মজলুমের পাশে থাকুন
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৪৪:০৩ সকাল
বুখারী বর্ণিত বড় সেই হাদীসটার কথা মাথায় আসলো। যখন রোম সাম্রাজ্যের পরাক্রমশালী সম্রাট হিরাক্লিয়াস আরবের বিষয়ে জানতে পারলেন যে, সেখানে এক নবীর আগমন ঘটেছে, তখন তিনি জানতে চাইলেন এখন রোমে কোনো আরব ব্যবসায়ী আছে কি না। সে সময় আবু সুফিয়ান ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে রোমে ছিলো। তাকে ডাকা হল।
সম্রাট হিরাক্লিয়াস এবং আবু সুফিয়ানের ভেতর দীর্ঘ আলাপ হয়। আরবের সম্মানিত মানুষেরা মিথ্যা বলাকে তাদের মর্যাদা হানিকর বলে মনে করতেন। সেখানে একটি প্রশ্ন ছিলো এমন যে, আপনাদের নবীর অনুসারীদের বেশীরভাগ গরিব, অসহায়, মজলুম শ্রেনীর কি না ? উত্তরে আবু সুফিয়ান বলেছিলো, হ্যা , তার অনুসারীরা এমনই বেশী।
পরে উত্তরে সম্রাট হিরাক্লিয়াস বলেছিলেন, এরূপই হবার কথা। সকল নবীদের ক্ষেত্রে এমনই ঘটেছে। মূলত তিনি ছিলেন আসমানী কিতাবের বিষয়ে অবগত। আর রসূল(সাঃ)কে সত্য নবী হিসেবে মেনেছিলেনও, কিন্তু তার রাজ্যের প্রতি মোহ এবং সভাসদদের অসম্মতির কারনে এ বিষয়ে বেশীদূর অগ্রসর হওয়া হয়নি। হিরাক্লিয়াস ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন, শিঘ্রই আমার পায়ের নীচে মাটি হাতছাড়া হতে চলেছে। তাই'ই হয়েছিলো।
কিন্তু আমার ভাবনাটা অন্যখানে। প্রত্যেক নবী রসূলের সহকারী হয়েছে বেশীরভাগই মজলুম,শোষিত শ্রেনীর মানুষ। আল্লাহর সাহায্য রহমত এদের প্রতিই বেশী থাকে, যদিও আমরা উপলব্ধী করিনা। আপনি যখন দেখবেন, মানুষকে আপনার সমর্থনের কারন হয়ে উঠছে তার প্রভাব প্রতিপত্তি,অর্থ সম্পদ, তখন বুঝবেন আপনি ধ্বংসের পথে হাটা শুরু করেছেন হয়ত। আর যখন দেখবেন আপনার আশপাশে সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় মানুষেরা বেশী, মজলুম বেশী, তখন বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে হয়ত কবুল করেছেন।
বেশীরভাগ সমাজেই শক্তিশালী শ্রেনীরা পদ্ধতিগতভাবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় এবং নিজেদের স্বার্থে আইন,শাসন,বিচারকে ব্যবহার করে। আর এর বিপরীতে যারা কথা বলে, তারা রোষানলে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর সাহায্য এদের সাথেই থাকে। তাই নিজেকে মজলুমের কাতারে দেখলে হতাশ হবেন না। নিজেকে বঞ্চিতদের ভেতর আবিষ্কার করে বরং খুশী হবেন যে, আপনি রহমতপ্রাপ্তদের কাতারে আছেন। অল্প সময় পরই যার যার পাওনা পরিশোধ করা হবে।
বিষয়: বিবিধ
৬৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন