রচনা করে তাদের মোকাবেলা করছিলো। তখন কিছু সৈন্য তাঁকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং আবু আল- যুহরী নামক এক পিশাচ তাঁকে এমন আঘত করেছিল যে যা সহ্য করতে না পেরে সাউনি তে ফিরে গেলেন। সাউনিতে ফিরে তিনি পানি চাইলেন। লোকেরা তাঁকে এক বাটি দুধ দিয়েছিল। দুধ দেখে আম্মার বলেছিলেন, “আল্লাহ্র রাসুল ঠিক কথাই বলেছেন”। লোকেরা এই কথার অর্থ জানতে চাইলে তিনি বললেন, “আল্লাহ্র রাসুল আমাকে একদিন বলেছিলেন এ পৃথিবীতে আমার শেষ খাদ্য হবে দুধ”। এই দুধ পান করার পর নিজে কে আল্লাহ্র কাছে নিজেকে সপে দিলেন। হযরত আলী (রাঃ)তাঁর মাথা কোলে তুলে নিয়ে বললেন, নিশ্চয়, “যদি কোন মুসলিম আম্মারের মৃত্যুতে মানসিক ভাবে আহত না হয়ে থাকে তবে তাকে যর্থাথ ঈমানদার বলা যাবে না। হযরত আলী (রাঃ)অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন, রাসুল (সাঃ) বলেছিলেন “আম্মার সত্যের সাথে সত্য আম্মারের সাথে”। আম্মার ইবনে ইয়াসির ইবনে আমির ৩৭ হিজরি সনের ৯ সফর সিফফিন যুদ্ধে মারা যান।
বিষয়: বিবিধ
৯৯১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন