ধৈর্য্যের মত প্রশস্ত আর কিছু নেই
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:০৬:৫৬ রাত
বহু লোক একটা মহা অন্যায় করে বসে। যখন তাদের প্রিয় কোনো জিনিস হারিয়ে যায়,প্রিয় কোনো মানুষ মারা যায়,চরমভাবে যখনবিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন মুখ দিয়ে নানানভাবে আফসোস বের হয়। মানুষদেরকে বলে, আমি তো কোনো অন্যায় করিনি, তবে কেন আল্লাহ এটা দিল !! খুব কম মানুষই ধৈর্য্যশীল হয় এবং আল্লাহর বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারে।
আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আ'নহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, "আমার মু'মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নিই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে।"
--[বুখারী ৬৪২৪]
মনে রাখতে হবে আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দারা হলেন নবী,রসূলগণ। তাদের ক্ষেত্রে কোনো পাপ লেখা হয়না। তাদের ভুলও অনুসারীদের জন্যে শিক্ষনীয়। তাদেরকে পূর্বেই ক্ষমা করা হয়েছে এবং জান্নাতের উচু স্থান নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু সেই নবী,রসূলদেরকেও আল্লাহ কঠিন কঠিন সব পরিক্ষা নিয়েছেন। তাহলে আমাদের পরিক্ষা আসবে না ? আল্লাহ আল কুরআনে বিভিন্নভাবে পরিক্ষা নেওয়ার কথাটি জানিয়েছেন। সুখ ও দু:খ উভয় সময়েই পরিক্ষা রয়েছে। যখনই খারাপ কিছু ঘটবে, নিজেকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যেতে হবে, কারন আল্লাহ তখন চাচ্ছেন আমরা আরও নতজানু হই। যখনই খুব সুখের কিছু ঘটবে, সর্বপ্রথম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। যদিও আমার শরীরের শক্তি,অর্থ,মেধা ব্যয়িত হয়েছে কিন্তু কৃতিত্ব দিতে হবে আল্লাহর, কারন সেই সক্ষমতাটা তারই দেওয়া।
....রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকেই দ্বীনী জ্ঞান দান করেন।"
--[বুখারী ৭১, ৩১১৬, মুসলিম ২৪৩৬]
বিষয়: বিবিধ
৬১৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন