ধর্ম হউক জনতার জন্য।
লিখেছেন লিখেছেন ই জিনিয়াস ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:০৭:০৬ বিকাল
ধর্মকে জনতার কাতারে নিয়ে আসুন।
ধর্মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য ধর্ম। সুতরাং ধর্ম যতদিন জনতার কাতারে না নেমে আসবে, যতদিন মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, সিনাগগের চার দেয়ালে বন্দি থাকবে ততদিন পর্যন্ত ধর্মের সাথে মানুষের সংঘাত থাকবেই। ধর্ম সারা দুনিয়ার জন্য, ঘরের জন্য, বাইরের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য। ধর্ম এবং স্রষ্টা কারো প্যাটেন্ট করা বিষয় নয়। ধর্মের প্রয়োজন হয়েছে মানুষের জন্য, মানুষকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য। কিন্তু ধর্ম যদি কারো হাতে কুক্ষিগত হয়ে যায়, কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে ধর্মের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। মানুষ ধর্মকে ঘৃণা করবে। যা আজ হচ্ছে। ধর্ম নিয়ে দুনিয়াবী স্বার্থ যারা হাসিল করছে তারা, রুটি রুজি, মান সম্মানের হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছে সেই বিশ্বস্ত শ্রেণীটা- তারাই মুলত ধর্মকে তার সত্যিকার রূপে প্রকাশ করতে চাইছে না। ধর্মগ্রন্থগুলো খুলুন, দেখবেন এই কায়েমী স্বার্থবাদীদের কোনস্থান সেখানে রাখা হয় নি। তাছাড়া প্রত্যেক নবী রসুল, অবতার যখন স্রষ্টার কাজ থেকে প্রত্যাদেশ নিয়ে এসেছেন তখন সবচাইতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পুরোহিত শ্রেণী। অথচ কোন ধর্মেই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা, ধর্মীয় কোন কাজের বিনিময়ে কোন প্রকার সুবিধা আদায় করার কোন স্থান রাখা হয় নি। কেউ যদি সত্যিকার অর্থে স্রষ্টার জন্য কোন কাজ করে তবে এর বিনিময় সরাসরি স্রষ্টার কাছ থেকেই নিতে হবে। অথবা কেউ যদি মাধ্যম হিসাবে আসতে চান তবে তাকে এমনভাবে সেই সেবা দিয়ে যেতে হবে যার কোনরকম বিনিময় তিনি মানুষের কাছে কামনা করতে পারবেন না। কোনরকমে যদি এর সামান্য ব্যাত্যয় ঘটে তাহলে খোদ স্রষ্টাকেই প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। যদিও তিনি এসবের উর্দ্ধে। এর কোন দায় তিনি গ্রহণ করবেন না। আর আল্লাহ সম্বন্ধে যাদের জ্ঞান অল্প তারা এই দোহাই দিয়ে তাঁকে কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করবে, অবিশ্বাস করবে। যদিও তাতে তার কিছুই আসে যায় না। কেননা তিনি মানুষকে এই সব স্বার্থবাদীদের মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট জ্ঞান বুদ্ধি, দালিলিক তথ্য দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং যাদের কাজ তারা যদি তা না করে স্রষ্টাকে দোষ দেন, তাহলে স্রষ্টা এর কোন দায়ভার উপর বর্তাবে না। কিন্তু সেই মানুষগুলো অধর্মের স্বীকার হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন