কৃতজ্ঞ বান্দাই ম্রেষ্ঠ বান্দা

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:৩৩:৩২ সকাল

কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে আল্লাহ তার অভিভাবকত্বে রাখেন। এদের কোনো ভয় নেই। কৃতজ্ঞরাই অহংকার দমন করতে পারে। এরাই সফল।

আয়িশাহ (রা) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ইন্তিকালের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর পরিবার কোনদিন একটানা দু’দিন পেট ভরে যবের রুটিও খেতে পায়নি।

(বুখারী হাদিস নং ৫৪১৬ , মুসলিম হাদিস নং ২৯৭০)

হাদীসটা আগেও দেখেছি কিন্তু প্রত্যেকবার দেখার পর নতুন করে চিন্তা হয়, আমরা কি তবে রাজকীয় হালে নেই ? আমরা কি জানি, যার পেটে ক্ষুধা থাকে সবসময়,তার কাছে দুনিয়া কেমন ? মানুষের ক্ষুধার চাহিদা হল সর্বপ্রথম চহিদা। এটা ঠিক না থাকলে অন্য চিন্তা পরিপূর্ণরূপে আসতে পারেনা। অথচ বেশীরভাগ সাহাবীরই তেমন কোনো সম্পদ ছিলোনা। দুবেলা খাবার জুটত না। দারিদ্র নিয়েই জ্ঞান চর্চা করেছেন,সে জ্ঞান পরবর্তীদের কাছে পৌছে দিয়েছেন,রোজা রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। সমাজে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেই খ্যান্ত হননি, দুনিয়ার যে এলাকা পর্যন্ত গমন করা সম্ভব ততদূর পর্যন্ত ইসলাম পৌছে দিয়েছেন,প্রতিষ্ঠাকল্পে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জীবিকার জন্যে যতটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন ততটুকু দিয়েছেন কিন্তু সেটার জন্যে পাগল হয়ে ওঠেননি,হাহুতাশ করেননি।

তারা দুনিয়ায় অভাবী থেকেও নিশ্চিন্ত জীবন যাপন করেছেন, আমাদের মত দু:খ বিলাশের সময় তাদের ছিলোনা। তাহলে তারা অনুকরনীয় আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারতেন না। আমরা অল্পতেই নূয়ে পড়ি, দু:খ না থাকলেও তা টোকাতে থাকি, দু:খ জমা করে জাবর কাটি। আমাদের খাবারের অভাব তো দূরের কথা ,বহু অভাব থেকেই মুক্ত, কিন্তু দু:খের পাহাড় তৈরী করে হা-হুতাশ করি এবং অপরকে হিংসা করি। আল্লাহ যেসব করতে নিষেধ করেছেন সেটা করে যন্ত্রনাকাতর হয়ে পড়ি,শোকে দু:খে আল্লাহকেই অভিযোগ করি দু:খ প্রদানের জন্যে। খুব জঘন্ন আমাদের কারবার।

যখন মানুষ দুনিয়াতে তার আগমনের উদ্দেশ্য ভুলে যায়, তখনই শয়তান তাকে নিয়ে খেলতে থাকে। তাকে এমন সব কাজে,স্থানে নিয়োজিত রাখে যা তাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায় ধীরে ধীরে। যার উদ্দেশ্য আল্লাহর রাসূলের(সাঃ) আনুগত্য করা, তার দু:খ বিলাশের টাইম নেই। সে দ্যাখে ,হাতে আছে অল্প সময়, এখনও বহু কাজ পড়ে আছে। প্রতিটা ভালো কাজে সে নিজেকে নিয়োজিত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তাকে আখিরাতের অনন্ত কালের জীবনের জন্যেই কাজ করতে হবে। তুচ্ছ দুনিয়ার ঠুনকো আঘাতকে সে পরোয়া করেনা। তার দৃঢ় মনোবল,মানসিকতার কারনে এবং আল্লাহর উপর কঠিন আস্থা রাখার কারনে দু:খ কাছে ঘেষতে পারেনা। কারন সে বিশ্বাস করে, আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই কষ্টের পরে আছে প্রশান্তি,অবশ্যই কষ্টের পর আছে স্বস্তি ! সে খুব অল্পতেই তুষ্ট হয়। বেশি পেলেও শুকরিয়া আদায় করে ও অন্যের হক আদায় করে। রসূল(সাঃ) বলেন, সুস্থ্য দেহে যে একটি রাত পার করল এবং ওদিনের খাবারও তার কাছে মজুদ আছে,তাকে যেন সারা দুনিয়া প্রদান করা হয়েছে !

বিষয়: বিবিধ

৫৭৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386731
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সকাল ০৬:৪৮
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File