বর্তমান সরকার দেশের রাজনিতিকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে????প্রধান বিরোধীদল এর কার্যালয় এ এভাবে হামলা নজির বিহীন ঘটনা????
লিখেছেন লিখেছেন আমি সত্যের পক্ষে ১২ মার্চ, ২০১৩, ১০:২৮:৫৮ সকাল
সবাই ভাল আছেন নিসছই।ভাল থাকেন এই কামনা করি।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তে কিভাবে ভাল থাকি আম্রা।ভাল থাকার কোন অবকাশ নাই।কারন একদিকে সরকার একদিকে বিরোধীদল আরেকদিকে জামায়াত এবং অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্ছ।এখন আমরা যারা সাধারন জনগন আমরা কোথাই যাব। বিশেষ করে যে দল যাই করুক কিন্তু আজকে বিরোধিদল এর কার্যালয় যেভাবে পুলিশ তল্লাশি এবং হামলা চালিয়েছে তাতে কিছু বলার থাকেনা। সরকার ই বা কি চাচ্ছে। বর্তমান সরকার কি যানেনা যে আজকে তার দিন,কালকে যে আবার তারা খমতাই থাকবে তার ও নিশ্চয়তা কি। যদি আগামিতে বিএনপি ক্ষমতাই আশে তাহলে তাদের কি হবে। কারন রাস্তা ত তারাই দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। তখন তারা কি বলবে। কারন বর্তমানে জনগন অনেক সচেতন। তাই সরকার এর কাছে প্রশ্ন করলে তার কোন উত্তর পাওয়া যাবে না। আমি সাদারন জনগন এর কাছে প্রশ্ন করি আমরা কি এই হানাহানি র রাজনিতির জন্য কি সরকার গঠন করি,নাকি দেশকে সুন্দর ভাবে হানাহানি মুক্ত এবং প্রতিহিংসা ব্যতিত দেশ হিসেবে গরে তোলার জন্য।
আজকের ঘটনার কিছু সার সংক্ষেপ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করে আপনাদের মাযে তুলে ধরলামঃ
প্রধান বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান। ব্যাপক তল্লাশি, তছনছ। দরজা ভেঙে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার। তাদের গায়ে পুলিশের আঘাত। দেড় শতাধিক গ্রেপ্তার। দেশের রাজনীতিতে এ এক নতুন নজির। গতকাল এমনই লঙ্কাকাণ্ড করেছে পুলিশ। ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের পর সমাবেশ পণ্ড হওয়া, নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে এ গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের প্রায় দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে। তাদের মধ্যে আছেন দুই ভাইস চেয়ারম্যান, তিন যুগ্ম মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপসহ অন্তত অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। গ্রেপ্তারের সময়ে রীতিমতো লাঞ্ছিত হয়েছেন তাদের কয়েকজন। পুলিশ একের পর এক দরজা ভেঙে তল্লাশি চালায় পুরো কার্যালয়ে। তল্লাশিতে তছনছ হয়েছে আসবাব ও নথিপত্র। অভিযানকালে কার্যালয় থেকে ৬টি হাতবোমা উদ্ধার দেখিয়েছে পুলিশ। এর আগে নয়াপল্টনে ১৮দল আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে ঘটেছে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা। এরপরই শুরু হয় পুলিশের অ্যাকশন। বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, সমাবেশ বানচাল করতেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলা করে পুলিশ। তবে পুলিশ দাবি করেছে, হরতাল দেয়ার জন্যই সমাবেশে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও এ দাবি করেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানের পর রাতে করণীয় নির্ধারণ করতে জরুরি বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ১৮ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, আমানউল্লাহ আমান, রিজভী আহমেদ, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, জোটের শরিক দল ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রশীদ হাবিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মুর্তজা ভুট্টো, মাহবুবুল হক নান্নু, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশার, শরীয়তপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি জামাল শরীফ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, তরুণদল ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক শাহমান শাহদৎ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মচারী আবদুস সোবহান, যুবদল নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, ফাহিম হোসেন, ডা. আশফাকুর রহমান শেলী প্রমুখ।
ঘটনার সূত্রপাত: সময় তখন বিকাল পাঁচটা। ‘পুলিশ, র্যাব ও তাদের সহায়তায় সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নির্বিচার গণহত্যা এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা ও নির্যাতনে’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল ১৮দলীয় জোট। সমাবেশের সর্বশেষ বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় হঠাৎ উল্টোপাশের আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পরপর ছয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই সমবেত কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় মির্জা আলমগীর বক্তব্য থামিয়ে এ ঘটনায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন। তিনি বলেন, এ সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালাচ্ছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ককটেল বিস্ফোরণের পরপরই ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা নয়াপল্টন ভিআইপি রোডের ডিভাইডারের কাঁটাতারের স্ট্যান্ড ভেঙে ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। বিএনপি’র মহানগর কার্যালয়ের পাশে এয়ারটেলের একটি কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তারা। হাতবোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। অন্যান্য দিন পুলিশ ও র্যাব সমাবেশ চলাকালে বিএনপি কার্যালয়ের উল্টো পাশে অবস্থান নিলেও কাল ছিল ব্যতিক্রম। নয়াপল্টনের দু’দিকে বিজয়নগর নাইটিঙ্গেল মোড় ও পল্টন থানার সামনে ছিল তাদের অবস্থান। বিএনপি’র সমাবেশ চলাকালে ও বিস্ফোরণের সময় পুলিশ-র্যাব ছিল নীরব। পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা দেয়ার পর নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলে যান। দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ও কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে মিছিল করেন। মিছিল শেষে তারা যখন কার্যালয়ে চলে যান তখনও বাইরে কর্মীরা কয়েকটি ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে নয়াপল্টনের নানা পয়েন্টে। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পল্টন থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশের দু’টি দল অনবরত ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পশ্চিম দিকে বিএনপি কার্যালয়ে দিকে অগ্রসর হয়। এতে পুরো নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে ও আতঙ্কে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা আশপাশের গলি দিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ জলকামান দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এরপর র্যাব-এর একটি দল অগ্রসর হয়ে আশপাশের গলিগুলোতে টহল দেয়। এ সময় হাত মাইকে তারা আশপাশের ভবনগুলোর জানালা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে পুরো ফাঁকা হয়ে যায় নয়াপল্টন। পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। এর আগে দুপুর ২টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা দুপুরের দিকে মঞ্চের ডান দিকে অবস্থান নেয়। বিকাল সোয়া ৩টায় ঢাকা মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে এই সমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াতের পর শুরুতেই বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগর নেতা ইয়াসীন আরাফাত। সমাবেশে বিএনপিসহ জোটের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বক্তব্য দেন।
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি রেইড :
সময় তখন বিকাল ৫টা ৫০ মিনিট। নয়াপল্টনে বাইরে তখন সুনসান নীরবতা। কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ বিএনপি ও অঙ্গদলের শ’ শ’ নেতাকর্মী। এ সময় পরপর দু’টি পুলিশ ভ্যান এসে থামে বিএনপি কার্যালয়ের গেটে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ কার্যালয়ের মূল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তখন দলীয় কার্যালয়ের তেতলায় নিজের দপ্তরে ছিলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করে কার্যালয় থেকে বের করে আনে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে তোলার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছি। তারপরও আমাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ এ সময় তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা সরকারের অন্যায় আচরণ। আমাদের আন্দোলন চলবে। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেই প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে তাকে কার্যালয়ে ভেতরে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু ৫ মিনিট পর ফের তাকে গ্রেপ্তার করে নামিয়ে আনে পুলিশ। দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ফখরুলকে তুলে নেয়ার সময় বেশ কিছুক্ষণ টানাহেঁচড়াও চলে।
প্রথম দফায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের পেছনে পেছনে রিজভী আহমেদসহ একে একে বিএনপি ও অঙ্গদলের ৫১জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কার্যালয় থেকে নামিয়ে আনে পুলিশ। ততক্ষণে আরও চারটি প্রিজন ভ্যান আসে কার্যালয়ের সামনে। প্রথমে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দপ্তর সম্পাদক রিজভী আহমেদকে আটকের পর কার্যালয়ের প্রতিটি স্থানে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনিসহ ৩৩জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের অনেকের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল তখনও। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি ট্রাংক ও দু’টি ব্যাগ বের করে আনতে দেখা গেছে পুলিশকে। সন্ধ্যা সাতটায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তরের বাথরুমের দরজা থেকে দু’টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরই সেখানে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজেবল টিম এসে সেগুলো বাইরে বের করে নেয়। সাংবাদিকদের সামনে পুলিশ দু’টি হাতবোমা উদ্ধার করলেও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ৬টি হাতবোমা উদ্ধারের দাবি করা হয়। পরে বাথরুম থেকে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত যখন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
এ সময় দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলার বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজা ভাঙা হয়। তখনও তৃতীয় তলায় মহাসচিবের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন দলের সিনিয়র নেতারা। সময় তখন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট। পুলিশ হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলে মহাসচিবের কক্ষ। সেখান থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ দলের ৫৪জন নেতাকর্মীকে। কার্যালয় থেকে বের করার পথে সাদেক হোসেন খোকা সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাসে প্রতিবাদী জনগণের ওপর গণহত্যা ও বিরোধীদল নিপীড়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমাননা করেছে সরকার। কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই ১৯৭১ সালের একজন রাজাকার। তিনি বলেন, সরকারের এ অন্যায় আচরণ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। বিরোধী দলের আন্দোলন আরও কঠোর হবে। অতীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণকে নিয়ে রাজনীতির অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে বিএনপি। ভবিষ্যতেও তার নেতৃত্বে জনগণের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে গ্রেপ্তার করে দলীয় কার্যালয়ে থেকে বের করার পথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও আমানউল্লাহ আমানকে পেছন থেকে বারবার লাথি-ঘুষি মারে পুলিশ সদস্যরা। রাত পৌনে আটটায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও বিরোধীদলীয় এমপি নিলোফার চৌধুরী মনি, মহিলা দল ও ছাত্রদলের অন্তত শতাধিক নারী নেতাকর্মীকে বের করে দেয় পুলিশ। রাত আটটা ২০মিনিটে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন পুলিশের মতিঝিলের বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলম। অভিযান শেষে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের চাবিসহ জিনিসপত্রের দায়িত্ব কেয়ারটেকার রুস্তম আলীর কাছে বুঝিয়ে দেন। তবে তল্লাশি, ভাঙচুরের কারণে পুলিশি অভিযানের পর বিধ্বস্ত রূপ নিয়েছে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
এই পোষ্টটি পূর্বে এই ব্লগে পোষ্ট করা হয়েছিল
সবাইকে এই ব্লগে তাদের লেখা পোষ্ট ,মতামত ও নিয়মিত ভিজিট করার আমন্ত্রন জানাচ্ছি
ফেইসবুক পেইজ- http://www.Facebook.com/eratunes
সুত্রঃ দৈনিক মানব্জমিন,ইত্তেফাক,বাংলানিউজ২৪,প্রথম আলো।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন