বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে যৌন শিক্ষা !
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০৯:৪৫:২১ সকাল
-------------------------------------------
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না, কেবল কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করছি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যে ২ বছরের যৌনতা শিক্ষার কোর্স বাধ্যতামূলক করা হবে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত পুস্তকাদীর মাধ্যমে কিছু শিক্ষা চালু হয়েছে স্বল্প মাত্রায়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
১. এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে না জাতিসংঘের স্বাস্থ্য অথবা শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা। বরং অর্থায়ন করছে জাতি সংঘের জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ। আরেকবার ভাবেন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে। উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার ।
২. এটা ঠিক যে বাচ্চারা বয়:সন্ধীতে পৌঁছলে তাদের কিছু যৌন শিক্ষা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেটার উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার হতে হবে। এর উদ্দেশ্য হল তারা নারী-পুরুষের কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর সঠিক জ্ঞান না পেলে তারা অন্যের দ্বারা বিভ্রান্ত হবে। কিন্তু সে জ্ঞানটি তাদেরকে প্রদান করতে কত সময় প্রয়োজন ? আর সেটা কে প্রদান করবে ?
এ শিক্ষাটি অবশ্যই তার পিতা-মাতা অথবা পরিবারের সিনিয়র কেউ তাকে অত্যন্ত শালীন ভাষায়, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শেখাবেন বা জানাবেন। কিন্তু স্কুলে শত শত ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষকগণ তাকে ২ বছর ধরে কি শিক্ষা প্রদান করবেন ? কি এমন বিষয় যা তাকে শিক্ষা দিতে ২ বছর সময় প্রদান করতে হবে ? এটা তো ১ ঘন্টায় শেখানো সম্ভব, না হয় ১ সপ্তাহই লাগল ! তাই নয় কি ??
৩. এই শিক্ষায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ছেলে-মেয়েরা যেন তাদের পারষ্পরিক জড়তা কাটাতে পারে। তারা যেন একে অপরের কাছে সহজ হতে পারে। হারামখোর ! তোর উদ্দেশ্য কি বাচ্চাদের যৌনতার জ্ঞান দেওয়া , নাকি স্কুলকে বেশ্যালয় বানানো ?? যে শিক্ষা তাদের জানা জরুরী তা শেখানোর সাথে ওদের লজ্জা ভেঙ্গে দেওয়ার সম্পর্ক কি ?
খুবই সোজা, ওদেরকে যখন যৌনতা শিক্ষা দেওয়া হবে, তখন ওরা লজ্জা পেলে বিপরীত লিঙ্গের সহপাঠীর সাথে তো আলোচনা করতে পারবে না। আর আলোচনা না হলে ওরা পারষ্পরিক মেলামেশা বা ব্যভীচার করবে কিভাবে ?? তাই লজ্জাটাকে ভেঙ্গে দিতে হবে, যাতে তার সকল রক্ষাকবচ ধ্বংস হয়ে যায়। এভাবে সে বেহায়া,চরিত্রহীনভাবে চমৎকারভাবে বেড়ে উঠবে।
৪. বলা হচ্ছে স্কুলে যৌন শিক্ষার ক্লাশ চালু হলে ধর্ষনের হার কমে আসবে। মজার ব্যাপার হল, যেসব দেশের স্কুলগুলোতে যৌন শিক্ষা চালু আছে, সেসব দেশ ধর্ষনের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। আমি ১০ টা দেশের তালিকা দিচ্ছি, ধর্ষনে ক্রমান্বয়ে যাদের অবস্থান। ১) যুক্তরাষ্ট্র, ২) দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩) সুইডেন, ৪) ভারত, ৫) যুক্তরাজ্য, ৬) জার্মানি, ৭) ফ্রান্স, ৮) কানাডা, ৯) শ্রীলঙ্কা, ১০) ইথিওপিয়া
৫. যৌন শিক্ষার সময় বাচ্চাদের শেখানো হয় সমকামীদের যৌনতা। এটা উদ্দেশ্য হল যৌনতার পরিমন্ডলকে ব্যপক করে তোলা এবং প্রোডাকটিভিটি নষ্ট করা বা জন্মহার কমিয়ে দেওয়া। যৌনতার বিকৃতীকেও শৈল্পীকভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে। বছর দশেক পরে আপনার পুত্র তার ছেলে বন্ধুকে বিয়ে করতে চাইলে বা লিভটুগেদার করতে চাইলে আপনি বাধা দিয়ে জেলে যাবেন, আপনার কন্যার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটবে।
আমাদের শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মকর্তা,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আলোকিত মানুষেরা,সুশীল সমাজ কোমলমতি বাচ্চাদের যৌনতার জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ছবক দিচ্ছে। এসব শিক্ষা দেশের স্কুলে এবং মাদ্রাসায়ও প্রতিষ্ঠিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু শিক্ষা দেওয়া শুরু হয়েছে। আপনার অপেক্ষা করেন, এখন তো খাটের নীচের ট্যাঙ্কের ভেতর শিশুর লাশ পাওয়া যাচ্ছে, এরপর তারা এসব লুকানোর প্রয়োজন বোধ করবে না। অইন-কানুনও তাদের পক্ষে রাখা হবে। দেখবেন পুরো জাতি কিভাবে শিক্ষিত হয়ে উঠছে এবং আপনার চৌদ্দ গুষ্টিকে আলোকিত করে ফেলছে। এরই নাম আলোকীত সৃজনশীল শিক্ষা।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এগুলো শেখানোর দরকার পড়ে গেছে কেন এখন? আগে কেন শেখানো হয় নি? আগে কি পরিবেশ এমনই ছিল নাকি এরচেয়ে ভাল ছিল? ভাল থাকলে কেন ছিল - সেটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
মূলত পারিবারিক শিক্ষা + ধর্মীয় মূল্যবোধ (ইসলাম ধর্মের শিক্ষা) পারে এরকম সামাজিক মহাব্যধিকে প্রতিহত করতে।
এখন যেভাবে শেখানো হচ্ছে তাতে আগে মেয়েরা যে নিজেদের এসব কাজ থেকে গুটিয়ে রাখতো সেটা থেকে বের হয়ে খুল্লাম খুল্লা হয়ে যাবে (হয়েছেও তাই) । ফলে এখন আমরা দেখে থাকি বাল্যপ্রেম (বাল্য বিবাহ নিয়ে সবাই সোচ্চার থাকলেও বাল্যপ্রেমকে অনেকেই এপ্রিশোয়েটই করে), পরকীয়া ও লিভ টুগেদার । সাথে রুচি বদলের জন্য এসে গেছে সমকামিতা (গে-ইজম ও লেসবিয়ানিজম)।
এসবের কারণে পশ্চিমা তথা কাফের বিশ্ব থেকে দাম্পত্য , পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন ভেঙ্গে গেছে অনেক আগে থেকেই। আর সেটা তারা ছড়িয়ে দিতে চাইছে এখনও দাম্পত্য , পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন ও মূল্যবোধ নিয়ে চলা মুলসমানদের উপর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন