ইহুদীরা শুওরকে হালাল করল
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২২ আগস্ট, ২০১৯, ০৮:১৪:২৪ রাত
সহমর্কী পিটের কাছে জানলাম ইহুদীরা কিছুদিন আগে শুওরের গোস্ত হালাল করেছে। মানে "কোশার মিট" হিসেবে বাজারে শুওরের গোস্তও পাওয়া যাবে। যদিও অনেক সংখ্যক ইহুদী আলেম বা রাবাই এর বিরোধীতা করেছে কিন্তু ধোপে টিকেনি।
ইয়াকুব(আঃ)এর আরেক নাম ছিলো ইসরাইল, সে সূত্রে তার বংশধরদেরকে বানী ইসরাইল বলা হত। তার(আঃ) ছিলো ১১ সন্তান। ইউসুফ(আঃ) এবং বিন ইয়ামিন(বেঞ্জামীন) ছিলো একই মায়ের সন্তান। অন্য স্ত্রীর ছিলো ৯টি পুত্র। সকলের বড় ছিলো ইয়াহুদা এবং তার সন্তান ছিলো অনেক। ফলে পরবর্তীতে বনী ইসরাইলকে ইয়াহুদার বংশ বা ইয়াহুদী বলা হত।
এরা বার বার আল্লাহর বিধানকে নানান সব বৃদ্ধিবৃত্তিক ও চিত্তাকর্ষক যুক্তি দিয়ে লঙ্ঘন করেছে এবং অভিশপ্ত হয়েছে। আল্লাহর আদেশকে ঘুরিয়ে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করে ভঙ্গ করত। শুরু থেকেই তাওরাতে শুওর খাওয়া নিষিদ্ধ ছিলো। সেটা পরিপালিত হচ্ছিলো হাজার হাজার বছর ধরে। কিন্তু সম্প্রতি ওরা দেখল দুনিয়ার সকল গোস্তের ভেতর শুওরের গোস্ত বেশী খাওয়া হয় এবং শুওর পোষা লাভজনক। এর গোস্ত দ্রুত বাড়ে পোল্ট্রী মুরগীর মত। তাদের বিজ্ঞানীরা বলেছে এটা সুস্বাদু এবং খুবই স্বাস্থ্যকর। ফলে মার্কেট যাচাই করে ওরা ব্যবসায়ের জন্যে এর পক্ষ নিল। বিষয়টি সুদীর্ঘ সময় ধরে ওদের ডিবেটের টেবিলে ছিলো কিন্তু শেষে আল্ট্রা মডার্ণ ইহুদীরাই বিজয়ী হল।
উল্লেখ্য মুসলিম এবং ইহুদীদের জবাই করা পদ্ধতি হুবহু এক এবং উভয়েই আল্লাহর নামেই জবাই করে। ইহুদীরা আল্লাহকে আলাহ/এলাহ বলে। ইহুদীদের ধার্মিক অংশ কখনই শুওর খায়না। কিন্তু ওদের জাতিকে পরিচালনা করে ইহুদী রাজনৈতিক অংশ যাদেরকে জায়নিস্ট বলে। জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে পুরো দুনিয়া প্রায় ওরাই পরিচালনা করে । খ্রিস্টানরাও শুওর খেতনা, কিন্তু ওরাও নিজেদের যুক্তি,বুদ্ধি দিয়ে আসমানী কিতাব সংশোধন করার পক্ষে। ফলে কালের প্রবাহে ওরাও বহু নাযায়েজকে জায়েজ করেছে।
একমাত্র মুসলিমরাই প্রবল শক্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে রেখেছে। এটাকে সংশোধন করার চিন্তা দূরে থাক, কোনো হাদীস জয়িফ বা জাল হিসেবে প্রমানিত হলেই ওরা ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তা এড়িয়ে চলে। ওদের আবেগ প্রচন্ড এ ব্যাপারে। মুসলিম কর্তৃক এভাবে কিতাব আকড়ে ধরে রাখার নীতি অমুসলিম পন্ডিতরা ভালো চোখে দ্যাখেনা। কারন মুসলিমরা যতই পরষ্পর মারামারি করুক না কেন, তাদের এই নীতির কারনে দ্রুত ঐক্য তৈরী করতে পারবে বলে ওরা মনে করে। এ কারনে অমুসলিমরা কখনও উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে নিজেদের লোককে আলেম সাজিয়ে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। হবে বলেও মনে হয়না। কারন কুরআন অবিকৃত ছিলো,আছে,থাকবে। মুসলিম বোঝেনা কিতাব অবিকৃত থাকার অর্থ কি। কাফিররা মুসলিমদেরকে মনে মনে আহাম্মক বলে এই কারনে যে, ঐক্য তৈরী করার সকল উপাদান প্রস্তুত থাকার পরও এরা দুনিয়ায় লাঞ্চিত। কারন এরা কিতাবের উপর ভিত্তি করে ঐক্য তৈরী না করে মরিচিকার পেছনে পড়ে পরষ্পর দূরে চলে যাচ্ছে।
আল্লাহর রসূল(সাঃ) বলেন, তোমরা কুরআন ও সুন্নাহকে শক্ত করে আকড়ে ধরবে, তাহলে কেউ তোমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
৫৯৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন