দৌড়াও,লুকাও অথবা ফাইট করো !
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:০০:৪৫ সকাল
--------------------------------------
(আমেরিকায় বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের জন্যে লেখাটা অতি জরুরী। বাংলাদেশীদের জন্যেও নানান ক্ষেত্রে জরুরী হতে পারে। আশাকরি শেষ পর্যন্ত পড়বেন)
আজ এফ.বি.আই, এবং সোয়াট টিমের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সাথে বিশেষ নিরাপত্তা মিটিং ছিলো। লেখাটা সেটার ভিত্তিতে তৈরী করলাম।
--------------------------------------------------------------
আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর,শান্ত,সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে ওরেগনের খ্যাতী রয়েছে, তারপরও ওরেগনে অন্তত ৭/৮ বার একটিভ শ্যুটার কর্তৃক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বহু মানুষ একেবারে বিনা কারনে মারা গেছে। বিষয়টা এমন, যার সম্পর্কে পূর্ব আলামত বা সিগন্যাল পাওয়া সম্ভব নয়। ঘটনাগুলো প্রফেশনাল কিলারদের মাধ্যমে না ঘটার কারনে পুলিশের কাছেও শত্রুর ব্যাপারে তেমন উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নেই। যে কোনো সময় যে কোনো ক্রেজী মানুষ হঠাৎই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যে কোনো স্থানে মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে। পূর্বের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আক্রমনকারী ছিলো আপাত স্বাভাবিক,ফলে ঘটনা অনুমান করাও ছিলো কষ্টকর। সহিংসতার এই ঘটনা স্কুল,কলেজ,শপিংমল,গ্রোসারী স্টোর,পার্ক,রাস্তা সকল স্থানেই ঘটতে পারে। হতে পারে আপনার পাশের লোকটিই, বা পরিচিত লোকটিই একজন ভবিষ্যৎ একটিভ শ্যুটার, ফলে আমেরিকাতে বসবাসকারী যে কোনো মানুষকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয় জানতে হবে।
প্রত্যেক মানুষকে স্রষ্টা সত্যের অনুকূল করে সৃষ্টি করেছেন,এরপর তারা তাদের পিতা-মাতা,পরিবেশের প্রভাবে অনুরূপ আচরণ করে। মানুষের ভেতর সত্য বিবেক জাগ্রত থাকার পর চারিপাশের পরিবেশ,সমাজ কর্তৃক সে ক্রমাগত প্রত্যখ্যাত,বঞ্চিত,অবহেলিত হতে হতে একসময় ক্রেজী হয়ে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেই প্রতিশোধ ঠিক কার উপর নিবে সেটা বুঝতে পারেনা, কিন্তু মানসিক বিকারগ্রস্ততা তাকে খারাপের দিকে আহবান করে। স্বাভাবিক বিষয় তার ভালো লাগেনা। অন্যরা কেন ভালো আছে, সেটা নিয়ে প্রবল এক হিংসা,বিদ্বেষ তৈরী হয় তার ভেতর,আরও উচ্চ স্তরে গিয়ে প্রবল ক্রোধ জন্মায়। এরপর ক্রোধান্বিত হয়ে পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রন নিতে চায়। অথবা ক্রোধান্বিত হয়ে নিজেকে ধ্বংস করে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে চায়। কেউ কেউ এ পর্যায়ে আত্মহত্যা করে, আর কউ কেউ ভাবে, অন্যকে হত্যা করেই আত্মহত্যা করবে। তখন কোনো এক অনুকূল পরিস্থিতিতে সে সন্ত্রাস ঘটিয়ে বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করে।
আবার যেসব সন্তান জন্মের পর থেকে পিতা-মাতার সান্নিধ্য পায়নি ,অথবা পিতা-মাতার ভেতর যেকোনো একজনকে পেয়েছে, অথবা যাদের পিতা-মাতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং মানবিক গুনের ঘাটতি আছে, সেসব সন্তান শুরু থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যয়ের শিকার হতে পারে। বহু সন্তানই এরকম অবস্থা থেকে দুনিয়াতে সফল হয়েছে, মানুষের জন্যে উপকারী হয়েছে, কিন্তু এরকমভাবে জন্মানো বহু সন্তানই আবার বড় হয়ে বিগড়ে গেছে। দেখা গেছে মানবিক মূল্যবোধ এদের ভেতর কম। কঠিন,কঠোর মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে দেখা গেছে। স্নেহ ভালোবাসার সাথে পরিচয়হীন অনেক কিশোর অপরাধপ্রবন হয়ে গেছে এমনটা দেখা গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে যদি আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়ে যায়, তাহলে ঘটনা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আমেরিকাতে ঘটা বহু কিশোর অপরাধই এ ধরনের। বিশাল সংখ্যক শিশু বা কিশোর তাদের পিতার বা অভিভাবকের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
মানসিক বিকৃতি আরও বহু কারনে ঘটতে পারে। শুরু থেকে এটার উপস্থিতি নাও থাকতে পারে। পরবর্তীতে সমাজ,পরিবার,নিকটজনদের দ্বারা নানানভাবে প্রতারিত,অত্যাচারীত হয়েও মানুষ সহিংস্য হয়ে উঠতে পারে। আমেরিকাতে এটা অহরহ ঘটে থাকে। জীবন সম্পর্কে যথাযথ কনসেপ্ট,চিন্তা,আদর্শের আভাবে ব্যক্তি চরিত্রে ধৈর্য্য,অপরের প্রতি সম্মানবোধ,পরোপকারীতা,আত্মত্যাগের মত গুনাবলী তলানীতে গিয়ে ঠেকতে পারে। তখন অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রীক হবার কারনে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
সহিংসতা ঘটানো মানুষদের বিষয়ে তদন্ত করে আমেরিকান পুলিশ বিভাগ যেসব কারন খুঁজে পেয়েছেন তা হল:
১.অতিরিক্ত মাদক নিয়ে উম্মাদ হওয়া, অথবা কোনো কারনে মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়া।
২. দাম্পত্য কলহে অতিষ্ঠ হওয়া,চরম অসুখী হওয়া।
৩.চাকুরী হারিয়ে হতাশ হওয়া, অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় উপায় অন্ত না পেয়ে সহিংস্য হওয়া।
৪.কোনো কারনে অতিরিক্ত ক্রোধে অঘটন ঘটানো বা রিস্ক নেওয়ার প্রবনতা।
৫. মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হওয়া ও নিজস্ব ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কারনে প্রতিশোধপরায়ন হওয়া। যেটা হেট ক্রাইম হিসেবে পরিচিত।
৬. সহপাঠী অথবা সহকর্মীর দ্বারা অবহেলীত হওয়া,মানসিকভাবে নির্যাতিত হওয়া।
৭. মানসিক অসুস্থতার কারনে আত্মহত্যার প্রবনতা এবং সেখান থেকে তৈরী হওয়া সহিংসতার মনোভাব।
৮. অতিরিক্ত সহিংসতাপূর্ণ মুভি,মোবাইল-কম্পিউটার গেম থেকে তৈরী হওয়া বিকৃতি।
৯. লোভ থেকে তৈরী অপরাধ,যেমন: ব্যাংক বা যেকোনো ডাকাতি।
১০. সন্ত্রাসীদের নিজেদের ভেতরের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে চলা দ্বন্দ থেকে সৃষ্ট সহিংসতা।
১০. নাম না জানা আরও বহু অবস্থা।
----------------------------------------------------------
যেভাবে একটিভ শ্যুটাররা আক্রমন করে :
যারা আক্রমন করবে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তাদেরকে দেখে আচ করা যায় না। তারা ভদ্র ও সাধারণ বেশে জনসমাগমের দিকে যায়। সেটা স্কুল-কলেজ,বাজার,জনজনের মিলনমেলা ইত্যাদী যেকোনো স্থান হতে পারে। এরপর হঠাৎই অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের টার্গেট থাকে বেশী সংখ্যক মানুষকে একবারে খতম করা। অনেক সময় এসব আক্রমনকারী আক্রমন শেষে আত্মহত্যা করে। অনেকে পালিয়ে যায়।
-----------------------------------------------------------
আমাদের করনীয় কি ?
===============
দৌড়,পালানো অথবা ফাইট
-------------------------------
এটাই মূলত: আজকের আলোচ্য বিষয়। আমাদের আচরণ কেমন হবে, যদি আমরা একটিভ শ্যুটারদের কবলে পড়ি ?
সর্ব প্রথম ভাববেন , আপনার নিজেকে বাঁচাতে হবে। আর কারো কথা প্রথমে ভাববেন না। কারন আপনি নিজে নিরাপদ হলে অন্যকে সাহায্য করতে পারবেন।
১. দৌড় :
=====
সর্ব প্রথম দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাবার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু বোকা হওয়া যাবেনা। মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে হবে। কখনই মূল প্রবেশ /বহির্গমন দরজা দিয়ে দৌড়ে পালানো যাবেনা, কারন সন্ত্রাসীরা সেখানেই বেশী থাকতে পারে। তারা জানে এদিক দিয়ে পালাবে,তখন হত্যা করা যাবে। তাই দৌড়ানোর আগে বিবেচনা করতে হবে ঠিক কোনদিকে দৌড়াবো। আর ঘটনা যদি খোলা স্থানে হয় বা কোনো রাস্তায় হয়, তাহলে দৌড়ে কোনো গাছ,বাড়ির আড়ালে চলে যেতে হবে এবং গোলাগুলি চললে অবশ্যই শুয়ে পড়তে হবে। দাড়িয়ে থাকলে গায়ে গুলি লাগতে পারে।
*** যে কোনো অফিসের ক্ষেত্রে পূর্বেই নির্দেশনা থাকে যে দৌড়ে সকলে ঠিক কোথায় যাবে। আগুন লাগার ক্ষেত্রেও এভাবে সতর্কতামূলক শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে এখানে আক্রমন কারী হল একজন ব্যক্তি এবং তার বা তাদের জানা আছে লোকেরা কোথায় কোথায় যেতে পারে। ফলে দৌড়ানোর সময় সাবধান।
*** দৌড়ানোর সময় অন্য লোকদেরকে সতর্ক করে তাদেরকেও নিরাপদ করা জন্যে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলতে হবে। নিরাপদে গিয়েই ৯১১ তে জরুরী কল করতে হবে।
২. লুকানো:
=======
সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে আক্রমন চালালে লুকিয়ে পড়াটা অনেক বেশী কার্যকরী যদি সুযোগ থাকে। তাছাড়া সাথে যদি ছোট বাচ্চা থাকে বা বয়ষ্ক মানুষ থাকে, তাদেরকে নিয়ে দৌড়ে পালানো কষ্টকর। তবে সুযোগ থাকলে দৌড়ে পালাতে হবে।
*** সন্ত্রাসীরা যথেষ্ট ধৈর্য্যশীল হতে পারেনা। দ্রুত মানুষ মারতে চায়। ফলে নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে হবে। অফিস কেবিনেট,ফাইলের স্তুপ,কোনা কাঞ্চী,চেবিলের নীচে,কোনো ঘরের ভেতর, অর্থাৎ যেখানে সুবিধা সেখানে লুকাতে হবে। আর নিজেকে আড়াল করতে হবে। সেটা কাপুড়,ফাইল পত্র যা কিছুই হোক না কেন।
*** লুকিয়ে থাকার প্রথম পর্বেই নিজের মোবাইলের রিং টোন অফ করে ভাইব্রেশন অন অথবা সাইলেন্ট করে দিতে হবে। আর সুযোগ থাকলে ৯১১ এ কল করতে হবে। যদি আশঙ্কা থাকে সন্ত্রাসী কথা শুনে ফেললে মেরে ফেলবে তাহলে নি:শ্বাস ধীরে ধীরে নিয়ে চুপ থাকতে হবে। প্রিয়জনকে নিজ অবস্থা জানাতে হবে টেক্সস্ট মেসেজ দিয়ে।
*** কোনো রূমে লুকানোর সময় কেবল দরজা লক করা যথেষ্ট নাও হতে পারে। অন্য কোনো কিছু দরজার সামনে রেখে দিতে হবে। যাতে দরজা ভেঙে ফেললেও সরাসরি আপনাকে না পায়। বেশী বেশী প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করতে হবে আপনার ও সন্ত্রাসীর ভেতর। সন্ত্রাসীরা সহজ শিকারের দিকে হাত বাড়ায়। কাওকে খুজে পেতে দেরী হবে মনে করলে ওরা সেদিকে যায় না। এ কারনে বেশী বেশী প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করতে হবে।
*** লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে অতন্ত জরুরী পরামর্শ হল এই যে ,ঘটনা ঘটার পর যদি পুলিশ এসে বাইরে থেকে বলে-" আমরা পুলিশ, পুরো বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রনে আছে, দরজা খুলুন" তাহলে অবশ্যই দরজা খুলবেন না। অবশ্যই ভেতর থেকে কথা বলে নিজের অবস্থান জানান দিবেন না। কারন সন্ত্রাসী পুলিশের অভিনয় করে ধোকা দিতে পারে। চুপ থাকুন। পুলিশ দরজা ভেঙ্গেই প্রবেশ করবে বা অন্য রাস্তা বের করবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পুলিশ সবগুলো ঘরে প্রবেশ করে এবং নিশ্চিত করে যে, সকল স্থানেই তারা খোঁজ করেছে। কাওকে লুকায়িত অবস্থায় ফেলে রেখে পুলিশ চলে যাবেনা। আমেরিকান পুলিশের এই দায়িত্ববোধ এবং ট্রেনিং রয়েছে। ফলে লুকিয়ে থাকাবস্থায় নিজ থেকে বের হবেন না।
৩. ফাইট:
=====
*** আপনি নিশ্চিত না হয়ে কখনই ফাইটের সিদ্ধান্ত নিবেন না। যখন ভাববেন আপনার পালানোর উপায় নেই আবার জীবন বাচানোরও উপায় নেই, তখন ওটাই একটা উপায় হতে পারে। কিন্তু এটা সকলের জন্যে নয়। বিনা কারনে হিরো সাজবেন না।
*** লুকানোর সময় খেয়াল রাখুন আপনার আশপাশে অস্ত্রের মত কোনো কিছু পান কিনা। সেটা হতে পারে বোতল,ফায়ার এক্সটিংগুইশার, লাঠি,ভারী কোনো বস্তু যা ব্যবহার করা যায়, চেয়ার ইত্যাদী। দরজা ভেঙ্গে সন্ত্রাসী যেন আপনাকে মুখোমুখি না পায়। আপনি দরজার পাশে থাকবেন,যাতে সে প্রবেশ করলে আপনি এক সেকেন্ড সময় পান। অন্য স্থানে লুকিয়ে থাকার সময়ও সাহসীরা মনে মনে লড়াইয়ের জন্যে প্রস্তুত থাকবেন। হাতের কাছে কিছু পেলে রাখবেন।
*** ফাইটের প্রথম ধাপ হল নার্ভ শক্ত রাখা। নার্ভাস হওয়া যাবেনা।
*** ভাবুন সেও একজন মানুষ, আমিও মানুষ। শক্তি আমারও কম নেই। সে মারলে আমিও মারতে পারি। মনকে শক্ত করুন এবং সুযোগের অপেক্ষা করুন। সুযোগ পেলেই তার মাথায়,মুখে প্রচন্ড আঘাত করুন। সে ব্যালান্স হারালে অনাবরত মারতে থাকুন। অনেক সময় সন্ত্রাসীরা প্রতিহত হলে পালিয়ে যায়।
*** একসাথে একাধিক মানুষ মিলে একজনকে টার্গেট করুন। কেউ লাঠি,কেউ চেয়ার,কেউ বোতল সব নিয়ে একসাথে আক্রমন করুন। এটা ফলপ্রসূ।
*** কেউ যদি খালি হাতে আত্মরক্ষার কৌশল জানেন বা মার্শাল আর্টিস্ট হন, তবে আবেগী না হয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন। সুযোগ নিন, যখন মনে করবেন আপনি পারবেন, কোনো রকম দ্বিধায় না ভুগে প্রবল আক্রমন করুন এবং তাকে দ্রুত নিরস্ত্র করতে চেষ্টা করুন। মানুষ যখন খুব কাছে চলে আসে, তখন আঘাত করা কষ্টকর। ফলে কেউ সন্ত্রাসীকে ধরে ফেললে সে অনেক সময় গুলিও ছুড়তে পারেনা। এছাড়া সে বাধা পেয়ে ঘাবড়েও যায়। কাছে চলে আসলে তার অতি স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করুন। এমনকি তার যে হাতে অস্ত্র ধরা আছে সেই হাতটি সর্বশক্তি দিয়ে ধরে ফেললেও সে পরাস্ত হতে পারে।
*** সন্ত্রাসীকে মেরে ফেললে আইনগত কোনো সমস্যা নেই এমনকি বাহবা পাবেন।
*** আপনি যদি এমন কেউ হন, যার নিজের নিরাপত্তার জন্যে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, এবং আপনি একটিভ শ্যুটারকে মারতে নিজের অস্ত্র ব্যবহার করছেন বা করেছেন, তাহলে ঘটনার সমাপ্তিতে যখন বিশেষ পুলিশ উপস্থিত হবে, অস্ত্রটি ফেলে দিয়ে দুহাত উচুতে তুলে রাখুন অর্থাৎ আত্মসমর্পণ করুন। নইলে পুলিশ ভাবতে পারে আপনিই সেই একটিভ শ্যুটার। ভুল বুঝে পুলিশ আপনাকেই গুলি করতে পারে। কাজেই পুলিশ আসার পর নিজের অস্ত্র ব্যবহার করা যাবেনা।
*** আমেরিকার নাগরিকরা পকেটে ৬" লম্বা নাইফ রাখতে পারেন। এটি বৈধ। যেকোনো জরুরী প্রয়োজন, যেমন গাড়ির সিটবেল্ট কাটা বা এরকম আরও অনেক প্রযোজনে এটি কাজে লাগতে পারে।
========================
ওরেগনের বিভিন্ন স্থানে জরুরী পুলিশের রেসপন্স টাইম ভিন্ন ভিন্ন। আমাদের লিন কাউন্টির জন্যে রেসপন্স টাইম হল ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৪ মিনিট। অর্থাৎ আপনি ঘটনাস্থলে ৪ মিনিট টিকে থাকলে আশা করা যায়, পুলিশ আপনার কাছে পৌছে যাবে। তবে সন্ত্রাসীরা প্রথম ৩০ সেকেন্ডেই বেশী মানুষ হত্যা করে।
*** আপনি আপনার ব্রেইনকে এলার্ট রাখুন। আপনার সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সচল রাখুন। মনে মনে এই বিষয়টা নিয়ে নানানভাবে চিন্তা করতে থাকুন। নানান ভিডিও দেখুন। নিজের জন্যে একটা ডিজাইন তৈরী করুন। এটা খুবই কার্যকরী বিষয়। ব্রেইন যদি এরকম একটা চিত্র তৈরী করে রাখে, তবে কখনও ভয়াবহ সেই অবস্থা তৈরী হলে অবিচল থাকা সহজ হয়। আর বিষয়টা চিন্তার বাইরের কিছু হলে মানুষ নার্ভাস হয়,হতাশ হয় এবং প্রচন্ড দূর্বল হয়ে বোকার মত আচরণ করে নিজের ও অন্যের বিপদ ডেকে আনে।
লেখা লম্বা হয়ে গেছে। এখনও খুটিনাটি অনেক বিষয় থেকে গেছে যা জরুরী। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন !
বিষয়: বিবিধ
৭৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন