আগ্রাসন আসন্ন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৮:২০:৪১ সকাল
বিশ্ব যত নীতি কথাই বলুক না কেন যুদ্ধ হবে মুসলিম ও অমুসলিমদের ভেতর। চারিদিকের অবস্থা সেটাই দেখাচ্ছে। ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা বারবার ধর্মীয় বিষয়গুলোকেই আলোড়িত করছে বিশেষ উদ্দেশ্যে। মুসলিমদের খোচানো হচ্ছে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে অমুসলিমরা শক্তিশালী জোট তৈরী করছে। বিনা কারনে মুসলিম নির্যাতন করছে যাতে তারা প্রতিবাদী হয় এবং আক্রমনাত্বক হয়, আর এরপর যেন তাদেরকে মারা জায়েজ হয়।
তবে বাঙ্গালী হল মরা জাতি,যদিও কিতাবে বীরের জাতি লেখা হয়েছে কিন্তু সেটা পুরো মিথ্যা বচন। তবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বিড়ালও হাতা মারে, সে অর্থে বিড়াল যদি বীর হয়,তবে বাঙ্গালীও বীর। বিশ্বে বাঙ্গালীই একমাত্র জাতি, যারা তাদের ৫০ বছরের ইতিহাসকে হাজার বছরের ইতিহাস হিসেবে চালায়, তাও আবার সে ইতিহাস দুভাগে বিভক্ত, বি.এন.পি এবং আওয়ামী লীগ। এদেরকে বাইরের শক্তি কখনও বাংলাদেশী অথবা বাঙ্গালী অথবা মুসলিম হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ দিবেনা। এদেরকে এমন করে থাকতে বাধ্য করবে, যাতে অর্ধেক জনগন যদি বলে-"আমরা আক্রান্ত,তবে বাকী অর্ধেক যেন বলে, না আমরা নিরপত্তায় বসবাস করছি।" আমরা বাঙ্গালী হয়ে দেখেছি, বাংলাদেশী হয়েও দেখেছি, কিন্তু আমাদের কপালে বিদেশী শক্তির অত্যাচার,অনাচার,বহুমুখী নির্যাতন,লম্বা বয়ান ছাড়া আরও কিছুই জোটেনি। এমনকি সংখালঘু অমুসলিমরাও নির্যাতিত হয়েছে নানানভাবে। আমি বলব, এখন সময় এসেছে মুসলিম হওয়ার। তাহলে জাতি হবে পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জামাত নয়, আমরা মুসলিম। আমাদের বিধান হল কুরআন ও সুন্নাহ। যদি এই নীতিকে মেনে নেই তবে আমরা একে অপরের ভাই-বোন। আর নীতি ইসলাম হওয়ার কারনে আমাদের দ্বারা কেউ প্রতিহিংসার শিকার হবেনা। রসূল(সাঃ) বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে অমুসলিমরা হল পবিত্র আমানত।,,,ফলে তারাও মুসলিম দ্বারা অত্যাচারিত হবেনা। বরং মুসলিমরা তাদেরকে স্বযত্নে দেখাশুনা করবে। আর তারা সম্মিলিতভাবে বিদেশী ষড়যন্ত্র,নির্যাতন,আক্রমনও প্রতিহত করতে পারবে। আসলে এমন একটা সময় আসতে যাচ্ছে, যখন হয় আপনি মুসলিম, নয়ত অমুসলিম ব্লকে বিভক্ত হবেন, তা সে আপনি চান অথবা না চান। মধ্যবর্তী স্থান বলে কিছু থাকবে না। বিশ্ব শক্তি চায়না ,বাংলাদেশের লোকেরা দলাদলি মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একজাতি তৈরী করুক।
মনে হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখার জন্যে। এখনই মোক্ষম সময়। বাংলাদেশ এমন একটি স্থানে অবস্থিত যার নিয়ন্ত্রণ পেলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব শক্তি সুবিধা করতে পারবে। সামনের দিনগুলোর রাজনীতি মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রীক হবে এবং তা কেবল সেখানে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সেটা মুসলিম ও অন্যদের ভেতর প্রবল পার্থক্য নির্দেশকারী যুদ্ধে পরিনত হবে,আর এরই ফলশ্রুতিতে মুসলিম অধ্যুষত বাংলাদেশ শত্রুর আক্রমনের শিকার হবে। পরাশক্তিগুলো দক্ষিন এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে হাতে রেখে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করবে। বিষয়টি অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এখন নানান অজুহাতে উস্কানীমূলক কর্মকান্ড চলছে। এরপর তারা থলের বিড়াল আরও বের করবে। এ অঞ্চলে থলের মালিক হল ভারত। খুব সহযে তারা পুরো দেশকে গ্রাস করতে চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হবে বলে মনে হয়না। কারন ভারত অন্য পরাশক্তিরগুলোর চরিত্র সম্পন্ন না যে, তারা কোথাও থাবা বিস্তার করে সুশাসন জারি রেখে জনগনের মন জয় করবে, বরং তারা নিম্ন মানসিকতার বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে সর্বদা কদর্য্য চেহারা প্রদর্শন করে জনগনের মনকে বিষিয়ে তুলবে। ততদিনে শান্তিপ্রিয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পেটে সরাসরি লাথি পড়বে এবং বাঁচার তাগিদে তারা গর্জে উঠবে ।
বিষয়: বিবিধ
৬৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন