সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত:: মুহাম্মদ আবদুল জব্বার-কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির.
লিখেছেন লিখেছেন আবু নাইম ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:২০:২৩ দুপুর
অসম্ভব ভাল লাগা একটি লেখা শেয়ার না করে পারলাম না। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত
-মুহাম্মদ আবদুল জব্বার - কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপীল বিভাগের রায়ে ফাসিঁর পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদন্ডের পর কিছু মহলের অতিশয় বাড়াবাড়ি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত…….
সরকার বাহাদুর নিজেই জানেন আল্লামা সাঈদীর যদি ফাঁসির রায় বহাল তাহলে ক্ষমতা ধররা হয়তবা নিজেদর শেষ পরিণতি দেখতে হত। কারণ আল্লামা সাঈদী শুধু জামায়াত বা ছাত্রশিবিরের সম্পদ নন,তিনি কোটি কোটি জনতার হৃদয়ে কুরআনের খাদেম হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। যার প্রমান ট্রাইবুনালে তাঁর ফাঁসির রায় ঘোষনার পর রাজপথে এর প্রতিবাদে লক্ষ লক্ষ জনতা নেমে আসে, মাত্র কয়েক দিনের প্রতিবাদে ২০০ জন মানুষ জীবন বিসর্জন দেয়। সাঈদী সাহেবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্রের কারণে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করে ট্রাইবুনাল,যাতে তিনি মানুষের সামনে মৃত্যু অবধি কুরআনের কথা নিয়ে আর ফিরে আসতে না পারেন। যদিও বা দেশবাসীর কাছে এ সাজানো মামলায় এক মুহুর্তের জন্য তাঁর সাজা হবে বলে বিশ্বাস করতে পারে না, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এসেছে সে সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও সাজানো বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতে আর যুক্তির খুব প্রয়োজন পড়েনা যে, এ রায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারের সাথে আঁতাত হয়ে ফাঁসির রায় থেকে আমৃত্যু কারাদন্ডের রায় হয়েছে, না কি সরকারের গদি টালমাটাল হবে সে কারণে রায় কিছুটা লঘু করা হয়েছে? যদিও বা আল্লামা সাঈদীর ব্যাপারে এক মুহুর্তের অবিচার ইসলাম প্রিয় জনতা মানে না, মানতে পারেনা। তাদের গভীর বিশ্বাস আল্লামা সাঈদী আবার কুরআনের ময়দানে ফিরে আসবেন। লক্ষ জনতা তার বক্তব্য শুনে কুরানের পথে দীপ্ত কদমে সম্মুখে আগোয়ান হবে।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপীল বিভাগের রায়ে ফাসিঁর পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদন্ডের পর কিছু মহলের অতিশয় বাড়াবাড়ি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত…….
২০ দলীয় জোটের শরীকদল গুলো সাঈদী সাহেবের রায়ের পর নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু করলেন যে নিশ্চয় জামায়াতের সাথে সরকারের আতাঁত হয়েছে,নতুবা ফাঁসি থেকে আমৃত্যু কারাদন্ড! কি করে সম্ভব? তাদের সমালোচনায় মনে হয় এরাও ইসলাম বিদ্বেষীদের দোসর। আল্লামা সাঈদী মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক তারা চাননা । তাদের জেনে রাখা প্রয়োজন যে ইসলামী সংগঠন কারো করুণার পাত্র নয়। দেশ ও ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থে ২০ দলীয় জোটে জামায়াত । এ সংগঠন কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক দলের নাম নয় বা ব্যক্তির খায়েস পুরণ করা এ আন্দোলনের লক্ষ্য হতে পারেনা। যে যা করে সে তা ভাবে।এর পরও যখন আঁতাতের গন্ধ তাদের নাকের ডগায় শিরশির করছে,সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাতের বিষয় গুলো তুলে ধরাই ভাল-
-যারা বলেন সরকারের সাথে আতাঁত হয়েছে তাদের বলব নিশ্চয় আতাঁত হয়েছে! বাস্তবায়ন ও চলছে।
কিসের আতাঁত?
যেমন-
১*নেতৃবৃন্ধদের হত্যার আঁতাত!
আঁতাতের বাস্তবায়নঃ
ক -সরকারের সাথে আতাঁত করে জামায়াত আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাসিঁতে ঝুলিয়েছে!
খ-আমীরে জামায়াতসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির রায় !
গ-মাওলানা একে,কে এম ইউসুফের জেলখানায় মৃত্যু!
ঘ-বাংলাদেশের নয়নের মনি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে সারাজীবন জেলে রাখা !
ঙ-আটক শীর্ষ নেতাদের (প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইবুনাল) বিচারের নামে অবিচারের অপেক্ষায় ……
২*ছাত্রশিবির সভাপতিদের পঙ্গু করার আঁতাত!
আতাঁতের বাস্তবায়নঃ
ক-সরকারের সাথে আঁতাত করে তৎকালীন ছাত্রশিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে পঙ্গু করেছে!
খ-সাবেক সভাপতি ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদকে পঙ্গু করেছে!
৩* সরকারের সাথে নিজ দলের কর্মীদের হত্যা,গুম ও পঙ্গুত্ব বরণ , জেল-জুলুম করার আঁতাত হয়েছে!
আঁতাতের বাস্তবায়নঃ
ক-শত শত নেতা কর্মীকে আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে!
খ- সংগঠনের প্রায় সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্ধ কারাগারে!
গ-গুম নেতা-কর্মীদের সন্ধান এখনো মিলেনি!
ঘ- অসংখ্য নেতা-কর্মীরা পুলিশী ও আওয়ামী হামলায় হাত-পা,চোখ ও শরীর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছে!
ঙ-অগণিত সংগঠনের জনশক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে!
চ- হাজার হাজার নেতা-কর্মী এখনো কারাগারের অন্ধকার প্রোকষ্টে দিনাতিপাত করছে!
ছ-নিষিদ্ধ না হওয়া সত্বেও জামায়াত শিবিরের সবগুলি অফিসে তালা ঝুলানো !
জ- রাজনীতি আর সাংগঠনিক কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন শুধু কোর্ট আর জেলখানায় দৌড়ে বেড়ানো !
ঝ- মামলা হামলার কারণে অগণিত ভাইদের ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস !
ঞ-বাড়ি-ঘর ছাড়া,অফিস-আদালত ছাড়া!
ট-প্রতিবাদ মিছিল শুরু করার আগেই পুলিশী গুলি…!
ঠ-ফ্যাসিষ্টপুষ্ট মিডিয়ার মাধ্যমে অব্যাহত অপপ্রচার…!.
আঁতাতের আর কোন কিছু কি বাকি আছে??
আঁতাত নিয়ে যারা কথা বলেন, আশাকরি তারা আঁতাতের আর কোন অংশ বাকি আছে ; জানালে উপকৃত হতাম।
এক সময়ের সরকারী খানা খাদ্যে পালিত পুষিত বর্তমান সময়ে দ্বিধা বিভক্ত গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ রায় পাঁতানো এ রায় মানিনা । এ রায়ের মাধ্যমে সরকার জামায়াতের সাথে আঁতাত করেছে, মঞ্চের এক খন্ডের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের মতে- এ রায়ের মাধ্যমে সরকার জামায়াত-শিবিরকে পুনঃবাসিত করেছে। ইমরান এইচ সরকারকে কাদের মোল্লার ট্রাইবুনালে যাবৎ জীবন কারাদন্ডের পর সরকার ও দেশী বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নের রুপকার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল,ভুঁইফুর সংগঠন হঠাৎ করে ফুঁলেফেঁপে মহিরুহের পরিণত হয়েছিল। এর নেপথ্যে শক্তি কারা? এখন আর কারো জানতে বাকি নেই। সরকারী আয়োজনে কোন জাগরণ (!) সৃষ্টি হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সম্বভত এই প্রথম সংজ্ঞা রচিত হল। বিরানীর আয়োজন আর মাথা প্রতি টাকা দিয়ে দিন মুজুরে, গার্মেন্টস কর্মী এবং স্কুল-কলেজ গুলোকে নোটিশ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী মঞ্চে উপস্থিত হতে বাধ্য করে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের (!) আয়োজন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইমরান এইচ সরকার সম্পর্কে কারো অজানা নয়। তার পিতামহ রাজাকার ছিলেন বলে সরকারী বরাদ্দকৃত প্লটও সরকার বাজেয়াপ্ত করে। যার ব্যাপারে কোটি কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠে স্বয়ং তার মঞ্চের উদ্যোগতাদের কাছ থেকে। জামায়াতের প্রতিষ্টান বলে চিহিুত করে বিভিন্ন প্রতিষ্টান থেকে চাঁদাবাজী শুরু করে ফ্লিমি ষ্টাইলে । গনজাগরণমঞ্চ দেশে সবার মাঝে বিভক্তির রেখা টেনে দিয়েছিল,যা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট।
তাই গণজাগরণ,শাহবাগ এসব শব্দ দেশের সচেতন মহলের কাছে ঘৃণিত। কিছু মানুষ পৃথিবীর ইতিহাসে মীর জাফরের মত তাদের বোঁধ ও বিবেককে বিক্রি করে ফেলে। অর্থের মোহে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে প্রকৃত পক্ষে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কারো স্বার্থ হাসিল করতে চায়। ইমরানও সে পথরই যাত্রী। এই ইমরান যার নেতৃত্বে মীরপুরের কসাই কাদের মোল্লার সকল অপরাধের দ্বায়ভার নিরাপরাধ জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার উপর চাপিয়ে দিয়ে সংবিধানে নতুন আইন সংযোজন করার জন্য পার্লামেন্টকে কতিথ চাপ প্রয়োগ করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপরাধ কাদের মোল্লার উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফাঁসির দাবী আদায় করেছিল। এই সে ইমরান এইচ সরকার যে শাহাবাগে মুক্তি বুদ্ধির চিন্তার বিষ্ফোরণের নামে আল্লাহ,রাসুল,ইসলাম,নামাজ,কাবার ইমামের পোশাক,দাড়ী,টুপি নিয়ে মারাত্নক কুটুক্তি করেছিল। ব্লগার রাজীব (থাবাবাবা) হত্যাকােন্ডর পর নারী-পুরুেষর যৌথ উপস্থিতিতে গায়েবানা জানাজার নামাজ শাহবাগে অনুিষ্টিত করেছিল! যার নেতৃত্বে মোমবাতির প্রজ্বলন,নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা ও রাত-বেরাতে নর্দন-কুর্দন দেশের স্বাধীণতাকে প্রশ্নিবদ্ধ করেছে । দেশ প্রেমিক আম জনতার প্রশ্ন এর নামই কি আসলে স্বাধীণতা?এর জন্যই কি আমারা শত্রুর বিরুদ্ধে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছিলাম?
ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী বিধিমোতাবেক পরিচালিত সকল প্রতিষ্টান রাজকারের প্রতিষ্টান হিসেবে ট্রিট করে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল।সরকার তাদের দাবী মেনে অনেক প্রতিষ্টান বন্ধ করে দিয়েছিল ।তাকে আজ বলতে ইচ্ছে হয় তোমাকে তোমার শেষ পরিণিতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যেমন আবুলাহাব ও আবু জাহেলের গঙ্গদের হয়েছিল। গণজাগরণ এখন আর জাগেনা। ৫০ জনের মিছিল নিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। সরকার বাহাদুর ও নাটকের স্কীপটা একটু দীর্ঘতর করার জন্য মশা মারতে কামান দাগায়। জাতিকে সরকার দেখাচ্ছে আমরা খুব নিরপেক্ষ! সকল নাটক নিজেরা আয়োজন করে আবার নাটক নয় হিসেবে বিশ্বস্থতা ফিরিয়ে আনতে এসব আয়োজন। যা আর কারো বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়। ইমরান এইচ সরকারকে বলতে ইচ্ছে হয়-সরকারী প্রোটেকশন আর আন্নি-বিরানীর আয়োজন ব্যতিত কতজন লোক তোমার আয়োজনে অংশ গ্রহন করে তুমি নিজে দেখে নাও। সব আয়োজন শুধু নাটক……নাটক। জামায়াত সরকারের সাথে আঁতাত করেছে ? না সরকারের সাথে তোমরা আঁতাত করেছ ? কারো কাছেই আজ এর উত্তর অজানা নয়।
সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত হয়েছে বলে জোরে-শোরে প্রচারণা চালাচ্ছে কিছু ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠন গুলো ইসলামীক কিনা সেই ফতোয়া আমি দিতে যাবনা। জামায়াতকে হয়তবা রাজনৈতিক কারণে কারো পছন্দ-অপছন্দ হতেই পারে,কিন্তু একজন কুরআনের খাদেম হিসেবে আল্লামা সাঈদীর জন্য প্রতিটি কুরআনের পতাকাবাহী দলের প্রয়োজন ছিল তার মুক্তি আন্দোলনে শরীক হওয়া ,এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়া । কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটা না হয়ে বরং সমালোচনায় মগ্ন হলো বেশ কিছু ইসলামী সংগঠন ও ব্যক্তি।
তাদের সমালোচনা গুলো ঠিক এরকম………
১.জামায়াত কি শেষ পর্যন্ত সরকারের সাথে আঁতাত করল?
২.তাহলে কি এবার ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাচ্ছে?
৩.কোন কোন ইসলামীক সংগঠনের অনলাই পেইজে জামায়াত ইসলামী সংগঠন নয় বলে দাবী তোলা হচ্ছে!
৪.মওদূদী বাদীরা শেষ পর্যন্ত আঁতাতে গেল!
৫.সাঈদীকে মওদূদী হাইজেক করেছিল……
৬.কেউ কেউ শ্লোগান তুলেছে সাঈদী বাংলার ইহুদী!
৭.কেউ কেউ বললেন তাদের পীর সাহেব এক সময় পল্টন ময়দানে জামায়াত ইসলামী দল নয় হিসেবে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ৮.আবার কেউ কেউ বললেন জামায়াত করাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে…………
তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা হলো
১.কেউ কি আঁতাত করে জেলে আমৃত্যু থাকতে চায়?
২.আল্লামা সাঈদীর তাফসির শুনে দেশে বিদেশে শত শত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে,আপনাদের কথা শুনে কত জন লোক ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত হয়েছেন?
৩.আপনারা কি তাহলে সাঈদী সাহেবের সত্যিই ফাঁসি চেয়েছিলেন?
৪.ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের সাথে আপনাদের সম্পর্ক এত খায়ের খাঁ কেন ?
৫. তাহলে অর্থ ও জীবণের ভয়ে নিজেকে বিকিয়ে দিলেন?
৬.তাহলে আসলেই কি আপনারাই সরকারের সাথে আঁতাত করেছেন?
৭.নতুবা আপনারা নিশ্চুপ কেন?
৮.যেদেশে ইসলাম পন্থী কেউ নিরাপদ নয় সে দেশে আপনারা কিভাবে বহাল তবিয়তে আছেন?
৯.সরকারের সাথে আঁতাত করে আপনারা কি তাহলে জামায়াতের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে লেগেছেন?
এসব লোকদের এমন অবস্থা দেখে শয়তান ও লজ্জায় মুখ লুকায়। এই পন্থি সেই পন্থি বলে আর কতদিন ইসলামের ভিতর বিভক্তি রেখা টানবেন? সবাই সংকীণর্তা ছেড়ে দিয়ে ইসলাম পন্থি হওয়ার চেষ্টা করুন । নতুবা স্বরুপে নেমে যান। ধানাই-পানাই করে ইসলামের আবরণে ইসলামের অগ্রযাত্র ব্যাহত করবেন না।
আল্লামা সাঈদীর রায়কে কন্দ্রে করে কিছু বুদ্ধজিীবি তাদের টকশো ও লিখুনিতে সরকাররে সাথে জামায়াতের আঁতাত হয়েছে বলে জোর গলায় প্রচার করছেন। যারা একসময় সরকাররে র্দুণীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছিলেন হঠাৎ করে তাদের এমন ভুমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে সাঈদী সাহেবকে কোন দলীল প্রমান ছাড়া দলকানার মত রাজাকার বাহীনির কমান্ডার বানিয়ে ছাড়তে চাইছেন! আল্লামা সাঈদীর ফাঁসি না হওয়াতে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। তাদের ভুমিকা দেখে যে কারো মনে হবে তাদের মগজে পঁচন ধরেছে। তারা তাদের বিবেককে বিকিয়ে দিয়েছেন কোন অসৎ উদ্দেশ্যের তরে অথবা অর্থ-বিত্ত,ক্ষমতার মোহ বা জীবন বাচাঁনোর খাতিরে। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যাটাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে র্নিলজ্জ অপেচষ্টা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা সত্যকে সত্য হিসেবে স্বীকার করেনা তার অন্তত বুদ্ধিজীবি হতে পারেন না, তাদেরকে পরজীবি বললে খুব উত্তুক্তি হবেনা। তাদের ভুমিকা এমন যে তারা যেন কেবলমাত্র একটি গোষ্টিকে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টায় নিয়োজিত আছেন।
তারা সরকারকে সব সময় উস্কিয়ে দিয়ে ইসলাম প্রিয় মানুষের সাথে ক্লেশে জড়িয়ে রাখতে চান। কারণ দেশে যখন ইসলামী সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন পরিমান বাড়িয়ে দেয় তখন তারা এটাকে সরকারের যৌক্তিক ভুমিকা হিসেবে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করেন। তাদের ভাষ্য মতে -“বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে ধর্মীয় রাজনীতি করার সুযোগ নেই”। আবার যখন সরকারী প্রশাসনের সংঘাত-সংঘর্ষহীন ভাবে দেশে ইসলামী দল গুলো কর্মসূচী করে তখন তারা আলোচনার টেবিলে সরকারের সাথে মৌলবাদীদের(!)আতাঁতের গন্ধ খুজেঁ পান। এতে কারো মালুম করতে খুব অসুবিধা হয়না যে তার কারো পেইডেড হিসেবে কাজ করছে। মাঝে মাঝে তাদের দশা এমন হয় যে তারা কোন পক্ষে কথা বলেন তারা নিজেও জানেননা।নিরেপক্ষ(!) থাকার বৃথা চেষ্টা করেন। তাদের বলতে দ্বিধা নেই যে জামায়াতের সাথে সরকারের আঁতাত হয়েছে নাকি আপনাদের সাথে সরকারের আঁতাত হয়েছে? নচেৎ নির্দোষ একজন আলেমকে রাজাকার বানাতে আপনারা আদাজল খেয়ে লেগেছেন কেন?
সত্য গোপন রেখে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রমাণিত করতে আপনারা এত মরিয়া কেন?
যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণার পর জামায়াত নিষিদ্ধের মিশন নিয়ে কিছু মিডিয়া মাঠে নেমেছিল । বিশেষ করে গণজাগরণমঞ্চ কে কেন্দ্র করে তাদের ভুমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ।২৪ ঘটনা লাইভ! সারা দেশের আর কোন সমস্যাই যেন নেই! একটাই সমস্যা জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেয়া আর জামায়াত নিষিদ্ধ করা! আর মুখরোচক কল্পকাহিনী দিয়ে রির্পোটের পর রির্পোট! যে সকল মিডিয়া একটু -আধটু সত্য বলার চেষ্টা করছে সে সকল মিডিয়া বন্ধের ব্যাপারে তাদের ভুমিকা উল্লেখ করার মত।
যাদের বিরুদ্ধে স্বাধীণতার ৪১ বছর আগ পযর্ন্ত কেউ কোন অভিযোগ আনেনি, মামলা-মোকাদ্দমা করেনি,হঠাৎ রাতারাতি কাউকে কাউকে যুদ্ধপরাধী হিসেবে সনাক্ত করা হল, আবার কাউকে কাউকে যুদ্ধপারাধী হিসেবে সনাক্ত করে মামলা মোকাদ্দমা আর অলীক অভিযোগে জড়ানো হল! যেমন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ব্যাপারে আনা হল।তিনি ১৯৯৬ এর পার্লামেন্টে চ্যালেন্জ করে বলেছিলেন আমি রাজাকার নই। তার চ্যালেঞ্জ সেদিন গ্রহন করেনি কোন আওয়ামীলীও। আজকে যারা উল্টো-পাল্টা তথ্য দিয়ে সবজান্তা সাংবাদিক হিসেবে আত্নপ্রকাশ করছে তারা সেদিন কোথায় ছিলো ? তারা কোন চেতনায় ভোল পাল্টাচ্ছে? বিবেকের তাড়ানায় না অন্য কোন হেতু? জামায়াত নিয়ে কিছু অতিউৎসাহী মিডিয়া যে কল্প-কাহিনী তৈরীতে ব্যস্ত এতে তাদেরকে দলকানা আওয়ামী কর্মীর চাইতেও মারাত্নক মনে হয়। দলকানাদের কাজ হলো -তারা একপক্ষীয় কথা বলে বেড়ায়,সত্য-অসত্য যাচাই করেনা।ঠিক সবজান্ত ভাবনেয়া এ সকল সাংবাদিকরা শুধু একপক্ষীয় সংবাদ প্রচার করে এবং অপর পক্ষের কোন বক্তব্য উপস্থাপন করে না। সত্য অসত্যের ধার ধারেনা। কারো উদ্দেশ্য হাসিল করাই তার কেবল একমাত্র মিশন।
তাদের কাছে আমার প্রশ্ন …….
যাদের বিরুদ্ধে আপনি লিখছেন তাদের বক্তব্য কি?
একপক্ষীয় প্রচার চালালে এটাকে কি সংবাদ সম্প্রচার বলে?
আপনি কি কোন দলের লিফলেট প্রকাশের কাজ করছন?
যতই নিরপেক্ষ ভাব নেয়ার চেষ্টা করুন না কেন, বিশ্বাসের জায়গায় যদি একবার নড়বড়ে হয়ে যায় তার ভীত অন্যকিছু দিয়ে পুরণ করা যায় কিনা আমার জানা নেই। এসব কারণে এখন সংবাদ মাধ্যমের উপর দেশের সচেতন মানুষের আস্তার জায়গাটা ঠুনকো হয়ে গেছে ।কারণ সংবাদ মাধ্যমে যা রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ সংঘঠিত ঘটনার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। আর উল্লেখিত সাংবাদিকরা জামায়াত বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে জামায়াতের আরো বেশী প্রচারের কাজ কারছে বলে মনে করেন। কারণ এতে মানুষ গভীরে গিয়ে আসল সত্যকে উপলব্দি করার চেষ্টা করে।
জনাব আব্দুল কাদের মোল্লা সাংবাদিকদের কয়েকবারের নির্বাচিত ছিলেন কই তখন তো ওনার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করেনি। কিছু সাংবাদিক সুযোগের অপব্যবহার করে তাকে প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করে তাদের কুৎসিত চেহারা প্রদর্শন করছে কার স্বার্থ? সে যাই হোক সত্যকে যারা কলমের খোঁচায় বিকিয়ে দিতে চায় তারা সমাজে বিশৃংখলাকারীদের চেয়েও জঘন্য।তাই তাদেরকে বলতে আমার দ্বিধা নেই যে ,মাওলানা সাঈদীর রায়ের পরবর্তী যে ভাবে সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাতের গন্ধ খুজেঁ পাচ্ছে তাদের কাছে এসব প্রশ্নের কি কোন উত্তর আছে?
-সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত হয়েছে না কি আপনারা সরকারের সাথে আঁতাত করেছেন?
-নচেৎ এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন?
-হঠাৎ করে শাহাবাগ নিয়ে আপনাদের এত প্রচারণা কেনছিল?
- আপনাদের ২৪ ঘন্টার প্রচারণার এ অর্থ কে বা কারা জুগিয়েছিল?
-মাওলানা সাঈদী নির্দোষ প্রমাণিত হতে আপনার আর কিবা প্রয়োজন?
- ইসলাম না জেনে ইসলামের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান প্রকাশ করে কার স্বার্থ হাসিলের জন্য চেষ্টা করছেন?
ডাক্তরী বিদ্যা যে জানে ডাক্তরী কেবল তাকেই মানায়। যে যা জানেনা তা নিয়ে যখন বাড়াবাড়ি করে ঠিক তখনই সমস্যা সৃষ্টি হয়। একচোখা নীতি কারো কল্যাণময় নয়,এমন কি ব্যক্তি নিজেরও।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৪২২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন