আফগান তালেবানদের শক্তির উৎস কি?
লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্ত আত্মা ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:১৫:৪১ সন্ধ্যা
ইউটিউবে মার্কিন ড্রোন,অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ইত্যাদি প্রযুক্তির কার্যক্রম যখন দেখি তখন সত্যিই অবাক লাগে কি করে এই সামরিক পরাশক্তির সামনে ১৩ টি বছর অপেক্ষাকৃত অনুন্নত প্রযুক্তির সমরাস্ত্র নিয়ে আফগান তালেবানরা বীরের মত দাড়িয়ে ছিল।আমেরিকার হাতে উন্নত মারণাস্ত্র এবং আকাশযুদ্ধে একাধিপত্য থাকা সত্ত্বেও তারা আফগানিস্তানে যে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে তা সত্যিই অবাক করার মত বিষয়ই বটে!বাঘের মত গর্জন করে আফগানিস্তানে এসে ১৩ বছর পর তারা এখন বেড়ালের মত লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে!আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবার যে তালেবানরা আসছে এটা মোটামোটি নিশ্চিত।
আফগান তালেবানদের শক্তির উৎস কি?আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পূর্বমুহূর্তে ২০০১ সালে ভয়েস অফ আমরিকাকে দেওয়া তালেবান নেতা মোল্লা মুহাম্মদ উমরের ১২ মিনিটের একটি সাক্ষাতকার গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।মোল্লা মুহাম্মদ উমরের ঐ সাক্ষাৎকারে বুঝা যায় তালেবানরা কখনও নিজেদের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করেনি।তারা সব বিষয়ে আল্লাহর উপরেই ভরসা করেছিল।আমার মনে হয় এটাই তাদের মূল শক্তি।একটা ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারের বাংলা অনুবাদ খোঁজে পেয়েছিলাম।সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরছি।
ভয়েস অফ আমরিকাঃ আপনি উসামা বিন লাদেনকে বহিষ্কার করছেন না কেন ?
মোল্লা উমরঃ এটা উসামা বিন লাদেনের ব্যাপার নয়। এটা ইসলামের বিষয়। ইসলামের মর্যাদার বিষয়। আফগানিস্তানের ঐতিহ্যই এমন।
ভয়েস অফ আমরিকাঃ আপনি কি জানেন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে ?
মোল্লা উমরঃ আমি দুইটা অঙ্গীকারকে বিবেচনা করছি। একটি আল্লাহ্ তায়ালার অঙ্গীকার, অপরটি বুশের অঙ্গীকার। আল্লাহ্ তায়ালার অঙ্গীকার হচ্ছে হচ্ছে, আমার যমীন বিশাল। যদি তুমি আল্লাহ্র পথে যাত্রা শুরু কর, পৃথিবীর যেকোন স্থানে থাকতে পারবে এবং সুরক্ষিত হবে… আর বুশের অঙ্গীকার হচ্ছে, পৃথিবীতে এমন কোন স্থান নেই যেখানে তুমি নিরাপদ থাকবে আর আমি তোমাকে খোঁজে পাবো না। আমরা দেখবো এই দুই অঙ্গীকারের মধ্যে কোনটা পূর্ন হয়।
ভয়েস অফ আমরিকাঃ কিন্তু আপনি কি জনগণের জন্য, আপনার নিজের জন্য, তালেবান এবং আপনার দেশের জন্য উদ্বিগ্ন নন?
মোল্লা উমরঃ সর্বশক্তিমান আল্লাহ্… বিশ্বাসী এবং মুসলিমদের সাহায্য করছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তিনি কখনো অবিশ্বাসীদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না। বৈষয়িক দিক থেকে দেখলে, আমেরিকা অনেক শক্তিশালী। আমেরিকা যদি এর দ্বিগুণ শক্তিশালী হত বা হয়, তবুও আমাদেরকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ঠ নয়। আমরা দৃঢ় বিশ্বাসী যদি আল্লাহ্ আমাদের সাথে থাকেন কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
ভয়েস অফ আমরিকাঃ যদি আপনি আপনার সমস্ত শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করেন- তালেবানরা কি তা পারবে ? আমেরিকা আপনাকে পরাজিত করবে না এবং আপনার লোকজন আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না?
মোল্লা উমরঃ আমি দৃঢ় বিশ্বাসী আমেরিকা এইভাবে বেরিয়ে যাবে না। দেখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। যদি কেউ আল্লাহ্র উপর ভরসা করে, সে নিশ্চিত থাকে আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন, তার উপর রহমত বর্ষণ করবেন এবং সে সফল হবে।
গার্ডিয়ানের সাক্ষাৎকারের লিংক
বিষয়: বিবিধ
৩৪৫০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর কিছু তথাকথিত ইসলামি গনতন্ত্রি পার্টি আছে এরা ১০০ বছর ইসলামের নামে রাজনিতি করে ক্ষমতা পাইলেও ইসলামের একটা বিধানও ক্বায়েম করে না/করতে পারে না।
এজন্যই ইমাম আনওয়ার আল আওলাকি বলেছিলেন," মুসলিমদের মধ্যে একেকটা দল একেক রকম কাজ করছে - এই বিভিন্নতার দরকার আছে ৷ মুসলিমদের আজ সব ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে ৷ কেউ হয়তো দাওয়াহর কাজ করছে, কেউ ইল্ম অর্জন করছে, কেউ এবাদতে মশগুল আছে ৷ মানুষ বিভিন্ন রকমের, তাই কাজও বিভিন্ন রকম হবে ৷ মানুষের দক্ষতাও একেক রকম, কেউ ভাল আলেম, কেউ ভাল ইমাম আর কেউ বা ভাল শিক্ষক ৷ কেউ কেউ আছেন যারা কথা কম বলেন, কাজ বেশি করেন ৷ সব ধরনের লোকেরই দরকার আছে ."
তবে হ্যাঁ! পৃথিবীর সকল প্রান্তের পরিস্থিতির ভিন্নতাই পদ্ধতির ভিন্নতা দাবি করে।
আপনি মক্কা দিয়ে মদিনা কিংবা মদিনা দিয়ে মক্কা বিজয়ের কথা ভাবতে পারেন না।
আবার স্পেনের সাথে মালদ্বীপ বিজয়ের তারতম্য দেখে দুটার মধ্যে ঠিক/বেঠিক বের করতে যাওয়া উচিত নয়। কারন সেক্ষেত্রে অনুসন্ধারনকারীই ভুল।
আল্লাহ দ্রুতই মুসলিম বিশ্বকে আবারও খেলাফতের একক পতাকা তলে আনার তাওফিক দান করুন আমিন। আমরা যেন সে সোনালি দিন চোখে দেখে বিদায় নেয়ার সৌভাগ্য পাই!!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : আরব্য রজনীর স্বপ্ন...........।A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক
সময়ের হিসাব বিবেচ্য নয় ইসলাম প্রতিষ্ঠায়!
তালেবানরাই প্রকৃ্ত ইসলামের সেবক এটা অস্বীকার করা যাবে না কখনই!
খেলাফতে রাশেদার সময়ও খুব দীর্ঘ নয় আজকের সময় পর্যন্ত হিসেব করলে!!
আশির দশকে রাশিয়াকে সাইজ করার জন্য আমেরিকার প্রতক্ষ্য সহযোগিতাতেই কিন্তু তালেবানরা গড়ে উঠেছিল।
তালেবান গঠিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালের দিকে আর সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান ছেড়ে গিয়েছিল ১৯৮৯ সালে।তবে আফগান মুজাহিদদের আমেরিকা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল এটা সত্য।তখন আমেরিকার চোখে উসামা বিন লাদেন ছিল বীর।তারা ভেবেছিল আফগান মুজাহিদদরা কিংবা আল কায়েদা এর প্রতিদানে আমেরিকার আনুগত্য মেনে নিবে।কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো।
হিস্টোরিটা একটু পড়ে দেখেন তো
Active
1994–1996 (militia)
1996–2001 (government)
2004–present (insurgency)
মন্তব্য করতে লগইন করুন