চক্রান্ত

লিখেছেন লিখেছেন প্রলয় শিখা ০৬ মার্চ, ২০১৩, ১০:৫৮:৩১ সকাল

ইসলামপ্রিয় মুসল্লীদের উপর পুলিশের নির্বিচার হামলা এবং মিডিয়া কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্র ও সাধারণ মুসলিমদের জঙ্গী আখ্যাদান এটাই প্রমাণ করে যে নাস্তিকদের মূল এজেণ্ডা কত সুদূঢ়প্রসারী। তাদের মূল লক্ষ্য সকল ধর্ম এবং সর্বশেষ ইসলামকে নির্মূল করা। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে এরা সর্বপ্রথম এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছিল, সে সময় তারা আরও বেশী আগ্রাসী ছিল। কিন্তু তাদের এই আগ্রাসী মনোভাব তাদের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এজন্য এখন তারা তাদের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। তারা এখন গ্রহণ করেছে পুঁজিবাদী নাস্তিকদের ধূর্ত কৌশল। এরা অগ্রসর হচ্ছে ধাপে ধাপে। ব্যাপক অপপ্রচার, নাস্তিকতাবাদী সাহিত্য ও সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি এদের মূল অস্ত্র।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এদের পরিকল্পনা লক্ষ্যনীয়। ইসলামী শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের নামে মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তির দূর্বলতাকে পুঁজি করে এরা এদের প্রথম আঘাতটা হেনেছে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদেরকে অর্থহীন কাজে ব্যস্ত রেখে ইসলামের শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা ছিল তাদের প্রথম টার্গেট। এরপর, যখন তরুণদের একটি বড় অংশ তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে কার্যত নাম-কা-ওয়াস্তে মুসলিম বনে গেল তখন তারা তাদের দ্বিতীয় চালটি চাললো।

যেহেতু যুদ্ধাপরাধীর ইস্যুটি স্পর্শকাতর, সেহেতু তারা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রথম আঘাত হানল বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের একটি অংশ জামায়াতকে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে যে কোন সচেতন তরুণ মাত্রই এক হবে। তারা এক হলও। তবে সেটাকে সুকৌশলে হাইজ্যাক করল নাস্তিকরা। নাস্তিকরা ভাবছে যে জামাত শিবিরকে প্রথম দফায় নিষিদ্ধ করা গেলে এরপর বাকী মাদ্রাসা ছাত্রদের এবং একই সাথে ধর্মপ্রাণ অন্য মুসলিম যারা প্রতিবাদ করতে জানে তাদেরকে জঙ্গী আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হবে সময়ের ব্যাপার। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সহ-অপ্রপ্রচার ত্রাসের অভিযোগে হিজবুত তাহরীর মুভমেন্টকে বন্ধ করতে অনেক আগেই সহযোগিতা করেছে। এভাবে একে একে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, খিলাফত মজলিশকে নিষিদ্ধ করা কোন বিষয়ই হবে না। তবে তাবলীগ নিয়ে হয়ত তাদের তেমন মাথা ব্যথা নেই। কারণ তারা ইসলামকে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ আপাতত করে নিয়েছে। যখন নাস্তিকদের প্রাধান্য থাকবে তখন তাবলীগের লোকেরা এমনিই ভয়ে ইসলামকে সংকীর্ণ করে ঘরে এবং সর্বশেষ মনে নিয়ে শেষ করবে।

কিন্তু ওদের প্রথম কৌশল কিছুটা আঘাত পেল এক ভণ্ড নাস্তিকের কুরুচীপূর্ণ লিখনী প্রকাশ হেয় যাওয়ার মধ্য দিয়ে। মিডিয়াত্রাসী ভূমিকায় ধর্মভীরু মুসলমানদের জঙ্গী আখ্যা দান অনেকটা বুমেরাং হয়ে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার ওদের গভীর ষড়যন্ত্রকেই প্রকাশ করে ওদের কৌশলে হেনেছে দ্বিতীয় আঘাত। অন্তত বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইসলামী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মুসলিমদের কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার কথা এবং স্পষ্ট হওয়ার কথা যে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করাই ওদের মূল লক্ষ্য।

আর সবার উপর স্পষ্ট হওয়ার কথা আল কোরআনের এই বাণীটি:

“হাসি ঠাট্টা নয়, এরা কিছু চক্রান্ত করছে এবং আমিও একটি কৌশল করছি৷” (সুরা তারিক: আয়াত ১৪-১৬)

বিষয়: রাজনীতি

১১৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File