মীর কাসেম আলীর ফাঁসি
লিখেছেন লিখেছেন আবু নাইম ০২ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৩:৩২ সকাল
ট্রাইব্যুনাল থেকে এস এম নূর মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম আনসারী, মেহেদী হাসান: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার বেলা ১১ টা ২৮ মিনিটে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি ট্রাইব্যুনালের একাদশ রায়।
গত ৪ মে মীর কাসেম আলীর মামলার কার্যক্রম শেষ হলে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯৭১ সালে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মতো ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে। ১৪টি অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তবে এক এবং পাঁচ নং অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষী হাজির করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৩ সালের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয় এবং ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামসহ মোট ২৪ জন। এরা হলেন- সৈয়দ মো. এমরান, মো. সানাউল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কান্তি বর্ধন দুলাল, শহীদপুত্র শিবু দাস, মৃদুল কুমার দে, প্রদীপ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা এস্কান্দার আলম চৌধুরী, মো. সালাহউদ্দিন ছুট্টু মিয়া, মো. জাকারিয়া, নাজিমুদ্দিন, মো. হাসান (১), মো. হাসান (২), ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী, জুলেখা খান, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হাসিনা খাতুন, এসএম জামাল উদ্দিন, এসএম সরওয়ার উদ্দিন এবং লুৎফর রহমান ফারুক।
জব্দ তালিকার সাক্ষী হলেন চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরির বুক সর্টার কাউসার শেখ, বাংলা একাডেমির সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া এবং বাংলা একাডেমির প্রধান গ্রন্থাগারিক মোবারক মিয়া।
সাক্ষ্য শেষে এদের সবাইকে জেরা করে আসামিপক্ষ।
এরপর ২১ ও ২২ এপ্রিল মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন তিনজন সাফাই সাক্ষী। তারা হলেন, মীর কাসেম আলীর ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিন, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এবং চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান। এর পর তাদের জেরা করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
সাক্ষ্য শেষে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
এরপর ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ৪ মে কাসেম আলীর পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন।
উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে চলতি বছরের ৪ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"ফাসীঁ বাংলালিংক দামে পাওয়া যাচ্ছে এখন বাংলাদেশে!"
এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাহেবের কথার পুনরাবৃত্তি করলাম শুধু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন