স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া এবং আমাদের করণীয়। আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ চাই।
লিখেছেন লিখেছেন মিজবাহ ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:০৯:৩৯ দুপুর
চরম বাস্তবতার আলোকে অনেক সময় আমরা স্বামী-স্ত্রীরা ঝগড়া করি একটু থেকে অনেক বেশী!
আমার মনে হয় যখনই ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা উদয় হয় তখন যে কোন এক পক্ষকে চুপ থাকার জন্য খুবই চেষ্টা করা উচিত এবং পরবর্তীতে উভয়ের মেজাজ ঠান্ডা হলে বাস্তবতার আলোকে আলোচনা করতে পারলে সংসারে শান্তি আসবে আর যদি সম্ভব না হয় তবে বিস্ফোরন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী ফলে পরবর্তীতে যা হতে পারে:
১. আস্তে আস্তে উভয় উভয়ের রাগ জমতে থাকে --- ভালবাসা কমতে থাকে--- বিশ্বাসের ঘাঠতি হতে থাকে----- সংসারে অমনোগীতা আসে----- ফলে সংসারে কঠিন বা শেষ পরিনতী বা ডিভোর্স।
অনেক পরিবারে দেখা যায় সমাজের দিকে তাকিয়ে উনারা সংসার অভ্যাহত রাখেন কিন্তু মনতো বাধা মানে না ফলে বাইরের দিকে মন যায় বা বাধ্য হন !
২. বাচ্চাদের উপর বিরোপ প্রভাব পড়বে ফলে বাচ্চারাও তা থেকে শিখবে কারণ বাচ্চারা হলো স্পন্সের মতো, স্পন্স যেমন পানি শোষন করে, তারাও তাই!!----
আমরা বাবা-মারা ইচ্ছে করে বা্চ্চাদেরকে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাব?
আপনারা যদি একটু শেয়ার করেন তবে আমরা সবাই আরো বেশী উপকৃত হতে পারতাম।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিয়ে করার পরে কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো! )
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 9368
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সহমত
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
আমার দেখা অনেক বাস্তবতাই এমন!
আমরা কি ভাই এ ভাবে চিন্তা করতে পারি। ধরে নিলাম আমি একজন বাবা বা মা,আমার ছেলে ও মেয়ে সন্তান আছে। আামি যদি আমার মেয়ের স্বামীর সাথে এ ধরণের ব্যবহার করি তবে আমার ছেলের সাথে আমার ছেলের স্ত্রী ও স্ত্রীর মা-বাবা ঐ ধরনের আচরণ করে তবে ব্যাপারটি কেমন দেখায়?
সুতরাং ব্যালেন্স চাই
জাজাকুম আল্লাহ খাইর সময় দেয়ার জন্য।
আর মানুষের এক্সপেকটেশন, বিশেষ করে মেয়ের পক্ষের তরফ থেকে, অযাচিত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই; যদিও এটা ভুক্তভোগীরাও আড়াল করে থাকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সামাজিকতার খাতিরে ...
আমার দেখা কিছু উদাহরন– যেমন পিতামাতা তার মেয়েদেরকে বিয়ে দিয়েছে - তাদের সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থানের চাইতে দূর্বলদের কাছে, এতে করে মেয়ে-মেয়ের জামাই সবাই ভালো আছে; আবার ছেলেদেরও বিয়ে দিয়েছে - তাদের সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থানের চাইতে দূর্বলদের কাছে; এ ধরনের পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায় – মেয়ের জামাইদের কোন আপত্তি নাই, তারা সব মেনে নেয়, কম্প্রোমাজিং টেন্ডেন্সীতে থেকে সুখেই আছে; কিন্তু ছেলের বউগুলো এবং বউদের পরিবার এর দাবী আকাশ্চুম্বী এবং অযৌক্তিক, অথচ বিয়ের আগেও কিন্তু তাদের অবস্থান এমন ছিলো না – তাদের মেয়েদের এমন পরিবারে বিয়েও দিয়েছে নিজেরা এসে যেচে। এখানে দেখেন যে পিতামাতা তার ছেলে-মেয়েদেরকে বিয়ে দিলো/করালো তার চাইতে নীচের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থানের ছেলে/মেয়দের সঙ্গে, সে কিন্তু ব্যালান্স করার চেষ্টাই করলো, কিন্তু ছেলের বউগুলো অযৌক্তিক আচরণ এবং দাবী করে লোকটার জীবন দুর্বিষহ করে দিচ্ছে? এসব চরম বাস্তব!
এসব ব্যাপারের জন্যই আমি ঐ ধরনের মেয়ে এবং তাদের পরিবারের দোষ দিয়েছি বেশী করে, কারণ ব্যাপারগুলো আমি খুব ভালো মতোই দেখেছি কাছে থেকে!
কি লাভ হবে ঐ সব মেয়ে ও মেয়ের বাবা-মাদের? ডিভোর্স? তারপর? একটু সেক্রিফাইস করলেতো উভয়ে সুখে থাকে।
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
০ ডিভোর্স - সেটা ছেলে বা মেয়ে যে কারও পক্ষ থেকে হতে পারে ।
সারাটা জীবন মনমালিন্য করে চালিয়ে যাবার কোন মানেই হয় না , এতে সন্তানদের মন মানসিকতাতেও প্রভাব পড়ে ।
খুব ভাল হয় সন্তান আসার আগেই যদি এটা করা যায় , না হলে একটা সিস্টেমের মধ্যে পড়ে যেতে হয় যার ভুক্তভোগী হয় ছেলেরাই ।
সাবেককে তো কিছু দিনের জন্য ভরনপোষণ দিবেই আর সন্তানকে তো দিতে হবেই । তাও আবার সন্তান তার কাছে থাকবে না , থাকবে তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া বউয়ের (সন্তানের মায়ের) কাছে । ডিভোর্সের পর যার মুখ দেখার কোন ইচ্ছাই থাকে না তাকে বাধ্য হয়েই দেখতে হবে শুধু সন্তানের খাতিরে নিজেকে ছোট করে হলেও । মেয়েদের এতে মজা যে তার মনে এই ভাব টা ফুটে উঠবে যে ঠিকই আমার কাছে তোমাকে আসতে হবে মাথা নত হয়ে নিজের সন্তানের জন্য হলেও । সাথে থাকবে ঐ মহিলার বর্তমান স্বামীও ।এটা পুরুষ মানুষদের জন্য অপমান জনকই ।
অথচ সন্তান কিন্তু এক কথায় বাবার । মায়ের না । কারণ তালাক হয়ে গেলে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মাকে পয়সা দিতে হয় বাবার বা অন্য কাউকে দিয়ে বাবা তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবে যদি মা বেশী পারিশ্রমিক চায় ।
- আমার মনে হয় সন্তান লালন পালনে মায়ের বিকল্প নেই তাই মায়ের কাছে থাকে। আচ্চা ভাই এক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান সময় দেয়ার জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন