শয়তানের সীমাবদ্ধতা : --------------------------
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০৪:১৯ সকাল
আউযুবিল্লাহ হিমিনাশ শয়তান হির রজিম !
১. শয়তান বা খারাপ জীন কোন মু'জিযা দেখাতে সক্ষম নয়। জিনের ভেতর ভালো ও মন্দ রয়েছে। খারাপ জিনকে শয়তান বলা হয়।
২. জীন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম নয়। অলৌকিকতার কথা বলে ওরা মিথ্যা বলে জীন সাধকদেরকে। তবে কোনো কোনো জীন ব্লাক ম্যাজিক সম্পর্কে অবগত, তারা ওটার কথা কখনও সাধকদেরকে বলে এবং নিজেদের ক্ষমতা বেশী করে প্রচার করে। আসলে ব্লাক ম্যাজিকে কোনো কাজ হয় আল্লাহর আদেশেই। আল্লাহ পরিক্ষার জন্যে এটা প্রদান করেছিলেন পূর্বে। আবার বলেছিলেন এটা কুফরী, এটা করোনা, তাহলে আমল বরবাদ হবে, জাহান্নামী হবে। কিন্তু অবগত জিনেরা এটা বলে দিয়ে নিজের ক্ষমতা দেখায়, যা মিথ্যা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ব্লাক ম্যজিক শিখতে চাওয়া মানুষদেরকে দিয়ে জিন শিরক করায় নানান উপায়ে, এরপর পরিত্যাগ করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে করতে।
৩. যেহেতু প্রত্যেক মানুষের সাথে ফেরেশতার পাশাপাশি একটি করে জীন থাকে, তাই তারা মানুষের অতীত বলতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতের বিষয়ে অনুমান করে কথা বলে ও মিথ্যা বলে। ওরা মিথ্যুক।
৪. খারাপ জীনেরা মানুষকে তার দাস বানাতে পছন্দ করে, কিন্তু মানুষ তার ধোকা বুঝে ফেললে সে পালায়।
৫. জিনেরা আল্লাহর থেকে কিছু অতিরিক্ত বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছে মানুষকে ধোকা দিতে পারার জন্যে, কিন্তু তারপরও জ্ঞানের দিক দিয়ে শয়তান মানুষের সমকক্ষ নয়।
৬. জিনেরা মহাকাশে তাদের নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করতে পারে না।
৭. আল্লাহর নাম নিয়ে পাতিলের ঢাকনা দিলে বা দরজা বন্ধ করলে তারা প্রবেশ করতে পারেনা।
৮. আযান শুনলে ভেগে যায়, কিন্তু আযান শেষ হলে ফিরে এসে ওয়াস ওয়াসা দেয়।
৯. যারা আল্লাহর পথে থাকে তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা শয়তান।
১০. মুমনিদেরকে শয়তান দূর থেকে নানান ভয় ভীতি ওয়াস ওয়াসা দিলেও প্রচন্ড ভয় করে। আর মুমিন আল্লাহর উপর আস্থা বাড়িয়ে দিলে শয়তান প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়ে।
১১. জিনেরা মানুষের সাথে থেকে কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হয় এবং তার ভাবভঙ্গী দেখে অনুমান করে মনের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলে। কিন্তু আদতে তারা মনের পরিকল্পনা পড়তে পারেনা, চিন্তা পড়তে পারেনা। মানুষের মত এত উঁচু মানের মেধা তাদের নেই।
১২. অরিজিন্যালী জিনেরা দেখতে সুন্দর নয়, তবে নানান বেশ ধারন করতে সক্ষম তারা।
১৩. শয়তান মানুষকে নফসের দাসত্ব করতে শেখায়, কিন্তু মানুষ তার নফসকে আল্লাহর উপর আস্থা রেখে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলে শয়তান ভেগে যায়। সে সময় তার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়
স্রেফ একটু পরিক্ষার জন্যে শয়তানের আবেদন মঞ্জুর করে আল্লাহ তায়ালা তাকে সাময়িক কিছু ক্ষমতা প্রদান করেছেন। তবে শয়তান ওয়াস ওয়াসা দিলেও মূল কাজ আসলে মানুষই করে। আর এ কারনে মানুষই তার কর্মের জন্যে দায়ী। কিন্তু আল্লাহ তার একনিষ্ঠ বান্দাদের সাহায্য করেন। তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ফেরেশতা নামক প্রহরী নিযুক্ত করেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"আমার দাসদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। আর কর্মবিধায়ক হিসাবে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।"
-(সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৬৫)
"বিভ্রান্তদের মধ্য হতে যারা তোমার (শয়তানের) অনুসরণ করবে তারা ছাড়া আমার (একনিষ্ঠ) বান্দাদের উপর তোমার কোন আধিপত্য থাকবে না।"-(সূরা আল হিজ্বর, আয়াত: ৪২)
আসুন এই রমজানে নিজেদেরকে আল্লাহর রঙে রঞ্জিত করি। আর তার(সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) রঙের চাইতে উত্তম আর কি আছে ! আর আসুন শয়তানকে সর্বত্র শায়েস্তা করি। তা সে মানুষ শয়তান হোক আর জিন শয়তান !
বিষয়: বিবিধ
৯৯৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন