সিরাজ-উল-হক ::: সংগ্রামী এক মানুষের গল্প...
লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্ত আত্মা ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৩:৩৯ বিকাল
"আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে গিয়েছিলাম তখন আমার উস্তাদ (শিক্ষক) আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে বলেছিলেন,'যতক্ষণ তুমি স্কুলব্যাগ নিয়ে ক্লাসে না আসবে ততদিন ক্লাসে ঢুকতে পারবে না।'আমার মনে আছে আমি ২৫ দিন ক্লাসে যেতে পারিনি কারন স্কুল ব্যাগ কেনার পয়সা ছিলনা।কিন্তু আমি প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে স্কুলে যেতাম।তাদের স্কুলব্যাগ থাকার কারণে তারা ক্লাসে যেত কিন্তু আমি ক্লাসের বাইরে বসে বসে আমার সহপাঠীদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।২৫ দিন এভাবেই পার হয়েছিল কারন আমার কাছে স্কুল ব্যাগ ছিলনা।২৫ দিন পর আমাকে ব্যাগ কিনে দেওয়া হলে আমি ক্লাসে যায়।যখন আমি কলেজে পড়তাম তখন টাকার অভাবে দিন-মজুরী করতাম।আমার মনে আছে যখন কলেজ শেষে সহপাঠীরা দলবেঁধে বেড়িয়ে যেত আর আমি চলে যেতাম দিনমজুরী করার জন্য।এখন আল্লাহ আমাকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের অর্থ মন্ত্রী বানিয়েছেন।যখন আমি অর্থমন্ত্রী হয় এবং আল্লাহ আমাকে বাজেট বানানোর সুযোগ করে দেন তখন আমি প্রথম যে কাজটি করি তা হল খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাইমারী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যাবতীয় খরচ মওকুফ করে দেয় যাতে আমার মত আর কোন সিরাজুল হককে স্কুল ব্যাগ না থাকার কারণে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে না হয়।"
-- পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর সিরাজ-উল-হক
ঘটনাটি শুনুন তার নিজের মুখেই (লিংক-১)
ঘটনাটি শুনুন তার নিজের মুখেই (লিংক- ২)
সিরাজ-উল-হক পাকিস্তানে খুবই জনপ্রিয় একজন রাজনীতিবিদ।২০০২ সালে তিনি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু দামাদোলা এলাকার একটি মাদরাসায় মার্কিন ড্রোন হামলার প্রতিবাদে তিনি তখন পদত্যাগ করেছিলেন। ২০১৩ সালে জামায়াতের মনোনয়নে তিনি পুনরায় প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সিরাজ-উল-হক অত্যন্ত গরীব ঘরের সন্তান।খুবই সাধারণ জীবন-যাপন করেন তিনি।উপরে ছবিতে যে বাড়িটা দেখছেন এটা উনার বাড়ি!জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের আমীরের বাড়ি!খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রী সিরাজ-উল-হক এর বাড়ি!আল্লাহ সিরাজ-উল-হকের হায়াত আরও বাড়িয়ে দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুবই অভিভূত হলাম!!
একজন সিনিয়র মন্ত্রী কতই না অনাড়ম্বর বেশে বাস করছেন। সেই নিরিখে আমাদের দেশের মন্ত্রীদের চলন-বলন আর ঠাট-বাটকে তুলনা করলে মনে কষ্ট পেতে হয়।
আর উনি মন্ত্রী হবার পরে নিজের অতীতকে ভুলেন নাই এবং তারমত অন্য কেউ যেন অর্থাভাবে কষ্টকর শৈশব না কাটায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজটিও করেছেন।
সাবাশ!!!
আপনাকেও ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্ট আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
এ রকম নেতা আমাদের দরকার।
হে আল্লাহ আমাদেরকে এ রকম সিরাজ দাও।
দারিদ্র কখনই প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারেনা।
এই প্রথম পাওয়া গেল। তাই আপনাদের দরকার(১) জামাত রিসার্স পর্ব (২) আমি
আলবদর বলছি, বই দুটি পড়ার জন্য। ওখানে
দেখবেন কত লোক রয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন