দাওয়াতিকাজ নিয়ে কিছু শেয়ারিং-০১
লিখেছেন লিখেছেন মিজবাহ ১৫ মার্চ, ২০১৩, ১২:২৮:৪৮ রাত
আমার কিছু শুভাকাংখী আছেন যাঁরা বলেন ভাই ইউরোপে দাওয়াতীকাজ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রোগরামে যাওয়া দরকার যেমন, কার্নিগ্যাল ফেষ্ট(ডেনমার্কে দেখেছি), বিভিন্ন দেশী বিদেশী গান-বাজনার প্রোগরাম ইত্যাদি অন্যতায় মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো কঠিন হবে বা সামাজিকতা বলতে একটা কথা আছেনা!! আমি না যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি কারণ আল্লাহ বলেন:
নিশ্চিতভাবে সফলকাম হয়েছে মু’মিনরা, যারাঃ নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়, বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে,যাকাতের পথে সক্রিয় থাকে নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে (সুরা আল মুমিনুন ১-৬)
“যখন এমন কোন জায়গা দিয়ে তারা চলে যেখানে বাজে কথা হতে থাকে অথবা বাজে কাজের মহড়া চলে তখন তারা ভদ্রভাবে সে জায়গা অতিক্রম করে চলে যায়৷” (সুরা আল ফুরকান,৭২)।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, “নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য"(সূরা আনআম -১৫১)।
"যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে" (আন নূর :১৯)।
"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে "-(সূরা আন নূর :৩০)।
"আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি।" (সূরা ক্বাফ -১৬)।
প্রশ্ন হলো উপরোক্ত আয়াত গুলো কি সবসময় আমাদের অন্তরে নাড়া দেয়? বা আমল করার চেষ্টা করি?কোন পাপকে ছোট মনে করা উচিত নয় কারণ ছোট ছোট পাপ থেকে বড় পাপ করার উতসাহ পাওয়া যায় এবং বড় পাপকে তখন পাপ বলে মনে হয়না!!
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ঐসব প্রোগরামে না গিয়েও দাওয়াতি কাজ করার ইনটেনশান বা ইচ্ছা থাকলে তবে আরো অনেকগুলো সেকটর আছে যেখানে আমরা সবাই সময় দিই তবে দলে দলে মানুষ আল্লাহর সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করবে ইনশাল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল্লাহর দ্বীনকে সঠিকভাবে বুঝার তওফীক দান করুন।আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন