আইন ভাঙ্গা এবং আমাদের সমাজ ও সভ্যতা

লিখেছেন লিখেছেন ই জিনিয়াস ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৯:৩০:৩৬ রাত

ইদানিং ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নতুন এক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আগে ঢাকার বিশাল জ্যাম পার হওয়ার পর আশা করা যেত এরপর নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরা যাবে। ঢাকা থেকে নরসিংদীর দুরত্ব মাত্র এক ঘন্টার পথ। অথচ সেখানে কম করে হলেও প্রায় আড়াই ঘন্টা লেগে যায়। আমাদের দেশের পরিকল্পনাবিদদের অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই এই অবস্থার জন্য দায়ী। তবে জনসাধারণের আইন অমান্য করার প্রবণতাও এর দ্বিতীয় প্রধান একটি কারণ। অব্যবস্থাপনাটি হলো ইদানিং গাউসিয়া হাটের উপর দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা খুলে দেয়া হয়েছে। এই বাইপাস রাস্তাটি দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড হতে ঢাকাকে উপেক্ষা করে গাজীপুর হয়ে সহজে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করা যায়। সাধারণত মালবাহী কাভার ভ্যান ও ট্রাকগুলোই এই পথে চলাচল করে থাকে। সমস্যা হলো এই নতুন রাস্তাটিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ক্রস করতে হয়ে গাউসিয়ায় এসে। গাড়িগুলো পারাপারের জন্য ঢাকাগামী বা সিলেট অভিমুখী গাড়িগুলোকে থামিয়ে রাখা হয়। এতে করে উভয় পাশে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। এই দীর্ঘ যানজটে পড়ে যাত্রী সাধারণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অপচয় হয় ব্যস্ত মানুষের বহু কর্মঘন্টা। অথচ আগে থেকে যদি পরিকল্পনা করে একটি ফ্লাইওভার তৈরী করা হতো, তাহলে মানুষকে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হলো আইন অমান্য করা। গাড়িগুলো সাধারণত বাম লেন ধরে যাতায়াত করে থাকে। ডান দিক থেকে আসে বিপরীতমুখী গাড়িগুলি। কিন্তু ক্রসিং সিগনালে এসে আগে যাওয়ার জন্য বাস চালকগণ প্রায়ই ডান দিক দিয়ে দ্রুতবেগে গাড়ি চালিয়ে দেন। আমি দেখেছি এতে করে গাড়ির ভেতরের যাত্রীগণ খুব উল্লসিত হয়ে ওঠেন। এমনিতে রাস্তায় কিছু লোকজন থাকে এই আইনকে অমান্য করা থেকে বিরত রাখার জন্য, যাদের হাতে থাকে লাটি সোঠা ইত্যাদি। তাদের ভয়ে বাস চালকগণ এই আইন অমান্য করা থেকে কিছুটা হলেও বিরত থাকেন। কিন্তু যখনই কোন চালক সাহস করে আইনকে অমান্য করে, তখন যাত্রীরা চালককে বাহবা দেন। কিন্তু ক্রসিংটা পার হওয়ার পরপরই তাদের কর্মফল ভোগ করা শুরু হয়ে যায়। অপর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় আরো একজন চালক সাহস করে আইন ভেঙ্গে বিপরীত পথে চলে এসেছেন। এবার দুই বাস মুখোমুখি। না, সংঘর্ষ নয়। একে অপরের নাকে নাক লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা। এই অবস্থা থেকে স্বল্প সময়ে মুক্তির কোন পথ নাই। কারণ, বাকী দুই পাশও তখন কানায় কানায় গাড়িতে পূর্ণ। আগে পিছে গিয়ে গাড়ি ঘুরানোর কোন কায়দা নাই। আগে চলে আসার পরও ফলাফল সমান কিংবা তার চাইতেও ভোগান্তিকর। যদি আইন মান্য করে লেন ধরে আসা হতো তাহলে যে সময় লাগতো তার চেয়েও বেশী সময় লেগে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে উভয় পক্ষই আইনকে অমান্য করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন।

আসলে এই চিত্রটা আমাদের জাতীয় চরিত্রের অবস্থারই একটা অংশ মাত্র। সর্বত্রই এই অরাজকতা এবং বিশৃঙ্খলা বিরাজমান। কোনটার কথা বাদ দিয়ে কোনটা বলবো? সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে আইন ভাঙ্গার মহোৎসব। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ, শিক্ষক নিয়োগ-পদোন্নতির ক্ষেত্রে আইনভঙ্গ, সরকারী দল রাস্তা দখলের নামে করছে আইনভঙ্গ, বিরোধী দল হরতাল-অবরোধের নামে করছে আইনভঙ্গ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ দেয়ার নামে করছে আইনের খেলাপ, হাসপাতাল এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তো আছেই, এমনকি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরাও করছেন আইনভঙ্গের কাজ। ইংরেজীতে একটা কথা আছে A law maker is law breaker এই কথার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটছে আমাদের দেশে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বনিু স্তর পর্যন্ত এই অবস্থা। আর এ কারণে আমাদের দেশ বিশ্বের বুকে একটি আইন অমান্যকারী ও বিশৃঙ্খল দেশ হিসাবে পরিচিত। বাইরের দেশগুলিতে আমাদের দেশের শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে আইন অমান্য ও বিশৃঙ্খলার কারণে অন্যদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং অবজ্ঞার শিকার হন। তাও মিথ্যা প্রমাণ সম্ভব হতো যদি আমাদের শ্রমিকগণ কিছুটা সময়ের জন্য তাদের জাতীয় চরিত্রটা আড়াল করে রাখতে পারতেন। সংবাদ মাধ্যমে তারা আমাদের এই অবস্থা জানতে পারলেও তারা যদি দেখতো- আমরা তাদের দেশে গিয়ে আমাদের জাতীয় চরিত্রটাকে সীমিত আকারেও আড়াল করতে পারছি, তাহলে হয়তো তারা সন্দেহের চোখে দেখতো এই ভেবে যে, আসলে তো তারা এমন নয়। কিন্তু আমরা যখন তাদের দেশের ভেতর প্রবেশ করি তখন আমাদের জাতীয় চরিত্রটা নিয়েই প্রবেশ করি। আমরা দেশের ভেতর যেমন রাজনৈতিক দলাদলি করি, কোন্দল করি, চুির- বাটপারি করি-বাইরের দেশে গিয়েও তাই করি। এখানে যেমন আমরা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে হাঙ্গামা করি- সেখানে গিয়েও তাই করি, এখানে যেমন আইন অমান্য করি সেখানে গিয়েও তাই করার চেষ্টা করি। বিদেশীরা আমাদের এই অবস্থা দেখে আমাদের ঘৃণার চোখে দেখে থাকেন। কিন্তু তাদের এই ঘৃণা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতাকে বাঙ্গালীরা থোরাই কেয়ার করে থাকেন। উল্টো তাদেরকেই আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করি।

জনসংখ্যার চাপ এই দেশের বিরাট এক সমস্যা। এত মানুষের কর্ম-সংস্থান করা আমাদের মতো গরীব দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই বিদেশে গিয়ে শ্রমের বিনিময়ে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন আমাদের একটা বিশাল সহযোগিতা করে। কিন্তু আমাদের অপরাধপ্রবণ চরিত্রের কারণে আমরা বাইরের দেশগুলিতে দূর্ণামই কামাই করছি বেশী। নিজেদের অন্তর্গত চরিত্রটাকেই জানিয়ে আসছি বাইরের দুনিয়ায়। এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন দেশ একযোগে আমাদের দেশের শ্রমিকদের তাদের দেশ থেকে বের করে দিচ্ছে কিংবা তাদের প্রয়োজন থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের দেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক নিচ্ছে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বাইরের দেশগুলিতে “বাঙ্গালী” শব্দটা একটা গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

অথচ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ধর্মীয় মূল্যবোধ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আসলে এমনটা হওয়ার কথা ছিলো না। অপরাধপ্রবণ সাধারণত অভাবী মানুষরা হয়ে থাকে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশীক শাসনের আগে আমাদের এই উপমহাদেশীয় মানুষ ধনে বলে স্বয়ং-সম্পূর্ণ ছিলো। চাকচিক্যতার অভাব থাকলেও আমরা ছিলাম আত্মিক দিক দিয়ে পরিপূর্ণ। নৈতিক মূল্যবোধ, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মায়া-মমতা, মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান, ভালোবাসা ইত্যাদি ছিলো আমাদের চরিত্রের প্রধান গুণ। কিন্তু সাম্রাজ্য বিস্তারকারী শাসকরা যখন অস্ত্রের বলে আমাদের পদানত করলো তখন আমাদের পার্থিব সম্পদের পাশাপাশি তারা লুঠ করলো আমাদের নৈতিক গুণগুলিও। সব হারিয়ে আজ আমরা কাঙ্গাল হয়ে গিয়েছি। একদা বিদেশীরা আমাদের কাছ থেকে মানবিক মূল্যবোধ দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতো, অথচ আজ তারা আমাদের “বাঙ্গালী” বলে গালি দেয়। বৃটিশরা তাদের গোলামী যুগের শিক্ষা-পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষিত এমন একটা শ্রেনীর উদ্ভব ঘটিয়ে আমাদের উপর শাসন ক্ষমতায় বসিয়ে গেলো যারা আমাদের আজও সেই গোলামী যুগের শিক্ষা পদ্ধতি চালু রেখে আমাদের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলশ্র“তিতে পূন:পূন তাদের বংশধারার বৃদ্ধিই ঘটে চলেছে। নীতি নৈতিকতাহীন, পারলৌকিক জবাবদিহিতার ভয়হীন, বস্তুগত ভোগবাদী শিক্ষার ফলে আজ ব্যাক্তিগত উন্নতিই তাদের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্যাক্তিগত উন্নতির দিকে তাকিয়ে কার কতটা ক্ষতি হলো তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন। এই ব্যাপারে তাদের বিবেক তাদের দংশন করে না। সমাজের নেতারা আমাদের হতদরিদ্র চিত্র দেখিয়ে, আমাদের উন্নতির প্রতিশ্র“তি দিয়ে বাইরের দেশ থেকে যে ভিক্ষার ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে আসেন, তার অধিকাংশই তারা নিজেদের পকেটস্থ করেন। আইনের শাসন এবং আইনের শাসনের বাস্তবায়নের অভাবের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয় না। কিংবা দূর্বল আইনের ফাঁক ফোকর থাকার কারণে তারা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যান। নীতিবোধ না থাকায় তারা এই অপকর্র্মের জন্য ন্যুনতম লজ্জাও বোধ করেন না। এরাই আবার নির্বাচনের নামে কালো টাকা আর পেশী শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আরোহণ করেন। জাতীয় নেতৃত্ব যখন আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতাহীন হয়ে পড়েন তখন তা সমাজের সর্বত্র সংক্রমণ ঘটাবে- এটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও মুসলিম জাতির জাতীয় চরিত্রের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই শতকরা নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশের মানুষ এই রকম হওয়ার কথা ছিলো না। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আত্মাহীন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে তাদের চরিত্রে ইসলামের আদর্শ প্রবেশ করতে পারছে না। ইসলামের যে মহান সততার নিদর্শন তা দিন দিন এই জাতির চরিত্র থেকে কর্পুরের মতো উধাও হয়ে যাচ্ছে। বস্তুতান্ত্রিক একপেশে শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে ধর্মীয় প্রভাব লোপ পেয়ে এবং ইসলামী নেতৃবৃন্দের পশ্চাৎপদ চিন্তাধারা এবং আধুনিক জগতের মোকাবেলায় সু-স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ প্রমাণিত হওয়ায় আকাশের মতো উদার দীন কুপমণ্ডুকতায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আর এই অজুহাতে দেশের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ আজ যে হারে ইসলামকে আক্রমনের বস্তু বানাচ্ছে-তাতে করে ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী বাপ-দাদার সন্তানেরা যদি নিকট ভবিষ্যতে আল্লাহ, রসুল, কোরআন তথা ধর্মকে উচ্ছেদ করে পাশ্চাত্যের নীতি- নৈতিকতাহীন সভ্যতার অনুপ্রবেশ ঘটায়, তাহলে আশ্চর্য্যরে কিছু থাকবে না। নিকট ইতিহাসে ককেশীয় এবং এশীয় মাইনর অঞ্চলের দেশগুলিতে আমরা তাই দেখেছি। ইসলামের মহা মনীষিদের জন্মস্থান বলে পরিচিত সেই পুণ্যস্থানগুলি থেকে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেভাবে ইসলামকে উচ্ছেদ করেছে, অবস্থাদৃষ্টে আমার মনে হয় সেই দিকেই আমাদের শেষ যাত্রা।

আমাদের দেশের শাসক কিংবা প্রতিনিধিরা যদি আমাদের জন্য ধার কর্জ করা বরাদ্দকৃত উন্নয়নের অর্থগুলি নিজের ব্যক্তিগত আখের গোছানোর কথা চিন্তা না করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতেন, তাহলে একদিকে যেমন এই হতভাগা জাতি উপকৃত হতো, তেমনি আমাদের এই নেতৃবৃন্দও বর্তমানের সমানই আয় করতে পারতেন। (কেননা অবৈধ অর্থাদি গলাধগরণ করার জন্য যেসব খাতে তাদের ঘুষ ও নানা টেবিলে বখরার ভাগ দিতে হয় এবং তা দেয়ার পর অবশেষে আসলে তেমন কিছু তাদের থাকে না।) পাশাপাশি তাদের চরিত্র বলে একটা জিনিস তৈরী হতো। অন্তত পক্ষে নিজেদের আত্মাকে বিকিয়ে দেয়ার যে আত্মীক ও মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করছেন তার কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারতেন। এই জাতি নৈতিক দিক দিয়ে মাথা উচু করে সম্মানীত জাতি হিসাবে বিশ্বের বুকে দাঁড়াতে পারতো। অবৈধ আয়ের টাকায় ভালো খেয়ে পরে, দামি গাড়ীতে চড়েও তাদের কপালে যে বলিরেখা দেখা যায়, তার কিছুটা হলেও দূর করার একটা পথ খুজে পেতেন। প্রতিক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করার এই প্রবণতা জাতিকে শুধু পিছন পথেই টানছে, এক পা সামনে এগোচ্ছে তো দুই পা পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু কে তাদের বোঝাবে তাদের অন্তসারশুন্য জীবনধারার অর্থহীনতা? বরং তারা একে অপরের সাথে প্রতিযোতিায় লিপ্ত এই নিয়ে যে, দূর্নীতি আর ভোগ বিলাসে কে কার চাইতে এগিয়ে যেতে পারে, কে কাকে ল্যাং মেরে পেছনে ফেলতে পারে। দূর থেকে কেউ চিৎকার করে তাদের বারণ করলেও তারা তা না শুনে উর্দ্ধশ্বাসে গভীর খাদের দিকে উন্মত্তের মতো ছুটে চলছে। পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে, হচ্ছেও তাই ।

আইনমান্যকারী ক্ষূদ্র জনগোষ্ঠি, যারা ত্রাতা হয়ে আসবে মানব জাতীর জন্য, তারা আজ পর্দার অন্তরালেই রয়ে গেলো। প্রতীক্ষায় আছি তাদের- যারা সমস্ত জরাজীর্ণতাকে ভেঙ্গে চূড়ে, সমস্ত বিভেদ ব্যবধানের অবসান ঘটিয়ে, সারা মানবজাতিকে সুবিশাল ঐক্যের মন্ত্রে একটি জাতিতে পরিণত করে বিশাল দাপটে আবির্ভূত হবে। অপেক্ষায় আছি তাদের সেদিনের সেই শুভাগমনের পথ চেয়ে।

বিষয়: বিবিধ

১১১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File