মাইন্ড কন্ট্রোল-স্ট্রেস মেনেজম্যান্ট-ভূমিকা পর্ব-(এক) এভরি ডে-ইন এভরি ওয়ে,আই এম গেটিং বেটার---
লিখেছেন লিখেছেন পজিটিভ মাইন্ড ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০২:৪৪:৫১ রাত
আমরা মানুষ জাতি।সৃষ্টির সেরা জীব।আশরাফুল মাখলুক্বাত।আজকের বিজ্ঞান মানুষকে তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ জ্ঞানের আধার বলে গণ্য করে,সুপার পাওয়ার বলে স্বীকার করে। যদিও পূর্বে বিজ্ঞান বস্তুগত সমষ্টি,বস্তুগত ধ্যান-ধারণায় মানুষকে কেবল ভোগবাদী প্রাণী হিসেবে মনে করতো।
আজকে মানুষ শুধু হাত-পা,চোখ-কান,নাক-মুখ,চেষ্ট-লিভার,হার্ট,কিডনী,ধমনী-শিরা,মগজ-ব্রেইন সর্বোপরি কোটি কোটি নিউরোন সেল তথা জীবকোষবিশিষ্ট দেহগত স্বত্বাই নহে বরং কোয়ান্টাম ফিজিক্সএর ভাষায় জেনেটিক কোড এর বিশাল এক তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ সুপার পাওয়ার মন বা মাইন্ডের অধিকারি -সৃষ্টির সেরা জীব-ইনসানে কামেল-সুপারম্যান-শক্তিমান-উচ্চতর পরিপূর্ণ মানুষ।
প্রতিটি মানুষকেই মহান-নির্ভুল-মহাপবিত্র একমাত্র-জেনুইন স্রষ্টা- আল্লাহ-তায়ালা-নির্ভুলভাবে,জেনুইনভাবে-সৃষ্টি করেছেন।
জেনুইন-শব্দটা এজন্যেই এখানে এনেছি-সুপ্রিয় পাঠক,আমিএকজন সিলভা-গ্র্যাজুয়েট।১৯৯২কি ৯৩ সাল হবে, আমার এদেশীয় কান্ট্রি ইন্সট্রাক্টর জনাব (মরহুম) মাহীকাজী (মহান আল্লাহ তাঁকে রহম করুন,সম্মানিত এবং পুরষ্কৃত করুন-জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন-আমীন)প্রথম অরিয়েন্টেশনএর দিন তারঁ সাবলীল লেকচারে,যখন বৈজ্ঞানিকভাবে স্রষ্টার সেরাসৃষ্টজীব -মানুষ এর সৃষ্টি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিভিন্ন আবিষ্কারক-নির্মার্তার মানবীয় নানান নির্মাণ-ত্রুটির বিষয় আলোকপাত করে করে বলছিলেন যে, একটি মেশিন বানাতে গিয়ে বা ধরুন একটি ফ্রীজ বা এয়ারকুলার বানাতে গিয়ে কোন একটা পার্টস কম-দামী বা বেশীদামী,এক নম্বর বা দুই নম্বর জেনুইন বা জিঞ্জিরা মার্কা, নকলটা বা আসলটা দিয়ে বানাতে পারে, অসম্ভব কিছু নহে।আর সে সব ফ্রীজ বা এয়ারকুলারের মান লংজিবিটিও তেমনই হবে।কিন্তু মানুষকে যিনি সৃষ্টি করেছেন-তিনি জেনুইন স্রষ্টা,মানুষ সৃষ্টিতে তাঁর কোন পার্টসএর বিন্দুমাত্র অভাব বা কম-বেশী করা,কমদামী-বেশীদামী করার আসল-নকল করার কোন প্রশ্নই আসে না-তিনি জেনুইন আল্লাহ,তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে অত্যন্ত ভালবেসে, জেনুইন পার্টস দিয়ে জেনুইনভাবেই সৃষ্টি করেছেন-সোবহান আল্লাহি ওয়া বিহামদিহী।
তখনই আলহামদুলিল্লাহ-আমি মানুষের অপার সম্ভাবনা এবংসুপার পাওয়ারের অধিকারী মানুষ- এ বিশ্বাস,এ ঈমান আমার যেন আরও আরও বেড়ে গেল।তাই সিলভা মাইন্ড কন্ট্রোল এন্ড স্ট্রেস মেনেজম্যান্ট (বেসিক লেকচার সিরিজ-বি.এল.এস)কোর্স করে পরবর্তীতে প্রায় ১৪বার রিপিট করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ১৮টি কোর্স অর্থ্যাৎ১৮বার রিপিট করা হলে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে আমেরিকায় হেডকোয়ার্টারে বাছাইয়ের জন্যে সিলভা গ্র্যাজুয়েটদের মনোনিত হবার সুযোগ রয়েছে।
এ কোর্সএর উদ্ভাবক-প্রতিষ্ঠাতা- মেক্সিকোর "হোজে সিলভা"।তাঁর নামানুসারে এর নাম-"সিলভা (মাইন্ড কন্ট্রোল--) মেথড"।চার দিনের কোর্সটি ইংরেজী ভাষায়।
এ কোর্স করে বাংলাদেশে কেউ কেউ স্বীয় গবেষনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাভাষায় পজেটিভ এনার্জিতে মানবতাকে এনার্জাইজড হয়ে শারীরিক মানসিক উৎকর্ষসাধন করে সফলতা অর্জনের মহতী কাজের সফলতর আয়োজন করে মানবকল্যানে নিবেদিত রয়েছেন।এর মধ্যে আমার জানামতে কোয়ান্টম মেথড বংলা ভাষায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে।আলফা মেডিটেশন শুরু হয়েছিল পরবর্তীতে আর নাম শুনিনি।মাহিকাজী ভাই আমাকে বেশ স্নেহ করতেন।তাঁর ইনতেক্বালের পর শুনেছি মিসেস মাহি কাজী বাংলাদেশে কোর্সটি চালু রেখেছেন।
এভরি ডে-ইনএভরি ওয়ে,আই এম গেটিং বেটার বেটার
এন্ড বেটার--------------(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন