হিযবুত তাহরির -- খেলাফতের দাবীর আড়ালে তাদের মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্য
লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্ত আত্মা ০৬ জুলাই, ২০১৩, ১২:৪৬:১৭ দুপুর
মুরসি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মূলত সেকুলার,আমেরিকা,মোসাদ ও ইসরাইল ক্ষোভের অনলে জ্বলছিল।তারা প্রথম থেকেই মুরসিকে সরাতে সুযোগ খুজছিল।তাদের এ সুযোগের দ্বারকে উন্মোচিত করে দিল সেকুলার আর তথাকথিত ইসলামিষ্ট হিযবুত তাহরিরের কর্মীরা।সেকুলাররা তো মুরসির সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য হিযবুত তাহরির মুরসি ক্ষমতায় আসার পর দিন থেকেই ফেসবুকে ব্লগে মুরসির সমালোচনা করতে শুরু করে।তারা মুরসির ব্যাঙ্গ ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন কায়দায় মুরসির সমালোচনা করতেই থাকে।পরিতাপের বিষয় হল, হোসনে মুবারকের ৩০ বছর শাসনামলে এসব হিযবুত তাহরিরের কর্মীরা কখনও ইসলামি শরিয়াহ আইন স্থাপনের দাবী জানায়নি কিন্তু মুরসি ক্ষমতায় আসার পর তারা মুরসিকে মাত্র চারটা বছরও সময় দিতে তারা রাজি হয়নি।সেকুলারদের সাথে তাল মিলিয়ে মুরসির সমালোচনা করতেই থাকে!এমনকি তাদের পেজে তারা হাফেজে কোরআন মুরসিকে কাফেরদের সাথে তুলনা করতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি!
আমার কথার সত্যতার জন্য হিযবুত তাহরিরের ফেসবুক পেজগুলি ঘুরে আসুন।আপনি অবাক হবেন ঐ পেজগুলিতে যদি ১০০ টা পোস্ট দেওয়া হয়ে থাকে এর মধ্যে ৯০ টা পোস্টই মুরসির বিরুদ্ধে!!কিন্তু হিযবুত তাহরিরের এসব সমালোচনায় মূলত লাভবান কারা হয়েছে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়!ক্রমাগত এসব সমালোচনা করে তারা সামাজিক মাধ্যমসমূহে মুরসিবিরুধি একটা মনোভাব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।যা সেকুলারদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিরাট ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।মুলত তারা রাজতন্ত্র,সেকুলার,আমেরিকা,মোসাদ ও ইসরাইলের সহায়ক শক্তি হিসাবে মিসরের রাজনীতিতে ভূমিকা রেখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে।সারাবিশ্ব জানে মুরসিবিরুধি আন্দোলনের সূচনা করেছে সেকুলাররা।অথচ হিযবুত তাহরির দাবী করছে শরিয়াহ আইন স্থাপন না করায় নাকি মুরসির পতন হয়েছ! অবশ্য তাদের এ বক্তব্য ফেসবুক ও টুইটারে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে!সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল তারা আমেরিকা ও গনতন্ত্রের বিরুধিতা করলেও ইউরোপের দেশগুলিতে তারা বহাল তবিয়তেই কাজ করে যাচ্ছে।
মুরসির পতন হয়েছে!হিযবুত তাহরির সফল!সেকুলাররা সফল!রাজতন্ত্রের ধারক বাহকেরা সফল!তবে তাদের এ সফলতা সময়িক!কারন মিসরের ঘটনার মধ্য দিয়ে খেলাফতের দাবীর আড়ালে তাদের মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্য সবার কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।সারা বিশ্বের ইসলামী সংগঠনগুলি তাদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
মুরসির পতনের পর আতশবাজি ফুটিয়ে পতাকা হাতে ইসরাইলীরা রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করছে।ইসরাইলের ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বইছে।সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ মুরসির পতনের পর পরই সেকুলার বিদ্রোহীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।নিশ্চয় যারা মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মুরসির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝর তোলেছে সেসব হিযবুত তাহরিরের কর্মীরাও মিষ্টিমুখ করতে ভুলেনি।
বিষয়: বিবিধ
২৭৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন