মুসলিমদের আমেরিকা ও বৃটেনের উপর নির্ভরতা
লিখেছেন লিখেছেন মিজবাহ ০১ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:০৭:০৯ দুপুর
যেহেতু আমেরিকা, বৃটেন ও মধ্যপ্রাচ্যের শাসকগন ইসরাঈলকে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্টেপোষকতা করছে যা আমাদের কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট সুতরাং বিশ্বের কোন মুসলিম বা ইসলামি সংগঠন বা মুসলিম শাসক ঐ তিন শ্রেনীর শাসকদের সমর্থন করে বা তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে তবে তাঁরা কাল কেয়ামতের ময়দানে কী জবাবদিহী করবেন?
হিকমার কথা বলে আমরা আল্লাহর উপর নির্ভর না করে যদি ঐ তিন শ্রেনির শাসকদের উপর নির্ভর করি তবে কিভাবে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিব?
আমাদের বিবেক জাগতে আর কতদিন সময় লাগবে?
বিষয়: বিবিধ
৮৭০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা তাদের-কে অর্থনৈতিক মাইর দিতে চাই বিভিন্ন কর্মকান্ডে, অথচ আমরা বুঝতেও চাইনা অর্থের মাইর দিয়া কোন কাম হবে না; কেননা অর্থ দিয়ে যা কেনার, উৎপাদন করার, এছাড়াও যা যা করার আছে – তার সবকিছুতেই তারা নিজেরাই সক্ষমঃ তাদের কোন অর্থ না থাকলেও নিজেরা নিজেদের কাচামাল আর মেধা দিয়ে উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজন মেটাবে এবং যা করার করবে। ওরাই বরঞ্চ মুসলিমদের সক্ষমতা অর্জনের বদলে ওদের কাছ থেকে কামাই করা অর্থের উপর এমন নির্ভরশীলতার চরিত্র দেখে অর্থনৈতিকভাবেও খেলে থাকে বিভিন্ন সময়ে দরকার পড়লে, যেমন ইরানের সাথে খেলেছে এবং খেলছে। আমাদের মতো নাদানদের সাথেও কি জি.এস.পি/ফি.এস.পি লইয়া খেলে তাতেই আমগো এইখানে কান্নাকাটি বাইজা যায়! এছাড়াও ওরা যদি বলে, ওদের উৎপাদিত পণ্য আমাদের এখানে বেচবে না, তাতেও ওদের কোন ক্ষতি নাই বরঞ্চ আমরাই ওদের পণ্যের অভাবে আকালে ভুগবো, কেননা পুরো চাহিদা মেটাবার উৎপাদনের সক্ষমতাটাও আমাদের হয় নাই আজও, কাচামালের ব্যবহারও জানি না!
আর যুদ্ধ করতে যাবে সবাই? সেক্ষেত্রে দেখেন ইরাক, লিবিয়া, মিশর, আফঘানিস্তান এরা সবাই রাইফেল নিয়া যুদ্ধ করে ড্রোন-জেট ফাইটার-কামান এর বিরুদ্ধে। দেখছেন এখানেও কতো সক্ষমতা বা কৌশল তাদের? ইরান ঠিক-ই করতাছে, ওরা ঐদিকে সক্ষমতা অর্জন করে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, তাতেই, ইরান আর ওদের পণ্য বর্জন করবে কি, ওরাই নানান অবরোধ দিয়া ইরানের সাথে কৌশলের যুদ্ধ চালাচ্ছে।
ইরানকে বোকা মনে হচ্ছে? নাকি ইরাক, লিবিয়া, মিশর, আফঘানিস্তান-কে যুদ্ধে?
আর পরিচয় আমরা কি দিবো আল্লাহর কাছে?! আল্লাহ-ই তো বলে দিছেন নিজেদেরকে মুসলিম/ঈমানদার বলে দাবী করলেই কি উনি ছেড়ে দেবেন? উনি পরিচয় নিয়ে-ই ছাড়বেন কেউ দাবী করলে।
কিন্তু আমরা যদি সোশ্যাল ক্যাপিটাল, ভ্যালুজ ক্যাপিটাল, ইথিক্স এসবকে মূল্যমান দিতাম - তবে হয়তো ক্যালকুলেশানে অনেক ভাল রেজাল্ট পেতাম। দূর্ভাগ্য এই যে - সময়টা আর ওখানে নেই যে নতুন করে শুরু করার আছে।
সূরা মায়েদায় ৫০/৫১ নং আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন (আমার ভাষায়), যে ইহুদী ও খৃষ্টানরা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তথা একে অপরের বন্ধু - সে জাতীয় খৃষ্টান ও ইহুদীদের বন্ধু হিসাবে নেওয়া মুসলিমদের জন্য হারাম বা নিষেধ।
আমাদের দূর্ভাগ্য এই যে, আমরা মুসলমান রা গত প্রায় ১০০ বছর ধরে এই স্পেশাল টাইপের 'খৃষ্টান ও ইহুদী পরস্পর পরস্পরের বন্ধু' গুলোকে আমাদের বন্ধু বানিয়েছি, তাদের উপর ডিফেন্ড করেছি - কোরানের অর্ডারকে ভায়োলেট করে, ঠিক যেমন ভাবে ভায়োলেট করেছি সুদ এর আদেশ কে, ঠিক যেমন ভাবে ভায়োলেট করেছি আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে এবং তার স্থলাভিষিক্ত করেছি ইউনাইটেড নেশানস এর সিকিউরিটি কাউন্সিল কে - আর এখন আল্লাহর পরিবর্তে তাকিয়ে আছি সিকিউরিটি কাউন্সিলের দিকে - যে কিনা কোরাইশদের হাবল এর মত, লাত কিংবা উজ্জার মত। অথচ আমরা আমাদের পূজা শুদ্ধ সব দিয়ে থুয়ে বসে আছি।
আমার মনে হয় - মুসলিম এক্টিভিস্ট রা যারা ট্রুলী আল্লাহকে চায় সব কিছুর উপরে - তাদের ভাবনা চিন্তায় পরিবর্তন আনার সময় এসেছে - এ্যাটলিস্ট মিশর না হোক গাঁজা - তাদের সেন্স আনার জন্য মোর দ্যান এ্যানাফ।
লিখককে ও ধন্যবাদ।
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
মন্তব্য করতে লগইন করুন