অপসংস্কৃতির কবলে
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে হানিফ ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৪:২৪:১৮ বিকাল
পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক আধিপত্য গ্রহণের তীব্র প্রতিযোগিতা নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বিসর্জনকারী মুসলিমদেরকে বর্তমান বিশ্বে একটি হীনমন্য জাতিতে পরিণত করেছে । সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মুসলিমদের অনুকরণ করতে বর্তমান বিশ্বের কোন অমুসলিমদের দেখা যায় না । সারা বিশ্বের মুসলিম পাশ্চাত্য পোশাক , খাদ্যদ্রব্য রীতি-নীতি , ফ্যাশন নির্লজ্জভাবে গ্রহন করে নিচ্ছে ।
মুসলিম সংস্কৃতি ভেসে যাচ্ছে অমুসলিম সংস্কৃতির স্রোতধারায় । মুসলিমরা আজ নিত্যনতুন ফ্যাশনে অভ্যস্থ । গির্জায় থাকে মিশনারি সিস্টাররা ,তাদেরকে দেখা যায় পর্দায় আবৃত । তারা মাথার চুল এমনভাবে ঢেকে রাখে চুল দেখা তো দূরের কথা কান পর্যন্ত দেখা যায় না । মিশনারি মহিলাদের টাখনুর নিচে পর্যন্ত সাদা লম্বা জামা পরার
ফলে পায়ের বিন্দু মাত্র দেখা যায় না । এজন্য তারা লোকসমাজে হয় সম্মানিত । খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা ঈশ্বরের কন্যাসম মনে করেন । অথচ আমাদের মুসলিম নারীরা হিজাবকে অতিরিক্ত বোঝা মনে করে । তারা এসবগুলো বাদ দিয়ে পাশ্চাত্যের পোশাক গ্রহনে রীতিমত ব্যস্ত ।
খ্রিষ্টান ও ইহুদী পাদ্রীরা দাড়ি রাখে এবং যথেষ্ট লম্বা করে । পাঞ্জাবী শিখেরাতো অনেকে দাড়ি কাটেই না । অথচ মুসলিম পুরুষেরা দাড়ি রাখাকে চেহারা অসৌন্দর্যের কারন মনে করে । অথচ পুরুষের চেহারার সৌন্দর্য হল দাড়ি । অনেকে আবার দাড়ি রাখতে চায় না এজন্য যে , অনেকে হয়তো বা ভাববে লোকটি চরমপন্থি , মৌলবাদী ।
আমি বিস্মিত হই । অধঃপতনের সংস্কৃতি অবলোকনে । ক্ষোভে ফেটে পড়ি মুসলিম উম্মাহর কর্মকাণ্ডে । আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব আসার একমাত্র কারন হল আমাদের অপরাধ । আমাদের উপর অবতীর্ণ হয় সিডরের মত সর্বগ্রাসী আজাব । আসে মহা প্রলয় ।
অতএব আমাদেরকে সচেতন হতে হবে । বাদ দিতে হবে পশ্চিমা কৃষ্টি-কালচার । তবেই আমরা পাব সত্যের দিশা । আমরাই হব আদরশিত মডেল । জাতির কর্ণধার ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন