ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়েদের গল্প!

লিখেছেন লিখেছেন প্রশান্ত আত্মা ০২ জুলাই, ২০১৩, ১০:৩২:০৯ সকাল

স্বামীঃ ক্ষুধা লাগছে,ভাত দাও?

স্ত্রীঃ ভাত নাই!

স্বামীঃ ভাত নাই মানে?

স্ত্রীঃ আজব!অবিবেচকের মত কথা বলছ কেন!আমিও চাকরি করি তুমিও চাকরি কর,আমার ভাত আমি রান্না করে খেয়েছি এবার তোমার ভাত তুমি রান্না করে খাও!

বওয়ের কথায় যুক্তি আছে!!!!

ফলাফল : শেষমেশ সংসারটাই আর টিকল না!

আদর্শ গৃহিণী বনাম পার্টটাইম গৃহিণী

অভাবের সংসার হলে ভিন্ন কথা।সংসারের হাল ধরতে মেয়েরা চাকরী করতেই পারে।কিন্তু স্বামী সচ্ছল হলে চাকরী করার দরকারটা কি!একজন স্বাবলম্বী মায়ের জন্য কোনটা ভাল।চাকরি করা নাকি সন্তান প্রতিপালন করে একটি আদর্শ সন্তান জাতিকে উপহার দেওয়া।আমি ছোট বেলা থেকেই খুব দুষ্ট ছিলাম।অন্তত আমার ব্যাপারে আমি জানি আমার মা যদি আমাকে চোখে চোখে না রেখে চাকরি করতেন তবে আমি সমাজের বখাটেদের একজন হতাম।

এসব কথা বললে এক শ্রেণীর লোক বলবে তাহলে কি নারীদের ক্যারিয়ার বলতে কিছু নেই?আরে ব্যাটা!চাকরী মানে তো পরের গোলামী করা।পরের গোলামী করাটাকে কি ক্যারিয়ার বলে?তার চাইতে এটা ভাল নয় যে স্বচ্ছল পরিবারের নারীরা সমাজ সেবামূলক কাজ করবে।‘আদর্শ গৃহিণী’ শব্দটা শুনলে এদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়!তথাকথিত প্রগতিশীলরা তো সমাজের কীট!তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম।ইদানীং কিছু মডারেট(!!) মুসলিম ললনারাও প্রগতিশীলদের দেখানো এ ভূল পথে হাটতে চায়!

আপনি হয়ত বলবেন চাকরিজীবী মায়েরা কি ‘আদর্শ গৃহিণী’ হতে পারেনা? উত্তর একটাই, না পারেনা!দিনের মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টা চাকরিতে সময় দিয়ে আপনি বড়জোর পার্টটাইম গৃহিণী হতে পারেন কিন্তু ‘আদর্শ গৃহিণী’ নয়! আমাদের মায়েরা দিনরাত ছায়ার মত থেকেও সন্তান মানুষ করতে হিমশিম খাচ্ছে আর আপনারা পরিবারকে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা সময় দিয়ে আদর্শ গৃহিণী হবেন!!

সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী পারিবারিক ব্যাবস্থাই সুখি সমাজের মূল ভিত্তি

আপনি হয়ত এখন বলবেন,কেন পশ্চিমা সমাজে নারীরা চাকরী করে ছেলেমেয়ে মানুষ করছে না?

উত্তরঃ

পাশ্চাত্যের গুরু আমেরিকাতে প্রতি বছর প্রায় ৩৫০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে।

কিন্তু কেন?

--তাদের কি টাকার অভাব?

--তাদের কি খাদ্যের অভাব?

--তাদের কি প্রযুক্তির অভাব?

না!তাদের এসব কিছুরই অভাব নেই!

তাহলে প্রতি বছর প্রায় ৩৫০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে কেন!

তাদের সবকিছুই হয়ত আছে কিন্তু পাশ্চাত্যে সমাজে যে জিনিসটার অভাব সেটি হল

--নৈতিকতা এবং

--সু-সংগঠিত পারিবারিক ব্যাবস্থা।

আমেরিকা হল সেই দেশ যে দেশে মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ তাদের পিতৃ পরিচয় জানে না।আর যারা পিতৃপরিচয় জানে তারাও জন্মের পর থেকে মা-বাবার সংস্পর্শ পায়না।হয়ত তার মা অথবা বাবা অন্য কোন পুরুষ অথবা নারীর সাথে সময় কাটাতে ব্যাস্ত!অথবা ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটতে ছুটতেই হয়রান!শক্তিশালী পারিবারিক ব্যাবস্থার অভাবে তারা জীবনে স্নেহ ভালবাসার সন্ধান না পেয়ে প্রতিনিয়ত ধুকে ধুকে মরছে!

প্রসঙ্গক্রমে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।আমার বন্ধুর এক ফ্রেন্ড ফেসবুকে লন্ডনের একজন লোকের সাথে প্রায়ই চ্যাট করত।ঐ লোকটির সুখ-দুঃখের বিভিন্ন কাহিনী শুনত।লোকটি শেষ বয়সে উপনীত হয়েছে ছেলে মেয়ে থেকেও নেই।কেও কারও খোঁজ খবর রাখেনা!ঐ লোকটির সাথে ছেলেটির এক পর্যায়ে ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল।তখন লোকটি ঐ ছেলেটিকে অফার করল লন্ডনে তার কাছে চলে আসতে।অনেক টাকা দিবে তাকে কোন কাজ করতে হবেনা।শুধু তাকে একটু সংগ দিবে তার সাথে গল্প করবে।ছেলেটি লন্ডনে এখন ভালই আছে ঐ বৃদ্ধকে সময় দিচ্ছে আর ঐ বৃদ্ধ তার সমস্ত সম্পত্তি উইল করে দিয়েছে ছেলেটির নামে!লোকটি মারা গেলে সেই ছেলেটিই হবে তার সব স্থাবর –অস্থাবর সম্পত্তির মালিক!

কি বুঝলেন!

কুকুর চিনেন! কুকুর!

দেখেন না কুকুর সন্তান জন্ম দেয় ঠিকই কিন্তু একটু বড় হলে ঐ সন্তানই তাকে ছেড়ে চলে যায়!আর ঐ কুকুরটি শেষ বয়সে রাস্তার ধারে পড়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়!তাদের জীবনটা হল কুকুরের মত।তাদের শেষ জীবনটা যে কি কষ্টে কাটে তা নিশ্চয় অনুধাবন করতে পারছেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই ভিন্ন।কারন আমরা সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না মা-বাবা পরিবার-পরিজনের সাথে প্রতিনিয়ত শেয়ার করি।আমাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধনটা অনেক দৃঢ়।

হ্যাঁ! আমার দেশ দুর্নীতিপরায়ণ!

হ্যাঁ!আমরা দরিদ্র!

হ্যাঁ!আমরা অশিক্ষিত!

হ্যাঁ!আমার দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই থাকে!

তারপরেও আমরা সুখী!

আর আমাদের সুখের একমাত্র কারণ হল সু-সংগঠিত পারিবারিক ব্যাবস্থা।

কিন্তু এই পারিবারিক ব্যাবস্থাই এখন হুমকির সম্মুখীন!একটা সময় যৌথ পরিবারের সংখ্যা ছিল চোখে পরার মত।আর এখন যৌথ পরিবার নেই বললেই চলে।মা-বাবা,ভাই-বোন চাচা-চাচী,চাচাত ভাই-বোনদের সমন্বয়ে গঠিত পড়িবারগুলি ছিল শান্তি ও সান্ত্বনার আশ্রয়স্থল।দিন যতই যাচ্ছে সবাই কেমন জানি স্বার্থপর টাইপের হয়ে যাচ্ছে!ছেলে-মেয়ে মানুষ করার দোহায় দিয়ে যৌথ পরিবারগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে!আমরা এখন চাকরী নিয়ে ব্যাস্ত!আমাদের টাকা দরকার!অনেক টাকা!অন্যের গুলামি (চাকরী) করে আমরা এখন ক্যারিয়ার গড়তে ব্যাস্ত!আমাদের সাথে কেও দেখা করতে হলে এপয়েনমেণ্ট দিয়ে আসতে হয়!এমনও অনেক আপুকে দেখেছি বিয়ে সন্তান প্রতিপালন তাদের কাছে অসহনীয় ফালতু কাজ বলেই মনে হয়!

ভাল স্কুলে পড়া ভাল একটা চাকরি করাই কি ক্যারিয়া

আপনি হয়ত এখন বলবেন,অনেক মায়েরাই চাকরী করে তাদের ছেলে মেয়েদের মানুষ করছে।হ্যাঁ! একথা সত্য!তবে এর হার শতকরা ৮-১০ পারসেন্ট।চারদিকে তাকালেই আমার কথার সত্যতা পাবেন।আর আরেকটা কথা ছেলেমেয়েকে ভাল স্কুলে পড়ালেই ভাল একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দিলেই যদি আপনি মনে করেন ছেলে মেয়েদের ক্যারিয়ার গঠন করে ফেলেছেন তবে আপনি ভূল করছেন!চারদিকে তাকিয়ে দেখুন সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখছে কারা!আপনাদের সন্তানেরা নাকি ঐ ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়ের সন্তানেরা?ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে কারা!আপনাদের সন্তানেরা নাকি ঐ ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়ের সন্তানেরা?

ব্রয়লার মুরগী চিনেন! ব্রয়লার মুরগী!

আপনার ছেলেটিকে ব্রয়লার মুরগী হিসাবে তৈরি না করে দেশী মুরগী বানান।তেলাপোকার মত টিকে থেকে কি লাভ!

সচ্ছল পরিবারের মেয়েদের চাকরি করা কেন বন্ধ করতেই হবে

আগেই বলে নিচ্ছি যারা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে তাদের চাকরি করাটা আমি সাপোর্ট করি।শুধু সাপোর্ট না তাদের চাকরীতে ন্যায্য অধিকারের ব্যাপারেও আমি সোচ্চার।যেমন-গার্মেন্টস এ যেসব মেয়েরা কাজ করে তাদের চাকরির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থনআছে।চাকরি থেকে পাওয়া তাদের এ অর্থ অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলিকে সাপোর্ট দিচ্ছে।তাছাড়া শিক্ষিত মেয়ে যাদের পরিবার সচ্ছল নয় তারাও অবশ্যই চাকরি করতে পারে।কিন্তু সচ্ছল পরিবারের শিক্ষিত মেয়েদের চাকরীতে আমার ব্যাপক আপত্তি আছে।

আমি যে অফিসে চাকরি করি সেখানে অনেক আপুরা আসেন।তাদের ঢাকার অভিজাত এলাকায় বাড়ি আছে।নিজের গাড়ি নিয়ে চাকরিস্থলে অফিস করতে আসেন।তাদের সবার সাথেই আমি কথা বলেছি।জিজ্ঞাসা করেছি,

--আচ্ছা আপু আপনাদের তো অনেক টাকা চাকরি করেন কেন?

--ওমা পড়ালেখা করেছি চাকরি করবনা!নিজের যোগ্যতা নিয়ে কি ঘরে বসে থাকব নাকি!

-- আচ্ছা আপনি যে এতগুলি টাকা পান এই টাকা দিয়ে কি করেন।ভাইয়াকে(আপুর স্বামী) দেন অথবা পরিবারের কাজে লাগান?

--আশ্চর্য!ওর কি টাকার অভাব আছে নাকি!আর আমার টাকা ওকে দিব কেন?আমি এই টাকা নিজে খরচ করি।শপিং করি,বন্ধুদের নিয়ে খরচ করি!

এবার আপনাকে আরেকটা বাস্তব ঘটনা বলি।ঐদিন এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বলল

--দোস্ত একটা চাকরি- বাকরি দেনা?পাস করে বসে আছি প্রায় ছয় মাস ধরে।বুঝিসই তো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পরিবার তো আমার কাছে অনেক কিছু আশা করে। খুব খারাপ লাগে এত ভাল রেজাল্ট করেও কোন চাকরি পাচ্ছিনা!পরিবারকেও সাপোর্ট দিতে পারছি না!

--মন খারাপ করিস না। আমি চেষ্টা করব।

-- একটু দেখিস। খুব উপকার হবে।

কিছু বুঝলেন?

একবার চিন্তা করে দেখুন তো ঐ আপু চাকরি করছে শখে আর আরেকজন ছেলে হন্য হয়ে চাকরি খুঁজছে তার পরিবারের ভরন পোষণের জন্য!ঐ আপুটি যদি চাকরি না করত তাহলে ঐ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেটার জন্য একটা চাকরির সুযোগ উন্মোচিত হত।বেশিরভাগ অফিসগুলীতেই সচ্ছল মেয়েরা শখের বশে চাকরি করে অথচ তার চাইতে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন একটা ছেলে যার দিকে একটা পরিবার তাকিয়ে আছে তারা হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ায় চাকরির জন্য!

আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম !বাংলাদেশের আপনার আশেপাশের পরিচিত সবগুলি অফিসে সমীক্ষা করে দেখুন সচ্ছল পরিবারের চাকরিজীবী মেয়েদের চাকরি করে উপার্জিত টাকা তারা কোন খাতে ব্যায় করছে।আমি নিশ্চিত আপনার জরিপে আপনি দেখবেন তাদের প্রায় সবারই উপার্জিত অর্থ তারা শপিং অথবা বেহুদা কাজে খরচ করছে।

ঐদিন এক ভাই লিখেছিল যোগ্যতা থাকার পরেও যদি মেয়েরা চাকরি না করে তাহলে সেটা নাকি আমানতের খেয়ানত!!ঐ লিখাটা পড়ে আমি হেসেছিলাম!কষ্টের হাঁসি!আরে ভাই!যেদেশে কর্মক্ষম জনশক্তিকে সরকার চাকরি দিতে ব্যার্থ সেখানে শখের বসে চাকরি করে চাকরির বাজারের বারটা বাজানোর কি দরকার?আমার মনে হয় ঐ ভাই বিদেশ থাকেন।ভাইরে বাংলাদেশ আর বিদেশ তো এক না।যেখানে আমাদের অধিকাংশ পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে সচ্ছল পরিবারের মেয়েদের চাকরীতে উৎসাহিত করার কোন যৌক্তিক কারন খুঁজে পাইনি!দেশটা তো ইউরোপ আমেরিকা হয়ে যায়নি!ইউরোপ আমেরিকায় আপনাদের এসব থিওরি মানাবে বাংলাদেশে নয়!

ব্যাকডেটেড,মূর্খ ,অশিক্ষিত আর গেঁয়ো মায়েদের গল্প

দুই কলম বিদ্যা শিখে আজকাল কিছু মানুষ আকার ইঙ্গিতে আদর্শ মায়েদের ব্যাকডেটেড,মূর্খ। অশিক্ষিত আর গেঁয়ো বলে চিহ্নিত করতে চায়!কাকের লেজ ফেলে যারা ময়ুরের পেখম লাগিয়ে অতি আধুনিকতার ভান ধরে! ব্যাকডেটেড,মূর্খ। অশিক্ষিত আর গেঁয়ো মায়ের সন্তান আমি!আমাদের সব স্বপ্ন সাধনা মাকে নিয়ে!এই গেঁয়ো মায়েদের মাঝেই আমরা শিক্ষিত ছেলেরা ছুটে যায় শান্তি স্বস্তির আশায়!কারণ আমাদের স্মৃতিতে প্রতিনিয়ত ভেসে উঠে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলি।মায়ের আদর স্নেহ ভালবাসার সেই পরশ কখনও ভুলার নয়।কত কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছেন।নিজে না খেয়ে,নিজের আশা আকাঙ্খাকে জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদের মানুষের মত মানুষ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

আরও একটা কথা বলে যায়!ব্যাকডেটেড,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়েদের সন্তানেরা কিন্তু বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার কথা চিন্তা করেনা। মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে আপনাদের মত আধুনিক প্রগতিশীল মায়েদের সন্তানেরাই! কেন রেখে আসে একটু ভেবে দেখবেন!

আমাদের ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত, মূর্খ আর গেঁয়ো মায়েদের জুতার সমান হওয়ার যোগ্যতাও ঐসব তথাকথিত প্রগতিশীল মায়েদের নেই!এমন আদর স্নেহ দিয়ে লালন- পালন করেছে বলেই,সবসময় ছায়ার মত পাশে থেকেছে বলেই এসব ব্যাকডেটেড,মূর্খ আর গেঁয়ো মায়েদের দেখলে পৃথিবীর সব দুঃখ সুখে পরিণত হয়। আর তাদের কথা মনে পরলেই মনের অজান্তে বলে উঠি “ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা”

ব্যাকডেটেড,অশিক্ষিত, মূর্খ আর গেঁয়ো মা এবং তার সন্তানদের কিছু ছবি-----





















বিষয়: বিবিধ

১২৬২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File